যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত ১৯মে জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেন তাতে আরব বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করলেও, আরব বিশ্বে আদৌ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলো কীনা, কিংবা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে তার স্বরূপ কী হবে এ প্রশ্নটা এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। আরব বিশ্বে বিশেষ করে আরবলীগভুক্ত ২২টি দেশে একটি ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির জন্ম হয়েছে। যার সাথে দক্ষিণ তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কিংবা পূর্ব ইউরোপের বিকাশমান গণতন্ত্রের সাথে মেলান যাবে না। এখানে রয়েছে ভিন্ন এক জগত্। একদিকে রয়েছে সামরিক বাহিনীর প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপস্থিতি...
Prof Dr Tareque Shamsur Rehman
In his Office at UGC Bangladesh
Prof Rahman With US Congressman Joseph Crowley
here you go!!!
Prof Dr Tareque Shamsur Rahman
During his stay in Germany
Prof Dr Tareque Shamsur Rahman
At Fatih University, Turkey during his recent visit.
Prof Dr Tareque Shamsur Rehman
In front of an Ethnic Mud House in Mexico
আরব বিশ্বের গণতন্ত্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত ১৯মে জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেন তাতে আরব বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করলেও, আরব বিশ্বে আদৌ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলো কীনা, কিংবা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে তার স্বরূপ কী হবে এ প্রশ্নটা এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। আরব বিশ্বে বিশেষ করে আরবলীগভুক্ত ২২টি দেশে একটি ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির জন্ম হয়েছে। যার সাথে দক্ষিণ তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কিংবা পূর্ব ইউরোপের বিকাশমান গণতন্ত্রের সাথে মেলান যাবে না। এখানে রয়েছে ভিন্ন এক জগত্। একদিকে রয়েছে সামরিক বাহিনীর প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপস্থিতি (মিসর,...
পাহাড়ে অসন্তোষ কার স্বার্থে
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল আবার অশান্ত হয়ে উঠেছে। গত ২১ মে রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার দুর্গম মিতিঙ্গাছড়ি এলাকায় পার্বত্য জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলায় ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের চারজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মাঝে একজন হচ্ছেন অনিমেষ চাকমা, যিনি ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইউপিডিএফের ডাকে গত ২৩ মে রাঙ্গামাটিতে পূর্ণদিবস সড়ক ও নৌ অবরোধ পালিত হয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান বিবিসি’র বাংলা বিভাগকে জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে। যদিও এটা নিশ্চিত...
একটি ছবি, অনেক প্রশ্ন
একটি ছবি ছাপা হয়েছে দৈনিক যুগান্তরের ১৯ মে’র সংখ্যায় প্রথম পাতায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের কুশপুত্তলিকা দাহ করছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির কুশপুত্তলিকা দাহ! এটা কী কোন ‘সভ্য’ দেশে চিন্তা করা যায়? কেন একজন প্রধান বিচারপতি বিতর্কিত হবেন? সবাই প্রধান বিচারপতি হতে পারেন না। সবার সেই মেধা ও যোগ্যতা থাকে না। একজন বিচারপতি তো সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষটি। জাতি, সমাজ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। সংকটের সময় তিনি হচ্ছেন ভরসারস্থল। আজ তিনিই কিনা বিতর্কিত হলেন! আমরা আমজনতা, আমরা দেখলাম তার কুশপুত্তলিকা...
আল-কায়েদার নতুন নেতৃত্ব এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
ওসামা বিন লাদেনের হত্যাকা-ের পর আল-কায়েদা নতুন একজন নেতা পেয়েছে। তার নাম সাইফ আল আদেল। তিনি এক সময় মিসরের সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। অনেকটা অপরিচিত সাইফ আল আদেলের নির্বাচন অনেকেরই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কেননা তিনি এর আগে কখনো আলোচনায় আসেননি। অনেকেই ধারণা করেছিলেন আল-কায়েদার দ্বিতীয় নেতা আইমান আল জাওয়াহিরী আল-কায়েদার নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু সেটা হলো না। তবে যতটুকু জানা গেছে, তাতে দেখা যায় সাইফ আল আদেল দীর্ঘদিন ধরেই আল-কায়েদার নেটওয়ার্কের সঙ্গে...
বিন লাদেন-পরবর্তী বিশ্বরাজনীতির চালচিত্র
ওসামা বিন লাদেনের হত্যাকাণ্ডের পর অনেক প্রশ্ন এখন বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। খোদ মার্কিন মুল্লুকেই এখন বলা হচ্ছে, লাদেন 'অপরাধী' হতে পারেন; কিন্তু কমান্ডো পাঠিয়ে তাঁকে হত্যা করা কোনো ধরনের আইনের মধ্যে পড়ে না। দোষীকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে_এটাই আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাখ্যা। যাঁরাই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন (নাজি যুদ্ধাপরাধী, বসনিয়া, রুয়ান্ডা কিংবা লাইবেরিয়ার যুদ্ধাপরাধী) তাঁদের বিচার হয়েছে। লাদেনের ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। উপরন্তু অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে যে মার্কিনি অপারেশন পরিচালিত হবে, তা পাকিস্তানি প্রশাসন জানত। Global Post-এর...
মমতার বিজয় আমাদের আশাবাদী করে না
13:26
No comments
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এখন মমতা ব্যানার্জি। দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্টকে পরাজিত করে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রীর আসনটি ‘দখল’ করতে সমর্থ হলেও এ থেকে আমাদের উত্ফুল্ল হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই। কেননা মমতা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এখন জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন। এক সময় বিজেপির সঙ্গেও ছিলেন। কেন্দ্রে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) মিত্র ছিলেন মমতা। অনেকদিন থেকেই ক্ষমতার...
যে বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন
বাপ্পির সাথে আমার পরিচয় খুব অল্প দিনের। চমত্কার একটি ছেলে। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে অন্য হাজারটা তরুণের মতো চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিচ্ছে না। উচ্চপর্যায়ের আত্মীয়-স্বজনও নেই বাপ্পির, যাকে ‘ধরে’ একটি চাকরি জোগানো সম্ভব। বাপ্পি তা করেনি। করার ইচ্ছেও নেই। বাপ্পি তথ্যপ্রযুক্তিতে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে ফ্রিল্যান্স আউটসোসিং করে সে প্রতিমাসে যা আয় করছে, তা অনেকের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। মাত্র ২৩ বছরের যুবক বাপ্পি তাই ‘চাকরি’ নিয়ে ভাবে না। ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংই তার ধ্যান-ধারণা। এটা নিয়েই সে আরো এগিয়ে যেতে চায়। বাংলদেশের...
বিরোধ থেকেই গেল
সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিরোধিতা রয়েই গেল। সংবিধান সংশোধন নিয়ে যে জাতীয় কমিটি গঠিত হয়েছে, তারা প্রধান বিরোধী দলকে সংলাপে ডাকলেও বিএনপি ওই সংলাপে যায়নি। কেন তারা যায়নি, তা তারা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েও দিয়েছে। এমনকি সংসদে এলডিপিকে প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র সদস্য ড. কর্নেল অলি আহমদও সংলাপে যোগ দেননি। আমাকে তিনি জানিয়েছেন, যে প্রক্রিয়ায় তাকে সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তা শোভন ছিল না। অনেকটা দায়সারাগোছের কাজটি করেছে বিশেষ কমিটি। বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ব্যক্তিগতভাবে সংসদ ভবনের আটতলায় অবস্থিত কর্নেল অলির অফিসে যদি...
লাদেনের মৃত্যু ও একটি কালো অধ্যায়
ওসামা বিন লাদেন এখন মৃত। তার মৃত্যু নিয়ে যত ‘কাহিনী’ই থাকুক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একটি ‘অধ্যায়ের’ অবসান হল। ওসামার এ মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমে যাবে কিনা, সেটা ভিন্ন এক প্রশ্ন। কিন্তু বিন লাদেনের মৃত্যু একটি ‘কালো অধ্যায়ের’ সূচনা করল, যেখানে কোন পরাশক্তি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সীমানা লঙ্ঘন করতে পারে অনায়াসে। কোন আইন তাকে বাধা দিতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র আজ যে কাজটি করল, তাতে করে এখন উৎসাহিত হতে পারে আরও অনেক আগ্রাসী রাষ্ট্র। সন্দেহের দৃষ্টি এখন থাকবে ইসরাইলের দিকে।
নিঃসন্দেহে ওসামা বিন লাদেন...
লাদেনের মৃত্যু যেসব প্রশ্নের কোনো জবাব দেয় না
আরব সাগরের নোনা পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল বিশ্বের ‘এক নম্বর ওয়ান্টেড পারসন’ ওসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ। আরব সাগরে টহল দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ‘কার্ল ভিনসন’ থেকে ওসামার মৃতদেহ যখন ভাসিয়ে দেয়া হলো তখন তার জানাজা না হওয়ারই কথা। যে লোকটি ইসলামের জন্য বিশ্বব্যাপী জিহাদের ডাক দিয়েছিলেন, তার মৃত্যুর পর ইসলামের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম যে শ্রদ্ধাটুকু তার পাওয়ার কথা, তাও তিনি পাননি। যদিও বলা হচ্ছে, একজন মার্কিন মুসলমান সৈনিক লাদেনের মৃতদেহ সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার আগে কোরআন শরীফ থেকে পাঠ করেছিলেন। কিন্তু জাহাজে জানাজা তো হওয়ার কথা নয়! এক টুকরো মাটিও...
আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও লাদেন অধ্যায়
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে লাদেন অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে। লাদেন এখন মৃত, ইতিহাসের অংশ। এই লাদেন অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক করুণ ইতিহাস, অনেক মৃত্যু। তিনি ইসলাম ধর্মের নতুন এক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তার এই ব্যাখ্যা বিতর্কিত ছিল এবং সব মুসলিম বিশ্বের মানুষ তা গ্রহণ করে নিয়েছিল, তাও বলা যাবে না। কিন্তু এটা সত্য, তিনি মুসলিম বিশ্বের শত শত 'জিহাদি' তৈরি করেছিলেন, যারা ইসলামের নামে 'শহীদ' হতে প্রস্তুত ছিলেন। লাদেন ইসলামের আদি ধারায় ফিরে যেতে চেয়েছেন। ওয়াহাবি মতবাদে এই আদি ধারার কথা বলা হয়েছে। কেউ কেউ একে 'সালাফি' মতবাদ হিসেবেও চিহ্নিত করেন। সৌদি...
Subscribe to:
Posts (Atom)