কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন কোন দিকে? কাশ্মীরের উত্তেজনার পরিস্থিতি কি আরেকটি যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে উপমহাদেশে? ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের ব্যাপারে মোদি সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা শুধু পাকিস্তানেই নয়, বরং খোদ ভারতেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ৫ আগস্ট ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
ওই প্রস্তাবে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়। সংবিধানের ৩৭০ ধারাবলে জম্মু ও কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রস্তাবটি পরে রাজ্যসভায় পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাজ্যসভায় পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে ৬৯ বছর পর সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ হলো এবং জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা ও রাজ্যের মর্যাদা হারাল। একই সঙ্গে কাশ্মীরকে ভেঙে লাদাখকে আলাদা করা হলো। দুই জায়গাতেই এখন দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হবে।
ভারতের সংবিধানের ৩৭০নং ধারাটি একটি বিশেষ ধারা। এ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরের যে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়া হয়েছিল, তা এখন থেকে আর থাকবে না। তত্ত্বগতভাবে ওই ধারাবলে জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকরা এক ধরনের দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা ভোগ করতেন। এখন তারা শুধু ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। সংবিধানের ওই ধারাবলে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য আলাদা পতাকা ছিল। এখন শুধু ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকা শোভা পাবে। ওই ধারাবলে আগে ৩৬০ ধারা (অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা) কার্যকর ছিল না। এখন ৩৬০ ধারা কার্যকর হবে। ৩৫৬ ধারাবলে সাধারণ জরুরি অবস্থা আগে কার্যকর ছিল না। এখন তা কার্যকর করা যাবে। ওই ধারায় ভারতের অন্য কোনো রাজ্যের কোনো নাগরিক জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কিনতে পারতেন না। এখন ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ায় অন্য রাজ্যের যে কেউ এখানে জমি কিনতে পারবেন। আগে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ ছিল না। সংখ্যালঘুরা এখন সংরক্ষণের আওতায় আসবেন। আগে ওই রাজ্যে তথ্যের অধিকার আইন কার্যকর ছিল না। এখন তথ্যের অধিকার আইন কার্যকর হবে। আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার মেয়াদ ছিল ছয় বছর। এখন এ মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
সংবিধানের এই ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য পাওয়া গেছে। অমিত শাহ বলেছেন, এই ৩৭০ ধারা কাশ্মীরকে দেশের সঙ্গে এক হতে দেয়নি। তিনি আরও বলেছেন, কাশ্মীরের তিনটি পরিবার (তিন পরিবার) সব সুবিধা ভোগ করেছে। অন্যদিকে কাশ্মীরের নেতারা এর সমালোচনা করেছেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আরেকজন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, ভারতের গণতন্ত্রের জন্য এটা একটি কালো দিন। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অসাংবিধানিক। একজন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ বলেছেন, ফখরুদ্দিন আলী আহমেদের (সাবেক রাষ্ট্রপতি) মতো কাজ করলেন রামনাথ কোবিন্দ। ভারতীয় কংগ্রেসও এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘একতরফা জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে টুকরো করে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জেলবন্দি করে, আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতীয় সংহতি মজবুত করা যায় না। ওই দেশটাকে তৈরি করেছে তার জনগণ, জমিজিরেত নয়। সরকারি ক্ষমতার এই অপব্যবহারের ফল আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক হবে।’ আরেকজন কংগ্রেস নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, এখন থেকে শুরু হলো ভারতের ভাঙন। আর রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতা গুলাম নবি আজাদের ভাষায়, এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় সংবিধানকে হত্যা করা হলো।
ইতোমধ্যে ৩৭০নং ধারা বাতিল করা সম্পর্কিত বিলটি লোকসভায়ও পাস হয়েছে। এর অর্থ, এটা বাতিল করার সুযোগ আর থাকল না। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, প্রশ্ন সেখানেই। খোদ ভারতের অভ্যন্তরে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা আশার কথা বলে না। গোটা ভারত এখন উত্তপ্ত। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাশ্মীরের জনগণের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছেন। বামপন্থি সংগঠনগুলোও কাশ্মীরের জনগণের পাশে। এর প্রতিক্রিয়া অন্যান্য রাজ্যে পড়বে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। ভারতের সংবিধানের ৩৬৮ ধারার ভিত্তিতে ৩৭১নং ধারায় নয়টি রাজ্যকে বেশ কিছু সুবিধা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যগুলো হলো- কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, আসাম, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুনাচল ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এখন ৩৭০ ধারা বাতিল করায় এসব রাজ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব রাজ্যেও ভাঙনের সুর দেখা যাচ্ছে।
মিজোরামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা লালখান হাওলা বলেছেন, এ ঘটনা মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুনাচলের মতো রাজ্যের জন্য আতঙ্কের। এমনকি কংগ্রেসের মুখপাত্র লাল লিয়াংচুঙ্গা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ৩৭১ ধারায় হাত পড়লে রুখে দাঁড়াবে মিজোরাম। নিজেদের অধিকার রক্ষায় আমরা আত্মবলিদানেও প্রস্তুত। নাগাদের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যখন আলাপ-আলোচনা করছে, ঠিক তখনই কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নাগাদের মাঝে ভুল মেসেজ পৌঁছে দেবে। আন্তর্জাতিকভাবেও ভারতের এই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছে। ভারতের দুই প্রতিবেশী চীন ও পাকিস্তানের মনোভাব আশাব্যঞ্জক নয়। চীন বলছে, লাদাখের সঙ্গে চীনের সীমান্তবিরোধ রয়েছে। নয়াদিল্লি তার আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের এই ভূমিকাকে চীন স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করেছে। চীন মনে করে, নাদাখ এলাকাটিতে বেশিরভাগ বৌদ্ধদের বসবাস। এটি কৌশলগতভাবে তিব্বত ও পাকিস্তানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। চীন মনে করে, ভারত অভ্যন্তরীণ আইন একতরফাভাবে সংশোধন করায় আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হচ্ছে, যা চীনের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কড়া মন্তব্য করেছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের বেআইনি সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হবে।
তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘ভারতে ফের হুলওয়ামা হবে।’ অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার লেথপোরোতে পাকিস্তান সমর্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের পুঁতে রাখা মাইনে ভারতের রিজার্ভ ফোর্সের ৪০ জন সদস্য মারা গিয়েছিলেন। ইমরান খান এদিকেই দৃষ্টি দিলেন। ব্যাপক আত্মঘাতী ও জঙ্গি তৎপরতা বাড়বে বলে তার আশঙ্কা। আর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কাশ্মীরের জনগণের ‘স্বাধীনতা’ আন্দোলনে শুধু সমর্থনই নয়, যা যা করার দরকার তা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী করবে। এটাও এক ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য ও পরোক্ষভাবে জঙ্গিবাদকে সেখানে উৎসাহ জুগিয়ে থাকবে। সরকারিভাবে পাকিস্তান ভারত কর্তৃক ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। কাশ্মীর ইস্যুতে জেদ্দায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে ওআইসি। একজন ব্রিটিশ এমপি (লেবার পার্টির সদস্য) জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, মুসলমানদের ওপর ভারতে ভয়াবহ নিপীড়ন চলছে।
পাকিস্তান ইতোমধ্যে জাতিসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে। গার্ডিয়ান লিখেছে, কাশ্মীরের মর্যাদার বিষয়ে ভারতের যে কোনো সরকারের সবচেয়ে বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এটি। এতে করে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়বে। বিবিসিও আশঙ্কা করছে, কাশ্মীরে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। সিএনএন এটাকে বলেছে, ‘বিতর্কিত এক পরিবর্তন।’ আলজাজিরা তাদের মন্তব্যে উল্লেখ করেছে, ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে হিন্দুদের কাশ্মীরে জমি কিনে বসবাসের একটা সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং এতে করে কাশ্মীরের জনসংখ্যার চিত্র পাল্টে যাবে। ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের মতো প্রভাবশালী সংবাদপত্রগুলোও মন্তব্য করেছে, ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত সেখানে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।
এখানে কাশ্মীর নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত বিভক্তির সময় জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন শাসক রাজা হারি সিং প্রথমে ভারত ও পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে ওই রাজ্যের আলাদা অস্তিত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২০ অক্টোবর পাকিস্তান সমর্থিত আদিবাসীরা কাশ্মীর দখল করতে চাইলে হারি সিংয়ের সমর্থকরা এ হামলা প্রতিহত করেন। ২৭ অক্টোবর হারি সিং তৎকালীন ভারতের গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটনের সহযোগিতা চান। ওই ‘সাহায্যের’ প্রতিশ্রুতিতে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতে যোগ দিতে বাধ্য করেন। অন্যদিকে বিদ্রোহীরা একটি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে ‘আজাদ কাশ্মীর’ রাজ্য গঠন করে, যা এখন পাকিস্তানের একটি প্রদেশ। কাশ্মীর নিয়ে এ-যাবৎ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার-চারটি যুদ্ধ হয়েছে। স্বাধীনতার পর পরই কাশ্মীরের কর্তৃত্ব নিয়ে ১৯৪৭-৪৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান প্রথম যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, যা প্রথম কাশ্মীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। কাশ্মীর বর্তমানে তিন ভাগে ভাগ হয়ে আছে। এক ভাগ ভারতের, যা জম্মু ও কাশ্মীর নামে পরিচিত। আরেক ভাগ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে, যা আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত। একটি অংশ, যা ‘আকসাই চীন’ নামে পরিচিত ও চীনের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তান এক চুক্তিবলে ১৯৬৩ সালে ঞৎধস-শধৎধশড়ৎধস ঞৎধপঃ নামের এলাকাটি চীনকে দেয়। পাকিস্তানের যুক্তি ছিলÑ এ এলাকাটি দুর্গম এবং এখানে কোনো বসতি নেই। অন্যদিকে ভারতের যুক্তি ছিলÑ এ এলাকাটি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তর্গত। পাকিস্তান কর্তৃক ওই এলাকাটি চীনকে দেওয়ায় এটি অবৈধ। সিয়াচিন হিমবাহ নিয়েও বিরোধ আছে। ১৯৮৪ সালের পর সিয়াচিনের কর্তৃত্ব নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান একাধিকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় বরফ আচ্ছাদিত এলাকায় ভারত ও পাকিস্তানের সেনাক্যাম্প রয়েছে। কৌশলগত কারণে এই এলাকার গুরুত্ব অনেক বেশি।
পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যাবে বলা মুশকিল। ভারত সেখানে পূর্ণ সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। পর্যটকদের ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য করছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা সেখানে বন্ধ। প্রায় সব সিনিয়র কাশ্মীরি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক দুজন মুখ্যমন্ত্রীও আছেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত। নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন হলে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির যে সম্ভাবনা ছিল, তা এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল। চীন-ভারত সম্পর্কও থাকল প্রশ্নের মুখে। অবশ্য এটা ঠিক, নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করবেন। এখন তিনি তা করলেন। এর ফলে কট্টরপন্থি হিন্দুরা খুশি হবে। হিন্দুত্ববাদ আরও শক্তিশালী হবে। কট্টরপন্থি বিজেপি নেতা ও সংসদ সদস্য সুব্রমনিয়াম স্বামী তো বলেই ফেলেছেন, এখন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো মধ্যস্থতা করতে হবে না। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর দখল করাই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াবে মাত্র। এটা ঠিক, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু পাকিস্তান এখন জম্মু ও কাশ্মীরে এক ধরনের ‘গণঅভ্যুত্থান’কে উসকে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়বে ছাড়া কমবে না।
আমাদের সময়
৮ আগস্ট ২০১৯ ০৩:২৯
তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র
0 comments:
Post a Comment