রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আরেকটি ‘কপ’ ও আরেকটি ব্যর্থতা

আরেকটি ‘কপ’ সম্মেলন এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে। ‘কপ’ সম্মেলন হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, যা জাতিসংঘ প্রতি বছর আয়োজন করে থাকে। এবারের সম্মেলন হচ্ছে কপ-২৫ বা  Conference of the Parties to the United Nations Fremework Convention on Climate change। জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত ২৫তম শীর্ষ সম্মেলন। চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ফলাফল? এই সম্মেলন থেকে আমাদের প্রত্যাশা কী? কপ-২৪তম শীর্ষ সম্মেলন থেকেইবা আমরা কী পেয়েছিলাম? কপ-২৪ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল পোল্যান্ডের প্রাচীন রাজধানী কাটোভিচে। প্রায় ২৮ হাজার ব্যক্তি, যার অধিকাংশই এনজিও কর্মী, তারা জমায়েত হয়েছিলেন কাটোভিচে। ৪৫০ জন ছিলেন জাতিসংঘের স্টাফ। সাত হাজার ছিলেন অবজার্ভার। আর এবার যোগ দিচ্ছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। বলা হচ্ছে, অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ২৫ হাজার ব্যক্তি যখন মাদ্রিদে উপস্থিত হয়, তখন কী পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, তার হিসাব কি কেউ করে? আরও একটা প্রশ্ন, লাখ লাখ ডলার খরচ করে যে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করা হয়, তার ফলাফলইবা কী?
কপ-২৫-এর ব্যাপারে বেশ কয়েকটি বিষয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, গেল সেপ্টেম্বর মাসে (২০১৯) নিউ ইয়র্কে ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ‘সামিটে’ প্যারিসে কপ-২১ সম্মেলনে (২০১৫) যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কপ-২১-এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিশে^র তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হবে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমানো যাচ্ছে না। গবেষণায় ধরা পড়েছে, এই শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই তাপমাত্রা ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি থেকে ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বৃদ্ধি পাবে। এই বৃদ্ধিতে পরিবেশগত সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘের Meteorological Agency (WMO)-এর মতে, বায়ুমণ্ডলে যে কার্বন ডাই-অক্সাইড ঘনীভূত রয়েছে (407.8 parts per million), তা বিপদসীমা (400 ppm) অতিক্রম করেছে। বায়ুমণ্ডলে কার্বনের এই পরিমাণ যদি কমিয়ে আনা না যায়, তাহলে অধ্যাপক তালাসের মতে, উষ্ণতা ২-৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে ও সাগর-মহাসাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে ১০ থেকে ২০ মিটার (un nwes, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯)। ফলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই। তৃতীয়ত, প্যারিস কপ-২১ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০২০ সালের মধ্যেই গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। আগামী বছর (২০২০) কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে গ্লাসগোতে। সুতরাং মাদ্রিদ সম্মেলনই সর্বশেষ সুযোগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আর উদ্যোগ গ্রহণের।
এখানে বলে রাখা ভালো, ১৯৯৫ সালের কপ-১-এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ছিল বার্লিনে। এরপর থেকে প্রতি বছর অন্তর কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে খুব যে অগ্রগতি হয়েছে, তা বলা যাবে না। জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত সম্মেলনের টার্গেট মূলত তিনটি : ১. ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪৫ ভাগ কমান, ২. ২০৫০ সালের মধ্যে ‘Climate neutrality’ বা জলবায়ু নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। অর্থাৎ কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, ৩. এই শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে স্থির রাখা। কিন্তু কাজটি যে খুব সহজ, তা বলা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র কপ-২১ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও ট্রাম্প প্রশাসন কপ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের এখন আর কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কার্বন নিঃসরণকারী দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র, পরিমাণ শতকরা ১৪ দশমিক ৬ ভাগ (৫২৬৯ মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড সমতুল)। চীন রয়েছে এক নম্বরে। নিঃসরণ করে শতকরা ২৭ দশমিক ২ ভাগ (৯৮৩৯ মেট্রিক টন)। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো বড় দেশ যদি আন্তরিক না হয়, তাহলে জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন করা যাবে না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন কপ সম্মেলনে তার উদ্বেগের কথা জানান, তখন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কিছু তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের উপকূলে প্রতি বছর ১৪ মিলিমিটার করে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গেল ২০ বছরে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ সেন্টিমিটার। সমুদ্রের পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে প্রতি সাতজনে একজন উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। তারা হচ্ছেন জলবায়ু উদ্বাস্তু। আগামীতে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ এলাকা সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে। বিশ^বাসী জলবায়ু উদ্বাস্তুর সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয় ২০০৫ সালে, যখন বাংলাদেশে ভোলার চরাঞ্চল থেকে পাঁচ লাখ মানুষ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। ক্রিশ্চিয়ান পেনেনটি (Christian Penenti) তার একটি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন সে কথা। পেনেনটি আরও উল্লেখ করেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যেই ২২ মিলিয়ন, অর্থাৎ ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল থেকে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হবে। আইপিসিসির রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের কথা।
বাংলাদেশ যে আইলা ও সিডরে আক্রান্ত হয়েছিল, বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার এটা একটা বড় ফল। বিশে^র উষ্ণতা রোধকল্পে ২০১৫ সালে প্যারিসে কপ-২১ সম্মেলনে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই সম্মেলনে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল (তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা), তা থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন সরে এসেছে। যদিও কপ-২১ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও ২০১৬ সালে ২২ এপ্রিল জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র বড় দেশ। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় জলবায়ু চুক্তির ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। তবে জলবায়ু চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন যে নেই, তা নয়। প্রশ্ন আছে। প্রথমত, কার্বন নির্গমনকে আমরা পরিমাপ করব কীভাবে? জাতিসংঘ কর্তৃক দূষণ পরিমাপ করার জন্য একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা মোট আয়ের (জিডিপি) অনুপাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড উদগিরণের হারকে কার্বন ঘনত্ব না গ্রিন হাউজ গ্যাসের ঘনত্ব (প্রতি ১০ লাখ ডলার জিডিপি পিছু মেট্রিক টন গ্রিন হাউজ গ্যাস) হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নশীল বিশ^ মনে করে, এ হার মাথাপিছু জনসংখ্যা ধরে করা উচিত। এটা নিয়ে একটা মতপার্থক্য রয়েই গেছে। দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে, অর্থ জোগাবে কে? উষ্ণতা রোধ করার জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে, সেই অর্থ পাওয়া যাবে কোন সূত্র থেকে এটা একটা চিন্তার কারণ। অর্থের যে হিসাব করা হয়েছে, তার পরিমাণ প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার বছরে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ফান্ডে দুই মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এই অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেনি। ফলে কপ-২১ চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকলই। তৃতীয়ত, প্রযুক্তি হস্তান্তরের কথাও আলোচিত হচ্ছে কপ শীর্ষ সম্মেলনগুলোতে। উন্নত বিশ^ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশে^র উষ্ণতা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু উন্নয়নশীল বিশে^র পক্ষে এটি সম্ভব নয়। আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ব্যাপারেও উন্নত বিশ্বের এক ধরনের অনাগ্রহ রয়েছে। ফলে উন্নয়নশীল বিশে^ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে না। ফলে জলবায়ু চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কপ-২৫ সম্মেলন চলবে। কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গ্লাসগোতে। প্রশ্ন হচ্ছে, জাতিসংঘ প্রতি বছর এ ধরনের সম্মেলন আয়োজন করে বটে; কিন্তু সিদ্ধান্তগুলো যদি বাস্তবায়ন করা না হয়, তাহলে এ ধরনের সম্মেলন আয়োজন করে কী লাভ? মাদ্রিদ সম্মেলনও (কপ-২৫) শেষ হবে ভালো ভালো কথা বলার মধ্য দিয়ে। এ থেকে উন্নয়নশীল বিশ্ব উপকৃত হবে, তা মনে করার কোনো কারণ নেই। আরও সম্মেলন হবে। মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। আমাদের মতো দেশ থেকে প্রতিনিধিরা সরকারি খরচে যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও মাদ্রিদে দেখলাম। কিন্তু জানলাম না তার ভূমিকা কী ছিল। যদি ‘শুধু অংশগ্রহণের জন্য’ মাদ্রিদে যাওয়া হয়, তাহলে ভিন্ন কথা। গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স-২০২০-এ বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি দশের মধ্যে সাত নম্বরে দেখানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্যে কোনো সাফল্য নেই। অভ্যন্তরীণভাবে এ সমস্যা মোকাবিলায় আমরা কী কী কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, সেটাই হচ্ছে বড় কথা। বাংলাদেশ থেকে যারা প্রতি বছরই সম্মেলনে যোগ দেন, তাদের কাছে সম্মেলনে যোগদানটাই যেন বড়! তাদের দেশের অভ্যন্তরে বড় কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশে জলবায়ু ফান্ডে প্রাপ্ত টাকা বরাদ্দ নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। একসময় বলা হয়েছিল, প্রাপ্ত টাকা বিলিবণ্টনের বিষয়টি দেখভাল করবে বিশ^ব্যাংক। পরে বিশ^ব্যাংক এখান থেকে সরে যায়। এখানে দুর্নীতির খবরও পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কপ-২১ সম্মেলনে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেখানে আইনি বাধ্যকতার বিষয়টিও অত কঠোর নয়। সাগর পাড়ের দেশগুলো, সারা বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে গেলে, তাদের বিশাল এলাকা সাগরগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা হয়েছে, তারা কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে না। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নির্ভর করে বড় দেশগুলোর মর্জিমাফিকের ওপর। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে বড় দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি ‘পজিটিভ’ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মানেন না। অভিযোগ আছে, তিনি বড় বড় তেল কোম্পানির স্বার্থ দেখছেন। চুক্তি কার্যকর হলে বড় বড় তেল কোম্পানির তেল উত্তোলন ও বিপণন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্র নিজে প্রতিদিন ১৩ দশমিক ১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলন করে। সৌদি আরব করে ১২ মিলিয়ন। চীনের তেল উত্তোলনের পরিমাণ কম, মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতিদিন। চীন জ্বলানই লানি আমদানি করে বেশি। তাই বড় দেশগুলোর উদ্যোগটাই হলো আসল। এই দেশগুলো উদ্যোগ না নিলে কপ-২১ চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রিদ কপ-২৫ সম্মেলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ব্যর্থ হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষমা করবে না।’ মিথ্যা বলেননি প্রধানমন্ত্রী। সময় খুব দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এখন বড় দেশ, তথা যুক্তরাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে চুক্তি বাস্তবায়নে। এটা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
Desh Rupantor
08.12.2019

0 comments:

Post a Comment