রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

জ্বালানি সম্পদ ও ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি

স্পষ্টই ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে। সেনাবাহিনী এখনও প্রেসিডেন্ট মাদুরোর প্রতি বিশ্বস্ত থাকায় সেখানে কোনো সামরিক অভ্যুত্থান হচ্ছে না। তবে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখ আছে মাদুরো সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে ভেনেজুয়েলা তার উত্তোলিত তেল বিশ্ববাজারে বিক্রি করতে পারছে না

জ্বালানি সম্পদ একটি দেশের জন্য যেমন আশীর্বাদস্বরূপ, ঠিক তেমনি একটি দেশের নিরাপত্তার জন্যও তা কখনও কখনও হুমকিস্বরূপও বটে। এ জ্বালানি সম্পদের কারণে অতীতে অনেক দেশে আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস সংস্থাগুলোর প্ররোচনায় সেসব দেশে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে এবং সেখানকার জাতীয়তাবাদী সরকার উৎখাত হয়েছে। ইরানের পরিস্থিতির কথা নিশ্চয়ই অনেকে স্মরণ করতে পারেন। ১৯৫১ সালে প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী নেতা মোসাদ্দেক ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম কর্তৃক সে দেশে নিয়ন্ত্রিত তেল সম্পদ জাতীয়করণ করেন। ফলে তিনি ব্রিটিশ ও মার্কিন বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলোর টার্গেটে পরিণত হন। এ কারণে ১৯৫৩ সালের আগস্টে তৎকালীন বাদশাহ রেজাশাহ পাহলভী যখন মোসাদ্দেককে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলোর ষড়যন্ত্রে, ঠিক তখনই তেহরানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় এবং ওই গণঅসন্তোষে শাহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই পাল্টা অভ্যুত্থানে মোসাদ্দেক ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর ইরানের পুরো তেলসম্পদ চলে যায় বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলোর হাতে। আজ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি অনেকটা মোসাদ্দেকের সময়কার ইরানের মতোই। ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র বামপন্থি মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে। আর এর পেছনে রয়েছে বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলোর ষড়যন্ত্র। তারা এ তেল সম্পদ নিজেদের হাতে নিতে চায়। বর্তমানে এটি ভেনেজুয়েলা সরকারের নিয়ন্ত্রণে, অনেকটা ১৯৫১-১৯৫৩ সালের ইরানের তেল সম্পদের মতো। বিশ্বে বর্তমানে যে তেলের রিজার্ভ রয়েছে তার মাঝে সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ রয়েছে ভেনেজুয়েলায়, বিশ্ব রিজার্ভের শতকরা ১৭ দশমিক ৯ ভাগ। এ রিজার্ভ এখন বহুজাতিক তেল কোম্পানগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেভরন, টোটাল, ইনি, স্টাটো অয়েল ভেনেজুয়েলায় তেল উত্তোলন (গভীর সমুদ্র) প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকলেও তারা সরকারি নিয়ন্ত্রণের কারণে তেল উত্তোলনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। মাদুরো সরকার পুরো জ্বালানি তেলের নিয়ন্ত্রণ তথা দেখভালের দায়িত্ব অর্পণ করেছিল সরকারি সংস্থা ভেনেজুয়েলার পেট্রোলিয়ামকে। ভেনেজুয়েলার বৈদেশিক আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে এ জ্বালানি তেল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের যে চাহিদা তার একটা বড় অংশ আসে ভেনেজুয়েলা থেকে।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৫০০ মার্কিন কোম্পানি ভেনেজুয়েলায় তেল উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি নানা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ খাত থেকে ভেনেজুয়েলা আয় করেছে ৩২৫ বিলিয়ন ডলার। মাদুরো সরকার ২০১৭ সালের পর থেকে জ্বালানি সম্পদের ওপর তার সরকারের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলোর মাঝে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা যায়। সেই থেকে চেষ্টা চলছে কীভাবে ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদকে কব্জা করা যায়। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে কীভাবে বহুজাতিক তেল কোম্পানি শেভরন, হালিবার্টন শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থে ভেনেজুয়েলায় একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাতে সেনাবাহিনীকে প্ররোচিত করছে Regime Change for Profit : Chevron, Halliburton cheer on US Venezuela Coup, February 4, 2019)। ভেনেজুয়েলায় মার্কিনি কোম্পানিগুলোর স্বার্থ কী, তা উল্লেখ রয়েছে এ প্রবন্ধে। মার্কিনি এ তেল কোম্পানিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সেখানে ‘সরকার পরিবর্তন’-এ উৎসাহিত করছে। অতীতে মার্কিন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াকার বুশ ছিলেন তেল কোম্পানি শেভরনের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার। তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা কনডোলিৎসা রাইস ছিলেন শেভরনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ইরাক যুদ্ধের পর হালিবার্টন সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল। তাদের আয় বেড়েছিল ৩৯.৫ মিলিয়ন ডলার। ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ ছিল ৩৪ মিলিয়ন ডলার। ইরাক যুদ্ধের পর অতিরিক্ত তেল উত্তোলন করে হলিবার্টন ফায়দা উঠিয়েছিল। যুদ্ধ-পরবর্তী ইরাক পুনর্গঠনের কাজও পেয়েছিল হালিবার্টন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও বিনিয়োগ ছিল হালিবার্টনে। এ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ লাখ ডলার (২০১৬)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার শেয়ার তিনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। হালিবার্টনের সঙ্গে ‘অবৈধ সম্পর্ক’ রাখার কারণে ট্রাম্পের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়ান সিনকে (জুধহ তরহশব) পদত্যাগ পর্যন্ত করেছিলেন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ভেনেজুয়েলায় মার্কিনি তেল কোম্পানি, বিশেষ করে হালিবার্টনের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রহ রয়েছে। ভেনেজুয়েলায় এখন দুজন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট মাদুরো এবং পার্লামেন্টের স্পিকার গুয়াইদো, যিনি নিজেকে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছেন। গুয়াইদোকে সমর্থন করছে এবং স্বীকৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো। অন্যদিকে চীন, রাশিয়া, ইরান, লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ সমর্থন করছে মাদুরো সরকারকে।
১৯২২ সালে তেল পাওয়ার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেলসম্পদের দিকে মার্কিনি তেল সংস্থাগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদ তারা তাদের নিজেদের কব্জায় নিয়ে যেতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের মতে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেলের রিজার্ভ রয়েছে ভেনেজুয়েলায়। এর পরিমাণ ৩ লাখ ৮৭৮ মিলিয়ন ব্যারেল (২০১৭ সালের পরিসংখ্যান)। পরের রিজার্ভ রয়েছে সৌদি আরবে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৫ মিলিয়ন ব্যারেল। ফলে এ তেল যে একটি ফ্যাক্টর, তা আর কাউকে বলে দিতে হয় না। মাদুরো নিজেও স্বীকার করেছেন, ভেনেজুয়েলার তেলসম্পদ জব্দ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। হুগো শ্যাভেজের আমলে ভেনেজুয়েলা একটি ধনী দেশে পরিণত হয়েছিল। রাজধানী কারাকাসে তেল সম্পদের বদৌলতে অনেক হাইরাইজ ভবন তৈরি করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল, বিনিয়োগকারীরা আসবে। কিন্তু সেসব ভবন এখন খালি। কোনো বিনিয়োগকারী নেই। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধস নেমেছে। মুদ্রাস্ফীতি সেখানে চরমে। ২০১৬ সালের হিসাবে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল শতকরা ৮০০ ভাগ। আর আইএসএফের মতে, ২০১৯ সালে এর পরিমাণ দাঁড়াল শতকরা ১০০ ভাগ (১০ মিলিয়ন)। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখানে পাওয়া যায় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ২০১৮ সালে বেড়েছে ১৩৭০০০০ ভাগ। আইএসএফ ভেনেজুয়েলার এ পরিস্থিতিকে ১৯২৩ সালে জার্মানি আর ২০০০ সালের জিম্বাবুয়ের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছে (রয়টার্স প্রতিবেদন, ৯ অক্টোবর ২০১৮)। ফলে সংগত কারণেই মানুষের মাঝে হতাশা আছে সেখানে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ভেনেজুয়েলার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী দেশে যাচ্ছে। কোনো কোনো তরুণী/কিশোরী তার লম্বা চুল বিক্রি করছে জীবিকা নির্বাহের জন্য। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্য ঘটনা। খাদ্য ঘাটতি সেখানে রয়েছে। মাদুরোর অতি বাম নীতি ভেনেজুয়েলার সাধারণ মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এখানে যে ব্যর্থতা রয়েছে, তা সমাধান করতে পারেননি মাদুরো। তাই ডানপন্থি সংগঠনগুলো এর সুযোগ নিয়েছে। কিন্তু মাদুরোকে উৎখাত কিংবা সেখানে একটি প্রো-ওয়েস্টার্ন সামরিক অভ্যুত্থান আদৌ কোনো সমাধান এনে দেবে না।
ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় একটি ‘সামরিক আগ্রাসন’ চালানোর কথা বললেও তা শেষ পর্যন্ত কতটুকু তিনি কার্যকর করবেনÑ এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এমনিতেই অভ্যন্তরীণভাবে তিনি নানা সমস্যার সম্মুখীন। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে তিনি কংগ্রেসের কাছে কয়েক বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন। কংগ্রেস তা দেয়নি। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার ‘জড়িত’ থাকা (হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল হ্যাক করার ঘটনা) ও সে ব্যাপারে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এ থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভেনেজুয়েলায় ‘রেজিস চেঞ্জ’-এর নির্দেশ দিতে পারেন ট্রাম্প। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এ ‘রেজিস চেঞ্জ’-এর রীতি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বেশ কয়েক বছর ধরে অনুসরণ করে আসছে। ইরাকে সাদ্দাম হোসেন আর লিবিয়ায় গাদ্দাফির উৎখাতের পেছনে এ ‘রেজিস চেঞ্জ’-এর নীতি কাজ করেছিল। আবার সিরিয়ায় তা কাজ করেনি। সিরিয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার জড়িয়ে যাওয়া ও আসাদ সরকারকে সমর্থন করায় এ ‘রেজিস চেঞ্জ’-এর নীতি সেখানে কাজ করেনি। ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রেও এমনটি হতে যাচ্ছে। কেননা রাশিয়া, এমনকি চীনও মাদুরোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র যদি সেখানে সামরিক আগ্রাসন চালায়, তা হিতে বিপরীত হতে পারে। এটা শুধু নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়াবে না, বরং পরো লাতিন আমেরিকায় একটি মার্কিনবিরোধী শক্তিশালী জনমতেরও জন্ম দিতে পারে।
স্পষ্টই ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে। সেনাবাহিনী এখনও প্রেসিডেন্ট মাদুরোর প্রতি বিশ্বস্ত থাকায় সেখানে কোনো সামরিক অভ্যুত্থান হচ্ছে না। তবে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখ আছে মাদুরো সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে ভেনেজুয়েলা তার উত্তোলিত তেল বিশ্ববাজারে বিক্রি করতে পারছে না। ব্রিটেনের ব্যাংকে রক্ষিত এক মিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ ভেনেজুয়েলা প্রত্যাহার করে নিতে পারছে না। খাদ্য সংকট সেখানে চরমে। খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সেখানে কলম্বিয়া থেকে খাদ্যবাহী ট্রাক পাঠানো হয়েছিল; কিন্তু তা ভেনেজুয়েলায় ঢুকতে পারেনি। পরিস্থিতি সেখানে দিন দিনই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এমনি এক পরিস্থিতিতে মাদুরো আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের ডাক দিলেও সাড়া মেলেনি বিরোধী পক্ষের। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আহ্বান জানিয়েছে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করার। সংকটের মাত্রা সেখানে বাড়ছে। কোনো পক্ষ থেকেই সমঝোতার কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। গুয়াইদো চাচ্ছেন একটি সামরিক অভ্যুত্থান, যাতে মাদুরো সরকার উৎখাত হয়। এ জন্য তিনি মার্কিন তেল কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেছেন। তবে কোনো সামরিক অভ্যুত্থানই সেখানকার সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে ভেনেজুয়েলায়। এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুটি বিপরীতমুখী প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। আর চীন বলছে ভেনেজুয়েলার সমস্যার সমাধান ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করায় দেশটির ক্ষতি হয়েছে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার। ফলে এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে দেশটি কীভাবে টিকে থাকবেÑ সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। 

0 comments:

Post a Comment