রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে দুটি কথা

ড. মোমেন প্রথম সফর হিসেবে ভারতকে বেছে নিয়েছেন, এটা যে কোনো বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বিশেষ করে গত দশ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে
৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এর আগে ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও তিনি সরকার গঠন করেছিলেন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আমরা লক্ষ করি।
এক. নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ভারতে যান। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে বাংলাদেশ যে গুরুত্ব দেয়, তা আবারও প্রমাণিত হলো।
দুই. বাংলাদেশ ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মাধ্যমে সৌদি আরব-ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশের ১ হাজার ৮০০ সেনাসদস্য মাইন অপসারণে নিয়োজিত থাকবে। এতে বিদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা আরও বাড়ল। জাতিসংঘের বাইরে এ প্রথম কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি সামরিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করল।
তিন. শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পরপরই যে দুটি দেশ প্রথম এ সরকারকে স্বীকৃতি দেয়, তার একটি হচ্ছে ভারত, অপরটি চীন। চীনের স্বীকৃতির মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হলো, দুটি প্রতিবেশী ক্ষমতাধর দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যে ভারসাম্যমূলক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে, চীন তা সমর্থন করছে। তবে সব ছাপিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ, এটা গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যাটির সমাধানে বাংলাদেশ যে আঞ্চলিক দেশগুলোকে সংশ্লিষ্ট করতে চায়Ñ এটা তার বড় প্রমাণ। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরের পর যে যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে রোহিঙ্গা শব্দটি এড়িয়ে রাখাইনের বাস্তুচ্যুত নাগরিক এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টিও ইশতেহারে উল্লেখ ছিল না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে তিনটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিগুলো হচ্ছেÑ ১ হাজার ৮০০ মধ্যম সারির বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তাকে ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়া, দুর্নীতি দমন কমিশন ও ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের মধ্যে চুক্তি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভারতের আয়ুগের মধ্যে অপর একটি চুক্তি।
ড. মোমেন প্রথম সফর হিসেবে ভারতকে বেছে নিয়েছেন, এটা যে কোনো বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বিশেষ করে গত দশ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভারতকে যা দিয়েছে, তা ভারত অনেকদিন মনে রাখবে। কিন্তু তারপরও বেশকিছু বিষয় রয়েছে (তিস্তার পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা, ট্যারিফ হ্রাস ও বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা ইত্যাদি), যার কোনো সমাধান হয়নি। ড. মোমেনের এ সফরে তার কোনো কিছুর জট খুলল না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্র হিসেবে আমরা বরাবর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিই। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকা অনেক বড় এবং ভারতের সাহায্য নিয়ে আমরা আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে চাই। মনে রাখতে হবে, বর্তমান সরকার উন্নয়নকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রাক নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিতে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রত্যাশা শীর্ষক জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) উন্নয়নের ধারায় ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। চলতি বছর (২০১৯) বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ৭ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি নিয়ে ভারতের অবস্থান থাকবে দ্বিতীয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভারতের চেয়ে ভালো, যা স্বয়ং নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনও স্বীকার করেছেন। যেমনÑ বলা যেতে পারে, মেয়ে শিশুদের শিক্ষার হার। শিশুমৃত্যু (২০১৭) প্রতি হাজারে বাংলাদেশে যেখানে ২৭, সেখানে ভারতে ৩২। বাংলাদেশে গড়ে মানুষ বেঁচে থাকে ৭৮.৫ বছর, আর ভারতে ৬৮.৮ বছর। মহিলাদের সংসদে প্রতিনিধিদের হার বাংলাদেশে শতকরা ১৪ ভাগ, আর ভারতে শতকরা ১১ ভাগ। মাথাপিছু আয় বাংলাদেশে যেখানে বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩-২০১৬) শতকরা ৩৯ ভাগ হারে, সেখানে ভারতে এ বৃদ্ধি মাত্র ১৩ দশমিক ৮ ভাগ। অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ সাফল্য বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারে। এ মন্তব্য বিশ্বব্যাংকের (সাউথ এশিয়ার মনিটর, ১০ জানুয়ারি ২০১৯)। ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো দেশকে পেছনে ফেলে বিশ্বের ২৬তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত হচ্ছে বড় অর্থনীতির দেশ। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এরই মধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে।
ভারত বর্তমানে বিশ্বের ষষ্ঠ অর্থনীতি (সাধারণ হিসাবে ২.৮৪৮ ট্রিলিয়ন ডলার), আর ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ভারতের অবস্থান তৃতীয় (১০ দশমিক ৩৮৫ ট্রিলিয়ন ডলার)। সুতরাং এমন একটি অর্থনীতির দেশের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনেক বেশি। ভারতের আঞ্চলিক অভিযাত্রায় বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো দায়িত্ব নিয়ে তার পররাষ্ট্রনীতিতে যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি (নেইবারহুড ফার্স্ট) আনেন, তাতে তিনি বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মোদির ঢাকা সফরের সময় (২০১৫) বাংলাদেশ একটি উপআঞ্চলিক সহযোগিতা (বিবিআইএন) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত (সাত বোন রাজ্য) ও নেপালকে নিয়েই গড়ে উঠছে বিবিআইএনের ধারণা। বিবিআইএনের আওতায় আঞ্চলিক বাণিজ্য জ্বালানি সংকটের সমাধান (বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ) এবং শুকনো মৌসুমে যে পানির ঘাটতি রয়েছে, তার সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশ ভারত থেকে (২০১৩) ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে। আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিও হয়েছে। ভারতের সাত বোন রাজ্য ভুটান ও নেপালে প্রায় ৫৮ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের যে ‘বিদ্যুৎ ঘাটতি’, তা বাংলাদেশ এখান থেকে মেটাতে পারে। এজন্য বাংলাদেশ ‘পাওয়ার করিডোর’ চাচ্ছে। অর্থাৎ ভুটান বা নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হলে ভারতের এলাকার ওপর দিয়ে তা আনতে হবে। এজন্যই দরকার ‘পাওয়ার করিডোর’, যাতে ভারতের সম্মতি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারতকে আসাম থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিহারে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। ভারতের একটি কোম্পানি (আদানি গ্রুপ) রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র (কয়লানির্ভর) নির্মাণ করছে। অন্যদিকে ভারতের রিলায়েন্স কোম্পানি ৩ মিলিয়ন ডলার এলএনজি খাতে বিনিয়োগ করেছে, যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। ২০১৮ সালে ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হয়েছে, যার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে ৪ লাখ টন ডিজেল সরবরাহ করছে। ভারতের মোদি সরকার যে আঞ্চলিক ‘পাওয়ার ট্রেডিং সিস্টেম’ চালু করতে যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
প্রতিরক্ষা খাতেও দুই দেশের মাঝে সম্পর্ক ভালো। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দি০ল্লি সফরের সময় একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখন ভারত থেকে সমরাস্ত্রও ক্রয় করছে। ২০১১ সালে দুই দেশের সেনাবাহিনী একটি যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। ওই মহড়া অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে। বিশেষ করে ট্যারিফ ও প্যারা ট্যারিফের বাধা এখনও দূর করা যায়নি। যে কারণে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় আমদানিকারকরা বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সাত বোন রাজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সেটা এখন ঝুঁকির মুখে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কেবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারত, বিশেষ করে ভারতের সাত বোন রাজ্যগুলো এখন চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে তাদের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে। ভারতের সহযোগিতা নিয়ে পটুয়াখালীর অদূরে পায়রায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দরও নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা তৈরি শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর ‘চাপ’ কমবে। ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। স্পষ্টতই এই যে পরিসংখ্যান, এ পরিসংখ্যান বলে দুই দেশের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তবে সমস্যা যে নেই, তা নয়। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে জটিলতা আছে। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যতটুকু আন্তরিক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ততটুকু আন্তরিক নন। সেখানে এটি মূলত একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। চলতি বছর সেখানে বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন। মমতা ব্যানার্জি তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি একটি ইস্যু করতে চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার এটা উল্লেখ করেছেন যে, মমতা ব্যানার্জির কারণেই তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি আটকে আছে। আসামে এক ধরনের ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান শুরু হয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য কোনো ভালো খবর নয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক চুক্তি নিয়ে সংসদে কথা হয়েছে। এক সময়ে যারা সরকারে ছিল, সেই ওয়ার্কার্স পার্টির এক অংশের সভাপতি রাশেদ খান মেনন সংসদকে না জানিয়ে এ ধরনের একটি চুক্তি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তবে দেখতে হবে এক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে। কেননা পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নটি জড়িত। সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক আমাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ সেখানে কর্মরত। তাদের পাঠানো অর্থ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস। দুটি পবিত্র মসজিদ (মসজিদে হারাম-মক্কা ও মসজিদে নববি-মদিনা) এর জিম্মাদার হচ্ছেন সৌদি বাদশাহ। বিশ্বের সব মুসলমানের জন্য মসজিদ দুটি পবিত্রতম। মসজিদ দুটি রক্ষার ব্যাপারে বাংলাদেশ ‘কমিটেড’। তবে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ যদি প্রলম্বিত হয় এবং সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র যদি এ ‘যুদ্ধে’ জড়িয়ে যায়, তাহলে ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবেÑ সেটা একটা প্রশ্ন। হ
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্
Daily AlokitoBangladesh
17.02.2019

0 comments:

Post a Comment