নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন ভারত সফরে যাচ্ছেন চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারি। কাছাকাছি সময়ে ভারতে থাকার কথা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির। যদিও দীপু মনি নয়াদিল্লি যাবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তিনি যাবেন ত্রিপুরায় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বইমেলা উদ্বোধন করতে। তবে যেকোনো বিবেচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এটি কোনো রাষ্ট্রীয় সফর নয় এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় এই সফর সৌজন্যমূলক সফর এবং এই সফরে তিনি ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে পরিচিত হবেন। তিনি এই সফরে দিল্লিতে দুই দেশের যৌথ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে যোগ দেবেন।
ড. মোমেন এমন একটা সময়ে দিল্লি যাচ্ছেন, যখন আগামী এপ্রিল ও মে মাসে ভারতে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত নির্বাচনের আগে কোনো সরকারই কোনো ধরনের নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। এ ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয়ে যে ‘জটিলতা’ রয়েছে ড. মোমেনের সফরে তার সমাধান হবে, এটা মনে হয় না। এমনকি বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট যদি আবার দিল্লিতে সরকার গঠনও করে, ওই সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সুষমা স্বরাজের থাকার সম্ভাবনা কম। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি নতুন সরকারে নাও থাকতে পারেন, এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যিনি নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে, তাও স্পষ্ট নয় এই মুহূর্তে। উপরন্তু ড. মোমেনের দিল্লি সফরের প্রাক্কালে ঠাকুরগাঁও সীমান্তে জানুয়ারির শেষ ১০ দিনে তিনজন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন, যা স্থানীয় মানুষের মধ্যে উষ্মার জন্ম দিয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা নতুন নয়। এ ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি।
ড. মোমেন প্রথম সফর হিসেবে ভারতকে বেছে নিয়েছেন, এটা যেকোনো বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বিশেষ করে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভারতকে যা দিয়েছে, তা ভারত অনেক দিন মনে রাখবে। কিন্তু তার পরও বেশ কিছু বিষয় রয়েছে (তিস্তার পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা, ট্যারিফ হ্রাস ও বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা ইত্যাদি), যার কোনো সমাধান হয়নি। ড. মোমেনের এই সফরে তার কিছু জট খুলবে, তাও মনে হয় না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্র হিসেবে আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিই। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকা অনেক বড় এবং ভারতের সাহায্য নিয়ে আমরা আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে চাই। মনে রাখতে হবে বর্তমান সরকার উন্নয়নকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রাক-নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) উন্নয়নের ধারায় ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। চলতি বছর বাংলাদেশের জিডিপি দাঁড়াবে ৭.৪ শতাংশ। আর ৭.৬ শতাংশ জিডিপি নিয়ে ভারতের অবস্থান থাকবে দ্বিতীয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভারতের চেয়ে ভালো, যা স্বয়ং নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনও স্বীকার করেছেন। যেমন বলা যেতে পারে মেয়েশিশুদের শিক্ষার হার। শিশুমৃত্যু (২০১৭) প্রতি হাজারে বাংলাদেশে যেখানে ২৭, সেখানে ভারতে ৩২। বাংলাদেশে মানুষ গড়ে বেঁচে থাকে ৭৮.৫ বছর, আর ভারতে ৬৮.৮ বছর। মহিলাদের সংসদে প্রতিনিধিত্বের হার বাংলাদেশে ১৪ শতাংশ, আর ভারতে ১১ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বাংলাদেশে সেখানে বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩-২০১৬) ৩৯ শতাংশ হারে, সেখানে ভারতে এই বৃদ্ধি মাত্র ১৩.৮ শতাংশ হারে (দ্য প্রিন্ট, ৩০ জানুয়ারি)। অর্থনীতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই সাফল্য বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারে। এই মন্তব্য বিশ্বব্যাংকের (সাউথ এশিয়ান মনিটর, ১০ জানুয়ারি ২০১৯)। ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো দেশকে পেছনে ফেলে বিশ্বের ২৬তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ (‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৫০’, এইচএসবিসি গ্লোবাল রিপোর্ট)। অন্যদিকে ভারত হচ্ছে বড় অর্থনীতির দেশ। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এরই মধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে।
ভারত বর্তমানে বিশ্বের ষষ্ঠ অর্থনীতির দেশ (সাধারণ হিসাবে ২.৮৪৮ ট্রিলিয়ন ডলার), আর ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ভারতের অবস্থান তৃতীয় (১০.৩৮৫ ট্রিলিয়ন ডলার)। সুতরাং এমন একটি অর্থনীতির দেশের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনেক বেশি। ভারতের আঞ্চলিক অভিযাত্রায় বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো দায়িত্ব নিয়ে তাঁর পররাষ্ট্রনীতিতে যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন (নেইবারহুড ফার্স্ট) আনেন, তাতে তিনি বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মোদির ঢাকা সফরের সময় (২০১৫) বাংলাদেশ একটি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা (বিবিআইএন) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত (সাত বোন রাজ্য) ও নেপালকে নিয়েই গড়ে উঠছে বিবিআইএনের ধারণা। বিবিআইএনের আওতায় আঞ্চলিক বাণিজ্য জ্বালানি সংকটের সমাধান (বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ) এবং শুকনা মৌসুমে যে পানির ঘাটতি রয়েছে, তার সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশ ভারত থেকে (২০১৩) ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে। আরো ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিও হয়েছে। ভারতের সাত বোন রাজ্য এবং ভুটান ও নেপালে প্রায় ৫৮ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের যে ‘বিদ্যুৎ ঘাটতি’, তা বাংলাদেশ এখান থেকে মেটাতে পারে। এ জন্য বাংলাদেশ ‘পাওয়ার করিডর’ চাচ্ছে। অর্থাৎ ভুটান বা নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হলে ভারতের এলাকার ওপর দিয়ে তা আনতে হবে। এ জন্যই দরকার ‘পাওয়ার করিডর’, যাতে ভারতের সম্মতি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারতকে আসাম থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিহারে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। ভারতের একটি কম্পানি (আদানি গ্রুপ) রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎন্দ্র (কয়লানির্ভর) নির্মাণ করছে। অন্যদিকে ভারতের রিলায়েন্স কম্পানি তিন বিলিয়ন ডলার এলএনজি খাতে বিনিয়োগ করেছে, যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। ২০১৮ সালে ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হয়েছে, যার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে চার লাখ টন ডিজেল সরবরাহ করছে। ভারতের মোদি সরকার যে আঞ্চলিক ‘পাওয়ার ট্রেডিং সিস্টেম’ চালু করতে যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
প্রতিরক্ষা খাতেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখন ভারত থেকে সমরাস্ত্রও ক্রয় করছে। ২০১১ সালে দুই দেশের সেনাবাহিনী একটি যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। ওই মহড়া অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ৯.৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো সমস্যা রয়ে গেছে। বিশেষ করে ট্যারিফ ও প্যারা ট্যারিফের বাধা এখনো দূর করা যায়নি। যে কারণে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় আমদানিকারকরা বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। সাত বোন রাজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সেটাও এখন ঝুঁকির মুখে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারত, বিশেষ করে ভারতের সাত বোন রাজ্যগুলো এখন চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে তাদের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে। ভারতের সহযোগিতা নিয়ে পটুয়াখালীর অদূরে পায়রায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দরও নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি তৈরি শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর ‘চাপ’ কমবে।
২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। স্পষ্টতই এই যে পরিসংখ্যান, এই পরিসংখ্যান বলে দুই দেশের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তবে সমস্যা যে নেই, তা নয়। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে জটিলতা আছে। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যতটুকু আন্তরিক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ততটুকু আন্তরিক নন। সেখানে এটি মূলত একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। চলতি বছর সেখানে বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি একটি ইস্যু করতে চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার এটা উল্লেখ করেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি আটকে আছে। আসামে এক ধরনের ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান শুরু হয়েছে। তথাকথিত নাগরিকত্ব আইনে সেখানে বসবাসকারী কিছু বাঙালি মুসলমানকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ভারত ত্যাগ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি অস্বস্তিকর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যুও। ভারতে আশ্রয় নেওয়া বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের এখন আশ্রয় মিলেছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে। ভারত রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে কিছু বাড়ি তৈরি করে দিলেও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া তাদের এক ধরনের ‘দ্বৈত নীতি’ বলেও অনেকে মনে করে। বাংলাদেশ সব সময়ই বলে আসছে রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে (মিয়ানমার) ফেরত যেতে চীনের পাশাপাশি ভারতও একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে চীন ও ভারতের সঙ্গে ‘ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক’ বজায় রেখে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করা। আমাদের উন্নয়নের স্বার্থে চীনের সহযোগিতা যেমনি প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন ভারতের সহযোগিতাও। ভারত চীনের প্রস্তাবিত ও বহুল আলোচিত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচিতে যোগ না দিলেও বাংলাদেশ তাতে যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ এ থেকে সুবিধা নিচ্ছে এবং বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, এই কর্মসূচিতে ভারতের যোগ না দেওয়ার তিনি কোনো কারণ খুঁজে পান না। বলা ভালো ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’-এর আওতায় চীন দক্ষিণ এশিয়া তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে ‘কানেক্ট’ করছে। এতে করে ওই দেশগুলো এক ধরনের ঋণের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে—এমন অভিযোগও আছে। সুতরাং পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন ভারত সফরে যাবেন, তখন অনেকেরই আগ্রহ থাকবে এই সফরের ব্যাপারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এই সফর থেকে বড় কিছু আশা করা যাবে না। এটি একটি রুটিন সফর।
কালের কন্ঠ, ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৯
কালের কন্ঠ, ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৯
0 comments:
Post a Comment