২৫ জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচন ইতিমধ্যে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একদিকে এ নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাসী তথা আত্মঘাতী হামলা যেমন বেড়েছে, অন্যদিকে একটি ‘সাজানো নির্বাচনের’ সম্ভাবনাও বাড়ছে।
তাছাড়া কন্যা মরিয়মকে সাত ও জামাতা সাফদার আওয়ানকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কারাদণ্ড মাথায় নিয়েই নওয়াজ ও মরিয়ম দেশে এসে গ্রেফতার হন।
পাকিস্তানের যে রাজনীতির ধারা, তাতে পর্দার অন্তরালে থেকে সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগ কার্যত ক্ষমতা পরিচালনা করে আসছে। শেষ পর্যন্ত এদের হাতেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। প্রথমে বিচার বিভাগ তাকে চলতি নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে ও পরে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হন।
নওয়াজ শরিফ শেষের দিকে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে কন্যা মরিয়মকে সামনে নিয়ে এসেছিলেন, অনেকটা জুলফিকার আলী ভুট্টো কর্তৃক কন্যা বেনজিরকে যেভাবে রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে ‘তৈরি’ করেছিলেন, নওয়াজ শরিফও মরিয়মকে সেভাবেই তৈরি করেছিলেন।
মরিয়মেরও নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন তিনি তা আর পারছেন না। মুসলিম লীগ এখন তার আসনে নওয়াজের নাতি ও মরিয়মের জ্যেষ্ঠ সন্তানকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিচার বিভাগের ‘সখ্য’ নতুন কিছু নয়। নওয়াজের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দ্বন্দ্বও অনেক পুরনো। তিন তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু কোনোবারই তিনি টার্ম পূরণ করতে পারেননি। এবারও পারলেন না। তবে এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্নতর।
নওয়াজের সঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান ও পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের দ্বন্দ্ব ছিল কাশ্মীর নিয়ে। ১৯৯০ ও ১৯৯৭ দু’দুবারই তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন।
২০১৩ সালের ১১ মের নির্বাচনে মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বিজয়ী হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু এবারও পর্দার অন্তরালে সেনাবাহিনীই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তবে সেনাবাহিনী এবার ব্যবহার করে বিচার বিভাগকে। সেনাবাহিনী তাকে সরাসরি ক্ষমতাচ্যুত করেনি কিংবা কোনো প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে তিনি ক্ষমতা হারাননি।
পর্দার অন্তরালে থাকা এ অসাংবিধানিক শক্তিই মূলত ‘ডিপ স্টেট’ নামে পরিচিত। ‘ডিপ স্টেট’ বলতে বোঝায় ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিচার বিভাগের কিছু ব্যক্তি সরকারি নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় প্রচলিত যে রীতিনীতি, তার বাইরে গিয়ে সরকারি নীতিতে প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করেন।
‘ডিপ স্টেট’ কোনো একক ব্যক্তি নন, বরং প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি চক্র, যারা নীতি প্রণয়নে ও গ্রহণে প্রভাব খাটায় (২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট শিবিরের বাইরে প্রভাবশালী একটি চক্র সক্রিয় ছিল)।
পাকিস্তানে, বিশেষ করে আফগান সংকটের পর থেকেই সেনা আমলা, গোয়েন্দা আমলারা রাজনীতিতে বেশি ক্ষমতার প্রভাব খাটাচ্ছে। আর এদের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে বিচার বিভাগের কিছু বিচারপতি। এদের কারণেই শেষ পর্যন্ত নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হন। তবে তার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তার কোনো সুস্পষ্ট জবাব তিনি কখনও দিতে পারেননি।
পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে তিনি নিজে ও তার সন্তানরা অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তবে এবারে একটি পার্থক্য লক্ষ করা যায়- আর তা হচ্ছে বিকল্প শক্তি হিসেবে ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) সামনে নিয়ে আসা। সেনাবাহিনী যে ইমরান খানকে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে, এটা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। পাঠক স্মরণ করতে চেষ্টা করুন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে হঠাৎ করেই ইমরান খানের আবির্ভাব ঘটেছে।
একজন সাবেক ক্রিকেটার যিনি নিজে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত এবং যৌন কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত, তিনি হঠাৎ করে রাজনীতির মাঠে আবির্ভূত হলেন একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে তাকে তৎপর দেখা যায়।
এমনকি ২০১৩ সালে নওয়াজ শরিফের ক্ষমতা গ্রহণের পরপর পিটিআই ও কানাডা প্রবাসী ধর্ম প্রচারক তাহিরুল কাদরীর নেতৃত্বে ইসলামাবাদ ঘেরাও করে সরকার পতনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ইমরান খান। যদিও তাতে তিনি সফল হননি। কিন্তু সেনাবাহিনী তখন থেকেই ইমরান খানকে ব্যবহার করে নওয়াজ শরিফ সরকারকে চাপে রেখেছিল।
একসময় পিপিপির জনপ্রিয়তা ছিল। মূলত পিপিপি আর মুসলিম লীগ (নওয়াজ) পাকিস্তানে একটি দ্বি-দলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্ম দিয়েছিল। বেনজির ভুট্টোও তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও কখনও তার টার্ম পূরণ করতে পারেননি।
আত্মঘাতী বোমা হামলায় তার মৃত্যু, স্বামী আসিফ আলী জারদারির দুর্নীতি ও নেতৃত্বের ব্যর্থতা পিপিপিকে আজ তৃতীয় অথবা চতুর্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছে। চলতি নির্বাচনে দলটির ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বেনজিরের জ্যেষ্ঠ সন্তান বিলাওয়াল বর্তমানে পিপিপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বটে; কিন্তু মার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব তিনি সৃষ্টি করতে পারেননি। বয়সের কারণে ২০১৩ সালে তিনি প্রার্থী হতে পারেননি। এবার হয়েছেন। কিন্তু গণজোয়ার তিনি সৃষ্টি করতে পারেননি। ‘মি. টেন পারসেন্ট’ হিসেবে খ্যাত আসিফ আলী জারদারিও মাঠে আছেন। কিন্তু তার জনপ্রিয়তাও শূন্যের কোঠায়।
ফলে পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকলই। নওয়াজ শরিফ কারাদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়েই মৃত্যুশয্যায় শায়িত স্ত্রীকে লন্ডনে রেখে পাকিস্তানে ফিরে এসে জেল জীবন বেছে নিয়েছেন। এতে করে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, সন্দেহ তাতে নেই।
কিন্তু তার দল নির্বাচনে বিজয়ী হলেও (?) নওয়াজ শরিফ আর ক্ষমতা ফিরে পাবেন বলে মনে হয় না। অন্যদিকে পিপিপি সিন্ধু প্রদেশভিত্তিক একটি আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। সর্ব পাকিস্তানভিত্তিক দলটির গণভিত্তি নেই। ফলে সম্ভাবনা একটাই ইমরান খান।
‘ডিপ স্টেট’ তাকেই বেছে নিয়েছে। এক্ষেত্রে একটা কোয়ালিশন সরকার গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। ২০১৩ সালের নির্বাচনের দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাব মুসলিম লীগ (নওয়াজ) পেয়েছিল ১২৬ আসন (নির্বাচনী আসন ২৭২), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৩৩, আর তেহরিক ই ইনসাফ ২৮ আসন। ১৭২ আসনের দরকার হয় সরকার গঠন করার জন্য।
আঞ্চলিক ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে, যারা নওয়াজ শরিফের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করছিল। সাধারণত ২৭২ আসনে নির্বাচন হয়। ৭০ আসন রিজার্ভ থাকে মহিলা ও ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠীর জন্য। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে এসব আসন বণ্টন করা হয়।
২০০৮ সালের নির্বাচনে পিপিপি পেয়েছিল ১১৯ আসন, মুসলিম লীগ (নওয়াজ) পেয়েছিল ৮৯ আসন, আর মুসলিম লীগ (কায়েদে আজম) পেয়েছিল ৫০ আসন। এবারে মুসলিম লীগ (কায়েদে আজম) পিছিয়ে আছে। তার জায়গাতে এসেছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ।
এ ক্ষেত্রে করাচিনির্ভর মুত্তাহিদা কওমি ম্যুভমেন্ট (এমকিউএম), মুসলিম লীগ (কায়েদ), গ্রান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালফেস (সিন্ধু), মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল (ধর্মীয় সংগঠনগুলোর অ্যালায়েন্স), আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (পাখতুনখোয়া), পাখতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এগুলো সবই আঞ্চলিক দল, আঞ্চলিক ভিত্তিতে এদের প্রভাব রয়েছে।
প্রতিবারই এ দলগুলো কিছু কিছু আসন পায়, যা তাদের কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে সাহায্য করে। যেমন বলা যেতে পারে এমকিউএমের কথা। এমকিউএম মোহাজেরদের সংগঠন। এরা করাচি থেকে বরাবরই ১০ থেকে ১৫টি আসন পেয়ে থাকে। আ
ওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আসফানদিয়ার ওয়ালি খান, যিনি সীমান্ত গান্ধী হিসেবে পরিচিত আবদুল গাফফার খানের নাতি। তার বাবা ওয়ালি খানও ছিলেন আজকের পাখতুনখোয়া প্রদেশের অন্যতম নেতা। জাতীয় পর্যায়ে এই দলটির ভিত্তি তেমন একটা নেই। মওলানা ফজলুর রেহমানের নেতৃত্বে ইসলামপন্থী কয়েকটি দল একটি ইসলামী ঐক্যজোট করেছে (মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল)।
এই জোটে রয়েছে ফজলুর রেহমানের জামায়াতে উলেমা ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী, তেহরিক ই ইসলাম পাকিস্তান, মারকাজি জামিয়াত আহলে হাদিস ও জামিয়ত উলেমা ইসলামের অপর একটি অংশ। এরা জোটগতভাবেই নির্বাচন করছে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে তাদের খুব একটা প্রভাব না থাকলেও তাদের একটা ছোট অবস্থান আছে।
রাজনীতিতে মূল আকর্ষণ এখন তিনজনকে ঘিরে ইমরান খান, বিলাওয়াল ভুট্টো ও শাহবাজ শরিফ। এই তিনজনই প্রধানমন্ত্রীর মূল দাবিদার। তবে নিঃসন্দেহে এগিয়ে আছেন ইমরান খান। ১৯৯৬ সালে জন্ম দেয়া তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি দীর্ঘ ২২ বছর পর ক্ষমতার স্বাদ পেতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত ইমেজ বা দলীয় ইমেজ যতটুকু না শক্তিশালী, তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হচ্ছে সেনাবাহিনীর সমর্থন।
নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়টি এখন অবশ্য সামনে নিয়ে এসেছেন প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ডন পত্রিকার প্রধান নির্বাহী হামিদ হারুন। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, দেশটির সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান ও তার দল পিটিআইকে সাহায্য করছে। সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও অনেক পর্যবেক্ষকই এটা মনে করছেন, ইমরান খান সেনাসমর্থন নিশ্চিত করেছেন। এদিকে শাহবাজ শরিফও সেনাসমর্থন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন।
১৯ জুলাই ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের মতো পররাষ্ট্রনীতির প্রধান অংশগুলোতে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন, যদি নির্বাচনে বিজয়ী হন। তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগানোরও উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। তার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি এটা স্পষ্ট করলেন, সেনাবাহিনীই হচ্ছে মূল শক্তি।
সেনাবাহিনীর সমর্থন তার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর সমর্থন তিনি কতটুকু নিশ্চিত করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সেনাবাহিনী মুসলিম লীগ-(এন)-কে আস্থায় নিতে পারছে না। ভারত ও আফগান ইস্যুতে নওয়াজ শরিফের সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনীর মনঃপূত ছিল না।
বিশেষ করে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নওয়াজ শরিফের যোগদান এবং সেনাবাহিনকে পাশ কাটিয়ে আফগান সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া সেনাবাহিনী সমর্থন করেনি। ফলে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। এর বাইরে পিপিপির অবস্থান বড় দুর্বল। এককভাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
তবে পিপিপি যদি একটি কোয়ালিশন সরকারে যোগ দেয়, আমি অবাক হব না। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য এই মুহূর্তে বড় সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ আর অর্থনীতির বেহাল অবস্থা। রিজার্ভ নেমে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯.৫ বিলিয়ন ডলারে। এই অর্থ দিয়ে এক মাসের ‘বিল’ মেটানোও সম্ভব নয়।
পাকিস্তানি রুপির মান পড়ে গেছে (১ ডলারে পাওয়া যায় ১২৮ রুপি)। এক বিলিয়ন ডলারের চীনা সাহায্য অর্থনীতির গতিকে কিছুটা চালু রাখতে পেরেছে সত্য; কিন্তু নয়া সরকারের জন্য এক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। সন্ত্রাসবাদও বন্ধ করা যায়নি। ফলে পাকিস্তান ২৫ জুলাইয়ের পর নতুন একটি সরকার পাবে সত্য; কিন্তু পাকিস্তানের জন্য বড় অস্থিরতা অপেক্ষা করছে।
Daily Jugantor
23.07.2018
ধন্যবাদ স্যার
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ স্যার|
ReplyDelete