শেষ পর্যন্ত যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা-ই হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে যে ছয় জাতি পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন। ১২ মে পর্যন্ত তাঁর কাছে সময় ছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন। তিনি যে এই কাজটি করবেন, সে ব্যাপারে অনেক আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, তিনি এই চুক্তি মানেন না। এখানে বলা ভালো, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো একরকম আতঙ্কে ছিল। তাদের সবার ধারণা ছিল, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে! আর ইরান যদি শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক বোমা তৈরি করে ফেলে, তাহলে তা এ অঞ্চলে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এ লক্ষ্যেই ইরানের সঙ্গে ছয় জাতি পারমাণবিক আলোচনা শুরু করে। এই জাতির মধ্যে ছিল—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন। একমাত্র জার্মানি বাদে বাকি দেশগুলোর সবাই পারমাণবিক শক্তির অধিকারী। পরমাণু চুক্তি আলোচনায় জার্মানিকে নেওয়া হয়েছিল এ কারণে যে জার্মানির সঙ্গে তেহরানের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কেননা ইরানের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে জার্মানি। জার্মান ফার্ম সিমেন্স এ খাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছিল। প্রায় ৫০টির মতো জার্মান ফার্ম ইরানে কাজ করত। এটা বিবেচনা করেই ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি আলোচনায় জার্মানিকে নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালে একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করেছিল। বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে যে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে যে ইরানের সম্পদ ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছিল, তা ‘ওপেন’ করে দেওয়া হয়। ইরানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যও শুরু হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় যাত্রীবাহী বিমানের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ কেনারও সুযোগ পায় ইরান। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইরান তার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। গত তিন বছর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। মোটামুটি সবাই সন্তুষ্ট ছিল যে ইরান শর্ত মেনে চলছে। কিন্তু গেল সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে একটি ম্যাপ ও কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থান দেখিয়ে দাবি করেন, ইরান এসব জায়গায় তার পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখছে। কিন্তু নেতানিয়াহুর এই দাবি কখনোই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। নেতানিয়াহুর সংবাদ সম্মেলনের পরপরই International Atomic Energy Agency (IAEA) এক বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছিল যে ইরান চুক্তির সব ধারা অনুসরণ করে আসছে। ইরানের সঙ্গে ওই পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তিটি Joint Comprehensive Plan of Action (JCPOA) নামে অভিহিত হয়ে আসছে। এটি অনেকেই জানেন যে পদত্যাগকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক ধরনের মতবিরোধ ছিল। টিলারসন কিছুটা নমনীয় ছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প একটি শক্ত অবস্থানে গিয়েছিলেন। ফলে টিলারসনকে চলে যেতে হয়েছিল।
এখন পরমাণু সমঝোতা কর্মসূচি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই চুক্তি শেষ পর্যন্ত অকার্যকর হয়ে গেল। যদিও ফ্রান্স ও জার্মানি বলছে, তারা এই কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু এতে চুক্তিটির কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। কেননা যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের অবর্তমানে এই চুক্তির গ্রহণযোগ্যতা একটি প্রশ্নের মুখে থাকবে। ট্রাম্প কর্তৃক এই চুক্তি বাতিলের আগেই ব্রাসেলসে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হামিদ বাইদিনেজাদ বলেছিলেন, ট্রাম্প চুক্তিটি বাতিল করলে ইরান আবার তার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। তাঁর কথায়, ‘Without US, there is no deal left.’ এটিই হচ্ছে আসল কথা। যুক্তরাষ্ট্র না থাকলে ওই সমঝোতার কোনো মূল্য নেই। চুক্তিটি বাতিল করার সময় ট্রাম্প ইরান পারমাণবিক সমঝোতাকে ‘ক্ষয়ে যাওয়া’ ও ‘পচা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ওটি একটি বাজে চুক্তি! ট্রাম্পের ওই একগুঁয়েমি মনোভাব পরিবর্তন করতে অতি সম্প্রতি ওয়াশিংটনে এসেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ। এমনকি ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ওয়াশিংটন সফর করেছিলেন। তাঁরা সবাই চেষ্টা করেছেন ট্রাম্পকে বোঝাতে যে এই সমঝোতা চুক্তিটির প্রয়োজন কত বেশি। কিন্তু ইসরায়েলি লবির কারণেই ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ওই চুক্তিটি বাতিল করলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল ও সৌদি আরব। ইরান-সৌদি আরব দ্বন্দ্ব ও ইসরায়েলের সঙ্গে প্রিন্স সুলতানের সখ্যের খবর সবাই জানেন। ইরান পারস্য অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে চায়—এ অভিযোগ সৌদি আরবের। ইয়েমেনে সৌদি আরবের অব্যাহত বোমা হামলার পেছনে কাজ করছে এই সৌদি মানসিকতা। ইরান ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে—এ অভিযোগ সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের। এ ক্ষেত্রে সৌদি আরব ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত যেকোনো ‘অবরোধে’ খুশি হবে। ইসরায়েলের অবস্থানও অনেকটা তেমনই। ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড সিরিয়ায় নিয়োজিত রয়েছে। এ ধরনের একটি ক্যাম্পে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গত সপ্তাহে হামলা চালিয়েছে। সুতরাং ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন, তাতে ইসরায়েল খুশি হবে। কিন্তু ইরান এখন কী করবে? ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা হলেও বিশ্বের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে তাঁর দেশ। চুক্তিটি বাতিলের আগে তেহরানে এক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় দু-তিন মাস কিছু সমস্যা হলেও তা কাটিয়ে ওঠা যাবে। একই সঙ্গে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত সৃষ্টি করলে ইরান বসে থাকবে না।
মার্কিন মিডিয়ায় এখন নানা খবর। কী করতে পারে ইরান এখন? ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, (৯ মে) ইরানি হ্যাকাররা এখন যুক্তরাষ্ট্রে ‘সাইবার অ্যাটাক’ করতে পারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম অকার্যকর করে ফেলার উদ্যোগ নিতে পারে সীমিত সময়ের জন্য। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে সুসান ই রাইস লিখেছেন, ‘Trumps Most Foolish Decision Yet.’ সুসান রাইস ওবামা প্রশাসনের দ্বিতীয় টার্মে প্রেসিডেন্ট ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মতে, ‘Iran will be able to resume its nuclear activities without being blamed for violating the agreement.’ শক্ত যুক্তি। ইরান চুক্তি অনুযায়ী ইরান দায়বদ্ধ ছিল। তখন যদি ইরান আবার পরমাণু কার্যক্রম শুরু করে ইরানকে দোষ দেওয়া যাবে না। একটি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের আশঙ্কাও দেখছেন কেউ কেউ। বলা হচ্ছে ইসরায়েলি যুদ্ধ বিমানগুলো একসঙ্গে হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। এসব পারমাণবিক প্রকল্প থেকে ইরান তার প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে। ইসরায়েলের একই সময় টার্গেট হতে পারে খারগ পোর্টকে (Port of Kharg) ধ্বংস করে দেওয়া, যার মাধ্যমে ইরান তার জ্বালানির ৯০ শতাংশ (গ্যাস ও তেল) বিদেশে রপ্তানি করে। তেল পরিশোধনের জন্য যেসব বড় রিফাইনারি আছে (যেমন—কেরমানশাহ, লাভাগ, তাবরিজ, আরভান্দ, বাহমান-গেন ইত্যাদি), তা-ও ধ্বংস করে দিতে পারে। উদ্দেশ্য ইরানি অর্থনীতিকে পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে ইরানকে দুর্বল করা। ইরানে সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ। ‘আরব বসন্ত’ সময়কালে ‘সরকার পরিবর্তনের’ একটা স্ট্র্যাটেজি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ইরানের ক্ষেত্রেও এই সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান চুক্তিটি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি বিমান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পার্শ্ববর্তী ছোট্ট শহর কিসভেতে বিমান হামলা চালিয়ে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের একটি কনভয়কে ধ্বংস করে দিয়েছে। সিরিয়ার অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলা এখন নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্পষ্টতই ইসরায়েল এখন সিরিয়ার যুদ্ধে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটা দূরত্ব তৈরি করে দিতে পারে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ইউরোপীয় মিত্র দেশ—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, Together we emphasize our continuing commitment to the JCPOA. This agreement remains important for our shared security. পরিষ্কার মেসেজ। পশ্চিমা দেশগুলো ইরান চুক্তিতে থাকতে চায়। তারা এই চুক্তিকে তাদের নিরাপত্তার প্রতি এক ধরনের গ্যারান্টি বলে মনে করছে। এর অর্থ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র JCPOA বা ইরান চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেও অপর তিন ইউরোপীয় শক্তি (জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্স) চুক্তির প্রতি কমিটমেন্ট থাকছে। এর ফলে দূরত্ব তৈরি হবে। এর আগে ইউরোপীয় স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্কের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
ট্রাম্প একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথাও বলেছেন। এতে চীন ও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কিছুটা ঘাটতি দেখা দিতে পারে। চীন ও ভারত ইরানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। ইরান প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। চীন হচ্ছে তার বড় ক্রেতা। ২০১৭ সালে চীন ইরানের রপ্তানি করা জ্বালানি তেলের ২৪ শতাংশই একাই ক্রয় করেছিল। ভারত কিনেছিল ১৮ শতাংশ আর দক্ষিণ কোরিয়া ১৪ শতাংশ। এখন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে US National Defense Authorization Act অনুযায়ী কোনো কম্পানি যদি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ব্যবসা করতে পারবে না। এর অর্থ চীনা ও ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কম্পানিগুলো এর পরও যদি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত, যা কিনা নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিকোলাস ক্রিসটফ (Nicholas Kristof) Vandalism হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। (Trums Move on Iran Deal : Simple Vandalism, May 9, 2018), তা বিশ্বকে আবারও একটি জটিল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন একটি নতুন দিকে মোড় নিল। সেখানে নতুন একটি ফ্রন্ট ‘ওপেন’ হলো। বিশ্ব নয়া স্নায়ুযুদ্ধের যে দৃশ্য প্রত্যক্ষ করছে, এখন এতে নতুন মাত্রা যোগ হলো। ইরানি পার্লামেন্টে মার্কিন পতাকায় আগুন দেওয়ার দৃশ্য পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এই দৃশ্য ১৯৭৯ সালের একটি দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দিল, যখন ইরানি ছাত্ররা তেহরানের মার্কিন দূতাবাস দখল করে নিয়েছিল। সিরিয়ার সংকটকে কেন্দ্র করে মস্কো-পেইচিং-তেহরান অক্ষ গড়ে উঠেছিল। এখন এই অক্ষ আরো শক্তিশালী হবে মাত্র। ইরান সমঝোতা চুক্তি বাতিল করে ট্রাম্প শুধু বিশ্বে উত্তেজনার মাত্রা বাড়ালেন।
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র
Daily Kalerkontho
14.05.2018
0 comments:
Post a Comment