রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

দুই কোরিয়ার একত্রীকরণ : সম্ভাবনা ও বাস্তবতা


আন্তর্জাতিক


২৭ এপ্রিল দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যকার বৈঠকে একটি সম্ভাবনা সামনে চলে এসেছে; আর তা হচ্ছে দুই কোরিয়ার একত্রীকরণ। এই একত্রীকরণ কতটুকু সম্ভব, আদৌ সম্ভব কি না কিংবা কী প্রক্রিয়ায় এই একত্রীকরণ সম্ভব হবেÑ এসব নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, স্বয়ং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মুখ থেকে বিষয়টি উচ্চারিত হয়েছে। দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠকের পর কিম জং উনের বক্তব্য ছাপা হয়েছে এভাবেÑ তিনি চান দুই কোরিয়া একত্রিত হোক! কিন্তু আসলেই কি তিনি চান? কিংবা বাস্তবতা কী বলে? দুই কোরিয়ার একত্রীকরণ কী সম্ভব? ২০০০ সালে প্রথম বৈঠক, ২০০৭ সালে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের পরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল দুই কোরিয়ার একত্রীকরণ। কিন্তু একত্রীকরণ আলোচনায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। তাই ২০১৮ সালে তৃতীয় শীর্ষ বৈঠকের পরও যে এ ব্যাপারে অগ্রগতি হবে, তা বিশ্বাস হয় না।
সমসাময়িক বিশ্বরাজনীতিতে দুটি দেশের কথা বলা যায়, যেখানে দেশ দুইটি একত্রিত হয়েছে। ইয়েমেন ও জার্মানির একত্রীকরণ আমাদের সামনে দৃষ্টান্ত। ইয়েমেন ছিল দুই ভাগে বিভক্ত। উত্তর ইয়েমেন ও দক্ষিণ ইয়েমেন। ১৯৭৮ সালে দেশ দুইটি একত্রিত হয়। যদিও ‘আরব বসন্ত’পরবর্তী সময়ে সেখানে একধরনের গৃহযুদ্ধ লক্ষ করা গেছে। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ভাগ হয়ে গিয়েছিলÑ পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি। পূর্ব জার্মানি ছিল সমাজতান্ত্রিক, আর পশ্চিম জার্মানি ছিল পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা। ৯ নভেম্বর (১৯৮৯) বার্লিন দেয়ালের পতনের মধ্য দিয়ে দুই জার্মানির একত্রীকরণের পথ সুগম হয়েছিল। আর একত্রীকরণ সম্পন্ন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। তা হলে এখন বাকি রইল কোরিয়া। কিন্তু তা কী করে সম্ভব? দুই কোরিয়ার মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল পার্থক্য, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে গতি আনতে হলে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। ব্লুমবার্গ কোন কোন খাতে উত্তর কোরিয়ায় বিনিয়োগের জন্য অর্থের প্রয়োজন হবে, তার একটি ধারণা দিয়েছে। যেমন নেটওয়ার্ক খাতে ৬১.২ বিলিয়ন, কয়লা সেক্টরে ১৩.১ বিলিয়ন, গ্যাস সেক্টরে ৭.৪ বিলিয়ন, পারমাণবিক খাতে ৩০.২ বিলিয়ন, অন্যান্য খাতে ১০.৪ বিলিয়ন ডলার। সবমিলিয়ে প্রয়োজন হবে ১২২.৪ বিলিয়ন ডলার (ব্লুমবার্গ মার্কেটস, ২৬ এপ্রিল ২০১৮)। এই অর্থ কোত্থেকে আসবে? এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মার্কিন ব্যবসায়ীরা এখন তাকিয়ে আছেন ট্রাম্প-কিম বৈঠকের দিকে। মে অথবা জুন মাসে এ বৈঠকটি হতে পারে। আর বেঠকটি যদি সফল হয়, তাহলে একটা সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে মার্কিন ব্যবসায়ীদের জন্য উত্তর কোরিয়ায় বিনিয়োগে। কিন্তু একটা বড় প্রশ্ন আছেই। কিম জং উন কি উত্তর কোরিয়াকে উন্মুক্ত করে দেবেন? উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী কি তাতে রাজি হবে?
কোরিয়া একটি বিভক্ত সমাজ। দুই কোরিয়ায় দুই ধরনের সমাজব্যবস্থা রয়েছে। একসময় যুক্ত কোরিয়া চীন ও জাপানের উপনিবেশ ছিল। ১৯০৪-০৫ সালে রাশিয়া ও জাপানের মধ্যকার যুদ্ধের পর কোরিয়া প্রকৃতপক্ষে জাপানের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর মার্কিন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী কোরিয়ায় ঢুকে পড়ে ও জাপানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার জন্য কৌশলগত কারণে কোরিয়াকে দুই ভাগ করে। এক অংশে মার্কিন বাহিনী, অন্য অংশে সোভিয়েত বাহিনী অবস্থান নেয়। সোভিয়েত বাহিনীর উপস্থিতিতেই কোরিয়ার উত্তরাঞ্চলে (আজকে যা উত্তর কোরিয়া) একটি কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে নিউ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে নবগঠিত কোরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি একীভূত হয়ে কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টি গঠন করে। ১৯৪৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে তার অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে। ১৯৫০ সালের ২৫ জুন উত্তর কোরিয়ার বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করলে যুদ্ধ বেধে যায়। জাতিসংঘ এই যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন করার জন্য সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায়। জাতিসংঘ বাহিনী মাঞ্চুরিয়া সীমান্তে উপস্থিত হলে ১৯৫০ সালের ২৬ নভেম্বর চীন উত্তর কোরিয়ার পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় এবং চীনা সৈন্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। ১৯৫১ সালে এপ্রিলে জাতিসংঘ বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা পুনরুদ্ধার করে। ১৯৫১ সালের ২৩ জুন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কার্যকর হয় দুই বছর পর, ১৯৫৩ সালের ২৭ জুলাই। এরপর থেকে কার্যত উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া দুইটি রাষ্ট্র হিসেবে তাদের অস্তিত্ব বজায় রেখে আসছে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি শুধু এই অঞ্চল নয়, বরং বিশ্বের জন্যও অনেকটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০০৬ সালের অক্টোবরে উত্তর কোরিয়া কর্তৃক পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই দেশটি আলোচনায় আছে। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর এই অঞ্চলে একধরনের নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়, কীভাবে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণুমুক্ত করা সম্ভব। একপর্যায়ে চীনের উদ্যোগে ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়া একটি চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া তার Yongbyon পারমাণবিক চুল্লিটি বন্ধ করে দেয়। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তার পারমাণবিক চুল্লি পরিদর্শনেরও সুযোগ করে দেয়। বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে ৫০ হাজার টন জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। এর পরপরই ২০০৭ সালের অক্টোবরে দুই কোরিয়ার মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোহ মু হিউম ২ অক্টোবর উত্তর কোরিয়া যান এবং সেখানকার প্রেসিডেন্ট ও আজকের উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের (প্রয়াত) সঙ্গে বৈঠক করেন। এটা ছিল দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০০ সালের ১২ জুন। দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কিম দাই জং মিলিত হয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং ইলের সঙ্গে। এখন ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল কিম জং ইলের ছেলে কিম জং উন মিলিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে। এটা তৃতীয় শীর্ষ বৈঠক।
এখন এই তৃতীয় বৈঠকটি কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে, সেটাই দেখার বিষয়। একত্রীকরণের ফল কী হতে পারে, তা উত্তর কোরিয়ার নেতাদের জানার কথা। ইয়েমেনে একত্রীকরণ সেখানে গৃহযুদ্ধের জন্ম দিয়েছে। জার্মানি একত্রীকরণে সাবেক পূর্ব জার্মানির প্রদেশগুলো খুব লাভবান হয়নি; বরং সেখানে একত্রীকরণের ২৮ বছর পার হওয়ার পরও দারিদ্র্য আছে। মার্চ মাসে আমার সুযোগ হয়েছিল জার্মানি যাওয়ার। আমি সাবেক পূর্ব জার্মানির একটি শহর ব্রান্ডেনবার্গেও গিয়েছিলাম। সেখানকার দারিদ্র্য আমি দেখেছি। ফলে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া যদি কোনোদিন একত্রিত হয়ও, তাতে লাভবান হবে দক্ষিণ কোরিয়া। সমাজব্যবস্থাইবা কী হবে? একটি হংকং মডেল? যেখানে হংকং চীনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির পরও সেখানে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা বজায় রেখেছে। এখন সে রকমটি কী হতে পারে কোরিয়া একত্রীকরণের পর, অর্থাৎ উত্তর কোরিয়া তার সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বহাল রাখবে? তত্ত্বগতভাবে এটা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবগত কারণেই এটা সম্ভব হবে না। ফলে একটা প্রশ্ন থাকলইÑ একত্রীকরণের পর কোরিয়া কোন অর্থনীতি গ্রহণ করবেÑ সমাজতান্ত্রিক নাকি পুঁজিবাদী?
দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘ঐক্য’ কী করে সম্ভব? দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘শত্রু’ হিসেবেই এতদিন গ্রহণ করেছে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। সেই মানসিকতা পরিত্যাগ করা কি সম্ভব? যৌথ শিক্ষা কার্যক্রমইবা কীভাবে পরিচালিত হবে? উত্তর কোরিয়ায় কোনো দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল নেই। সেখানে কি দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল গড়তে দেওয়া হবে? এ ধরনের শত শত প্রশ্ন এখন উঠবে। তবে ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় রেখেই দুই কোরিয়ার মধ্যে একটি রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠতে পারে। একধরনের কনফেডারেশন? এক কোরিয়ার পতাকাতলে তো খেলোয়াড়রা অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন। তেমনই একধরনের রাজনৈতিক সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে কোরিয়ার একত্রীকরণ সম্ভব। তবে ভয়টা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উদ্দেশ্য নিয়ে। বিখ্যাতForeign Policy ম্যাগাজিনে উত্তর কোরীয় নেতার সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মিসাইল জে. গ্রিন তার একটি প্রবন্ধে ((Pyongyang is Playing Washington and Seoul, April 27, 2018) ) এ ধরনের একটি আশঙ্কাই করছেন। তার মতে, উত্তর কোরিয়ার নেতারা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এই উদ্যোগকে (উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়া সংলাপ) কাজে লাগাতে পারে। এটা একটা আশঙ্কা। তবে বলাই বাহুল্য, এই সংলাপ যদি সফল হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র উৎপাদনকারীদের জন্য তা হবে দুঃসংবাদ। ইতোমধ্যে তাদের কোম্পানির শেয়ার মার্কেটে দরপতন হয়েছে। যেমন লকহিড মার্টিনের শেয়ারবাজারের পতন হয়েছে ২.৫ ভাগ, যার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৯২.১ বিলিয়ন ডলার। নর্থবোরা গ্রুমম্যানের শেয়ারের পতন ঘটেছে ৩.২০ ভাগ, যার বাজারমূল্য ৬২.৫ বিলিয়ন; জেনারেল ডায়নামিকস ৩.৮ ভাগ, যার বাজারমূল্য ৬০.৭ বিলিয়ন; রেথিউন ৩.৬ ভাগ, বাজারমূল্য ৫০.৮ বিলিয়ন ডলার এবং বোয়িং শতকরা ১ ভাগ, বাজারমূল্য ২০০.২ বিলিয়ন ডলার। এটা একটা চিন্তার কারণ। তারা কি এই সফলতা দেখতে চাইবে? এতে তো অস্ত্র প্রতিযোগিতা কমে যেতে পারে। অস্ত্র বিক্রি বন্ধ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এসব অস্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানি। বিশেষ করে THAAD বা Termind High Altitude Area Defense ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা উৎপাদন করে লকহিড মার্টিন। অব্যাহত উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলার মুখে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায় এই  THAAD ক্ষেপণাস্ত্র বসায়। এক-একটি  THAAD ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমে ছয়টি করে রকেট থাকে, যা মহাশূন্যে যে-কোনো শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিতে পারে। এক-একটি  THAAD ক্ষেপণাস্ত্রের দাম এক বিলিয়ন ডলার। এখন যদি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আর  THAAD ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন হবে না। এটা কি লকহিড মার্টিন চাইবে? তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে প্রভাব খাটাতে চাইবে। তাই দেখা যায়, দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠকের ব্যাপারে ট্রাম্প খুব একটা আশাবাদী হননি। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে। আর উত্তর কোরিয়ার কাছে রয়েছে ৬০টির মতো পারমাণবিক বোমা। শীর্ষ বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া তার একটি পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এসব সংবাদ আশাবাদী হওয়ার মতো; কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন জিনিস। এই শীর্ষ বৈঠক আমাদের কতটুকু আশাবাদী করতে পারবে, তা শুধু আগামী দিনগুলোই বলবে। তাই খুব সংগত কারণেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি থাকবে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে।
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র
Daily Alokito Bangladesh
06.05.2018

0 comments:

Post a Comment