রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ



চলতি মে মাসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার জন্ম হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ যখন আট বছরে পা দিল, ঠিক তখনই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ আমরা পেয়েছি। প্রথমত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুল আলোচিত ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দ্বিতীয়ত, ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরপরই ইসরাইল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি ঘাঁটিগুলোর ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এই বিমান হামলা কার্যত সিরিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের এক ধরনের যুদ্ধের শামিল। বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে আমরা যদি বিষয়টি বিশ্লেষণ করি, তাহলে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক ধরনের ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে! সিরিয়া সংকটে ইরান প্রথম থেকেই আসাদ সরকারকে সমর্থন করে আসছে, যা প্রত্যক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিরোধী ছিল। যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই আসাদ সরকারের বিরোধিতা করে আসছে এবং এটা মোটামুটিভাবে সবাই জানে যে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় ‘রেজিম চেঞ্জ’ এর পক্ষপাতি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র চায় সিরিয়ায় একটি আসাদবিরোধী সরকার। আইএস সিরিয়া থেকে উৎখাতের পরও সিরিয়ায় যেসব ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠী আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ‘যুুদ্ধ’ করে আসছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্থ ও অস্ত্র পেয়ে আসছে। উপরন্তু সিরিয়ার কুর্দি অঞ্চলে চার হাজারের মতো মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। বলা হচ্ছে, এরা কুর্দি গ্যারিলাদের ‘উপদেষ্টা’ হিসেবে কাজ করছে! এমনই একটি পরিস্থিতিতে ইরান পারমাণবিক চুক্তি ট্রাম্প কর্তৃক বাতিল ঘোষণা এবং ইসরাইলের সিরিয়ার ভেতরে ইরানি অবস্থানের ওপর হামলা এ অঞ্চলে যে ‘ছায়াযুদ্ধের’ জন্ম দিয়েছে, তা শুধু উত্তেজনাই বাড়াবে না, বরং একটি বড় ধরনের যুদ্ধেরও সূচনা করতে পারে। এই ‘ছায়াযুদ্ধ’ এখন অনেকগুলো সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। ইসরাইল এখন সরাসরি ইরানের ভেতরে অবস্থিত ইরানি পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে, যেমনটি তারা করেছিল ইরাকে সাদ্দামের জীবিতকালে। এমনকি ইরানি বন্দর ‘পোর্ট অব খারগ’ এ বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিতে পারে, যেখান থেকে ইরান তার জ্বালানির শতকরা ৯০ ভাগ (গ্যাস ও তেল) বিদেশে রপ্তানি করে। তেল পরিশোধনের জন্য ইরানের যে বড় বড় রিফাইনারি আছে, তা ধ্বংস করে দিতে পারে ইসরাইল। এক্ষেত্রে ইসরাইলি উদ্দেশ্য পরিষ্কার, ইরানি অর্থনীতিকে পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে ইরানকে দুর্বল করা। ইরানে সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ। ‘আরব বসন্ত’ সময়কালে ‘সরকার পরিবর্তনের’ একটা স্ট্র্যাটেজি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ইরানের ক্ষেত্রেও এই সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান চুক্তিটি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইলি বিমান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পার্শ্ববর্তী ছোট শহর কিসভেতে বিমান হামলা চালিয়ে সেখানে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের একটি কনভয়কে ধ্বংস করে দিয়েছে। সিরিয়ার অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বিমান হামলা এখন নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্পষ্টই ইসরাইল এখন সিরিয়ার যুদ্ধে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপে তার বন্ধুদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটা দূরত্ব তৈরি করে দিতে পারে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ইউরোপীয় মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, ÔTogether we Emphasize our Continuing Commitment to the JCPOA. This Agreement reaming Important for our shared Security’। পরিষ্কার মেসেজ। পশ্চিমা দেশগুলো ইরান চুক্তিতে থাকতে চায়। তারা এই চুক্তিকে তাদের নিরাপত্তার প্রতি এক ধরনের গ্যারান্টি বলে মনে করছে। এর অর্থ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র JCPOA  বা ইরান চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেও অপর তিন ইউরোপীয় শক্তির (জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্স) এই চুক্তির প্রতি কমিটমেন্ট থাকছে। এর ফলে দূরত্ব তৈরি হবে। এর আগে ইউরোপীয় স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্কের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
ট্রাম্প একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথাও বলেছেন। এতে চীন ও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কিছুটা ঘাটতি দেখা দিতে পারে। চীন ও ভারত ইরানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। ইরান প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। চীন হচ্ছে তার বড় ক্রেতা। ২০১৭ সালে চীন ইরানের রপ্তানিকৃত জ্বালানি তেলের শতকরা ২৪ ভাগ একাই ক্রয় করেছিল। ভারত কিনেছিল শতকরা ১৮ ভাগ, আর দক্ষিণ কোরিয়া ১৪ ভাগ। এখন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে Us National Defense Authorization Act অনুযায়ী কোনো কোম্পানি যদি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ব্যবসা করতে পারবে না। এর অর্থ চীনা ও ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো এরপরও যদি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত, যা নিউইয়র্ক টাইমসের নিকোলাস ক্রিসটফ Nicholas Kristof) ÔvandalismÕহিসেবে আখ্যায়িত করেছেন  (Trump’s move on Iran Deal : Simple Vandalism, May, 2018),, ২০১৮), তা বিশ্বকে আবারও একটি জটিল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন একট নতুন দিকে মোড় নিল। সেখানে নতুন একটি ফ্রন্ট ‘ওপেন’ হলো। বিশ্ব নয়া স্নায়ুযুদ্ধের যে দৃশ্য প্রত্যক্ষ করছে, এখন এতে নতুন মাত্রা যোগ হলো। ইরানি পার্লামেন্টে মার্কিন পতাকায় আগুন দেওয়ার দৃশ্য পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এই দৃশ্য ১৯৭৯ সালের একটি দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দিল, যখন ইরানি ছাত্ররা তেহরানের মার্কিন দূতাবাস দখল করে নিয়েছিল। সিরিয়ার সংকটকে কেন্দ্র করে মস্কো-বেইজিং-তেহরান অক্ষ গড়ে উঠেছিল। এখন এই অক্ষ আরও শক্তিশালী হবে মাত্র। ইরান সমঝোতা চুক্তি বাতিল করে ট্রাম্প বিশ্বে উত্তেজনার মাত্রা বাড়ালেন মাত্র। ওয়াশিংটনের নিউ কনজারভেটিভরা এখন একটা যুদ্ধ চায়। এই যুদ্ধটি হবে ইরানের বিরুদ্ধে! এতে ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে একের পর এক যে ‘অভিযোগ’ উঠছে এবং একটি সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে যে, তিনি হয়তো আর দ্বিতীয় টার্মের জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাবেন না। এ থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পারবেন। একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন নাÑ এটা আইনের বিধান। তাকে কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বুশ এই অনুমোদন নেননি ইরাকের ক্ষেত্রে ২০০৩ সালে। প্রেসিডেন্ট ওবামা নেননি লিবিয়ায় বোমা বর্ষণের সময় ২০১১ সালে। এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি নেবেন ইরানের ক্ষেত্রে? এটা ভবিষ্যতের ব্যাপার। তবে ইসরাইল এখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই ‘যুদ্ধ’ শুরু করল। যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, ইসরাইল চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এই ‘যুদ্ধে’ যোগ দিক। একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল লরেন্স উইলকারসন গত মার্চ মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে ইরানের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল এটা চাচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, তাহলে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র তার ভাবমূর্তি হারাবে (mintpressnews.com, 12 March 2018)| Popular Resistance.org নামে একটি ভিন্নধর্মী নিউজ পোর্টাল আমাদের এই তথ্য দিচ্ছে যে, ইসরাইলি লবি আসলে এই যুদ্ধটি চাচ্ছে। কেভিন জেমে ও মার্গারেট ফ্লাওয়ার ওই নিউজ পোর্টালে লিখিত এক প্রতিবেদনে (১৩ মে ২০১৮) আমাদের জানাচ্ছেন, কীভাবে ইহুদি লবি ট্রাম্পকে উদ্বুদ্ধ করছে যুদ্ধে যেতে। তারা একজন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলডন আডেলসন ট্রাম্পের প্রচারণা তহবিলে ৮৩ মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন। ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনে যে ফান্ড জোগাড় করা হয়েছিল, তাতে তিনি দিয়েছিলেন ৫ মিলিয়ন ডলার। তিনি ইহুদি লবির প্রতিনিধিত্ব করেন। এরাই চেয়েছিলেন ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিবের পরিবর্তে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হোক। এই কাজটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে, বিশেষ করে গাজা এলাকায় পরিস্থিতি জটিল করেছে।
আলজাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে (২৩ এপ্রিল ২০১৮), ইরানের আশপাশে কয়েক ডজন মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে। ওমান, আরব আমিরাত, কুয়েত, তুরস্ক, ইসরাইল, এমনকি কাতারে মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যে-কোনো যুদ্ধে (সিরিয়া অথবা ইরান) ওইসব যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হতে পারে। ওই প্রতিবেদনে একটি ম্যাপও দেখানো হয়, যাতে স্পষ্ট করা হয়েছে, কোথায় কোথায় মার্কিনি ঘাঁটি রয়েছে। ম্যাপে স্পষ্ট দেখা যায়, ওই ঘাঁটি এবং বিমান মোতায়েন এক রকম চারদিকে ইরানকে ঘিরে রেখেছে। ইরানে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে সেখানে সরকার পরিবর্তন (রেজিম চেঞ্জ)। সাম্প্রতিককালে ইরানে যে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন আছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যম উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এতে কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যায় করেছে বলেও গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি লিংক ট্যাংক Brookings Institute ২০০৯ সালে তাদের এক প্রতিবেদনে(Wich path to persia? Options for A New American Strategy For Iran) ইরানে সরকার পরিবর্তনের একটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। এখন ট্রাম্প প্রশাসন সেদিকে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে নানা মাত্রার সংকট আমরা এখন প্রত্যক্ষ করছি। সিরিয়া সংকটের সমাধানের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কুর্দিস্তান কার্যত এখন সিরিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে! সেখানে তুরস্কের সেনাবাহিনী কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান পরিচালনা করছে। কুর্দি অঞ্চল আফরিন, যা কিনা সিরিয়ার অংশ, সেখানে মার্কিন সৈন্য ‘উপদেষ্টা’ হিসেব নিয়োজিত রয়েছে। ইসরাইল সিরীয় সংকটে ততদিন নির্লিপ্ত তাকলেও এখন সরাসরি সিরিয়ার অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালিয়ে এই যুদ্ধে শরিক হয়ে গেল। এদিকে সৌদি আরব ইসরাইল সমঝোতার একটি লক্ষণ ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে। ইরান-সৌদি দ্বন্দ্ব বাড়ছে। বলা হচ্ছে, সৌদি আরব ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ওপর যে নিয়মিত বিমান হামলা চালাচ্ছে, তার পেছনে ওয়াশিংটনের সমর্থন রয়েছে। রাশিয়ার ভূমিকাও এখানে লক্ষ রাখার মতো। প্রকাশ্যে আসাদ সরকারকে রাশিয়া সমর্থন করলেও ইসরাইল সিরিয়ায় ইরানি অবস্থানের ওপর বিমান হামলা চালালে, রাশিয়া তাতে নীরব ভূমিকা পালন করে। এরই মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতি ও জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘটনা ঘটল। মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সেখানে আরেকটি যুদ্ধের জন্ম দেয় কি না, স্টোই দেখার বিষয় এখন। 
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র
Daily Alokito Bangladesh
20.05.2018

0 comments:

Post a Comment