রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

প্রধানমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফর প্রসঙ্গে দুটি কথা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন ১৩ মার্চ। নেপালে বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্ত হওয়া ও ৪৯ জন যাত্রীর মৃত্যুর কারণে সিঙ্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী তার সফর সংক্ষিপ্ত করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে ‘ইকোনমিক কোলাবরেশন’, অর্থাৎ অর্থনৈতিক সম্পর্কযুক্ত। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব এবং প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন। এই সফরে বিনিয়োগ ও সহযোগিতাসংক্রান্ত একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সফরে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জ্বালানি ও জ্বালানির বিভিন্ন খাত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গবৈষম্য ছাড়াও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণেও সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আসিয়ানের সেক্টোরাল পার্টনার হতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথাও প্রধানমন্ত্রী তার সিঙ্গাপুরের প্রতিপক্ষকে জানিয়েছেন। এখানে বলা ভালো, ১৯৭৩ সালে দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর ১৯৭৮ সালে তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশটি সফর করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ ২৬ বছরে বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধান দেশটি সফর করেননি। ২০০৪ সালে সিঙ্গাপুরের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টং বাংলাদেশে এসেছিলেন। ফিরতি সফরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন ২০০৫ সালের ২০ মার্চ। এরপর এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেলেন।
১৯৬৫ সালে স্বাধীন হওয়া এবং মাত্র ৮৫ বর্গমাইল আয়তনবিশিষ্ট সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সিঙ্গাপুর অন্যতম একটি শক্তি। দেশটি বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে সিঙ্গাপুরের অবস্থান এখন ৩৯তম। জিডিপিতে (পিপিপি) সিঙ্গাপুর এখন ৫৩৭ দশমিক ৪৪৭ বিলিয়ন ডলারের অধিকারী। তাই সংগত কারণেই বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সিঙ্গাপুরের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক ১৫০ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলারের বেশি লেনদেন হয়। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে অন্যতম বিনিয়োগকারী দেশও বটে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক ৭৮টি প্রতিষ্ঠান এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। বিভিন্ন খাতে ৮৪ কোটি ডলার বিনিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ৪০-৪৫ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন সিঙ্গাপুরে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা খাতে প্রতিদিনই বিনিময় বাড়ছে দু-দেশের মধ্যে।
যদি সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা যায় তাহলে দেখা যাবে, এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক সিঙ্গাপুরের অনুকূলে। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা রপ্তানি করে, আমদানি করে তার চেয়ে বেশি। অর্থাৎ প্রায় ১০ গুণ বেশি অর্থের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। একটা পরিসংখ্যান দিচ্ছিÑ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করেছিল ৮৪ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অথচ ওই সময় সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করেছিল ৮৪৭ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০১২-১৩ বছরে রপ্তানির পরিমাণ ১৫৫ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন ডলার, আর আমদানির পরিমাণ ১৪২১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আমদানির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে নিশ্চয়ই এ বিষয়টি নিয়ে আলোচিত হওয়ার কথা।
বাংলাদেশের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সম্পর্কের আরেকটি দিক হচ্ছে, সিঙ্গাপুর কর্তৃক প্রস্তাবিত আমেড বা এশিয়া-মিডলইস্ট ডায়ালগে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, যিনি ২০০৪ সাল থেকে দায়িত্বে আছেন, তিনি আমেডের কর্মকা-কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টং মূলত এই আমেডের উদ্যোক্তা। তিনি ২০০৪ সালে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মিশর, জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনের সমন্বয়ে এই উপাঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার একটি প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সঙ্গে এশিয়ার দেশগুলোর একটা সহাবস্থান দরকার। এ অঞ্চলের মধ্যে বহু সংস্কৃতি বহমান। এসব সংস্কৃতির সঙ্গে একটি সেতুবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন গোহ চোক টং। তার চিন্তাধারা এগিয়ে নিয়ে গেছেন লি সিয়েন লুং। তিনি ২০০৪ সালেই প্রস্তাব করেছিলেন বাংলাদেশের আমেডও থাকা উচিত। তখন আমেড-৮ নামে এর পরিচিত ছিল। এখন অবশ্য ৫০টি দেশ আমেডের সদস্য। মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশ আমেডে আছে। এশিয়া অঞ্চল থেকে আছে বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, চীন, কমোরোজ, জিবুতি, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, জাপান, কাজাখস্তান, লাওস, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, সুদান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম কিংবা তুর্কমেনিস্তানের মতো দেশ। তবে সংস্থাটির যতটুকু শক্তিশালী হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি। আমেড গঠনের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এবং পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য একে অপরকে সাহায্য করা। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর যখন নির্যাতন শুরু হয়েছিল এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ধারণা ছড়ানো হচ্ছিল, তখন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের সঙ্গে একটা সহাবস্থানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
পশ্চিমাবিশ্বে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা নিরসন করে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ ও তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্য একটি নতুন ফোরাম গঠনে সিঙ্গাপুরের উদ্যোগকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছিল। ২০০৪ সালে ঢাকা সফররত সিঙ্গাপুরের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই ফোরামে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। একটি উদার গণতান্ত্রিক মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রমোট করা এবং পশ্চিমাবিশ্বে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ও ভুল বোঝাবুঝি বন্ধ করতে তার দেশ কাজ করবে বলে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী তখন আমাদের জানিয়েছিলেন। অনেকে তখন সন্দেহ করেছিলেন আমেড কি ওআইসির বিকল্প হতে যাচ্ছে! কিন্তু গোহ চোক টং তখন জানিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত এ সংস্থাটি কোনোভাবেই ওআইসির বিকল্প হবে না। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, ‘ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলাম একটি সহিষ্ণু ও উদার ধর্ম। পশ্চিমাবিশ্বে ইসলাম ও সন্ত্রাসকে কখনও কখনও এক অর্থে বোঝানো হয়। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের কথা আমরা জানি।’ সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় দেওয়া এই বক্তব্য বাংলাদেশের সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল এবং প্রশংসিতও হয়েছিল।
ভৌগোলিকভাবে একটি ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও মাত্র কয়েক দশকের ব্যবধানে সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে সিঙ্গাপুর আজ একটি অর্থনৈতিক শক্তি। দেশটি উন্নয়নশীল দেশের তকমা পরিত্যাগ করে আজ একটি উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারি। একটি ছোট দেশ, আর অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল একসময় মৎস্যসম্পদÑ সেই দেশটি কীভাবে অন্য দেশের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে নিজে সম্পদশালী হয়েছে এবং বিশ্বে নিজেকে একটি ‘সফট পাওয়ার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, এটা অনুকরণীয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছেÑ বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে ব্যাপারে আমরা সিঙ্গাপুুরের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারি। সিঙ্গাপুরের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশি শরিকদের দক্ষতার সংযোজন ঘটিয়ে বিশ্ববাজারে ভোক্তা চাহিদা মেটাতে যৌথভাবে একটি প্রতিযোগিতামূলক সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। এতে অর্থনৈতিকভাবে দুটি দেশই সমভাবে উপকৃত হবে। দু-দেশের রয়েছে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সুযোগ। আর সে সুযোগ যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারলে ঢাকা ও সিঙ্গাপুর পারস্পরিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে আরও বিস্তৃত পর্যায়ে নিয়ে পৌঁছানো যাবে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়েই চলতে পারে এ অর্থনৈতিক সহায়তা। আর এই সহায়তা গড়ে তোলা সহজেই সম্ভব। কারণ দুটি দেশের মধ্যে নেই কোনো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব; বরং এর বিপরীতে রয়েছে চমৎকার পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। এখানে শ্রমমূল্য তুলনামূলক কম। এদের প্রশিক্ষিত করে সহজেই দক্ষ শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সহায়ক। এটি হয়ে উঠতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান এক বাজার। বাংলাদেশ তখন আসিয়ানমুখী। আসিয়ানে শুল্ক বাজার প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা কাজে লাগাতে পারব। রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ একটি বড় সংকটে আছে। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার এদের ফেরত নিতে টালবাহানার আশ্রয় নিচ্ছে। সিঙ্গাপুর সফরে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি নিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সিঙ্গাপুর আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য আসিয়ানভুক্ত দেশ যদি মিয়ানমারকে ‘চাপ’ দেয়, তাহলে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সহজ হবে। তাই যে-কোনো বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিঙ্গাপুর সফরে প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে গ্রহণ করা হয়েছে, তা যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। প্রধানমন্ত্রী তার এই সফরকে সামনে রেখে দ্য স্ট্রেইটস টাইমসে একটি প্রবন্ধও লেখেন। তাতে তিনি রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজতে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে সিঙ্গাপুরের নেতাদের অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মধ্যেই এই এলাকার স্থিতিশীলতা ও উন্নতি নির্ভর করছে। সিঙ্গাপুর এখন আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছে। সুতরাং দেশটি যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার বাধ্য থাকবে। আমরা চাই সিঙ্গাপুর এই কাজটি করুক। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা হচ্ছে অর্থনৈতিক সহযোগিতানির্ভর। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিঙ্গাপুর সফরের মধ্য দিয়ে দু-দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হলো।

আলোকিত বাংলাদেশ ১৮ মার্চ ২০১৮

1 comments:

  1. Khub valo laglo pore. InshaAllah amder Bangladesh o ekdin Singapore er moto unnoyon shill rastre nijeke 1+din unnoyon korbe.sey diner opekhai...

    ReplyDelete