রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

হাসিনা-মোদি ভার্চুয়াল বৈঠক ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন গত ১৭ ডিসেম্বর। করোনাকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত advertisement advertisement সম্পর্ক একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত অতিক্রম করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০তম বছরেও পা রেখেছে বাংলাদেশ। ভার্চুয়াল বৈঠকের পর যে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে ভারত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি ও advertisement সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার আশ্বাস আবারও দিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন- ভারত, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের মধ্যে যে আঞ্চলিক সড়ক হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ যুক্ত হতে চায়। এ ধরনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিইও ফোরাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাইড্রোকার্বন বিষয়ে সহযোগিতা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাতি সংরক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও ভারতীয় জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও বরিশাল স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টসংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি। পরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সামিটে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় কাজ হয়ে যাওয়া নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করা হয়। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগের একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত ও বঙ্গবন্ধু-বাপুজি ডিজিটাল এক্সিবিশনের উদ্বোধন করেন। প্রস্তাবিত ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নতুন। ভারত যে তার ‘লুকইস্ট’ নীতি গ্রহণ করেছে, সে আলোকেই এই মহাসড়কটি এখন নির্মিত হচ্ছে। তবে এই মহাসড়ক নিয়ে খোদ ভারতেই কিছুটা বিতর্ক আছে। এই মহাসড়কটি শুরু হবে ভারতের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী গড়ৎবয-ঞধসঁ হয়ে মিয়ানমারের মান্দালয় ও নেইপিদো এবং বাগো শহর হয়ে শেষ হবে থাইল্যান্ডের গুধধিফফু-সধব ংড়ঃ শহরে। এই মহাসড়কের কিছু অংশ ভালো থাকলেও একটি অংশ অত্যন্ত খারাপ, যা ভারত এখন পুনর্নির্মাণ করছে। এই মহাসড়কের ব্যাপারে ভারতের স্বার্থ অনেক বেশি। কেননা ভারত যে অঝঊঅঘ-ওহফরধ ঋৎবব ঞৎধফব অৎবধ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তার জন্য এই মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ভারতীয় পণ্য সড়কপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যেতে পারবে এবং মুক্তবাণিজ্যের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। দ্বিতীয়ত, ভারত এই মহাসড়কটি কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায় ভারতের ঊধংঃ-ডবংঃ ঊপড়হড়সরপ ঈড়ৎৎরফড়ৎ-এর একটা অংশ। এই মহাসড়কটি যদি সম্প্রসারিত হয়, তা হলে ভারত মনে করছে ভারত-আশিয়ান বাণিজ্যে আরও ৭০ মিলিয়ন ডলার যোগ হবে (বর্তমানে এর পরিমাণ ১৪২ মিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায় ভারত)। এই মহাসড়কটির ব্যাপারে ভারতের মণিপুর রাজ্যে একটি মামলা চলমান। তবে ভারতের সুপ্রিমকোর্টের একটি বেঞ্চ (প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডের নেতৃত্বে) রায়ে বলেছেন- মহাসড়কের নির্মাণকাজ চলমান থাকতে পারে (এনডিটিভি, ১১ আগস্ট ২০২০)। ২০১৬ সালে ভারত এই ত্রিদেশীয় মহাসড়কের ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তিবলে ভারত ১২০.৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কধষবধি-ণধমুর সড়ক নির্মাণ করছে। একই সঙ্গে ১৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ঞধসঁ-কুরমড়হব-কধষবধি মহাসড়কে ৬৯টি ছোট ছোট ব্রিজ তৈরি করছে। মিয়ানমারে ভারতের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। ভারতের ‘লুক ইস্ট’ পলিসির সফলতা নির্ভর করছে মিয়ানমারের ওপর। পাঠক, নিশ্চয়ই কালাদান প্রজেক্টের কথা স্মরণ করতে পারেন। কালাদান প্রজেক্টের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দরের সঙ্গে সমুদ্রপথে ভারতের সাত বোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত মিজোরাম রাজ্যের রাজধানী আইজল সংযুক্ত হয়েছে। কলকাতা থেকে পণ্য ৫৩৯ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের সমুদ্রবন্দর সিটওয়েতে (রাখাইন) নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে কালাদান নদীর ১৫৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে নিয়ে যাওয়া হবে নদীবন্দর পালেটাওয়াতে (মিয়ানমারের চীন স্টেট)। এর পর ১৬২ কিলোমিটার মহাসড়ক হয়ে পণ্য যাবে আইজলে। ভারত এ জন্য সিটওয়ে সমুদ্রবন্দর উন্নত করছে, একই সঙ্গে মহাসড়ক উন্নয়নেও বিনিয়োগ করছে। ফলে বোঝাই যায়, মিয়ানমারের ব্যাপারে ভারতের স্বার্থ কেন এত বেশি। এখন বাংলাদেশ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে সংযুক্ত হওয়ার প্রস্তাব করছে। রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এই প্রস্তাবে ভারত রাজি থাকলেও মিয়ানমার নাও রাজি হতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হলে এই রুট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারত। বাংলাদেশ তার পণ্য নিয়ে সড়কপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যেতে পারত। ওই অঞ্চলে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হতে পারত। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশই লাভবান হতো। প্রস্তাবিত বিসিআইএস করিডরও সাফল্যের মুখ দেখত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় (জুন ২০১৪) কুনমিংয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি কুনমিং-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। চীনও এ ব্যাপারে তাদের সম্মতি দিয়েছিল। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সড়কপথে চীনা পণ্য বাংলাদেশে আসত। তাতে করে চীনা পণ্যের দাম কমে যেত। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এ প্রকল্পটি ঝুলে আছে। ফলে মিয়ানমার প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করবে কিনা, এটি একটি প্রশ্ন। ভার্চুয়াল বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কোভিড-১৯ সহায়তা নিয়ে আলোচনা চলছে নীরবে- এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। এই সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি বাংলাদেশের জন্য। কোভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলায় একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা দরকার। এ ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারি। বলা ভালো, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন কিনবে বাংলাদেশ। ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য যে ১ হাজার ২৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছিল, তার মাঝে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বায়োফার্ম অংঃৎধতবহবপধ কোভিড ১৯-এর যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে, তা এখন ভারতের পুনায় সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত হবে। সেরাম কর্তৃক উৎপাদিত ভ্যাকসিন (১ কোটি ডোজ প্রতি মাসে) দক্ষিণ এশিয়া তথা উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি আশীর্বাদ। ভারত জনবহুল দেশ। বাংলাদেশের জনসংখ্যাও ১৭ কোটির মতো। সুতরাং এই দুই দেশে করোনা ভ্যাকসিনের (দুই ডোজ নিতে হবে) চাহিদা বিশাল। সুতরাং সেরাম আমাদের চাহিদার একটি অংশ মেটাতে পারে। এমনকি বাংলাদেশের কোনো ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এ ভ্যাকসিনটি আগামীতে উৎপাদন করা যায় কিনা, তাও বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫০ বছরে পা দিয়েছে। মার্চ মাসে (২০২১) বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। এই সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি তার উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন। নিঃসন্দেহে তার উপস্থিতি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা দুই দেশের মাঝে বিরাজমান সমস্যার সমাধান হোক। বিশেষ করে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ইত্যাদির ব্যাপারে ভারত একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে- এ প্রত্যাশা বাংলাদেশের জনগণের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত সফর (২০১৭) কিংবা নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর (২০১৫) এবং এখন ভার্চুয়াল বৈঠকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তিস্তার পানিবণ্টনের। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বিশেষ করে মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে তিস্তাচুক্তি হয়নি। সমস্যাটা ভারতের। এর সমাধান ভারতকেই করতে হবে। এভাবে বারবার যদি আশ্বাস দেওয়া হয় এবং সমস্যার যদি কোনো সমাধান না হয়, তা হলে তা দুই দেশের বন্ধুত্বের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। অথচ ভারত-নেপাল সীমান্ত কিংবা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এ ধরনের হত্যাকা- হয় না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি এখন সম্পর্ক উন্নয়নের পথে অন্যতম অন্তরায়। এই ঘাটতির পরিমাণ এখন হাজার হাজার কোটি টাকা। ভারতীয় শুল্কনীতির কারণেই বাংলাদেশি পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না। সাফটা চুক্তিতে বেশ কয়েকটি পণ্যের ব্যাপারে শুল্কহ্রাসের কথা বলা হলেও, ভারত তা কার্যকর করেনি। ইতিপূর্বে ভারতের পক্ষ থেকে যে ৫১৩টি পণ্যের ছাড় দেওয়া হয়েছে, এর মাঝে ৩৫০টি পণ্য বাংলাদেশের পক্ষে কোনোভাবেই রপ্তানি করা সম্ভব নয়। ভারত বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কহার না কমালেও, বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের শুল্কহার কমিয়েছে। ১৯৯৩-৯৪ সালে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্কহার ধার্য ছিল শতকরা ৩০০ ভাগ। ১৯৯৪-৯৫ সালে তা কমিয়ে আনা হয় ৬০ ভাগে। এখন শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৫ ভাগে। দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দরে ট্রানজিট এবং ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধায় জাহাজযোগে ভারতীয় পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। অথচ নেপালে ত্রিদেশীয় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। ভারত এটা করছে দ্বিপক্ষীয়ভাবে (ভারত-নেপাল)। শুষ্ক মৌসুমের জন্য বাংলাদেশ (রাজবাড়ীর পাংশা থেকে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত) একটি জলাধার নির্মাণ করতে চায় (গঙ্গা ব্যারাজ), সে ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ‘নেইবারহুড ফাস্ট’ পলিসি। ভার্চুয়াল বৈঠক করে নরেন্দ্র মোদি তার অনুসৃত নীতিকে সামনে নিয়ে গেলেন। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলোর সমাধান করার। এতেই নিহিত রয়েছে তার ‘নেইবারহুড ফাস্ট’ পলিসির সফলতা। Amader Somoy 20.12,2020

0 comments:

Post a Comment