ট্রাম্পের বিদায় ও জনতুষ্টিবাদের ভবিষ্যৎ
23:15
No comments
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি নাম বারবার সংবাদপত্রের আলোচনায় এসেছে। হাঙ্গেরির ভিক্টর উরবান, পোল্যান্ডের জারোসলাভ কাজানিস্ক্রি, ব্রাজিলের বলসোনারো, ব্রিটেনের বরিস জনসন ও নাইজেল ফারাজ, ফ্রান্সের লি পেন এবং ইতালির মাত্তিও সালভিনির নাম গত চার বছরে ট্রাম্পের পাশাপাশি উচ্চারিত হয়েছে।
ট্রাম্পকে তারা আদর্শ হিসেবে মানতেন এবং তাকে অনুসরণ করতেন। তারা নিজ নিজ দেশে ‘পপুলিজম’ বা জনতুষ্টিবাদের জন্ম দিয়েছিলেন। যেমন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর কথা উল্লেখ করা যায়। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, তার আদর্শ হচ্ছেন ট্রাম্প। তিনিও ট্রাম্পের মতো মনে করতেন করোনাভাইরাস বলে কিছু নেই। ট্রাম্পের মতো মুখে মাস্ক ব্যবহার তিনি করেন না এবং জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনো করোনা টিকা গ্রহণ করবেন না। এখন ট্রাম্পের বিদায়ের পর তাদের কী হবে? বলসোনারো, ভিক্টর উরবান, স্লোভেনিয়ার জানেজ জানসা- তাদেরও পতন কি আসন্ন? ট্রাম্প তার শাসনামলে যে উগ্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী রাজনীতির (যাকে অনেকে ট্রাম্পইজম হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন) জন্ম দিয়েছিলেন, তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে এর কি অবসান ঘটবে?
এসব এখন আলোচনার বিষয়। ট্রাম্প বলতেন ‘America First’, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম। সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করবে যুক্তরাষ্ট্র, তাদের কথায় বিশ্ব চলবে। কিন্তু ট্রাম্পের কথায় বিশ্ব চলেনি। বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তির দেশ হওয়া সত্ত্বেও কোভিড-১৯-এর কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর কারণ হচ্ছে, ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে আদৌ গুরুত্ব দেননি। তিনি নিজে স্বাস্থ্যবিধি মানতেন না। এখনও মানেন না, যখন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ আঘাত করেছে। আমরা হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও বেলারুশের দৃষ্টান্ত দিতে পারব, যেখানে করোনাভাইরাসকে ইস্যু করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা হয়েছে।
গত ৩০ মার্চের (২০২০) হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এ আইন বলে প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর উরবানকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট এ সিদ্ধান্ত নিল। এ আইন বলে তিনি ডিক্রি জারি করে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায়ও থাকতে পারবেন। তার কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে পার্লামেন্টে জবাবদিহি করতে হবে না। তিনি ইচ্ছা করলে দেশে প্রচলিত যে আইন রয়েছে, সেই আইনের বিরুদ্ধে যেতে পারবেন। প্রয়োজন হলে সংবিধান স্থগিত রাখতে পারবেন। ভিক্টর উরবান করোনাভাইরাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সব ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন। এটা হচ্ছে একটা দৃষ্টান্ত, যেখানে ক্ষমতাসীনরা পৃথিবীর কয়েকটি দেশে এ ধরনের আইন পার্লামেন্টে পাস করিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। করোনাভাইরাস তাদের সবার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। নিঃসন্দেহে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করেছে। এ সংকটকে কেন্দ্র করে এ থেকে সুবিধা নেয়া, পার্লামেন্টে বিশেষ আইন পাস করে সব ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেয়া প্রকারান্তরে একনায়কতন্ত্রী মানসিকতারই প্রতিফলন। উল্লেখ্য, একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব ইউরোপে দু’দুটো বিশ্বযুদ্ধের জন্ম দিয়েছিল- এর ইতিহাস মানুষ জানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্যাসিবাদের ভস্মস্তূপ থেকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। এখন সেই ইউরোপেই, পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতন তথা ‘ভেলভেট রেভ্যুলেশন’ (সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ায় ভাসলাভ হাভেলের নেতৃত্বে) সেখানে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বীজ বপন করলেও ভিক্টর উরবানের মতো ব্যক্তিরা এখন তার ‘কবর’ রচনা করতে চলেছেন। ২০১৮ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন।
শুধু হাঙ্গেরিতে উরবানের ঘটনাকে আমরা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে ভাবতে পারতাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব সামনে রেখে বেশ কয়েকটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমরা বিশ্লেষণ করেছি। তাতে আমরা একই ধরনের প্রবণতা লক্ষ করেছি; অর্থাৎ সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে বিশেষ আইন প্রণয়ন, শীর্ষ নেতৃত্বের ক্ষমতা কুক্ষিগত করা, পার্লামেন্টের ক্ষমতা কমানো, বিরোধী নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করা ইত্যাদি। আমরা আজারবাইজান, রাশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, পোল্যান্ড, ইসরাইল বা তুরস্কেরও দৃষ্টান্ত দিতে পারব। এসব দেশ গণতন্ত্রের প্রতি ‘কমিটমেন্টে’র কথা বলেছে। তাদের স্ব-স্ব দেশের সংবিধানে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সুযোগে তারা এখন নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের হাতকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকার একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
করোনাকালে আমরা বেলারুশের সর্বশেষ ঘটনা উল্লেখ করতে পারব। এ দেশটি একসময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে বেলারুশ স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আলেকজান্ডার লুকাসেনকো। ১৯৯৪ সাল থেকেই তিনি ক্ষমতায়। পঞ্চমবারের মতো তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এবং ষষ্ঠবারের জন্য ৯ আগস্ট (২০২০) তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা করা হলেও নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাভিতলানা সিকানউস্কায়া, যিনি প্রাণের ভয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ১৭ আগস্ট (২০২০) সেখানে স্মরণকালের বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে ব্যাপক শ্রমিক সমাবেশ ঘটেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলছে। দীর্ঘ ২৬ বছরের শাসনামলে লুকাসেনকো এককভাবে দেশ চালাচ্ছেন। কোভিড-১৯-এর সুযোগ নিয়ে তিনি অনেক ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন।
অন্যদিকে আজারবাইজানের দীর্ঘদিনের শাসক ইলহাম আলিয়েভ ক্ষমতায় আছেন ২০০৩ সাল থেকে। তার বাবা হায়দার আলিয়েভও সেদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ইলহাম করোনাভাইরাসের কারণে সভা-সমিতি নিষিদ্ধ করেছেন। তাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৫ এপ্রিল (২০২০)। অথচ জাতিসংঘ ও হু’র পক্ষ থেকে বারবার সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হয়েছিল। সিঙ্গাপুর সরকার নাগরিকদের ‘ডাটা’ সংগ্রহ করছে, যা মানুষ মেনে নিয়েছে বলেই মনে হয়। এ কারণেই সিঙ্গাপুরে মৃতের সংখ্যা কম। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুর্তাতে জুলাই মাসে (২০২০) আইন পাস করে নিজের হাতে অনেক ক্ষমতা নিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে ‘সামাজিক দূরত্বে’র বিষয়টি বাস্তবায়ন করছেন। প্রয়োজনে তিনি গুলি করারও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রেসকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে জরুরি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ করতে প্রধানমন্ত্রী নতুন ডিক্রি জারি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রযুত চান-ওচা তার ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করছেন। হাঙ্গেরির মতো পোল্যান্ডও একদলীয় পথে হাঁটছে। ক্ষমতাসীন ‘ল’ অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি’ সব ধরনের উপদেশ ও সাজেশন উপেক্ষা করে জুন মাসে (২০২০) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। সেখানে আদৌ কোনো ‘লকডাউন’ কাজ করেনি। করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলকে কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে না দিয়ে দলীয় প্রার্থী আন্দ্রেই দুদাকে পাস করিয়ে এনেছে দলটি। সেখানে নতুন আইন প্রণয়ন করে সরকারকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তুর্কমেনিস্তানে করোনা শব্দটি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে আইন করে। কম্বোডিয়ায় হুন সেন করোনার সুযোগে নিজের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করেছেন। বিরোধী দল ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির শীর্ষস্থানীয় সব নেতাকে গ্রেফতার করে তিনি কার্যত দেশটিতে একদলীয় শাসন চালু করেছেন। হুন সেন ১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতায়। আমরা আরও কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিতে পারব, যেসব দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের সুযোগ নিয়ে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করেছেন। ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল চার্জ’ থাকা সত্ত্বেও তিনি আইন করে বিরোধীদলীয় সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন, যাতে তার বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন গড়ে না ওঠে। তিনি বিরোধী দলকে ভেঙে এখন একটি কোয়ালিশন সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বলতে দ্বিধা নেই, এদের সবারই আদর্শ হচ্ছেন ট্রাম্প। এরা ট্রাম্পের আদর্শকে ধারণ করে জনতুষ্টিবাদের জন্ম দিয়েছেন। অ্যান্টি-ইসলামিজম, বিরোধী দলকে নিয়ন্ত্রণ, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করা, কিংবা এককভাবে ক্ষমতা চালানো- এসবই হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ। এ ক্ষেত্রে অদ্ভুত এক মিল আছে তাদের সবার মাঝে। এখন ট্রাম্পের বিদায়ের ফলে এদের কি হবে? ট্রাম্পের বিদায় কি সেখানে গণঅভ্যুত্থানের জন্ম দেবে? ট্রাম্পের সঙ্গে এদের পার্থক্য একটাই- যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এখনও শক্তিশালী থাকায় হাজারও ফন্দি-ফিকির করেও ট্রাম্প ক্ষতায় থাকতে পারছেন না। কিন্তু ভিক্টর উরবান, আর হুন সেনরা ক্ষমতায় আছেন এবং থাকছেন। গণতান্ত্রিক কোনো মূল্যবোধ এ ক্ষেত্রে কাজ করছে না। ট্রাম্পের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আদৌ বিদায় ঘটবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। তবে এটা তো ঠিক, করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে এসব নেতা প্রশাসনকে যেভাবে সাজিয়েছেন, ট্রাম্পের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সাজানো প্রশাসন হঠাৎ করেই ভেঙে পড়বে না। ‘কালার রেভ্যুলেশন’ হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। বেলারুশ কিংবা থাইল্যান্ডের পরিস্থিতি বলে দেয় পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। বেলারুশ ও থাইল্যান্ডে গণআন্দোলন হলেও সরকারের পরিবর্তন হয়নি সেখানে। কম্বোডিয়ায় দীর্ঘদিনের শাসক হুন সেন তার ছেলেকে (হুন মানেত) ক্ষমতায় বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন। তার ছেলে এখন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। করোনাভাইরাসের কারণে রাজনীতি সেখানে এখন নিয়ন্ত্রিত। তথাকথিত গণতন্ত্র সেখানে আছে বটে; কিন্তু ওই গণতন্ত্রে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই। বিরোধী দলের অস্তিত্ব নেই। সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রিত। আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা আদৌ সম্ভব হবে কিনা, এটা একটা মৌলিক প্রশ্ন।
করোনাভাইরাস একটি বাস্তবতা। কিন্তু করোনার সুযোগ নিয়ে তথাকথিত ‘পপুলিজমে’র জন্ম সাময়িকভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারলেও জনগণের মঙ্গলের জন্য এটা কোনো ‘মডেল’ হতে পারে না। ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ একনায়কতন্ত্র চালু করতে চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। তবে যে রাজনীতির তিনি জন্ম দিয়ে গেছেন, তা হঠাৎ করেই চলে যাবে না। বলা হচ্ছে, ট্রাম্প চলে গেলেও ‘ট্রাম্পইজম’ থাকবে! অর্থাৎ তার কট্টর মতাদর্শের প্রভাব কিছুটা হলেও থেকে যাবে। উরবানরা ইউরোপে ‘অ্যান্টি-ইসলামে’র ধুয়া তুলে সেখানকার জনগণকে বিভক্ত করে ফেলেছেন। একদিকে খ্রিস্টধর্ম, অন্যদিকে ইসলাম। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন, ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা (শরণার্থী) সেখানে আশ্রয় পায়নি। এখন তাদের অনুপ্রেরণার জায়গাটা হয়তো থাকল না; কিন্তু আদর্শ তো থেকে গেল। মুসলিমবিদ্বেষ তো হঠাৎ করে চলে যাবে না। হয়তো আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে ইউরোপকে আগের জায়গায় ফিরে যেতে। ফলে আশঙ্কা করছি, ট্রাম্প চলে গেলেও ‘পপুলিজম’ থেকে যাবে এবং ২০২১ সালে এটা হবে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিষয়
Jugantor
6.12.2020
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment