অনিশ্চিত গন্তব্যে মিয়ানমার
22:40
No comments
মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের প্রায় দুই সপ্তাহ পার হওয়ার পরও দেশটির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। একদিকে সামরিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে, অন্যদিকে সেনাবাহিনী তাদের অবস্থানও শক্তিশালী করেছে। কতগুলো বিষয় এখানে লক্ষণীয়। এক. সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন তিনি নির্বাচন দেবেন। আপাতত এক বছর দেশে জরুরি অবস্থা থাকবে। দুই. নির্বাচন দিলেও অং সান সু চির ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু? তিন. সেনা বিদ্রোহের বিরুদ্ধে যে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, তা কি ২০০৭-২০০৮ সালের ‘স্যাফরন রেভ্যুলেশনে’র মতো একটি বিপ্লব তথা গণজোয়ার সৃষ্টি করতে পারবে? চার. মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমার সরকারের একশ’ কোটি ডলার সেনাবাহিনী যাতে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাঁচ. সেনা অভ্যুত্থান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে বড় অনিশ্চয়তায় ফেলে দিল কিনা?
আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা শেষ পর্যন্ত একটি নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। ধারণা করছি, এ নির্বাচনটি চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের প্রথমদিকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে এতে করে ক্ষমতার পালাবদলের সম্ভাবনা কম। পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেই ১৯৮৭-৮৮ সালের গণবিক্ষোভের সময় জেনারেল উ সান ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন সিভিলিয়ান মং মং। ১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেল সু মং তাকে উৎখাত করেন। এরপর জেনারেলরা নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। ১৯৯০ সালের ২৭ মে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল বিজয়ী হলেও তাকে ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, বরং বন্দি করা হয়েছিল। এর অনেক পরে ১৯৯৭ সালে সেনাবাহিনী গঠন করেছিল ‘স্টেট পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল’। এরাই পরে গঠন করে ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’। এ দলটি সেনাবাহিনী সমর্থিত। এ দলটিকে সামনে রেখেই সেনাবাহিনী তাদের স্বার্থ আদায় করে। যদিও সর্বশেষ নির্বাচনে (২০২০) দলটি ভালো করেনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে জেনারেল মিন অং হ্লাইং এখন এই দলটিকে সামনে রেখে নির্বাচন দিতে পারেন এবং দলটিকে ‘বিজয়ী’ করে নিজের ক্ষমতা আরও বাড়াতে পারেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এখন অং সান সু চির বিচার হবে। তাতে ফৌজদারি অপরাধে তিনি দণ্ডিত হবেন (?) এবং আগামী নির্বাচনে তিনি অযোগ্য ঘোষিত হবেন-এ ধরনের একটি ‘গুজবে’র জন্ম হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, সেনাবাহিনী এ ধরনের দল গঠন করে। ইন্দোনেশিয়ায় সুহার্তো জমানায় ‘গোলকারে’র জন্ম দিয়ে সংসদে সেনা সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। মিয়ানমারের মডেল অনেকটা তেমনি। এর মধ্য দিয়ে অং সান সু চির ‘রাজনৈতিক জীবনে’রও ‘মৃত্যু’ হতে যাচ্ছে! ১৯৪৫-এ জন্ম নেওয়া সু চির বয়স এখন ৭৫। তার পক্ষে আর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা সম্ভব হবে না। ২০২২ সালে যে নির্বাচন হবে, আর তাতে যদি তিনি অংশ নিতে না পারেন, তাহলে তার কোনো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আর থাকবে না। শুধু তাই নয়, তার দল এনএলডিকেও ভেঙে ফেলতে পারেন জেনারেল হ্লাইং। অতীতেও এরকমটি হয়েছিল। ২০১০ সালের নির্বাচনে এনএলডি অংশ নেয়নি। পরে উপনির্বাচনে (এপ্রিল, ২০১২) বিজয়ী হয়ে সু চি পার্লামেন্টে এসেছিলেন (তার দল উপনির্বাচনের ৪৫টি আসনের মাঝে ৪৩টিতে বিজয়ী হয়েছিল)।
২০২১ সালে পরিস্থিতি ভিন্ন। রোহিঙ্গা গণহত্যায় প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীকে সমর্থন করায় এবং সেখানে কোনো গণহত্যা হয়নি বলে দাবি করায় আন্তর্জাতিক পরিসরে সু চির গ্রহণযোগ্যতা এখন আর নেই। কৌশলে সেনাবাহিনী তাকে ব্যবহার করে এখন ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর এখন আর সু চিকে প্রয়োজন নেই। তবে ইতোমধ্যে আমরা একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির খবর পেয়েছি। ১০ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের দৈনিক The Irrawaddy খবর দিয়েছে, নির্বাচিত সংসদের (২০২০) এনএলডির সদস্যরা সেনাবাহিনীর আদেশ উপেক্ষা করে সংসদের অধিবেশন আহ্বান করে অং সান সু চিকে আবার স্টেট কাউন্সেলর হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। ‘NLD's Self-Declared Parliament Reappoints Daw Aung San Suu Kyi as Myanmar's Leader’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে শুধু বলা হয়েছে, নির্বাচনে বিজয়ী এনএলডির সদস্যরা স্বঘোষিত পার্লামেন্টের অধিবেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে সেনাপ্রধান জেনারেল হ্লাইংয়ের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল। এ ঘটনা কার্যত এই মুহূর্তে মিয়ানমারে দুটি সরকারের অস্তিত্বের কথা বলে। এটা এখনো স্পষ্ট নয় এনএলডির এ স্বঘোষিত সরকার(!) কিভাবে এবং কোত্থেকে কাজ করবে। এ ঘোষণার ফলে অং সান সু চি এখন রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগেও অভিযুক্ত হতে পারেন। সেনাবাহিনী যে এনএলডিকে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ মনে করছে, তার বড় প্রমাণ গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী এনএলডির সদর দপ্তরে হামলা চালায় এবং সেখানে ভাঙচুর করে (বিবিসি, ইউরো-উইকলি, ১০ ফেব্রুয়ারি)। এর অর্থ হচ্ছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেনি। এখন দেখার পালা সেনাবাহিনীকে এনএলডি কতটুকু চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। তবে এখানে সেনাবাহিনীর একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, অত্যন্ত ক্ষমতাবান ও প্রভাব বিস্তারকারী বৌদ্ধ ভিক্ষু তথা ধর্মীয় ব্যক্তিরা রাজপথে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হননি। ২০০৭ সালে স্যাফরন রেভ্যুলেশন সংগঠিত করেছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা। এখন অবধি এই ধর্মীয় নেতারা সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যাপারে নীরব রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে এনএলডির সমর্থকরা যদি বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের সংগঠিত করতে পারেন, তাহলে তা সেনাপ্রধান জেনারেল হ্লাইংকে যে চাপে রাখবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আওতায় রয়েছে শীর্ষ জেনারেলদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ নিষিদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ানমারের যে সম্পদ রয়েছে তা ফ্রিজ করা, মিয়ানমারের আমদানি-রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ ইত্যাদি। বাইডেন দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সেনাপ্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ এখন ‘ফ্রিজ’ থাকবে (Nikkei Asia, ১১ ফেব্রুয়ারি)। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং জাতিসংঘ সু চির গ্রেফতার ও সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু তা কি জেনারেল হ্লাইংকে বাধ্য করবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে? আমার তা মনে হয় না। মিয়ানমারের অতীত আমরা জানি। দেশটি অতীতে জাতিসংঘ ছেড়ে গিয়েছিল। সনাতন ডিপ্লোমেসিতে তারা বিশ্বাস করে না। তাদের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। তারা জানে, প্রাকৃতিক সম্পদের কারণেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের দেশে আসবেন। তাই কোনো ধরনের স্যাঙ্কশন বা ব্যবস্থা মিয়ানমারের জান্তাকে বাধ্য করবে না ক্ষমতা সিভিলিয়ানদের কাছে ফিরিয়ে দিতে। International Crisis Group-এর Richard Horsey'র মতে, ‘Sanctions are important symbolically. They may have some impact on the margins, but we shouldn't pretend they are going to change the behavior of the Military' (FP, ১১ ফেব্রুয়ারি)। এটাই হচ্ছে আসল কথা। চীন, রাশিয়াসহ বৃহৎ শক্তিগুলোর অর্থনৈতিক ও স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ রয়েছে মিয়ানমারে। এই স্বার্থ তারা অস্বীকার করতে পারবে না। তাদের কাছে ‘রাষ্ট্র টু রাষ্ট্র’ সম্পর্কই বড়। মিয়ানমারে কোন ধরনের সরকার থাকবে, এটা তাদের বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হচ্ছে ‘ব্যবসা’। তারা ব্যবসা বোঝে। চীনের পর সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ থাইল্যান্ডের। তারপর জাপানের স্থান। এ কারণেই থাইল্যান্ড কোনো নেতিবাচক মনোভাব দেখায়নি। তারা সরকারের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায়।
ব্যবসায়িক স্বার্থ যেখানে বেশি, সেখানে রাজনৈতিক স্বার্থ গৌণ হয়ে যায়। আর তাই রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক আলোচিত হলেও জাপান, থাইল্যান্ড, চীন, এমনকি ভারতও মিয়ানমারে বিনিয়োগ করতে পিছপা হয়নি। চীনের বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে আলোচিত। আর ভারতের বিনিয়োগ এবং মিয়ানমারের ব্যাপারে ভারতের আগ্রহ সম্প্রতি আলোচিত হয়েছে। আমরা কিছু তথ্য দিতে পারি, যাতে বুঝতে সহজ হবে মিয়ানমারের ব্যাপারে তাদের স্বার্থ কোথায়। ১. ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগ ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই অর্থ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। অক্টোবর (২০১৯) থেকে সেপ্টেম্বর (২০২০) পর্যন্ত ২৩৪টি ‘ফরেন ইনভেস্টমেন্ট’ রেকর্ড হয়েছে সেখানে (মিয়ানমার টাইমস, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০), ২. রেঙ্গুনে নতুন একটি শিল্পপার্ক গড়ে তুলছে জার্মান ফার্ম রোলান্ড বার্জার। এখানে অর্থের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থের বিনিময়ে জার্মান ফার্ম তৈরি করবে ব্রিজ, সড়ক ও ১০ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে একটি শিল্পপার্ক (The Irrawaddy, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০), ৩. গত ১০ মাসে মিয়ানমারে পাওয়ার সেক্টরে বিনিয়োগ এসেছে ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার (মিজ্জিমা, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০), ৪. ফিলিপাইনের জিকল্যাব ডিজিটাল কোম্পানি মিয়ানমারে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে, ৫. শ্রীলংকা মিয়ানমারের ট্যুরিজম সেক্টরে বিনিয়োগে উৎসাহ দেখিয়েছে।
আমি আমার একাধিক লেখায় বলার চেষ্টা করেছি, মিয়ানমারে চীনা স্বার্থ সবচেয়ে বেশি। ১৯৮৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চীন মিয়ানমারে বিনিয়োগ করেছে ২০.২৪ বিলিয়ন ডলার। ওই সময় মিয়ানমারে যত বিনিয়োগ এসেছে, তার মধ্যে চীনের বিনিয়োগ ছিল সবচেয়ে বেশি। চীন মিয়ানমারের পাওয়ার সেক্টরে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে। মোট বিনিয়োগের শতকরা ৫৭ ভাগ এই সেক্টরে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর পরের অবস্থান তেল ও গ্যাস সেক্টরে, বিনিয়োগের পরিমাণ শতকরা হিসাবে ১৮ ভাগ।
মিয়ানমার চীনের সীমান্তবর্তী দেশ। এক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বন্ধনটা ঐতিহাসিক। একজন গবেষক ও লেখক Maung Aung গুড়ব চীন-মিয়ানমার সম্পর্ককে উল্লেখ করেছেন ‘Pauk-Phaw' হিসাবে। ‘Pauk-Phaw' বার্মিজ শব্দ। এর মধ্য দিয়ে জাতিগতভাবে দুদেশের মাঝে যে মিল আছে, তা উল্লেখ করা হয়েছে। দুদেশের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে বার্মিজ নেতারা অতীতেও এ শব্দ ব্যবহার করেছেন। ভারত মহাসাগরে চীনের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। চীনের ‘জ্বালানি ক্ষুধা’ মেটানোর স্বার্থে দেশটি ভারত মহাসাগরে নির্বিঘ্নে তার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। এ কারণেই বঙ্গোপসাগর থেকে কিয়াউকপিউতে (রাখাইন) সমুদ্রবন্দরটি চীন নির্মাণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে চীনের স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে মিয়ানমার একটি অংশ। খুব সংগত কারণেই রোহিঙ্গা ইস্যুটি চীনের কাছে তাই প্রাধান্য পায়নি কখনো। এক সময় চীন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমারের অসহযোগিতার কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রশ্নে কোনো জট খোলেনি।
এই যখন পরিস্থিতি তখন চীন কখনো মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যাবে বলে মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীন, এমনকি জাপানও কোনো ধরনের ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার বিরুদ্ধে থাকবে। আর সামরিক জান্তার প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে এখানেই। সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেছে ক্ষমতা সিভিলিয়ানদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিরুদ্ধে জনমত যেমন বাড়ছে, তেমনি সেনাবাহিনীও শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করা হচ্ছে। স্পষ্টতই মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
Jugantor
14.2.2021
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment