টিকা ছাড়া মুক্তি নেই
21:15
No comments
গেল সপ্তাহে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল করোনা টিকা। ২৭ জানুয়ারি বহুল আলোচিত করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। এর আগে ২১ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত ২০ লাখ ডোজ ভারতের উপহার হিসাবে ঢাকায় পৌঁছায়। এটাকে বলা হচ্ছে মৈত্রীর করোনা ভ্যাকসিন। ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটানে দেড় লাখ, নেপালে ১০ লাখ, মালদ্বীপে এক লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ পাঠিয়েছে।
পরে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যে চুক্তি হয়, সে চুক্তি মোতাবেক সেরাম বাংলাদেশকে প্রথম চালান হিসাবে ৫০ লাখ ডোজ পাঠিয়েছে। সরকার এক ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বলা হচ্ছে, প্রতিদিন ২ লাখ মানুষ টিকা পাবেন। এ হিসাবে প্রথম দুই মাসের প্রতি মাসে ৬০ লাখ মানুষ টিকাদানের আওতায় আসবে। তবে কিছুটা সমস্যা যে নেই, তা বলা যাবে না। করোনাভাইরাস টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে সুরক্ষা নামের একটি অ্যাপে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ অ্যাপটি তৈরি করে ২৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছে। ২৬ জানুয়ারি থেকে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনও শুরু হয়েছে।
তবে দুঃখজনক হচ্ছে, এ টিকা নিয়েও রাজনীতি হচ্ছে। প্রতিটি ইস্যুতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যখন পরস্পরবিরোধী অবস্থান, ঠিক তখনই টিকা নিয়েও বড় দুই দলের মাঝেও বিরোধ আমরা লক্ষ করি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি যখন বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে সরকার বিএনপিকে নিধন করতে চায়’, তখন ওবায়দুল কাদের বললেন, ‘টিকা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি’ (সময়ের আলো, ২৫ জানুয়ারি)। আবার মির্জা ফখরুল ইসলাম যখন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি প্রথম টিকাটি নিন’, তখন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বললেন, ‘ভ্যাকসিন নিতে সন্দেহের কারণ রয়েছে’ (সময়ের আলো, ২৫ জানুয়ারি)। যদিও এই ‘সন্দেহ’ কেন, তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি। বৈজ্ঞানিকভাবে এটা প্রমাণিত যে, টিকা ছাড়া কোভিড-১৯ থেকে মুক্তি নেই। অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষকে টিকা নিতে হবে।
ছোটবেলায় আমাদের সবার টিকা নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শিশুদের এখন পর্যায়ক্রমে ৬টি টিকা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে লাখ লাখ শিশুর জীবন রক্ষা পেয়েছে। কোভিড-১৯ যেমন একটি বাস্তবতা; ঠিক তেমনি টিকাও একটি বাস্তবতা। আমরা ভারত থেকে বিনামূল্যে কিছু টিকা পেয়েছি; কিছু আমরা কিনেছি, যার প্রথম চালান এসেছে। ৩ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা আমরা কিনব। এগুলো আসবে ভারত থেকে। রাশান টিকাও আসছে। এখন শোনা যাচ্ছে, চীনও তার টিকা নিয়ে বাংলাদেশে ট্রায়াল করবে। যৌথভাবে চীন বাংলাদেশেও টিকা উৎপাদন করতে চায়। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে করোনা টিকাটা জরুরি। কেননা ২৭ জানুয়ারির খবর- ‘দেশে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থের চেয়ে আক্রান্ত বেশি।’ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৃত্যুর সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থান (বিডিনিউজ২৪.কম, ২৭ জানুয়ারি)।
করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরনের কথাও আমরা শুনেছি। ব্রিটেনসহ আরও কয়েকটি দেশে আবার ‘লকডাউনের’ খবরও সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। বিশ্বে ইতোমধ্যে করোনা শনাক্ত ছাড়াল ১০ কোটি আর মৃত্যু প্রায় ২২ লাখের কাছাকাছি। মৃত্যুতে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় পর্যায়ক্রমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (মৃত্যু ৪৩৩১৭৫), ব্রাজিল (২১৭৮০৬), ভারত (১৫৩৭২০), মেক্সিকো (১৫০২৭৩)। বাংলাদেশ অত্যন্ত জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখানে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ক্ষেত্রে টিকা নিয়ে কোনো বিতর্কই কাম্য নয়। এটা ঠিক, টিকায় কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে; তবে তা মারাত্মক নয়। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে যে টিকাটি দেওয়া হচ্ছে, তা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড। সেরাম ইনস্টিটিউট পৃথিবীর বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক; যারা প্রতিমাসে ৫ কোটি টিকা তৈরি করে। কোম্পানিটি ইতোমধ্যে তাদের উৎপাদিত টিকা মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার ও সেশেলসে পাঠিয়েছে।
শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, মরিশাস ও ব্রাজিলেও বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় এ টিকা পাঠানো হবে। তবে যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কেননা ‘ইন্ডিয়া টুডে’র টিভি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এ টিকায় L-Histamine Hydrochloride ও Disodium edentate dehydrate নামে দুটি উপাদান রয়েছে, যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তরপরও ভারতে লাখ লাখ মানুষ এ টিকা গ্রহণ করছে। কোভিশিল্ড দেওয়া হলে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অ্যান্টিবডি তৈরি করতে শুরু করে এবং যে কোনো রকম করোনাভাইরাস দেহে ঢুকে পড়লে, তাকে আক্রমণ করতে শিখে যায়। আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি প্রথমে আধা ডোজ এবং পরে পুরো ডোজ দেওয়া হলে, তার কার্যকরিতা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হয় (বিসিসি বাংলা, ২৭ জানুয়ারি)।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এ ভ্যাকসিন একটি বৈষম্য বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ধনী দেশগুলো তাদের আর্থিক সক্ষমতার জোরে আগেভাগেই ভ্যাকসিন প্রি-অর্ডারের মাধ্যমে লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে। যে কারণে গরিব দেশগুলো ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে, ভ্যাকসিন নিয়ে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আবার অন্যরকম বিভাজন তৈরি হয়েছে। টিকা বিতরণ নিয়ে সেখানে একটা সংকট তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক করে বলেছে, তারা করোনা টিকা রপ্তানির বিধি কঠোর করতে পারে। পরিকল্পনা অনুযায়ী যে পরিমাণ টিকা ইইউ’র ২৭টি দেশে সরবরাহের কথা, অ্যাস্ট্রাজেনেকা তা সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ইইউ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে।
একদিকে টিকাপ্রাপ্তি, অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়- উঠতি অর্থনৈতিক শক্তির দেশগুলো আছে মহাসংকটে। বাংলাদেশ কেন, ভারতের মতো দেশও মহা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ভারত করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে। এ অর্থ গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষদের কাজে ব্যবহার হবে। বিশ্ব অর্থনীতির পরিমাণ (২০১৯) ৮৮ হাজার বিলিয়ন ডলার। করোনাভাইরাসের কারণে এ অর্থনীতিতে এখন শ্লথ গতি আসবে। অর্থের পরিমাণ বছর শেষে কমে যাবে। ২০১৯ সালে বিশ্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৯ ভাগ। ২০২০ সালে এ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩ দশমিক ৩ ভাগ। কিন্তু এখন নিশ্চিত করেই বলা যায়, এ প্রবৃদ্ধি আরও এক ভাগ কমে গেছে।
সবচেয়ে বড় ক্ষতি হতে যাচ্ছে উন্নয়নশীল বিশ্বের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা এ দেশগুলোর পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠবে না। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ব্যর্থতা, বেকার সমস্যা বেড়ে যাওয়া, রপ্তানি খাতে ধস ইত্যাদি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বড় সংকটের মধ্যে ফেলে দেবে। বলা ভালো, বৈশ্বিক রপ্তানিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থান এখন অনেক শক্তিশালী। বৈশ্বিক রপ্তানিতে ২০০০ সালে যেখানে এ দেশগুলোর অবস্থান ছিল শতকরা ২৯ দশমিক ৭ ভাগ; ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ ভাগে। আর ২০১৯ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ অবস্থান ছিল শতকরা ৪৪ ভাগ। এতে এখন ধস নামবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো এখন তাদের বাজার হারাবে।
বাংলাদেশের কথা যদি বলি, তাহলে বলতেই হবে- বাংলাদেশের অর্থনীতি রয়েছে ঝুঁকির মুখে। এ কথা স্বয়ং অর্থমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের প্রধানত উৎস দুটি। এক. রেমিটেন্স দুই. তৈরি পোশাক শিল্প। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে রেমিটেন্স এসেছে ১২৭৬৯ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১০৭৬১.৫৯ মিলিয়ন ডলার। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এ রেমিটেন্স খাতে একটি ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যেহেতু বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটা মন্দাভাব আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেহেতু মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। নির্মাণ শিল্পে শ্লথ গতি আসবে, ফলে বেকার হয়ে পড়বে শত শত কর্মী, যার একটা অংশ সরবরাহ করা হয় বাংলাদেশ থেকে। যেহেতু বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়ার কথা বিশ্ব মিডিয়ায় ছাপা হয়েছে, ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না।
বাংলাদেশের অপর একটি বৈদেশিক আয়ের উৎস তৈরি পোশাক শিল্প। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ হচ্ছে আমাদের বড় বাজার। এ খাতে ২০১৯ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) বাংলাদেশের আয় ছিল ৩০ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে ছিল ৩২ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। এখন এই সেক্টরে বড় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আড়াইশ’ কোটি ডলারের ক্রয় আদেশ বাতিল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো এখন ক্রেতাশূন্য। একই কথা ইউরোপের প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোর বড় বড় শহর ছিল ‘লক ডাউন’-এ। যেখানে মানুষ জীবন-মৃত্যুর মাঝে বসবাস করছে, সেখানে তৈরি পোশাক কিনবে কে?
এতো গেল বাংলাদেশের কথা। আফ্রিকায় রয়েছে খনিজসম্পদ, বিশেষ করে কপার ও জিঙ্ক। এর বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। এ বাজার এখন নেই। কোনো অর্ডার মিলছে না। মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দাম পড়ে গেছে। জানুয়ারিতে যে তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলার, তা এখন ৫০ ডলারে নেমে এসেছে। শতকরা আরও ২০ ভাগ দাম পড়ে যেতে পারে। ২০ ডলারে দাম চলে আসতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। ফলে এর একটি প্রতিক্রিয়া থাকবেই। করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দেশ Failed State বা ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। কেননা এসব রাষ্ট্র, বিশেষ করে আফ্রিকার রাষ্ট্রগুলো স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে না। প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাবে না। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে ধরনের প্রশিক্ষিত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী থাকা দরকার, তা তাদের নেই। ফলে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের ব্যর্থতা অনেক রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই করোনা টিকা নেওয়া শুরু হয়েছে। এটা একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। দুই ডোজ করে নিতে হবে। এ জন্য দরকার কোটি কোটি ডোজ ভ্যাকসিন। বিশ্বে এখন প্রায় ২০০টির মতো প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রি-ট্রায়ালে রয়েছে ১৫৪টি ভ্যাকসিন। চীনের সিনোফার্ম ও উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস চূড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার গামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি ভ্যাকসিনও ট্রায়ালে রয়েছে। তারপরও অতি দ্রুত বিশ্বের সব জনগোষ্ঠীকে একসঙ্গে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। এটা দীর্ঘস্থায়ী একটা ব্যাপার; হয়তো ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এখন অবধি ইসরায়েলের ৪১.৮ ভাগ জনগোষ্ঠী, আরব আমিরাতের ২৫.১ ভাগ জনগোষ্ঠী, যুক্তরাজ্যের ১০.১ ভাগ, বাহরাইনেয় ৮.৫ ভাগ, যুক্তরাষ্ট্রের ৬.২ ভাগ, ডেনমার্কের ৩.৫ ভাগ, স্লোভেনিয়ার ২.৭ ভাগ, স্পেনের ২.৫ ভাগ, আয়ারল্যান্ড ও লিথুনিয়ার ২.৫ ভাগ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। (SIGNAL, ২৪ জানুয়ারি, ২১)।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে; ২০২১ সালের পুরোটা সময় কোভিড-১৯ টিকা আলোচনায় থাকবে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যদি একত্রিত হয়ে এগিয়ে না আসে, তাহলে বিশ্বের জন্য আরও খারাপ খবর অপেক্ষা করছে (ফরেন পলিসি, ২৮ জানুয়ারি)। চীনের সহযোগিতাও দরকার। গেল সপ্তাহে এ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। নতুন করে যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন আরেকটি ধরন আবিষ্কৃত হয়েছে, তখন এ সহযোগিতা এই মুহূর্তে খুবই জরুরি।
Jugantor
31.1.2021
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment