রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মাহবুব তালুকদার ও তার পাঁচ ‘নি’-তত্ত্ব

দেশ জুড়ে চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচন যখন সম্পন্ন হয়েছে, ঠিক তখনই একজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আবারও আলোচনায় এসেছেন। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, ককটেল বিস্ফোরণ ও নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, গড় ভোট পড়ার হার ৬৫.৩৩ শতাংশ। এতে আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত ভোটের হার ৫৭.৬২ ভাগ ও বিএনপির ১৬.৪৪ ভাগ। মেয়র পদে ৫৪টি পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয় (যুগান্তর, ১৬ ফেব্রুয়ারি)। এই যখন পরিস্থিতি তখন আবারও আলোচনায় এসেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। কিছুদিন ধরেই কমিশনের নানা সিদ্ধান্তে তিনি দ্বিমত (নোট অব ডিসেন্ট) পোষণ করে আসছেন। কে এম নুরুল হুদার (সিইসি) নেতৃত্বাধীন কমিশনের বিরুদ্ধে ৪২ জন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ‘দেশের ভালোর জন্য’ তার পদত্যাগের কোনো সমস্যা নেই (দেশ রূপান্তর, ১৬ ফেব্রুয়ারি)। নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ‘আর্থিক অনিয়ম’ ও ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’-এর কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ওই ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক ইসি সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের আত্মবিশ্লেষণের কথাও বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রায় সব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে আমরা তৃপ্তিবোধ করি। কিন্তু নির্বাচন বিষয়ে আমাদের সব জনগণের উপলব্ধির সঙ্গে সেটা সংগতিপূর্ণ নয়।’ তার মতে, বর্তমান নির্বাচন এককেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। এককেন্দ্রিক নির্বাচন বহুদলীয় গণতন্ত্রের উপাদান হতে পারে না (ওই)। তার বক্তব্য স্পষ্ট। পাঁচজন সদস্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে কে এম নুরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বাকি সদস্যরা হচ্ছেন মাহবুব তালুদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহদাত হোসেন (অব.)। এর মধ্যে মাহবুব তালকদার তার বক্তব্যের জন্য যত বেশি আলোচিত হয়েছেন, অন্য কোনো কমিশনাররা তত আলোচিত হননি। কিছুদিন আগে তিনি পাঁচ ‘নি’ তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি (২০২০) নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক কর্মশালায় তিনি তার ওই তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। প্রথম ‘নি’ হচ্ছে ‘নিশ্চয়তা’। অর্থাৎ নির্বাচনটি সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা। এই নিশ্চয়তার অর্থ ভোটার ও রাজনৈতিক দলের আস্থা সৃষ্টি। দ্বিতীয় ‘নি’ হচ্ছে ‘নিরপেক্ষতা’। এর অর্থ হচ্ছে নির্বিঘেœ ভোট প্রদান ও ভোট কার্যক্রম চালানোর প্রতিশ্রুতি। তৃতীয় ‘নি’ হচ্ছে ‘নিরাপত্তা’। এই নিরাপত্তা ভোটার, রাজনৈতিক দল ও অন্য অংশীজনের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকরভাবে নির্বাচনকালে কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা। চতুর্থ ‘নি’ হচ্ছে ‘নিয়মনীতি’। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোরভাবে বিধিবিধান পরিচালনের আওতায় আনা। পঞ্চম ‘নি’ হচ্ছে ‘নিয়ন্ত্রণ’। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকা। তিনি এই কথাগুলো বলেছিলেন এমন একসময়, যখন ১ ফেব্রুয়ারি (২০২০) ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু এই নির্বাচনটি ভালো হয়নি। মাত্র ১৭ থেকে ২০ ভাগ ভোট পেয়ে দুজন ‘নগরপিতা’ হয়েছিলেন। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এমন একসময় যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিকাশ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি নিয়ে নানা সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছিল। যদিও সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের চর্চার মূল্যায়ন করা হয়তো ঠিক হবে না। কিন্তু একটা সাধারণ ধারণা তো পাওয়া যায়ই। জনপ্রিয় সাপ্তাহিক দ্য ইকোনমিস্ট-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ২০২০ সালে গণতন্ত্র সূচকে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের বিকাশের ধারায় বাংলাদেশের অবস্থান (১৬৭ দেশের মধ্যে) দেখিয়েছিল ৮০ নম্বরে। বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়েছিল ‘হাইব্রিড ডেমোক্রেসি’ ক্যাটাগরিতে (ইকোনমিস্ট, ২২ জানুয়ারি ২০২০)। ‘হাইব্রিড’ (Hybrid) অর্থ অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ। অর্থাৎ ইকোনমিস্ট বলতে চেয়েছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ পরিপূর্ণ নয়। মোট ৪টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের গণতন্ত্রের বিকাশকে ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়। যেমন : Full democracies বা পূর্ণ গণতন্ত্র (৯.৮৭ পয়েন্ট নিয়ে নরওয়ে শীর্ষে), Flawed democracies বা ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র (৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে শীর্ষে), Hybrid regimes বা অসম্পূর্ণ গণতন্ত্র বা সরকারব্যবস্থা (উত্তর মেসিডোনিয়া ৫.৯৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে), আর Authoritarian regimes বা কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারব্যবস্থা (৩.৯৩ পয়েন্ট নিয়ে জর্ডান রয়েছে শীর্ষে)। বাংলাদেশের পয়েন্ট ৫.৮৮। বাংলাদেশকে ‘হাইব্রিড’ শাসনব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর একটি ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ফ্রিডম হাউজ ২০১৯ সালের Freedom in the World 2019-এর যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশকে উল্লেখ করা হয়েছিল ‘Partly Free’ হিসেবে। এখানে তিন ক্যাটাগরিতে দেশগুলো ভাগ করা হয়েছে (Free, Partly Free, Not free)। সামগ্রিক বিচারে দেশগুলো কতটুকু স্বাধীন, তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। যেমন নির্বাচনীব্যবস্থা, নির্বাচনে অংশগ্রহণ, সরকারিব্যবস্থা, মিডিয়া কতটুকু স্বাধীন, আইনের শাসন কতটুকু আছে এসব বিবেচনা করেই দেশগুলোর ‘স্বাধীনতা’ ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে। আবার ২০২০ সালে Reporters Without Borders প্রকাশ করেছে ২০১৯ সালের Press Freedom Index। এতে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে, এক নম্বরে। বাংলাদেশের অবস্থান এখানে ১৫০ নম্বরে (মোট ১৮০টি দেশ জরিপে স্থান পেয়েছে)। প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে যেখানে নরওয়ের স্কোর ৭.৮২, সেখানে বাংলাদেশের স্কোর ৫০.৭৪ (সর্বনিম্নে অবস্থানকারী তুর্কমিনিস্তানের স্কোর ৮৫.৪৪)। বাংলাদেশের নিচে অবস্থান সিঙ্গাপুরের, অর্থাৎ সেখানে মিডিয়ার স্বাধীনতা সীমিত। আবার বাংলাদেশের ওপর স্থান পাওয়া কম্বোডিয়া (১৪৩), পাকিস্তান (১৪২), মিয়ানমার (১৩৮), উগান্ডা (১২৫) সংবাদমাধ্যম আমাদের চেয়ে স্বাধীন এটা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে! গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে এটা সত্য, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়। যেমন আমরা Gobal Gender Gap Index 2018-এর কথা উল্লেখ করতে পারি, যেখানে নারী-পুরুষের ক্ষমতায়নের প্রশ্নে বিভিন্ন দেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের অবস্থান আমরা দেখি ৪৮ নম্বরে (সর্বনিম্নে আছে ইয়েমেন ১৪৯ নম্বরে ও ০.৪৯৯ স্কোর নিয়ে)। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে, অর্থাৎ ১ নম্বরে আছে আইসল্যান্ড, স্কোর ০.৮৫৮১। এখানে ৪ ক্যাটাগরিতে এই র‌্যাংকিং করা হয়েছে (অর্থনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ, শিক্ষা অর্জন, স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন)। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে নারী-পুরুষের ব্যবধান অনেক কম, ৫ নম্বরে। আইসল্যান্ড যেখানে ১ নম্বরে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ নম্বরে থাকা, উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। আমরা আরও অনেক তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বোঝাতে পারব। প্রতিটি বিষয় বাংলাদেশের গণতন্ত্রচর্চার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া পৌরসভার নির্বাচন গণতন্ত্রচর্চার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হলেও, এর ফলাফল নিয়ে সবকিছু বিচার করা যাবে না। এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি এটাও সত্য, ভোটগ্রহণে আমরা ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের টানতে পারছি না। একই সঙ্গে নির্বাচনি সহিংসতাকেও আমরা কমাতে পারছি না। নির্বাচন কমিশন সবার আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে, তাও বলা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যে আর্থিক অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিল, তা নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করলেও, ৪২ জন বুদ্ধিজীবী যখন মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি লেখেন, তখন বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়ার আর সুযোগ থাকে না। বর্তমান কমিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। এই হিসেবে এই কমিশনের মেয়াদকাল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে যত বেশি ‘বিতর্ক’ হয়েছে, বিশেষ করে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আপত্তি উত্থাপন, অতীতে এমনটি কখনো দেখা যায়নি। অতীতে এম এ আজিজ কমিশন (২০০৫-২০০৭), এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন (২০০৭-২০১২), রাকিবউদ্দিন কমিশনও (২০১২-২০১৭) কম বিতর্কিত হয়নি। কিন্তু কে এম নুরুল হুদা কমিশন বোধকরি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে এই নির্বাচন কমিশন অনেকগুলো নির্বাচন আয়োজন করেছে। ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, জাতীয় সংসদের কয়েকটি উপনির্বাচন এর মধ্যে অন্যতম। ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর (১ ফেব্রুয়ারি ২০২০) ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ কি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছিল? আমার তা মনে হয় না। পাঠক, স্মরণ করতে পারেন, ঢাকার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘ভোটের প্রতি মানুষের অনীহা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়’ (বাংলা ট্রিবিউন, ৪ ফেব্রুয়ারি)। ভোটকেন্দ্রে মানুষের অনুপস্থিতির কথা বোঝাতে গিয়েই তিনি তখন এই কথাগুলো বলেছিলেন। আর তখন মাহবুব তালুকদারও পাঁচ ‘নি’ তত্ত্বের কথা বলেন। তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার শুধু অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত নিরপেক্ষতা, নির্বিঘে্ন ভোট প্রদান ও ভোট কার্যক্রম চালানোর প্রতিশ্রুতি, নিরাপত্তা এবং নির্বাচন কমিশনের ‘ভূমিকা’। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় এসবের অনুপস্থিতির কারণেই মানুষ এখন আর ভোটকেন্দ্রে যায় না। কিন্তু ভোট হয় এবং এক একটি নির্বাচনের পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয় (ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা)। এই টাকা জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এত বিপুল অর্থ ব্যয় করেও কেন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা যায় না তা খুঁজে বের করা দরকার। নির্বাচন কমিশন তার দায়-দায়িত্ব এড়াতে পারে না। মাহবুব তালুকদার এই নির্বাচনে কমিশনেরই অংশ। নির্বাচন কমিশন ‘বিতর্কিত’ হলে তিনিও এই বিতর্কের ভাগীদার! নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নীতিগতভাবে ‘পদত্যাগ’ করার কথা বলেছেন। কিন্তু তার ‘পদত্যাগ’(?) আদৌ কোনো পরিবর্তন বয়ে আনবে না। তত্ত্বগতভাবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এ ক্ষেত্রে পুরো কমিশন যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে না পারে, তাহলে নির্বাচন কমিশন নিয়ে ‘সংকট’ থাকবেই Desh Ripantor 24.2.2021

0 comments:

Post a Comment