রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিকে আরও উত্তপ্ত করছে

ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিকে আরও উত্তপ্ত করছে



গেল ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে ইসরাইলের তেলআবিবে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়া হবে। এটি একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। সে থেকে পূর্ব জেরুজালেম ইসরাইলের দখলে। অথচ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেমÑ এ সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেয়া হয়েছিল। এখন ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তে ইসরাইল খুশি হলেও সারা বিশ্বে এর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কোনো একটি রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে সরানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ট্র্যাডিশনাল মিত্ররাও ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে সমর্থন করেনি। এদিকে ১৩ ডিসেম্বর ইসলামী ঐক্য সংস্থার (ওআইসি) বিশেষ অধিবেশনে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ওআইসি। এ বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যোগ দেন। এর আগে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বলেছেন, জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে পাওয়ার একমাত্র অধিকার ফিলিস্তিনের। যদিও বাদশাহ এ সম্মেলনে যোগ দেননি, কিন্তু ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট মুসলিম দেশগুলোর এ জোট একটি বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হয়ে যে সিদ্ধান্তটি নিল, তা এখন আবারও মুসলিমবিশ্বকে ইসরাইলের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল একটি পক্ষ; অন্যদিকে পুরো মুসলিমবিশ্ব আরেকটি পক্ষ। আর দুই পক্ষের পরস্পরবিরোধী অবস্থান নতুন করে এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে আরব তথা পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে যেসব বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে একটি ‘অশনিসংকেত’ই দেয়া হয়েছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি অবস্থান শক্তিশালী হলো। ইসরাইলে ১৯৮০ সালে আইন করে পূর্ণ জেরুজালেমকে (পূর্ব ও পশ্চিম জেরুজালেম) ইসরাইল রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল; কিন্তু এ ঘোষণা বিশ্বসম্প্রদায় মানেনি। এমনকি জাতিসংঘও ইসরাইলি এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছিল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত এক সিদ্ধান্তের (সিদ্ধান্ত নং ৪৭৮, ১৯৮০) পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ইসরাইল কখনোই জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মানেনি; বরং ধীরে ধীরে একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জেরুজালেমকে গ্রাস করতে চেয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে ট্রাম্পের সময়ে এসে। এর মাধ্যমে জেরুজালেম নিয়ে যে ‘স্ট্যাটাস কো’ ছিল, তা স্পষ্টই লঙ্ঘিত হলো। এতে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়; কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এটা মানেনি। তারা পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে। জেরুজালেম বাহ্যত তিনটি পবিত্র ধর্মেরই (ইসলাম, খ্রিস্ট ও ইহুদি) পবিত্র ধর্মীয় স্থান। মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ আল আকসা রয়েছে এখানে। এখন শুধু একটি ধর্মের (ইহুদি) অনুসারীদের রাজধানী করায় তা অন্য ধর্মানুসারীদের ধর্ম-কর্ম পালনে বাধা-বিপত্তি আসতে পারে। উল্লেখ্য, জেরুজালেমের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী হচ্ছে ফিলিস্তিনি। এ সিদ্ধান্ত এখানে উত্তেজনা বাড়াবে। উপরন্তু আন্তর্জাতিক আইন ও নিষেধাজ্ঞা (জাতিসংঘ) উপক্ষা করে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি গড়ে তুলছে। এ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাদের নিত্যবিবাদের খবর সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। বিশ্বসম্প্রদায়, মুসলিমবিশ্ব, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কেউই ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেনি। তারা বারবার বলে আসছে, এতে ওই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা আরও বাড়ল। উল্লেখ্য, জেরুজালেম শহরের ইতিহাস সাড়ে ৪ হাজার বছরের পুরনো। তিনটি ধর্মের জন্যই পবিত্র শহর জেরুজালেম বিখ্যাত। খ্রিস্টানদের জন্য Holy Sepulchre, ইহুদিদের জন্য Western wall ও মুসলমানদের জন্য Al Aqsa Mosque এখানে অবস্থিত। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য যে ধর্মীয় এলাকা রয়েছে, তার মাঝে রয়েছে ((Holy Sepulchre) ealvary, যেখানে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল; আর The Empty tomb,, যেখানে যিশুকে কবর দেয়া হয়েছিল। ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান Westren  Wallএ রয়েছে Temple Mount, যা হাজার হাজার ইহুদির ধর্মীয় স্থান। মুসলমানদের জন্য রয়েছে Al Aqsa মসজিদ, যা মুসলমানদের তৃতীয় ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত।
এখন অনেকেই যেটা বলার চেষ্টা করছেন, তা হচ্ছে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে নতুন করে ফিলিস্তিনি গণঅভ্যুত্থান, যা ইন্তিফাদা নামে পরিচিত, তা আবার শুরু হলো। ইন্তিফাদা প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে, আর এ পর্যায়ে এ আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ১৯৯১ সালে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে, আর শেষ হয়েছিল ২০০৫ সালে। আর এখন শুরু হলো তৃতীয় ইন্তিফাদা। এর শেষ কবে হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। খুব সংগত কারণেই এটা বলা সম্ভব, অতিদ্রুত এটা শেষ হচ্ছে না। তৃতীয় ইন্তিফাদা শুরু হলো মাত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইলের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। একটি ‘দুই রাষ্ট্র’ ফরমুলার দিকে ধীরে ধীরে এ দুই পক্ষ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত এখন এ ফরমুলার পেছনে ছুরিকাঘাতের শামিল। দুই রাষ্ট্রের ফরমুলায় পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হবেÑ এমন কথা স্বীকৃত ছিল। ওবামা প্রশাসন এ ‘দুই রাষ্ট্র’ ফরমুলায় অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেখানে থেকে সরে এলো এখন। তারা ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামকে উপেক্ষা করে সমগ্র জেরুজালেম যে ইসরাইলের রাজধানী, সেটা স্বীকার করল। এতে উপেক্ষিত হলো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের চিন্তাধারা। পাঠক স্মরণ করতে পারেন, ১৯১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ জে বেলেফো ব্রিটিশ জায়নিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি লর্ড রথচাইল্ডকে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইহুদিদের জন্য একটি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা। ইতিহাসে এটাই বেলেফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। এ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেই ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনি এলাকা বিভক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে থেকে একাধিকবার আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিল। মূলত ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতার কারণে সেখানে শান্তি পরিকল্পনা বেশিদূর যেতে পারেনি। ১৯৭৮ সালে মিসর ও ইসরাইল পরস্পরকে স্বীকৃতি ও সিনাই থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার; ১৯৯৩ সালে পিএলও এবং ইসরাইল পরস্পরকে স্বীকৃতি ও ওয়াশিংটনে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর; ১৯৯৪ সালে গাজা ও জেরিকোয় ফিলিস্তিনি শাসন প্রতিষ্ঠা; ১৯৯৫ সালে পশ্চিমতীরে স্বায়ত্তশাসনসংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ইত্যাদি শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হলেও মূল সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। অর্থাৎ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে বটে, কিন্তু এর কোনো সার্বভৌমত্ব নেই। উপরন্তু পশ্চিমতীর আর গাজা নিয়ে যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্ম, তা কার্যত অনেকটাই ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘একটি রাষ্ট্রে’ পরিণত হয়েছে। ইসরাইল এমন একটি রাষ্ট্রই দেখতে চায়, যা তাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। পাঠক ২০১৪ সালের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করতে পারেন। ওই সময় ইসরাইলি বিমান আর ট্যাংকের গোলায় গাজা নগরী একটি ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। সাত সপ্তাহব্যাপী এ আগ্রাসন অব্যাহত ছিল। ইসরাইলি বিমান হামলায় শত শত শিশু সেখানে মারা গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বসম্প্রদায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। একদিন, ৭০ বছর আগে, পশ্চিমাবিশ্ব একটি ইহুদি রাষ্ট্র জন্মের পথ প্রশস্ত করেছিল। কিন্তু সেখানে আজও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখন ট্রাম্প কর্তৃক জেরুজালেমকে ইহুদি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতিদানের মধ্য দিয়ে সে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আরও অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেখানে যে অসন্তোষের জন্ম হয়েছে, তা সহজে থামার নয়। এ অসন্তোষ গোটা আরববিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এতে বাড়তে পারে জঙ্গি তৎপরতা। ট্রাম্প সত্যিকার অর্থেই বিশ্বকে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিলেন। এতে ইসরাইল তার দীর্ঘদিনের ‘পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। যারা ইসরাইলি রাজনীতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখেন, তারা জানেন ইনন পরিকল্পনা সম্পর্কে। ওডেড ইনন (Odid Yinon) হচ্ছেন মূলত একজন কট্টর ইহুদি স্ট্র্যাটেজিস্ট। তিনি মূলত একজন গবেষক ও শিক্ষক। বলা যেতে পারে, থিওডোর হারজেল যে স্বপ্ন একসময় দেখতেন, তার বাস্তবে রূপ দিতেই ইনন সদূরপ্রসারি একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন। আর তা বাস্তবে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও ইসরাইল সরকার। ইনন পরিকল্পনায় রয়েছে লেবানকে ভেঙে পাঁচটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করা, সিরিয়াকে ভেঙে একাধিক রাষ্ট্রে পরিণত করা ইত্যাদি (দেখুন Oded Yinon, A Strategy for Israel in the Nineteen Eighteen. Belmont, Massachusetts, 1982))। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ওই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হলেও আজ অবধি এতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে স্ট্র্যাটেজিতে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হচ্ছে। আরববিশ্বের মাঝে যদি বিভক্তি জিইয়ে রাখা যায়, তাতেই লাভ ইসরাইলের। আজ এত বছর পর ইসরাইল অনেক অংশে সফল। আরববিশ্বে বিভক্তি যত বেশি স্পষ্ট এখন, অতীতে তেমনটি ছিল না। কাতার-সৌদি যুদ্ধ, সৌদি আরব-ইয়েমেন যুদ্ধ কিংবা ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা, কুর্দিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সিরিয়া-ইরাকে আইএসের উত্থান-পতনÑ সব মিলিয়ে মুসলিমবিশ্বের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করে ইসরাইল তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে। ইসরাইলের ওই ‘গ্রেট গেম’ যদি সত্যি সত্যিই বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এ একুশ শতকেই নতুন এক মধ্যপ্রাচ্যকে আমরা দেখতে পাব! কিন্তু যেটা খুব বেশি দরকার ছিল, তা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা। বছরের পর বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। নিজ বাসভূমেই তারা আজ পরবাসী। এমনকি তাদের ধর্ম-কর্মও পালন করতে হয় ইসরাইলের মর্জিমাফিক। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের মুখে জিম্মি পুরো একটি জাতি! ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার আরও একবার লঙ্ঘিত হলো। জেরুজালেমকে শুধু একটি দেশের (ইসরাইল) রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবারও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করল। এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও উত্তপ্ত করবে। আরও উত্তেজনা বাড়াবে। এতে লাভ হবে যুদ্ধবাজদের, যারা চায় মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের সূচনা হোক।
Daily Alokito Bangladesh
17.12.2017

0 comments:

Post a Comment