রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

পোপ ফ্রান্সিসের সফরে কী পেল বাংলাদেশ


Image result for Popes Bangladesh visit\




তিনি এলেন। দেখলেন।
এবং জয় করলেন। তিনি ১৩০ কোটি খ্রিস্টান ক্যাথলিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। ২৬৬তম পোপ তিনি। আমাদের দেশে খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। তাদের জন্য পোপকে পাওয়া একটা ভাগ্যের ব্যাপার। কজনেরই বা এমন সৌভাগ্য হয়। ৩০ বছর আগে এসেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জনপল। ৩০ বছর পর পোপ ফ্রান্সিস এলেন শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। পোপ কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ভ্যাটিকান সিটির প্রধান তিনি। পৃথিবীর যেখানেই তিনি যান, সেখানেই পান রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। বাংলাদেশও তাঁকে সেই মর্যাদা দিয়েছে। তাঁর এই সফরে কী পেল বাংলাদেশ? নগর রাষ্ট্র হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি। মাত্র ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই রাষ্ট্রের জনসংখ্যা মাত্র এক হাজার। এটি একটি ক্যাথলিক ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র। পোপ ফ্রান্সিস হচ্ছেন ধর্মগুরু। কিন্তু তাঁর বিশ্বব্যাপী রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। পৃথিবীর যেখানেই তিনি যান সেখানেই তিনি পান রাষ্ট্রপতির মতো সম্মান। তাই তিনি যখন মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফর করে গেলেন তখন সংগত কারণেই সারা বিশ্বের দৃষ্টি ছিল তাঁর এই সফরের দিকে। তিনি কী বলেন, কী সিদ্ধান্ত নেন—এ ব্যাপারে আগ্রহ ছিল বিশ্ববাসীর। বিশেষ করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু যখন জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল তখন একজন শান্তির দূত পোপ ফ্রান্সিস এদের ব্যাপারে কথা বললেন, এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু না, মিয়ানমারে তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেননি। কিন্তু বাংলাদেশে পেরেছেন। রোহিঙ্গা প্রশ্নে তিনি বাংলাদেশে একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন—ঞযব ঢ়ত্বংবহপব ড়ভ ড়েফ ঃড় ফধু রং পধষষবফ জড়যরহমধ. অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতির নামই রোহিঙ্গা! কী দারুণ কথা! রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার তুলনা করেছেন! এটা তিনি মিয়ানমারে বলতে পারেননি। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বলেছেন, দেশটির সামরিক ও বেসামরিক উভয় পক্ষকেই তিনি সঠিক বার্তা দিতে পেরেছেন। রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করে তিনি আলোচনা বন্ধ করতে চাননি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠকে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশের ভূমিকার তিনি প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, রাখাইন থেকে আসা বিপুলসংখ্যক অনুপ্রবেশকারীকে আশ্রয় দিয়ে এবং তাদের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সমাজ উদার মন ও অসাধারণ ঐক্যের পরিচয় দিয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, এটি কোনো ছোট বিষয় নয়, বরং পুরো বিশ্বের সামনেই এটি ঘটেছে। পুরো পরিস্থিতি মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট ও আশ্রয়শিবিরগুলোতে থাকা আমাদের ভাই-বোন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তাদের ঝুঁকির গুরুত্ব বুঝতে আমরা কেউই ব্যর্থ হইনি। এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসাটা অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেছেন পোপ। সুতরাং পোপ ফ্রান্সিস তাঁর মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা শব্দটি সব সময় উচ্চারণ না করলেও এই সংকট সমাধানে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে ‘উদার মন’ ও ‘অসাধারণ ঐক্যে’র পরিচয় দিয়েছে, সে কথাটিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বিপুলসংখ্যক বিদেশি সাংবাদিক তাঁর সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন। তাঁদের প্রতিবেদনে পোপ ফ্রান্সিসের এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক আসরে রোহিঙ্গা সংকটের গভীরতা আরো বাড়ল। পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের যেখানেই যান সেখানেই তিনি শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলেন। তিনি মূলত বিশ্বশান্তির প্রতীক। যিশু খ্রিস্টের দৃশ্যমান প্রতিনিধি তিনি। ২০১৩ সালের মার্চে ২৬৬তম পোপ হিসেবে নিযুক্তির পর থেকে তিনি আন্তর্ধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত ঐক্যের কথা বলে আসছেন। ঢাকায় গেল শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশেও তিনি প্রার্থনা করেন। তরুণসমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশ একটি সহনীয় ইসলাম ধর্মের দেশ। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যে হাজার বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করে আসছে এবং সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছে, তা পোপ ফ্রান্সিসের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। তবে প্রতিটি সমাজেই বিভ্রান্তকারী কিছু ব্যক্তি থাকে, যারা ধর্মের নামে সমাজকে বিভক্ত করতে চায়। বাংলাদেশেও এ রকম মানুষ আছে, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে হাজার বছরের সম্প্রীতির ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চেয়েছিল। পোপ ফ্রান্সিস ঢাকায় গুলশান জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে আমাদের সে কথাটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রশ্নে বিশ্বকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। এটা নিশ্চয়ই বিশ্বনেতৃত্বকে আরো ভাবিয়ে তুলবে। তবে আমরা যেন ভুলে না যাই, মিয়ানমারের কূটনৈতিক আচরণ আন্তর্জাতিক মানের নয়। আন্তর্জাতিক আইন, প্রচলিত ধারণা মিয়ানমার মানে না। দীর্ঘদিন মিয়ানমার বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, অতীতে মিয়ানমার জাতিসংঘ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের (তেল ও গ্যাস) রিজার্ভ মিয়ানমারকে শক্তিধর দেশগুলোর কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ সেখানে বাড়ছে। চীনের বিশাল বিনিয়োগের (গভীর সমুদ্রবন্দরে সাত মিলিয়ন ডলার, তেল ও গ্যাস উত্তোলনের প্রায় তিন মিলিয়ন ডলার) সুযোগ নিচ্ছে মিয়ানমার। চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’-এর যে ধারণা, তাতে মিয়ানমারের অবস্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই বৃহৎ শক্তির কাছে রোহিঙ্গা নির্যাতন তেমন গুরুত্ব পায়নি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। ধারণা করছি, শিগগিরই দেশ দুটি আলোচনার টেবিলে বসবে। তবে বলতে দ্বিধা নেই, মিয়ানমার একটি কঠিন প্রতিপক্ষ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নামে সদ্য আগত সাত লাখ রোহিঙ্গা—তারা সবাইকে ফেরত না-ও নিতে পারে। এটাই মিয়ানমারের স্ট্র্যাটেজি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর একটা ‘চাপ’ আছে। উপরন্তু পোপ ফ্রান্সিস ‘রাখাইনের নির্যাতিত ভাই-বোনের’ পক্ষে কথা বলেছেন, সে ক্ষেত্রে মিয়ানমারের পক্ষে কাজটি করা খুব সহজ হবে না। তারা রাখাইন স্টেটের নির্যাতনের খবর অস্বীকার করলেন কিভাবে? পোপ ফ্রান্সিসের ঢাকা সফরের পর রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিক মাত্রা আরো বাড়ল। আমাদের কাজটি হবে এখন আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগের কাজটি আরো দ্রুত করা। আন্তর্জাতিক কমিউনিটি আমাদের পক্ষে। তখন পোপ ফ্রান্সিসও আমাদের পক্ষে দাঁড়ালেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমেই পোপ অন্তত একটি বার্তা দিলেন বিশ্বসম্প্রদায়কে। আমাদের কাজটিই হবে এখন পোপের এই মেসেজ ধারণ করে আন্তর্জাতিক আসরে রোহিঙ্গা প্রশ্নে জনমত গড়ে তোলা। রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীও এ রকম আহ্বান জানিয়েছিলেন। একদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রাখা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আসরে মিয়ানমারের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ অব্যাহত রাখা—এভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। এই সফরের অনেক ইতিবাচক দিক আছে। বাংলাদেশ একটি শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ, সেই বার্তাটি তিনি বিশ্ববাসীকে দিলেন। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে। এই স্বীকারোক্তি তাদের আছে। কমিটমেন্টও আছে। এখন তথাকথিত ‘ভেরিফিকেশন’-এর নামে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া যেন আটকে না যায়। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের আন্তরিকতাই হলো আসল। মিয়ানমার যেন তাদের আন্তরিকতা প্রদর্শন করে সে ব্যাপারে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে আমাদের স্বার্থে ‘ব্যবহার’ করতে হবে। এ জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো জরুরি। পোপ ফ্রান্সিসের ঢাকা সফরের পর আন্তর্জাতিক আসরে আমাদের অবস্থান এখন অনেক শক্তিশালী। তাই ওয়াশিংটন, ব্রাসেলস ও পেইচিংয়ে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। আমাদের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন ও পেইচিংয়ে রোহিঙ্গা প্রশ্নে নীতিগতভাবে কিছু কিছু পরিবর্তন এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা নির্যাতনকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। দু-একজন মার্কিন সিনেটরের বক্তব্যেও এমনটি ফুটে উঠেছে। এখন মিয়ানমার যদি দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় কালক্ষেপণের উদ্যোগ নেয়, তাহলে আমরা মার্কিন আইন প্রণেতা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারব। চীনের নীতিতেও ‘কিছু পরিবর্তন’ লক্ষণীয়। চীন এখন দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বলে গেছেন, প্রয়োজনে চীন মধ্যস্থতা করতে পারে। বাংলাদেশে চীনের প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশ বরাবরই বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। মিয়ানমারের বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর প্রধান রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পরপরই পেইচিং সফর করেছিলেন। এর পরপরই মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। পোপ ফ্রান্সিসের ঢাকা সফরের বিশ্ব মিডিয়া রোহিঙ্গাদের করুণ কাহিনি আরো প্রকাশ করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে মিয়ানমার। টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের স্বাধীনতার শুরুর দিকে বিশিষ্ট রোহিঙ্গারা বেড়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন। দেশটির শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের আলাদা একটি ইউনিয়নও ছিল। স্বাধীনতার পর দেশটির প্রথম নেতা উনুর মন্ত্রিসভায়ও একজন সদস্য ছিলেন রোহিঙ্গা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা সেই মন্ত্রীও নিজেকে আরাকান মুসলিম হিসেবেই পরিচয় দিতেন। এমনকি জেনারেল নে উইনের সময়ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বেতার থেকে রোহিঙ্গা ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হতো। সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্বও ছিল
(No such Thing as Rohinga; Myanmar Erases a History, New York Times, 1 December, ২০১৭) নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বাস্তব ইতিহাসটিই ফুটে উঠেছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ইতিহাস কতটুকু মুছে ফেলতে পারবে, তা হয়তো আগামী দিনের ইতিহাস বলবে। কিন্তু এভাবে একটি জনগোষ্ঠীকে পরিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে নতুন করে ইতিহাস লেখা যায় না। হিটলার জার্মানিতে পারেননি। মিলোসেভিচ বসনিয়ায় পারেননি। টার্লস টেলরও পারেননি লাইবেরিয়ায়। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা আফ্রিকার রুয়ান্ডায়ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখানেও শাসকরা ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই যত দ্রুত মিয়ানমারের নেতাদের মধ্যে এই উপলব্ধি বোধটুকু আসবে ততই মিয়ানমারের জন্য মঙ্গল। পোপ ফ্রান্সিসের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে তিনি আরো একবার এ মেসেজই দিয়ে গেলেন।
Daily Kalerkontho
05.12.2017

1 comments:

  1. Despite being a religious leader, he did not show his courage to address the word as "Rohinga" in Myanmar. Rather he followed the diplomatic way and used the same word in Bangladesh and being criticized in Myanmar for that.

    I do not have any knowledge in this regard. However, my personal opinion is that he could have voided the visit in the middle and informed the world that he would address Rohinga as Rohinga in order to establish their human rights. If he could do so, Myanmar would fall in more pressure and nobody could criticize him for his double standard.

    Please give us a writing or at least a reply to this comment to correct my opinion. I really need to know if I am thinking it right. Thank you sir. I have been following your writings for a long time. Long live.
    K.M. Mazbah Uddin.
    Mirpur, Dhaka

    ReplyDelete