জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিপজ্জনক খেলা শুরু করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি এই কাজটি করবেন।
শেষ পর্যন্ত করলেনও। এতে করে ইসরায়েল খুশি হলেও, কোনো দেশই খুশি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের যারা ট্র্যাডিশনাল মিত্র, বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলো, তারাও খুশি হতে পারেনি। ফলে মধ্যপ্রাচ্য নতুন এক অস্থিরতার যুগে প্রবেশ করল। একদিকে সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের পরাজয়, অন্যদিকে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ সম্প্রসারিত হওয়া মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে যখন আরো অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ঠিক তখনই এলো জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি। যদিও ট্রাম্প এর পেছনে যে যুক্তিটি দেখিয়েছেন, তা হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ওয়াদাবদ্ধ ছিলেন। এখন সেই ওয়াদা তিনি কার্যকর করলেন। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে একটি বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। খোদ ফিলিস্তিনেই যে এর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তেমনটি নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ট্র্যাডিশনাল বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে। স্পষ্টতই এতে করে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া এখন বিলম্বিত হবে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে মুসলিম বিশ্ব এবং সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সেটা ছিল স্বাভাবিক। নতুন করে আবার গণ-আন্দোলন শুরু হলো। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে এ ঘটনার পর। কী হতে পারে এখন মধ্যপ্রাচ্যে? কিংবা বিশ্ব রাজনীতিতে এর কি কোনো প্রভাব পড়বে? এরই মধ্যে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোতে যেসব বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে একটি ‘অশনিসংকেত’ই দেওয়া হয়েছে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি অবস্থান শক্তিশালী হলো। ইসরায়েলে ১৯৮০ সালে আইন করে পূর্ব জেরুজালেমকে (পূর্ব ও পশ্চিম জেরুজালেম) ইসরায়েল রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এই ঘোষণা বিশ্ব সম্প্রদায় মানেনি। এমনকি জাতিসংঘও ইসরায়েলি এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছিল। এমনকি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত এক সিদ্ধান্তের (সিদ্ধান্ত নম্বর ৪৭৮, ১৯৮০) পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল কখনোই জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মানেনি। বরং ধীরে ধীরে একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জেরুজালেমকে গ্রাস করতে চেয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে ট্রাম্পের সময়ে এসে।
এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন। ১৯৯৫ সালে মার্কিন কংগ্রেসে একটি আইন পাস হয়। তাতে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাসকে তেলআবিবের পরিবর্তে জেরুজালেমে স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টই এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর করেননি। তাঁরা বারবার সময় নিয়েছেন। কংগ্রেসে গৃহীত সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্টকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট বুশ, ক্লিনটন, ওবামা—কেউই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেননি। এখন হঠাৎ করেই ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্প কেন এটি করলেন? এখানে অনেক কারণ আছে। প্রথমত, একটি শক্তিশালী প্রো-ইসরায়েলি লবিস্ট গ্রুপ এটা চেয়ে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই মনে করে, রাতারাতি এই কাজটি হয়নি। একটি শক্তিশালী গ্রুপ এর পেছনে সক্রিয় ছিল। একজন ধনী ব্যবসায়ী ও ক্যাসিনো মোগল হিসেবে পরিচিত শেলডন এভেলসন ও তাঁর স্ত্রী মারিয়াম অকশ্রম ২০১৬ সালে রিপাবলিকান পার্টিকে ৮৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন, যাতে করে নয়া প্রেসিডেন্ট (রিপাবলিকান) প্রো-ইসরায়েলি নীতি গ্রহণ করতে পারেন। এসব নীতিমালার একটি ছিল ইসরায়েলের রাজধানীকে জেরুজালেমে স্থানান্তর। এর বাইরে বিভিন্ন প্রো-ইসরায়েলি থিংক ট্যাংক গেল বছর ২০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিল ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা টিমকে। এর মধ্যে ছিল বিতর্কিত আমেরিকান-ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি (এআইপিএসি)। এআইপিএসি বরাবরই চেয়ে এসেছে ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে হোক। ইভানগেলিস ক্রিশ্চিয়ানরা (Christian Evangelics) ব্যাপক হারে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। তাদেরও একটা প্রেসার ছিল (তথ্যসূত্র টিআরটি ওয়ার্ল্ড)। দ্বিতীয়ত, ট্রাম্পের জামাতা কুশনার, যিনি একজন ইহুদি, বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে অনেক নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সরকারিভাবে তিনি এই ভূমিকাটি পালন করেন। ফলে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কুশনারের একটি বড় ভূমিকা ছিল।
এখন ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে কী হতে পারে? মার্কিন শক্তিশালী গণমাধ্যম পাঁচটি সম্ভাব্য পরিণতির কথা বলছে। এক. যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকার করে নিল (ফিলিপাইন ও চেক রিপাবলিক বলছে, তারাও তাদের দূতাবাস স্থানান্তরিত করবে)। এর মধ্য দিয়ে জেরুজালেমের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে এক ধরনের ‘স্ট্যাটাসকো’ ছিল, তা লঙ্ঘিত হলো। দুই. এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এটি মানেনি। তারা পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে। তিন. জেরুজালেম বাহ্যত তিনটি পবিত্র ধর্মেরই (ইসলাম, খ্রিস্টান ও ইহুদি) পবিত্র ধর্মীয় স্থান। মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ বায়তুল মোকাদ্দাস রয়েছে এখানে। এখন শুধু একটি ধর্মের (ইহুদি) অনুসারীদের রাজধানী করায় তাতে অন্য ধর্মের অনুসারীদের ধর্মকর্ম পালনে বাধাবিপত্তি আসতে পারে। চার. জেরুজালেমের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী হচ্ছে ফিলিস্তিনি। এই সিদ্ধান্ত এখানে উত্তেজনা বাড়াবে। উপরন্তু আন্তর্জাতিক আইন ও নিষেধাজ্ঞা (জাতিসংঘের) উপেক্ষা করে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি গড়ে তুলছে। এ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাদের নিত্য বিবাদের খবর সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। পাঁচ. বিশ্ব সম্প্রদায়, মুসলিম বিশ্ব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন—কেউই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেনি। তারা বারবার বলে আসছে, এতে করে এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা আরো বাড়ল। উল্লেখ্য, জেরুজালেম শহরের ইতিহাস সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো। তিনটি ধর্মের জন্যই পবিত্র শহর জেরুজালেম বিখ্যাত। এখানে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য যে ধর্মীয় এলাকা রয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে Holy Sepulchre, Calvary,, যেখানে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, আর The Empty Tomb, যেখানে যিশুকে কবর দেওয়া হয়েছিল। ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান Western Wall-এ রয়েছে Temple Mount,, যা কি না হাজার হাজার ইহুদির ধর্মীয় স্থান। আর মুসলমানদের জন্য রয়েছে Al-Aqsa মসজিদ, যা কি না মুসলমানদের তৃতীয় ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত।
এখন অনেকেই যেটা বলার চেষ্টা করছে, তা হচ্ছে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে নতুন করে ফিলিস্তিনি গণ-অভ্যুত্থান, যা ইন্তিফাদা নামে পরিচিত, তা আবার শুরু হলো। ইন্তিফাদা প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে, আর এ পর্যায়ে এ আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ১৯৯১ সালে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে, আর শেষ হয়েছিল ২০০৫ সালে। আর এখন শুরু হলো তৃতীয় ইন্তিফাদা। এর শেষ কবে হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। খুব সংগত কারণেই এটা বলা সম্ভব, অতিদ্রুত এটা শেষ হচ্ছে না। তৃতীয় ইন্তিফাদা শুরু হলো মাত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। একটি ‘দুই রাষ্ট্র’ ফর্মুলার দিকে ধীরে ধীরে এই দুই পক্ষ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত এখন এ ফর্মুলার পেছনে ছুরিকাঘাতের শামিল। দুই রাষ্ট্রের ফর্মুলায় পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে—এমন কথা স্বীকৃত ছিল। ওবামা প্রশাসন এই ‘দুই রাষ্ট্র’ ফর্মুলায় অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেখান থেকে ‘ইউটার্ন’ নিল। তারা ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামকে উপেক্ষা করে সমগ্র জেরুজালেম যে ইসরায়েলের রাজধানী, সেটা স্বীকার করল। এতে করে উপেক্ষিত হলো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের চিন্তাধারা। পাঠক স্মরণ করতে পারেন, ১৯১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ জে বেলফো ব্রিটিশ জায়নিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি লর্ড রথচাইল্ডকে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইহুদিদের জন্য একটি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা। ইতিহাসে এটিই বেলফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেই ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনি এলাকা বিভক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে একাধিককার আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিল। মূলত ইসরায়েলের আগ্রাসী তৎপরতার কারণে সেখানে শান্তি পরিকল্পনা বেশি দূর যেতে পারেনি।
১৯৭৮ সালে মিসর ও ইসরায়েল পরস্পরকে স্বীকৃতি ও সিনাই থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, ১৯৯৩ সালে পিএলও এবং ইসরায়েল পরস্পকৃকে স্বীকৃতি ও ওয়াশিংটনে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ১৯৯৪ সালে গাজা ও জেরিকোতে ফিলিস্তিনি শাসন প্রতিষ্ঠা, ১৯৯৫ সালে পশ্চিম তীরে স্বায়ত্তশাসন-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ইত্যাদি শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হলেও মূল সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। অর্থাৎ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে বটে, কিন্তু এর কোনো সার্বভৌমত্ব নেই। উপরন্তু পশ্চিম তীর আর গাজা নিয়ে যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্ম, তা কার্যত অনেকটাই ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েল এমন একটি রাষ্ট্রই দেখতে চায়, যা তাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। পাঠক, ২০১৪ সালের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করতে পারেন। ওই সময় ইসরায়েলি বিমান আর ট্যাংকের গোলায় গাজা নগরী একটি ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। সাত সপ্তাহব্যাপী এই আগ্রাসন অব্যাহত ছিল। ইসরায়েলি বিমান হামলায় শত শত শিশু সেখানে মারা গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। একদিন, ৭০ বছর আগে পশ্চিমা বিশ্ব একটি ইহুদি রাষ্ট্র জন্মের পথ প্রশস্ত করেছিল। কিন্তু সেখানে আজও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখন ট্রাম্প কর্তৃক জেরুজালেমকে ইহুদি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতিদানের মধ্য দিয়ে সেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আরো অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল। এই শেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে অসন্তোষের জন্ম হয়েছে, তা সহজে থামার নয়। এই অসন্তোষ সমগ্র আরব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এতে করে বাড়তে পারে জঙ্গি তৎপরতা। ট্রাম্প সত্যিকার অর্থেই তাই বিশ্বকে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিলেন
Daily Kalerkontho
20.12.2017
0 comments:
Post a Comment