মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি জানিয়েছেন, হেগে অবস্থিত আইসিজেতে মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটে গণহত্যার জন্য যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, ওই মামলা লড়তে তিনি নিজে আদালতে যাচ্ছেন। সু চি দীর্ঘদিন লন্ডনে ছিলেন। তাঁর প্রয়াত স্বামী একজন ব্রিটিশ নাগরিক। তিনি নিজে ভালো ইংরেজি বলেন। কিন্তু আইনশাস্ত্রে তাঁর কোনো ডিগ্রি নেই। তার পরও মিয়ানমারের পক্ষে লড়াই করার জন্য তিনি হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আইসিজেতে যাচ্ছেন। ৫৭ জাতির জোট ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির পক্ষ হয়ে গাম্বিয়া আইসিজেতে এই মামলা করেছে। ডিসেম্বরের ১২ কিংবা ১৩ তারিখ এই মামলার কার্যক্রম শুরু হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অং সান সু চি নিজে মামলা পরিচালনা করার জন্য হেগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এর আগে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি এক সংবাদ সম্মেলনে এই মামলা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং জানিয়ে দিয়েছিলেন আইসিজের কোনো অধিকার নেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে সু চি এখন নিজেই যাচ্ছেন ওই মামলা লড়তে। এর অনেক ব্যাখ্যা হতে পারে। এক. মিয়ানমার যে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির বাইরে যেতে পারে না, এটি তার উদাহরণ। মিয়ানমার আইসিজেতে যোগ দিয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১৯ এপ্রিল (বাংলাদেশ যোগ দেয় ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর)। আইসিজে জাতিসংঘের একটি সংস্থা। এটি ১৯৪৫ সালের ২৬ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। মিয়ানমার যেহেতু জাতিসংঘের সদস্য, সেহেতু এই আদালতকে অস্বীকার করতে পারে না। দ্বিতীয়ত, অং সান সু চির সঙ্গে মিয়ানমারের অত্যন্ত ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল অং মিন হ্লিয়াংয়ের (Aung Min Hlaing) যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, তা আবারও প্রমাণিত হলো। ধারণা করা হয়, সু চির হেগে যাওয়ার সিদ্ধান্তের আগে সরকারি মুখপাত্র জ টয়ে (Zaw Htay) যে সংবাদ সম্মেলন করে আইসিজের বিচারপ্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করেন (u.s.news. 16 November 2019), তাতে জেনারেল অং মিন হ্লিয়াংয়ের একটা ইন্ধন ছিল! মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী অং সান সু চি সে দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। এবং এটি অনেকেই জানেন জেনারেল অং মিনের আগ্রহ রয়েছে সে দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার। অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এখন ক্ষমতায়। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থায় তাঁর দলের প্রতিনিধি (উইন সাইয়ান্ট) এখন সে দেশের প্রেসিডেন্ট; যদিও সু চির দল সংবিধানে পরিবর্তন আনার একটি উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে আইসিজের শুনানিতে সু চির অংশগ্রহণ পরোক্ষভাবে সেনাবাহিনীর ওপর এক ধরনের ‘চাপ’ প্রয়োগের একটি অংশ হতে পারে। রায়ে রাখাইনে গণহত্যার জন্য যদি সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করা হয় (অনেকটা বসনিয়ার মতো), তাহলে সু চি এই রায়কে ব্যবহার করে তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ প্রশস্ত করতে পারেন।
গাম্বিয়া আইসিজেতে যে মামলা করেছে, সে ব্যাপারে মিয়ানমারের আপত্তি কিংবা মিয়ানমার প্রথম দিকে তা প্রত্যাখ্যান করলেও আমরা বসনিয়া-হারজেগোভিনায় গণহত্যার দায়ে যে মামলা হয়েছিল, তার দৃষ্টান্ত দিতে পারি। বসনিয়ার মুসলমান, যারা বসনীয় হিসেবে পরিচিত, একসময় সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অংশ ছিল। বসনিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যার জন্য সার্বিয়ার খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারী সার্বদের দায়ী করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আইসিজেতে অভিযোগ দায়ের করা হলে (বসনিয়ার পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগ) ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আইসিজে তাদের রায়ে ১৯৯৫ সালের ১৩ জুলাই স্রেব্রেনিচার হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। তবে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে আইসিজে দায়ী করেনি। আইসিজে তাদের রায়ে বলেছে, সার্বিয়া এই গণহত্যা এড়াতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারত; কিন্তু তারা তা নেয়নি। এমনকি যারা যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছিল, তাদের শাস্তি দিতেও পারেনি। স্রেব্রেনিচায় আট হাজার মুসলমান নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করেছিল সার্বিয়ার আধামিলিশিয়া বাহিনী। ওই সময় মুসলমানদের রক্ষায় সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ছিল। সার্বিয়া তাদের সেখান থেকে উত্খাত করে স্রেব্রেনিচায় গণহত্যা চালায় (নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। এখন গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় কী হবে বলা মুশকিল। মিয়ানমার এই আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এখন আদালতের শুনানিতে মিয়ানমার অংশ নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি প্রশ্ন থাকলই।
আদালতের বিবেচ্য বিষয় কী হবে—এটি একটি প্রশ্ন। সাধারণত দুই দেশের মাঝে যদি কোনো ‘বিরোধ’ দেখা দেয়, আইসিজে তার সমাধান দেয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের কোনো বিরোধ নেই। একটি সংকট তৈরি হয়েছে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত নেওয়া নিয়ে। এটি আইসিজের কর্মপরিধির মধ্যে পড়ে না। আবার বসনিয়ার গণহত্যার ব্যাপারটি আইসিজে বিবেচনায় নিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে আইসিজে তা বিবেচনায় নিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট বা আইসিটি। রোম স্ট্যাটিউট (Rome statute) অনুযায়ী ২০০২ সালের জুলাই মাসে আইসিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১২২টি দেশ আইসিটির সদস্য হয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে চুক্তি স্বাক্ষর (২০১০ সাল থেকে কার্যকর) করলেও মিয়ানমার আইসিটিতে যোগ দেয়নি। আইসিটি গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে কিংবা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার করে থাকে। যেমন বলা যেতে পারে, সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বসির, উগান্ডার বিদ্রোহী নেতা জোসেফকনি, কঙ্গোর ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যা-পিয়োরে বেমবার মতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে আইসিটি। এযাবৎ ৪৪ ব্যক্তির বিচার করেছে আইসিটি। তবে আইসিটি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করলেও শাস্তি দেওয়া এবং বিচার নিশ্চিত করতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছিল। ওমর আল বসিরের ক্ষেত্রে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও বসির কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন কিংবা সৌদি আরব সফর করলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এমনকি আইভরি কোস্টের সাবেক ফার্স্ট লেডি সিমন গাবাগবোকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে তাঁকে আদালতের কাছে সোপর্দ করার দাবি জানালেও আইভরি কোস্ট তাঁকে আদালতের কাছে সোপর্দ করেনি। ফলে আইসিটির সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। রাখাইনে গণহত্যার জন্য কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিচারের কথাও বলা হয়েছে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে। আন্তর্জাতিকভাবে এটি এখন প্রমাণিত যে রাখাইনে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে; কিন্তু অপরাধীদের বিচার হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফেরত যাওয়া।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কয়েক বছর ধরে আলোচনা চলে এলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। চীনের মধ্যস্থতায় একটি উদ্যোগও আমরা লক্ষ করেছি। কিন্তু মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে না। আলোচনার নামে মিয়ানমার সময়ক্ষেপণ করছে। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় কিংবা চীনের মধ্যস্থতার মাঝেও বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যেতে চাচ্ছে না। কিন্তু মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। মিয়ানমারের কোনো ডকুমেন্টে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি পর্যন্ত নেই। তারা এদের বলছে ‘বাস্তুচ্যুত নাগরিক’। বাংলাদেশের সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতেও উল্লেখ আছে ‘বাস্তুচ্যুত নাগরিক’ হিসেবে। চীন একটি মধ্যস্থতার সুযোগ নিলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমারকে এ ব্যাপারে রাজি করাতে পারেনি। ফলে বিষয়টি ঝুলে আছে। এমনকি ভারতও মিয়ানমারের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। মিয়ানমারের স্ট্র্যাটেজি পরিষ্কার—তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে না। একটি বড় অংশকেই তারা ফেরত নেবে না। উপরন্তু রোহিঙ্গারা নিজ বাসভূমিতে ফেরত যেতেও পারবে না। কেননা ওই সব বাসভূমির আদৌ কোনো অস্তিত্ব নেই। ওই সব বাড়িঘর এখন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকা এখন বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। গত ২২ নভেম্বর মিয়ানমার টাইমসের খবর, চীন রাখাইনসহ কয়েকটি অঞ্চলে কৃষিক্ষেত্রে ১৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। উত্খাতকৃত রোহিঙ্গা বসতিতেই এসব কৃষি খামার গড়ে তোলা হবে। আর প্রত্যাগত রোহিঙ্গাদের রাখা হবে বিভিন্ন ক্যাম্পে। তাদের বেছে নিতে হবে ক্যাম্পজীবন। সুতরাং রোহিঙ্গারা নিজ বাসভূম ছাড়া অন্যত্র, বিশেষ করে ক্যাম্পজীবন বেছে নেবে কি না, তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বলা ভালো, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠিত হয়েছিল, সেই কমিটির সুপারিশে রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে থাকার কথা বলা হয়েছিল। ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী (The 1982 Citizenship Law) রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা ওই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। আরো একটি কথা, আইসিজেতে যে ১৫ জন বিচারক রয়েছেন, তার মাঝে একজন ঝুয়ে হানকিন (Xue Hanqin) চীনের নাগরিক। তিনি কোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট। চীনের বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে হল্যান্ডে চীনের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও তিনি পালন করেন। ফলে একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি চীনের সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে কতটুকু যেতে পারবেন, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। আইসিজের বর্তমান প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন সোমালি নাগরিক আবদুল কাভি আহমেদ ইউসুফ।
সু চি নিজে আইসিজেতে মিয়ানমারের পক্ষে লড়াই করার কথা ঘোষণা করলেও খোদ তাঁর বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনায় একটি মামলা হয়েছে। গেল সপ্তাহেই আর্জেন্টিনার একটি আদালতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হুমকি সৃষ্টির অভিযোগে অং সান সু চি, সেনাপ্রধান জেনারেল অং মিন হ্লিয়াংসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এর মধ্য দিয়ে খোদ অং সান সু চির ভাবমূর্তি যথেষ্ট ক্ষুণ্ন হয়েছে। এটি সত্য, রোহিঙ্গা গণহত্যা চালানোর সময় সরকারের মূল ব্যক্তি ছিলেন সু চি। ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল বিজয়ী হয়। তিনি ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মূল ব্যক্তি। তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা আইসিসির প্রসিকিউরেটর ফাতুউ বেনসৌদার প্রতিবেদন—সব মিলিয়ে মিয়ানমারের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন অনেকটা দিশাহারা। তিন দিনের ব্যবধানে আলাদা আদালতে তিনটি সম্পর্কহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। সব কটিতেই ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে সামরিক অভিযানের সময় সংঘাতপীড়িত রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জন্য মিয়ানমারের সরকার ও সামরিক নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই যে রায় পাওয়া যাবে, তেমনটি নয়। এতে সময় লাগতে পারে। তবে মিয়ানমার যদি তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ও তাদের যথাযথ পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়, তাহলে আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশটির ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ফিরে পাওয়া যাবে। উদ্যোগটি তাই নিতে হবে মিয়ানমারকেই।
Daily Jugantor
২৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০
মন্তব্য