বাইডেনের বিজয় এশিয়ার জন্য কী বার্তা দেয়
05:04
1 comment
এটা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, জো বাইডেনই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। আগামী ২০ জানুয়ারি (২০২১) তিনি শপথ নেবেন। তবে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার পরাজয় স্বীকার করে নেননি। এমনকি তিনি তার সমর্থকদের উসকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ‘জাতিগত বিভক্তি’র জন্ম দিয়েছেন। সারাবিশ্বের মিডিয়া ও খোদ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই বিভক্তির কথা প্রকাশ্যে বললেও শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ‘ভোট জালিয়াতি’র অভিযোগ অব্যাহত রেখেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাবেন। নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য একটি ‘কালো দাগ’ রেখে গেল। ইতোমধ্যে এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া হাউসগুলো এই প্রশ্ন তুলেছে যে, বাইডেন প্রশাসনের আমলে কেমন হবে তার এশীয় নীতি? এখানে অনেকগুলো প্রশ্ন জড়িত, যে প্রশ্নগুলোকে কেন্দ্র করেই জো বাইডেনের এশীয় নীতি পরিচালিত হবে।
প্রথমত, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এক ধরনের ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু করে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছিল। চীনবিরোধী একটি অ্যালায়েন্স তিনি এশীয় অঞ্চলে গড়ে তুলেছিলেন। জো বাইডেন এই নীতি থেকে সরে আসবেন কিনা, সেটা একটা প্রশ্ন। দ্বিতীয়ত, গত ১৫ নভেম্বর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি দেশকে নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি বড় বাণিজ্যিক জোট (রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ-আরসিইপি)। চীন রয়েছে এর নেতৃত্বে। এটাকে দেখা হচ্ছে বিশ্বের বড় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হিসেবে। আরসিইপির ব্যাপারে জো বাইডেনের প্রশাসন কোন দৃষ্টিতে দেখে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। তৃতীয়ত, ট্রাম্প প্রশাসন ডিসেম্বর (২০২০) মাসেই আফগানিস্তান থেকে ২ হাজার সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতা গ্রহণকে উৎসাহিত করবে। জো বাইডেন প্রশাসন কোন দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখবে, তা একটা বড় প্রশ্ন এখন। চতুর্থত, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নীতির কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ভারত। ট্রাম্পের ভারত সফর ও ট্রাম্প-মোদি সখ্য ইতোমধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। মোদি ও ট্রাম্পের অনেক নীতি এবং স্ট্র্যাটেজি এক ও অভিন্ন। ট্রাম্পের নীতি সারাবিশ্বে দক্ষিণপন্থি রাজনীতির উত্থানের জন্ম দিয়েছিল। মোদি এই নীতি অনুসরণ করতেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জো বাইডেন ভারতের প্রশ্নে এই নীতি সমর্থন করবেন কিনা।
advertisement
পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত একটি উঠতি শক্তি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সফরে এসেছিলেন দুজন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার। এরা দুজন ভারতীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। এর আগে টোকিওতে ‘কোয়াড’-এর (য়ঁধফৎরষধঃবৎধষ ংবপঁৎরঃু ফরধষড়মঁব যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত যার সদস্য) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (৬ অক্টোবর ২০২০)। এর পরই বঙ্গোপসাগর উপকূলে ভারতের বিশাকাপত্তমের কাছে গভীর সাগরে মালাবার নৌমহড়ায় অংশ নিয়েছিল (৩ নভেম্বর) এই চার দেশের নৌবাহিনী। অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনী গত ১৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মালাবার নৌমহড়ায় অংশ নিল। দ্বিতীয় পর্যায়ের মালাবার নৌমহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে আরব সাগরে গেল ১৭ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন মালাবার নৌমহড়া এবং পম্পেও-এস্পারের ভারত সফর মূলত একই সূত্রে গাঁথা। এর সঙ্গে আমরা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তা মি. বিগানের ঢাকা সফরকেও যোগ করতে পারি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলকে যে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এটা তার বড় প্রমাণ।
মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছে এশীয় প্যাসিফিক যে কত গুরুত্বপূর্ণ তার আরও একটি প্রমাণ হচ্ছে, ভারত সফরের পর পরই পম্পেও-এস্পার শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া সফর করেছিলেন। তবে নিঃসন্দেহে পম্পেও-এস্পারের নয়াদিল্লির সফরের গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। বৈশ্বিক পরিম-লে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানো ও ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করছে, তার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ভারত। ভারতকে কেন্দ্র করেই যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি রচিত হয়েছে। মোদ্দা কথা হচ্ছে চীনকে ঠেকানো, আর এজন্য ভারতকে সঙ্গে নেওয়া। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের এই যে নীতি, এখন জো বাইডেনের প্রশাসন তা কি পরিত্যাগ করবে? কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাইডেন কি কোনো পরিবর্তন আনবেন? চীনের ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গিই বা কী হবে?
advertisement
এখানে বলা ভালো, জো বাইডেন একজন সিনেটর হিসেবে পররাষ্ট্রনীতিসংক্রান্ত সিনেট কমিটিতে কাজ করে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি ২০০১-০৩ ও ২০০৭-০৯ দু-দুবার সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির সদস্য ছিলেন। ফলে বৈদেশিক সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই আলোকেই বলা যায়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। এখন দেখার পালা, এ অঞ্চলে তিনি কীভাবে মার্কিনি স্বার্থ আদায়ে উদ্যোগী হবেন। চীন বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। সাধারণ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতি হচ্ছে চীনের (১৪.১৪ ট্রিলিয়ন ডলার)। চীন তার ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির আওতায় ৬৪টি দেশকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে চীন তার প্রভাববলয় বিস্তার করছে বলে অনেকে মনে করেন।
যদিও এটা ঠিক, অতীতে চীন কখনো কোনো ঔপনিবেশিক শক্তি ছিল না। দেশটির আধিপত্য বিস্তারের কোনো ইতিহাসও নেই। কিন্তু মার্কিন নীতিনির্ধারকরা চীনের এই কর্মসূচির ব্যাপারে সন্দিহান। ফলে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছে এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের সামরিক উপস্থিতি খুবই জরুরি। এ অঞ্চলে অবস্থিত দক্ষিণ চীন সাগরের গুরুত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক বেশি। দক্ষিণ চীন সাগরের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্ব। দক্ষিণ চীন সাগরে তেলের রিজার্ভ রয়েছে ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ব্যারেল, আর গ্যাসের রিজার্ভ রয়েছে ১৯০ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট। চীন ইতোমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্য দিয়ে চীনের জ্বালানি চাহিদা অনেকটাই মেটাবে।
যুক্তরাষ্ট্রেও চায় এই জ্বালানিসম্পদের ভাগীদার হতে। তাই এখানেও একটা চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ বাণিজ্যিক ও মালবাহী জাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরের জলপথ ব্যবহার করে চলাচল করে। এ কারণেই এই সমুদ্রপথের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় বেইজিং। যা মার্কিনি স্বার্থকে আঘাত করতে পারে। তাই চীনকে মোকাবিলা করতে জাপানকে সব ধরনের সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কোরীয় উপদ্বীপের রাজনীতি আরেকটি কারণ। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক শক্তি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভয়টা ওই দেশকে নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীনের সমুদ্রপথ ব্যবহার করে তার নৌবাহিনীকে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করাতে পারে, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সামরিক কৌশলগত জলসীমা হিসেবে বিবেচিত। যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিকল্পনা রয়েছে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৬০ ভাগ সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করার। এ ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসন এ ধরনের পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে বলে মনে হয় না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, বাইডেন অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ওপর গুরুত্ব দেবেন বেশি।
জো বাইডেনের এশীয় নীতি আলোচনা করতে গেলে অবশ্যই আরসিইপি (জঈঊচ) নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। ১৫ নভেম্বর আশিয়ান সম্মেলনে এই মুক্তবাণিজ্য জোটটি গঠিত হয়। তবে মনে রাখতে হবে, চীনের সঙ্গে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করার ব্যাপারে আশিয়ান নেতারা ২০১২ সাল থেকেই আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য শুল্ক কমানো, সরবরাহ শৃঙ্খলা শক্তিশালী করা ও ই-কমার্সের জন্য নতুন বিধিবিধান চালু করা। আরসিইপির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ ও সেই সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ- জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তবে এটি কার্যকর হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। কেননা চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর সংসদে তা অনুমোদিত হতে হবে। অনেকগুলো কারণের জন্য আরসিইপি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী ও এক-তৃতীয়াংশ জিডিপি এ বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আসবে। চুক্তিবদ্ধ ১৫টি দেশে বাস করে ২২০ কোটি মানুষ। এটি একটি বড় বাজার, বৈশ্বিক জিডিপিতে অঞ্চলটির সম্মিলিত অবদান ৩০ শতাংশের বেশি। দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৬ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার। কোভিড-১৯ পরবর্তী যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠছে এবং চীনের নেতৃত্বে যে নতুন এক বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আরসিইপি এ ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখবে। এখানে বলা ভালো, এ অঞ্চল ঘিরে ওবামা প্রশাসনের আমলে টিপিপি (ঞচচ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে ২০১৭ সালে বেরিয়ে এসেছিলেন। ট্রাম্প বিশ্বকে একটা অস্থিরতার জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এখন জো বাইডেনকে ফিরে আসতে হবে। চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ বা বিআরআই (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ)-এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এশিয়া-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’র একটা সমন্বয় প্রয়োজন।
এ ক্ষেত্রে বাইডেন যদি ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করেন, যদি চীনকে ‘একঘরে’ করার ট্রাম্পের নীতি সমর্থন করে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেন, তা হলে ট্রাম্প স্নায়ুযুদ্ধ-২ এর যে ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন, তা আরও শক্তিশালী হবে মাত্র। কোভিড-১৯ মোকাবিলা করা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগ দিয়ে মহামারী রোধে একটা বৈশ্বিক অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করা, ইরান প্রশ্নে ৬ জাতি আলোচনা শুরু করা- এসব বিষয়ও স্থান পাবে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার তালিকায়। এ ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল যে তার পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। একটা আশার জায়গা হচ্ছে, জো বাইডেন একজন বাংলাদেশি-আমেরিকানকে তার দক্ষিণ এশীয় উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ওসমান সিদ্দিকী একজন মার্কিন কূটনীতিক, তিনি ফিজি, নাঊরু ও তুভালুতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত (১৯৯৯-২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই নিয়োগ নিঃসন্দেহে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাপারে জো বাইডেন প্রশাসনকে আরও আগ্রহী করে তুলবে। আমাদের জন্যও এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতিতে এশিয়া গুরুত্ব পাবে। আমাদের দায়িত্বটি হবে এই গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের স্বার্থ আদায় করে নেওয়া।
Amader Somoy
21.11.2020
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Nintendo Switch in stock on Cyber Monday: Check Mario Kart bundle at Amazon, Best Buy and Walmart
ReplyDeleteA New Strategy as Moderna's Charts Point to Further Gains
Amazon Cyber Monday 2020: Save 25% on Meghan Markle’s Veja Sneakers