জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ৯ সেপ্টেম্বর
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়
তিনি বললেন, \'শিক্ষকরা সামান্য বেতন পান। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন
এই সময়টার জন্য। ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রাপ্ত বাড়তি অর্থ দিয়ে অনেক শিক্ষক
বাসায় রেফ্রিজারেটর, পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যাওয়া, এমনকি পছন্দের পাত্রীকে
বিয়ে করার স্বপ্নও দেখেন।\' এ কথাগুলো তিনি বলছিলেন ভর্তি ফরমের বর্ধিত
মূল্যের একটি যুক্তি হিসেবে। উপাচার্য মহোদয়ের কথাগুলো এভাবেই ছাপা হয়েছে
সমকালে ১০ সেপ্টেম্বর।
দীর্ঘদিন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকদের নেতাও ছিলেন। আমার ভাবতে অবাক লাগে, তিনি কী করে চিন্তা করলেন মাত্র ৭ থেকে ১০ দিনের অতিরিক্ত ডিউটি করে একজন শিক্ষক রেফ্রিজারেটর কেনেন, বেড়াতে যান, পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেন! তাই কি? তাহলে কি শিক্ষকদের বাসায় কোনো ফ্রিজ নেই, তারা বসে থাকেন ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোর জন্য? কিন্তু আমি উপাচার্যের কথায় মর্মাহত হয়েছি। তিনি এভাবে না বললেও পারতেন। শিক্ষকদের অনেকেরই বাড়ি-গাড়ি আছে এবং তা বৈধ আয়েই সম্ভব হয়েছে। আমার বিশ্বাস, তিনি হয়তো কথাটা এভাবে বলতে চাননি, মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। তিনি নিজেও ভালো করে জানেন, এভাবে শিক্ষকদের সম্পর্কে ঢালাও মন্তব্য করা যায় না।
আসল কথা হচ্ছে, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের দিনকাল খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। গত ২৭ আগস্ট দায়িত্ব পাওয়ার একশ\' দিন পার করলেন তিনি। তার এই একশ\' দিনকে যদি মূল্যায়ন করা যায়, তাহলে তার \'পারফরম্যান্স\' যে খুব খারাপ তা অবিশ্যি বলা যাবে না। তিনি স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন। রাজাকারমুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমান্তে বেড়া দিতে চান। এগুলো সবই ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু তার আমলেই ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলি করল। হোক না তা রাবার বুলেট_ এটা তো তার \'ইমেজ\'কে খারাপ করল। তিনি সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি_ এটাও তার জন্য ভালো নয়। তিনি নির্বাচিত \'ভিসি\'_ এটা তার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। এখন পর্যন্ত তিনি শিক্ষক রাজনীতিতে জড়াননি_ এটা একটা ভালো দিক। জাবিতে মূলত এখন দুটি পক্ষ_ সাবেক উপাচার্যের সমর্থকদের একটা অংশ, অপর অংশে রয়েছে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও বামপন্থি শিক্ষকদের একটা অংশ। তিনি কোনো অংশেই নেই এটা ভালো লক্ষণ। আমার ধারণা, তার উপদেষ্টারা তাকে সঠিক উপদেশটি দিচ্ছেন না। দিলে ভর্তি ফরমের মূল্য বাড়ানো হতো না। এর আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল না। ভর্তি ফরমের মূল্য বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধি হবে, এটা কাম্য নয়। যদিও ছাত্রদের দাবির মুখে ফরমের দাম ৫০ টাকা কমানো হয়েছে।
জাবি ভিসি দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। তার এই আহ্বান সবাই প্রশংসা করেছিল সেদিন। ১৯৭০-৭১ সালে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার যাত্রা শুরু করেছিল তা আজ অনেক \'বড়\' হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের \'অর্জন\' কতটুকু, তা আজ ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। নতুন নতুন অনেক বিভাগ খোলা হয়েছে। কিন্তু সিনিয়র শিক্ষক নেই। এমনকি সিনিয়র শিক্ষক ছাড়াই চলছে কোনো কোনো বিভাগ। ভাবতে অবাক লাগে, ১২-১৩ বছরের পুরনো বিভাগ চলছে প্রভাষকদের দিয়ে। প্রভাষকরা নতুন। সবে পাস করে বিভাগে যোগ দিচ্ছেন। তারা মাস্টার্স পর্যায়ে ক্লাস পর্যন্ত নিচ্ছেন। পরীক্ষা কমিটিতে থাকছেন। এতে করে কি শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে? আরও অবাক কাণ্ড সিনিয়র প্রফেসর ছাড়াই এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। যাদের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি করানো হচ্ছে_ এটা উপাচার্য মহোদয় খোঁজ নিতে পারেন। কোনো কোনো বিভাগে পিএইচডি কমিটি গঠিত হয়েছে যাদের দিয়ে, তাদের অনেকেরই পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রি নেই। উপাচার্য মহোদয়, এতে কি শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে? এমফিল, পিএইচডি কোর্সে সিলেবাস ছাড়াই ছাত্র ভর্তি করানো হয়েছে। এসব তথ্য আপনাকে সরবরাহ করা হয়েছে কি-না, আমি জানি না।
উপাচার্য মহোদয় \'স্বপ্নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়\' প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন, যদি নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তগুলো নেন : ১. নূ্যনতম তিন থেকে চারজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যাপক ছাড়া কোনো বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি কোর্স চালু না করা; ২. পিএইচডির অভিসন্দর্ভ (থিসিস) দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা (যেটা এখন নেই); ৩, পিএইচডি থিসিস ইংরেজিতে লেখা বাধ্যতামূলক করা; ৪. পিএইচডি কমিটিতে ডিনকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো; ৫. বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে (একাডেমিক দুর্নীতি, যৌন অপরাধে অপরাধী) কমিটিতে না রাখা; ৬. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা (এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গ্রেডিং নিয়ে প্রশ্ন আছে); ৭. এমফিল ও পিএইচডি কোর্সের ক্লাস নিয়মিত মনিটর করা; ৮. নতুন নতুন বিভাগে প্রফেসরদের সংখ্যা বাড়ানো। প্রয়োজনে সাময়িকভাবে সংশ্লিষ্ট অন্য বিভাগ থেকে শিক্ষকদের ওই বিভাগে \'ট্রান্সফার\' করা; ৯. প্রভাষক নয়, বরং সিনিয়র শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া; ১০ প্রভাষক নিয়োগে চার স্তরবিশিষ্ট \'নিয়োগ প্রক্রিয়া\' (রেজাল্ট, মৌখিক, ডেমো ও লিখিত পরীক্ষা) চালু করা।
মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। অতীতে যারাই উপাচার্য হয়েছেন, তারাই \'রাজনৈতিক বিবেচনায়\' শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি যিনি বিভাগের চেয়ারম্যান কর্তৃক সহকারী অধ্যাপক পদে \'সুপারিশকৃত\' হননি (সমকাল ৯ এপ্রিল, ২০১২) তাদেরও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা তখন যৌন নিপীড়ককে পদোন্নতির তদবির করছেন_ তিনি অনুমোদন করেননি বটে; কিন্তু \'চাপের মুখে\' যদি তা করেন, তাহলে উচ্চশিক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা নিয়ে আপনি চিন্তা-ভাবনা করবেন, আমরা আপনার কাছে এটাই প্রত্যাশা করি। আপনার \'স্বপ্নের জাহাঙ্গীরনগর\' কাগজ-কলমে থাকুক_ তা আমরা কেউই চাই না।
Daily SAMAKAL
26.09.12
দীর্ঘদিন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকদের নেতাও ছিলেন। আমার ভাবতে অবাক লাগে, তিনি কী করে চিন্তা করলেন মাত্র ৭ থেকে ১০ দিনের অতিরিক্ত ডিউটি করে একজন শিক্ষক রেফ্রিজারেটর কেনেন, বেড়াতে যান, পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেন! তাই কি? তাহলে কি শিক্ষকদের বাসায় কোনো ফ্রিজ নেই, তারা বসে থাকেন ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোর জন্য? কিন্তু আমি উপাচার্যের কথায় মর্মাহত হয়েছি। তিনি এভাবে না বললেও পারতেন। শিক্ষকদের অনেকেরই বাড়ি-গাড়ি আছে এবং তা বৈধ আয়েই সম্ভব হয়েছে। আমার বিশ্বাস, তিনি হয়তো কথাটা এভাবে বলতে চাননি, মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। তিনি নিজেও ভালো করে জানেন, এভাবে শিক্ষকদের সম্পর্কে ঢালাও মন্তব্য করা যায় না।
আসল কথা হচ্ছে, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের দিনকাল খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। গত ২৭ আগস্ট দায়িত্ব পাওয়ার একশ\' দিন পার করলেন তিনি। তার এই একশ\' দিনকে যদি মূল্যায়ন করা যায়, তাহলে তার \'পারফরম্যান্স\' যে খুব খারাপ তা অবিশ্যি বলা যাবে না। তিনি স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন। রাজাকারমুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমান্তে বেড়া দিতে চান। এগুলো সবই ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু তার আমলেই ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলি করল। হোক না তা রাবার বুলেট_ এটা তো তার \'ইমেজ\'কে খারাপ করল। তিনি সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি_ এটাও তার জন্য ভালো নয়। তিনি নির্বাচিত \'ভিসি\'_ এটা তার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। এখন পর্যন্ত তিনি শিক্ষক রাজনীতিতে জড়াননি_ এটা একটা ভালো দিক। জাবিতে মূলত এখন দুটি পক্ষ_ সাবেক উপাচার্যের সমর্থকদের একটা অংশ, অপর অংশে রয়েছে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও বামপন্থি শিক্ষকদের একটা অংশ। তিনি কোনো অংশেই নেই এটা ভালো লক্ষণ। আমার ধারণা, তার উপদেষ্টারা তাকে সঠিক উপদেশটি দিচ্ছেন না। দিলে ভর্তি ফরমের মূল্য বাড়ানো হতো না। এর আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল না। ভর্তি ফরমের মূল্য বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধি হবে, এটা কাম্য নয়। যদিও ছাত্রদের দাবির মুখে ফরমের দাম ৫০ টাকা কমানো হয়েছে।
জাবি ভিসি দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। তার এই আহ্বান সবাই প্রশংসা করেছিল সেদিন। ১৯৭০-৭১ সালে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার যাত্রা শুরু করেছিল তা আজ অনেক \'বড়\' হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের \'অর্জন\' কতটুকু, তা আজ ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। নতুন নতুন অনেক বিভাগ খোলা হয়েছে। কিন্তু সিনিয়র শিক্ষক নেই। এমনকি সিনিয়র শিক্ষক ছাড়াই চলছে কোনো কোনো বিভাগ। ভাবতে অবাক লাগে, ১২-১৩ বছরের পুরনো বিভাগ চলছে প্রভাষকদের দিয়ে। প্রভাষকরা নতুন। সবে পাস করে বিভাগে যোগ দিচ্ছেন। তারা মাস্টার্স পর্যায়ে ক্লাস পর্যন্ত নিচ্ছেন। পরীক্ষা কমিটিতে থাকছেন। এতে করে কি শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে? আরও অবাক কাণ্ড সিনিয়র প্রফেসর ছাড়াই এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। যাদের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি করানো হচ্ছে_ এটা উপাচার্য মহোদয় খোঁজ নিতে পারেন। কোনো কোনো বিভাগে পিএইচডি কমিটি গঠিত হয়েছে যাদের দিয়ে, তাদের অনেকেরই পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রি নেই। উপাচার্য মহোদয়, এতে কি শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে? এমফিল, পিএইচডি কোর্সে সিলেবাস ছাড়াই ছাত্র ভর্তি করানো হয়েছে। এসব তথ্য আপনাকে সরবরাহ করা হয়েছে কি-না, আমি জানি না।
উপাচার্য মহোদয় \'স্বপ্নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়\' প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন, যদি নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তগুলো নেন : ১. নূ্যনতম তিন থেকে চারজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যাপক ছাড়া কোনো বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি কোর্স চালু না করা; ২. পিএইচডির অভিসন্দর্ভ (থিসিস) দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা (যেটা এখন নেই); ৩, পিএইচডি থিসিস ইংরেজিতে লেখা বাধ্যতামূলক করা; ৪. পিএইচডি কমিটিতে ডিনকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো; ৫. বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে (একাডেমিক দুর্নীতি, যৌন অপরাধে অপরাধী) কমিটিতে না রাখা; ৬. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা (এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গ্রেডিং নিয়ে প্রশ্ন আছে); ৭. এমফিল ও পিএইচডি কোর্সের ক্লাস নিয়মিত মনিটর করা; ৮. নতুন নতুন বিভাগে প্রফেসরদের সংখ্যা বাড়ানো। প্রয়োজনে সাময়িকভাবে সংশ্লিষ্ট অন্য বিভাগ থেকে শিক্ষকদের ওই বিভাগে \'ট্রান্সফার\' করা; ৯. প্রভাষক নয়, বরং সিনিয়র শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া; ১০ প্রভাষক নিয়োগে চার স্তরবিশিষ্ট \'নিয়োগ প্রক্রিয়া\' (রেজাল্ট, মৌখিক, ডেমো ও লিখিত পরীক্ষা) চালু করা।
মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। অতীতে যারাই উপাচার্য হয়েছেন, তারাই \'রাজনৈতিক বিবেচনায়\' শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি যিনি বিভাগের চেয়ারম্যান কর্তৃক সহকারী অধ্যাপক পদে \'সুপারিশকৃত\' হননি (সমকাল ৯ এপ্রিল, ২০১২) তাদেরও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা তখন যৌন নিপীড়ককে পদোন্নতির তদবির করছেন_ তিনি অনুমোদন করেননি বটে; কিন্তু \'চাপের মুখে\' যদি তা করেন, তাহলে উচ্চশিক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা নিয়ে আপনি চিন্তা-ভাবনা করবেন, আমরা আপনার কাছে এটাই প্রত্যাশা করি। আপনার \'স্বপ্নের জাহাঙ্গীরনগর\' কাগজ-কলমে থাকুক_ তা আমরা কেউই চাই না।
Daily SAMAKAL
26.09.12
0 comments:
Post a Comment