রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মিয়ানমারের ব্লাফ গেম!

ঢাকা সফর করে গেলেন মিয়ানমারের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সোয়ে। ওই সফরে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিয়ানমারের মন্ত্রী হাসিমুখে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে। এই আশ্বাসের মাধ্যমে কি মিয়ানমারের গণহত্যাকারীদের আড়াল করা হল? সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্থাপিত ৫ দফা নিয়ে আলোচনা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ আলোচনা পাঁচ দফা সম্পর্কিত নয়। আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রক্রিয়াটি শুরু হল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন এ ধরনের কথা বলেন, তখন আমি অবাক না হয়ে পারি না। কারণ প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে উত্থাপিত তার ৫ দফায় বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরেছেন। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এ ৫ দফা কেন উত্থাপিত হল না, আমি বুঝতে অক্ষম। নিঃসন্দেহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মূল ইস্যু। কিন্তু ৫ দফার সঙ্গে সুস্পষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান আছে। এই তথাকথিত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন এ সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আমরা মোটামুটিভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ফলাফল জানি। অতীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে; কিন্তু ফলাফল শূন্য।


৪-৫ লাখ রোহিঙ্গা আগে থেকেই কক্সবাজার এলাকায় শরণার্থী ক্যাম্পে ও এর আশপাশের এলাকায় বসবাস করে আসছিল। এখন এদের সঙ্গে যুক্ত হল আরও ৫ লাখের ওপর। অর্থাৎ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক চাপের কারণে মিয়ানমারের মন্ত্রী এসে বলে গেলেন তাদের নাগরিকদের তারা ফিরিয়ে নেবেন। এটা যে স্রেফ ভাঁওতাবাজি ও সময়ক্ষেপণ করা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের নামে মিয়ানমার আমাদের স্রেফ ব্লাফ দিল! আমরা তাদের আশ্বাসকে যদি বিশ্বাস করি তাহলে ভুল করব। দিব্যি দিয়ে বলতে পারি, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারলাম না। চাপ সৃষ্টি করার একটা কৌশল হচ্ছে মিয়ানমারে গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার দাবি করা। এই গণহত্যার কথা আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলেছে, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের প্রধান বলেছেন। সুতরাং বাংলাদেশ এ প্রশ্ন তুলতেই পারে এবং এর মাধ্যমে মিয়ানমারকে চাপে রাখা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ এ পথটি এড়িয়ে গেল! এতে করে কি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার?

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ অতি সম্প্রতি ছাপা হয়েছে, যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রথম খবরটি এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। মিয়ানমারে গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারের জন্য সেখানে একটি গণআদালত গঠিত হয়েছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট পিপল্স ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে এ আন্তর্জাতিক গণআদালত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অং সান সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। রোহিঙ্গা ও কাচিনদের ওপর চালানো গণহত্যা ও নিষ্ঠুর নিপীড়নের তদন্তে যুক্ত বিশিষ্টজন ও খ্যাতনামা আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত সদস্যদের বিচারক প্যানেল এ রায় দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটনও জবানবন্দি দেন। আদালত ওই রায়ের আলোকে ১৭টি সুপারিশ করেছে, যা জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পাঠানো হবে।

দ্বিতীয় খবরটি এসেছে জাতিসংঘ থেকে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে ইরাকে একটি তথ্যানুসন্ধান টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ টিমের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা সেখানে কী ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, সে ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করা এবং ইরাক সরকারকে সাহায্য করা। ব্রিটেন এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং ১০ লাখ পাউন্ড (১৩ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার) দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যারা আইএস কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছে, তাদের কিছুটা
সুবিধা দেয়ার জন্যই এই অর্থ দেয়া হবে। এখানে বলে রাখা ভালো, ২০১৪ সালে আইএসের জঙ্গিরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সিনজির পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ইয়াজেদি সম্প্রদায়ের ওপর বড় ধরনের জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছিল, যাকে পরবর্তীকালে জাতিসংঘ গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। ওই সময় শত শত ইয়াজেদি তরুণীকে ধরে এনে তাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তাদের করুণ কাহিনী ওই সময় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। এখন নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইয়াজেদি সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন ও গণহত্যা হয়েছে, তা তদন্তে একটি তথ্যানুসন্ধান টিম গঠন করা হবে।

উপরে উল্লিখিত দুটো সংবাদ বিচ্ছিন্ন হলেও একটা মিল আছে- যুদ্ধাপরাধের বিচার ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা। এটা সত্য, মালয়েশিয়ার পিপিটির কোনো আইনগত বৈধতা নেই। এটা সিম্বলিক অর্থাৎ প্রতীকী আদালত। কিন্তু এর একটি প্রতিক্রিয়া আছে। এ ধরনের ঘটনা একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠনে সহায়তা করে থাকে। রোম স্ট্যাটিটিউটে (১৯৯৮, কার্যকর ২০০২) এ ধরনের আদালত গঠন করার কথা বলা হয়েছে। আগামীতে ইরাকে এ ধরনের আদালত গঠিত হবে এবং আমাদের ধারণা আমরা যদি মিয়ানমারের গণহত্যার ঘটনা সত্যিকারভাবে আন্তর্জাতিক আসরে তুলে ধরতে পারি, তাহলে মিয়ানমারের ব্যাপারে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করা সম্ভব হবে।

জশুয়া কুরলান্টসিক (Joshua Kurlantyick) গত ১ অক্টোবর The National-এ একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধটির শিরোনাম Aung San Suu Kyi is the bad gyu in the Rohingya crisis, but what about the man directly responsible for massacres? শিরোনাম থেকেই বোঝা যায় কী বলতে চেয়েছেন তিনি। যে কথাটা আমরা বারবার বলে আসছি, সে কথাটাই বলেছেন তিনি- অর্থাৎ গণহত্যা ও উচ্ছেদ অভিযানের দায় সু চি এড়াতে পারেন না। তবে তিনি বেশি দায়ী করেছেন সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংকে। তার মন্তব্য অনেকটা এরকম :
It needs to give the Mayanmar generals a serious warning. Doing so might lead the military to halt its atrocities, but more importantly, it would suggest that army leaders cannot continue a scorched earth policy and let Ms. Suu Kyi take all the public criticism. পশ্চিমাদের উচিত জেনারেল অং হ্লাইংকে একটা কড়া মেসেজ দেয়া।

ব্যবসায়িক ও কর্পোরেট স্বার্থ এখানে এত বেশি যে, পশ্চিমা বিশ্ব এই জেনারেলকে এখনও সমীহ করে চলছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ব্যক্তিগত পর্যায়ে জেনারেল হ্লাইং পশ্চিমা বিশ্বের অনেক সরকারপ্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে আসছেন। লক্ষ্য করে দেখবেন পশ্চিমা নেতারা কিন্তু সরাসরি জেনারেল হ্লাইংকে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য রাখেননি। গত এক বছরে জেনারেল হ্লাইং জার্মানি, ইতালি, জাপান, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম সফর করেছেন এবং প্রতিটি দেশে তাকে লাল কার্পেট সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বেলজিয়ামে তিনি (নভেম্বর ২০১৬) ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিলিটারি কমিটির কাছে বক্তব্য রেখেছেন। ইতালিতে তিনি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জার্মানিতে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালের এপ্রিলে। জাপানেও তিনি গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য প্রধানত দুটো : এক. এসব দেশ থেকে অস্ত্র ক্রয় করা; দুই. নিজেকে মিয়ানমারের মূল নেতা হিসেবে উপস্থাপন করা। এতদিন চীনের অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল মিয়ানমার। এখন জেনারেলরা এ নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন। ভারত থেকেও টর্পেডো (যা সাবমেরিন ধ্বংসের কাজে ব্যবহৃত হয়) কিনেছেন জেনারেলরা। জেনারেল হ্লাইং ভারতেও গিয়েছিলেন। ভারত সফরে (জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগে) তিনি মোদি ও অজিত দোভালের সঙ্গে দেখাও করেছেন। অজিত দোভাল ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ২৬ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা শুরুর আগে দোভালের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ অনেক প্রশ্নের জন্ম দিতে বাধ্য। বলা ভালো, রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশ ভারতের সমর্থন পায়নি। ভারত মূলত সমর্থন করেছে মিয়ানমারকে। এমনকি মিয়ানমারে যে মুসলিম গণহত্যা হয়েছে, তারও নিন্দা করেনি ভারত। এতে জেনারেল হ্লাইং ও স্থানীয় সেনা কমান্ডাররা উৎসাহিত হয়েছেন গণহত্যায়। অতীতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এভাবে কখনও বিদেশ সফর করেননি। জেনারেল হ্লাইং নিজেকে তৈরি করছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্টের জন্য। বর্তমান প্রেসিডেন্ট হটিন কিঅ (Htin Kyaw) দায়িত্ব নিয়েছেন ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ। ১৯৬২ সালের পর তিনিই প্রথম সিভিলিয়ান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের ধারণা, বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জেনারেল হ্লাইং হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, যে কারণে বহির্বিশ্বে তিনি অস্ত্র ক্রয়ের নামে জনসংযোগ তৈরি করছেন। মিয়ানমারের জিডিপির পরিমাণ ৭২ দশমিক ৩৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ দেশে রয়েছে তেল, গ্যাসসহ প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। সুতরাং পশ্চিমা বিশ্বের যে আগ্রহ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আর এ আগ্রহটাকে ব্যবহার করেই জেনারেল হ্লাইং তার ভবিষ্যৎ পথ পরিষ্কার করছেন। কিন্তু গণহত্যার মূল হোতা তিনি।

এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বাংলাদেশ যদি মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার না হয়, তাহলে পৃথিবীর অন্যত্র যেসব গণহত্যা হয়েছে, তার বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রধানত দুটি বড় শক্তি চীন ও রাশিয়ার কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেই- গেল বছর মিয়ানমারের সেনাপ্রধান রাশিয়া সফর করেছিলেন। ওই সফরে তিনি সামরিক অস্ত্র ক্রয়ের ব্যাপারে কয়েক মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছিলেন। চীনের যে মিয়ানমারে অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে, তা আমরা আগেই আলোচনা করেছি। যুক্তরাষ্ট্রেরও অর্থনৈতিক ও স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। দীর্ঘদিন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। ওবামা প্রশাসনের আমলে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কিন্তু এখন প্রমাণিত হয়েছে, তথাকথিত গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে সেনাবাহিনীই মূলত দেশটি চালাচ্ছে। আর তাতে সমর্থন রয়েছে সু চির।

সু চির মন্ত্রীর সফরে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আমরা পেলাম না। কবে প্রত্যাবাসন শুরু হবে, মিয়ানমারে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কীভাবে, কিংবা সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা, এ ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই। সুতরাং এটা বোঝাই যায়, কিয়াও টিন্ট সোয়ের এটি লোক দেখানো সফর। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে না। বাংলাদেশকে এখন দু
ভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এক. নিবারক কূটনীতি, অর্থাৎ যুদ্ধ নয়, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা। দুই. আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে মিয়ানমারের গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবি তোলা এবং এ দাবির সপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনীতি আরও সক্রিয় হতে হবে। বাংলাদেশ যদি দুর্বলভাবে তার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রশ্নে, তাহলে বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হবে মাত্র।

0 comments:

Post a Comment