ইউরোপের রাজনীতি এখন কোন পথে? আমি এখন ইউরোপে। প্যারিস থেকে
ফ্রাংকফুর্টে। আগামী সপ্তাহে চলে যাব আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে। খুব কাছ
থেকে দেখছি ইউরোপের রাজনীতি। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের লোক হিসেবে যেখানেই যাই দেখার
চেষ্টা করি কীভাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বদলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা
বলেছি। যেসব বাংলাদেশি থাকেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
বুঝতে চেষ্টা করছি রাজনীতিটা যাচ্ছে কোন দিকে। জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের পর আরও
দুটি প্রাদেশিক নির্বাচন হয়ে গেল। সেখানেও উগ্র ডানপন্থীরা ভালো করেছে।
অস্ট্রিয়াতেও সাধারণ নির্বাচন হয়ে গেছে। সেখানেও উগ্র ডানপন্থীরা ক্ষমতায় এসেছে।
এর অর্থ কী? ইউরোপ কি একটি উগ্র ডানপন্থী উত্থান
প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে আগামী দশকে? ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত
অনেক দেশেই এখন উগ্র ডানপন্থীরা তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। এ উগ্র ডানপন্থীরা
দুটো কাজ করতে পারে- এক. তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, যেমনটি গেছে ব্রিটেন; দুই. এক ধরনের
বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের জন্ম দিতে পারে, যেমনটি দিয়েছে
স্পেনের কাতালোনিয়া।
প্যারিসে Pantheon দেখতে গিয়ে ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপকের সঙ্গে হঠাৎ করেই পরিচয়। পাশের উন্মুক্ত রেস্তোরাঁয় কফি খেতে খেতে
ফ্রান্সের রাজনীতি নিয়ে আলাপ হচ্ছিল। Pantheon হচ্ছে একটি
মিউজিয়াম। ফরাসি বিপ্লবের পর এ ভবনটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়। অনেক বিখ্যাত
ব্যক্তির কবর আছে এখানে : ভলতেয়ার, ভিক্টর হুগো এবং
ম্যারি কুরি। আমার মিউজিয়াম দেখার উদ্দেশ্যও ছিল তা-ই। সেখানেই পরিচয় অধ্যাপক
ফাঁসোয়ার সঙ্গে। তারপর আলাপ। তিনি নৃবিজ্ঞান পড়ান। সঙ্গে ভিয়েতনামী স্ত্রী। খুব
স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মতো দেশগুলোর ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে ভদ্রলোকের। তিনি স্পষ্ট
করেই বললেন, ইউরোপ বদলে যাচ্ছে। আরও দশ বছরে আরও দশটি
কাতালোনিয়ার জন্ম হবে! অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে। এ
মুহূর্তে কাতালোনিয়া নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কাতালোনিয়ার গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে রায়
পড়ার পর স্পেন বেশ শক্ত অবস্থানে গেছে। কাতালোনিয়ার নেতারা শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার
ঘোষণা স্থগিত রেখেছেন বটে; কিন্তু কতদিন? স্পেন সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা একরকম ব্যর্থ হয়েছে। স্পেনের
প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ও
স্বাধীনতাকামীদের নেতা চার্লস পুইজমন্ট যদি স্বাধীনতা পরিত্যাগের সুস্পষ্ট ঘোষণা
না দেন, তাহলে কাতালোনিয়া যে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে,
স্পেন সরকার তা বাতিল করবে।
কাতালোনিয়া স্পেনের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ। মাত্র ১২ হাজার ৩৯৭
বর্গমাইল এলাকা নিয়ে প্রদেশটি গঠিত, লোকসংখ্যা ৭৫ লাখ ২২ হাজার। এই
কাতালোনিয়া এখন স্বাধীনতা চায়। গত ১ অক্টোবর সেখানে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে
শতকরা ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে স্বাধীনতার পক্ষে। এ নিয়ে একটি বড় ধরনের সংকটে পড়েছে
স্পেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর সমালোচনা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ আদালত বলছে,
কাতালোনিয়া এ গণভোট আয়োজন করতে পারে না। কিন্তু কাতালোনিয়া
স্বাধীনতার প্রশ্নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা চার্লস পুইজমন্ট বলেছেন,
স্বাধীনতার ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এভাবেই বদলে যাচ্ছে ইউরোপের রাজনীতি। একদিকে উগ্র দক্ষিণপন্থীদের উত্থান ঘটছে, অনদিকে বাড়ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারা। এ পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে? ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্য কি ধরে রাখা সম্ভব হবে? এসব প্রশ্ন এখন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ হচ্ছে উগ্র ডানপন্থী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ এবং সাধারণ ইউরোপীয়দের মাঝে এদের প্রভাব বৃদ্ধি। পার্লামেন্ট কিংবা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এরা বিপুলসংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে ইউরোপের সনাতন রাজনীতির ট্রেন্ডকে ভেঙে দিয়েছে। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, হল্যান্ড, চেক রিপাবলিক- সর্বত্রই এই উগ্র ডানপন্থীদের প্রভাব বাড়ছে। ভয়টা সেখানেই। সবচেয়ে অবাক করার ঘটনা ঘটেছে জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেখানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উগ্রবাদী দল হিসেবে পরিচিত অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
এভাবেই বদলে যাচ্ছে ইউরোপের রাজনীতি। একদিকে উগ্র দক্ষিণপন্থীদের উত্থান ঘটছে, অনদিকে বাড়ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারা। এ পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে? ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্য কি ধরে রাখা সম্ভব হবে? এসব প্রশ্ন এখন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ হচ্ছে উগ্র ডানপন্থী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ এবং সাধারণ ইউরোপীয়দের মাঝে এদের প্রভাব বৃদ্ধি। পার্লামেন্ট কিংবা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এরা বিপুলসংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে ইউরোপের সনাতন রাজনীতির ট্রেন্ডকে ভেঙে দিয়েছে। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, হল্যান্ড, চেক রিপাবলিক- সর্বত্রই এই উগ্র ডানপন্থীদের প্রভাব বাড়ছে। ভয়টা সেখানেই। সবচেয়ে অবাক করার ঘটনা ঘটেছে জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেখানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উগ্রবাদী দল হিসেবে পরিচিত অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জার্মানির রাজনীতি পরিচালনা করে আসছে দুটি বড়
দল- সিডিইউ আর এসপিডি। এখন জার্মান পার্লামেন্টে তৃতীয় শক্তি হচ্ছে এএফডি। ভয়ের
কারণ হচ্ছে, এএফডির উত্থান অন্য দেশগুলোতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
অস্ট্রিয়া এর বড় প্রমাণ। সেখানে গত রোববারের নির্বাচনে উগ্রপন্থী পিপলস পার্টি
বিজয়ী হয়েছে এবং ৩১ বছর বয়স্ক সেবাসটিয়ান কুর্জ সেদেশের চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাত্রেঁদ্ধার বিজয় একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি
করেছিল। কিন্তু ফ্রান্সে এসে দেখলাম তার জনপ্রিয়তা আগের মতো নেই। মে মাসে তার
জনপ্রিয়তা ছিল শতকরা ৬২ ভাগ, আর আগস্টে (২০১৭) তা কমে
দাঁড়ায় ৪০ ভাগে (টাইম, ৯ অক্টোবর ২০১৭)। তার বিরুদ্ধে
সাধারণ মানুষ রাস্তায়ও নেমেছে। কাজেই দেখা যাচ্ছে, ম্যাক্রোঁর
প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমছে। ফ্রান্সের রাজনীতি দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণ করেছে
একদিকে মধ্য-দক্ষিণপন্থীরা, অন্যদিকে মধ্য-বামপন্থীরা। এ
দুটি ভাবধারার বড় রাজনৈতিক দলের আদর্শ মানুষকে টানতে পারেনি। তাই নির্বাচনে
(প্রেসিডেন্ট) তারা ম্যাক্রোঁকে বেছে নিয়েছিলেন। ম্যাত্রেঁদ্ধা মাত্র দু’বছর আগে এটি দল গঠন
করে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়েছিলেন। তার তারুণ্য, স্পষ্ট বক্তব্য মানুষ
গ্রহণ করেছিল। এখন ম্যাক্রোঁ যদি ব্যর্থ হন, তাহলে উগ্র
লি পেনের উত্থান ঠেকানো যাবে না।
সমস্যা আছে ইতালিতেও। একটি ভঙ্গুর সরকার সেখানে রয়েছে; কিন্তু যে কোনো সময় এ সরকারের পতন ঘটতে পারে। কমেডিয়ান বেপ্পে গ্রিল্লও ও তার নবগঠিত দল ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্টে’র উত্থান ইতালির সনাতন রাজনীতির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এ দলটি শরণার্থীবিরোধী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী। ইতিমধ্যে ইতালি ৮০ হাজারের ওপর শরণার্থী গ্রহণ করেছে। এ শরণার্থী আগমন ইতালির রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। জন্ম হচ্ছে নব্য নাৎসি পার্টির।
সমস্যা আছে ইতালিতেও। একটি ভঙ্গুর সরকার সেখানে রয়েছে; কিন্তু যে কোনো সময় এ সরকারের পতন ঘটতে পারে। কমেডিয়ান বেপ্পে গ্রিল্লও ও তার নবগঠিত দল ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্টে’র উত্থান ইতালির সনাতন রাজনীতির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এ দলটি শরণার্থীবিরোধী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী। ইতিমধ্যে ইতালি ৮০ হাজারের ওপর শরণার্থী গ্রহণ করেছে। এ শরণার্থী আগমন ইতালির রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। জন্ম হচ্ছে নব্য নাৎসি পার্টির।
শরণার্থীদের ব্যাপক হারে ইউরোপে প্রবেশ শুধু জার্মানি, ফ্রান্স আর ইতালির
রাজনীতিকেই বদলে দেয়নি, বদলে দিয়েছে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক আর স্লোভাকিয়ার
রাজনীতিকেও। শরণার্থীরা যখন ইউরোপে ব্যাপক হারে প্রবেশ করতে শুরু করে, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক ধরনের ‘কোটা সিস্টেম’ আরোপ করেছিল। এ
সিস্টেমে প্রতিটি দেশকে ১১ হাজার করে শরণার্থী গ্রহণে নির্দিষ্ট কোটা দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চেক
রিপাবলিক ও স্লোভাকিয়া তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়। এমনকি হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া
ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসে আবেদন করলে তা বাতিল হয়। এসব দেশে শরণার্থীদের ব্যাপক
অভিবাসনকে কেন্দ্র করে যেমন একদিকে দক্ষিণপন্থী উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উত্থান
ঘটছে, অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী মনোভাবও শক্তিশালী
হচ্ছে।
বদলে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিও। নতুন নতুন রাজনীতিকদের উত্থান ঘটছে
ইউরোপে, যারা
তথাকথিত ‘পপুলিজমের’ কারণে জনপ্রিয় হচ্ছেন। সস্তা স্লোগান, জাতীয়তাবোধের ধারণা তাদের জনপ্রিয় করছে। এক সময়ের ট্রেডিশনাল রাজনৈতিক
দলগুলো চলে গেছে পেছনের সারিতে। লি পেন, উইলডার্স,
গ্রিল্লও, ভিক্টর উরবান- এ নামগুলো এখন
ইউরোপের রাজনীতিতে বারবার আলোচিত হচ্ছে। হল্যান্ডে গ্রিয়ার্ট উইলডার্সের দল
নির্বাচনে সনাতন রাজনৈতিক দলগুলোকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় হয়েছিল, অনেকটা ফ্রান্সের লি পেনের মতো। লি পেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
(ফ্রান্সে) দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তাদের সবার মধ্যে একটা মিল আছে। এরা সবাই
শরণার্থীবিরোধী তথা মুসলমানবিরোধী। এরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধারণারও বিরোধী। উগ্র
জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ দ্বারা সবাই চালিত। তাই সঙ্গত কারণেই যে প্রশ্নটি ওঠে তা
হচ্ছে, এই উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনা ইউরোপকে কোথায় নিয়ে
যাবে? ২৮টি দেশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত। লোকসংখ্যা
প্রায় ৫১০ মিলিয়ন। ১৯৯৯ সালে একক মুদ্রার (ইউরো) সিদ্ধান্ত নিলেও তা কার্যকর হয়
২০০২ সালে, যদিও মাত্র ১৯টি দেশ ইউরো চালু করেছে নিজ
দেশের মুদ্রাকে অবলুপ্ত করে। ১৯৫১ সালে প্যারিস চুক্তির মধ্য দিয়ে ইউরোপিয়ান
ইকোনমিক কমিউনিটি তার যাত্রা শুরু করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৯৩ সালে। ১৬ দশমিক ৪৭৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ইইউ’র যে অর্থনীতি, তা বিশ্বের জিডিপির
প্রায় ২৩ ভাগ। বড় অর্থনীতির এ সংস্থাটি বিশ্ব আসরে এতদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে আসছিল। এখন এতে বিভক্তি আসছে। তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা। এ জটিলতা, বিভক্তি, দ্বন্দ্ব ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কোথায়
নিয়ে যাবে, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন।
সিরিয়া ও ইরাকের সংকট লাখ লাখ মানুষকে দেশান্তরিত করেছে। ১০ লাখ মানুষকে
আশ্রয় দিয়ে জার্মানির অ্যাঙ্গেলা মার্কেল মানবতার যে পরিচয় দিয়েছিলেন ২০১৫-১৬ সালে, তা ইতিহাসে
নজিরবিহীন। তার ওই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হলেও রাজনীতির দিক থেকে তিনি
একটা ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তিনি রাজনীতির ‘জুয়া’ খেলেছিলেন। এতে তিনি বিজয়ী হতে
পারেননি। এ শরণার্থী সংকট ইউরোপের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে জটিল করেছে। এর সঙ্গে যোগ
হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শরণার্থীবিরোধী অবস্থান। বলার অপেক্ষা রাখে
না, ট্রাম্পের মনোভাব ও নীতির কারণে ইউরোপের উগ্র
দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলো উৎসাহিত হয়েছে। প্রশ্নটা তাই সে কারণেই- কেমন ইউরোপ আমরা দেখব
আগামী দিনে?
অনেক কিছুই ঘটতে পারে। উগ্র নব্য-নাৎসি সংগঠনগুলো এখন ইউরোপের প্রতিটি দেশে শক্ত অবস্থান নিয়ে গোটা ইউরোপে একটি ‘ফ্যাসিস্ট অ্যালায়েন্স’ গড়ে তুলবে এবং ইউরোপের সমাজে যে বহুত্ববাদ, অর্থাৎ বহু সংস্কৃতির মিলন, তা ভেঙে যাবে। কাতালোনিয়ার মতো অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রদেশ নিজ নিজ দেশ থেকে আলাদা হতে চাইবে। ব্রিটেনের মতো কিছু দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে চাইবে। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাঝে দুটি ব্লকের আত্মপ্রকাশ ঘটবে : জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে একটি ব্লক। এ ব্লক ধনী এবং এরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। আর গ্রিসের নেতৃত্বে গরিব দেশগুলোর একটি ব্লক, যারা পরিপূর্ণভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল থাকবে। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর দিকে এখন লক্ষ থাকবে অনেকের।
গত দুই সপ্তাহ ধরে ইউরোপে ঘুরেছি। ফ্রান্স থেকে জার্মানি ও চেক রিপাবলিক। দেখছি নতুন এক ‘রাজনীতির’ দিকে যাচ্ছে ইউরোপ। এই ইউরোপ কেমন হবে, তার রাজনীতি কেমন হবে এসব দেখার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মাত্র।
অনেক কিছুই ঘটতে পারে। উগ্র নব্য-নাৎসি সংগঠনগুলো এখন ইউরোপের প্রতিটি দেশে শক্ত অবস্থান নিয়ে গোটা ইউরোপে একটি ‘ফ্যাসিস্ট অ্যালায়েন্স’ গড়ে তুলবে এবং ইউরোপের সমাজে যে বহুত্ববাদ, অর্থাৎ বহু সংস্কৃতির মিলন, তা ভেঙে যাবে। কাতালোনিয়ার মতো অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রদেশ নিজ নিজ দেশ থেকে আলাদা হতে চাইবে। ব্রিটেনের মতো কিছু দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে চাইবে। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাঝে দুটি ব্লকের আত্মপ্রকাশ ঘটবে : জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে একটি ব্লক। এ ব্লক ধনী এবং এরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। আর গ্রিসের নেতৃত্বে গরিব দেশগুলোর একটি ব্লক, যারা পরিপূর্ণভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল থাকবে। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর দিকে এখন লক্ষ থাকবে অনেকের।
গত দুই সপ্তাহ ধরে ইউরোপে ঘুরেছি। ফ্রান্স থেকে জার্মানি ও চেক রিপাবলিক। দেখছি নতুন এক ‘রাজনীতির’ দিকে যাচ্ছে ইউরোপ। এই ইউরোপ কেমন হবে, তার রাজনীতি কেমন হবে এসব দেখার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মাত্র।
Assalamu alikum sir. I am a student of international Relations.Thank you sir for giving a critical informtion of European politics.
ReplyDelete