সবকিছু ঠিক থাকলে ১৮ আগস্ট ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ২৬ জুলাই সে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই ইনসাফ পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হলেও সরকার গঠনের জন্য ১৩৭টি আসন পায়নি দলটি। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো সরকার গঠনের জন্য নির্ধারিত ১৩৭টি আসনও পায়নি। ফলে ইমরান খানকে ছোট ছোট আঞ্চলিক দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ইমরান খানের নেতৃত্বে যে কোয়ালিশন সরকার হতে যাচ্ছে, তাতে যোগ দেবে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম, ৬ আসন), মুসলিম লীগ (কায়েদে আজম, ৪ আসন), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (৩ আসন), গ্র্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (২ আসন), জামহুরি ওয়াতান পার্টি (১ আসন) ও নিরপেক্ষ (১৩ আসন)। আওয়ামী মুসলিম লীগ (১ আসন) ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টিও (১ আসন) কোয়ালিশনে যোগ দিতে পারে। আর তেহরিক-ই ইনসাফ পেয়েছে ১১৬ আসন। মোটামুটিভাবে ইমরান খানের সরকার গঠনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলেও তিনি একটি দুর্বল সরকারের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। ফলে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, ইমরান খান শেষ পর্যন্ত ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কি না? অতীতে প্রধানমন্ত্রীরা বারবার উৎখাত হয়েছেন, কখনওবা সরাসরি সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়েছে। বেনজির ভুট্টো, কিংবা নওয়াজ শরিফ বারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিন-তিনবার জনগণ তাদের ভোট দিয়ে সরকার পরিচালনা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের উৎখাত করা হয়েছিল। এমনকি সেনা শাসকরা জুলফিকার আলী ভুট্টোর মতো জনপ্রিয় নেতাকে ফাঁসিতে পর্যন্ত ঝুলিয়েছিল। সেই স্ট্র্যাটেজিতে এবার কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এবার সরাসরি ক্ষমতা দখল নয়, বরং এমন একটি দল ও তার নেতাকে তারা সামনে নিয়ে এসেছে, যারা বাহ্যত ‘সিভিলিয়ান’, কিন্তু কার্যত সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, বেসামরিক পোশাকে যারা সেনাবাহিনীর হয়েই কাজ করবেন। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সংসদই সব ক্ষমতার উৎস। জনগণের প্রতিনিধিরা জনগণের হয়ে সেখানে আইন প্রণয়ন করেন এবং তা প্রয়োগ করেন। এবারে পার্লামেন্ট বা সংসদ এবং একটি কেবিনেট গঠিত হতে যাচ্ছে; কিন্তু রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দপ্তরের হাতে থাকবে মূল ক্ষমতা, যাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা বাস্তবায়িত হবে সংসদে গৃহীত আইনের মধ্য দিয়ে। এটা উর্দিতন্ত্রের নতুন রূপ। সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণ নয়, বরং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং তাদের দলকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করা। সরাসরি নয়, বরং পর্দার অন্তরালে থেকে সেনাবাহিনীই এখন দেশকে পরিচালনা করবে! ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই ইনসাফ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়েছে। সেনাবাহিনী তাকে ব্যবহার করেছিল অনেক আগে থেকেই। তার একটি ব্যক্তিগত ইমেজ ছিল। ক্রিকেটে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া, বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তানকে বিজয়ী করা, মায়ের নামে ক্যান্সার হাসপাতাল করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, হঠাৎ করে পশ্চিমা লেবাস ছেড়ে ইসলামপন্থি হয়ে যাওয়া, পিরতন্ত্রের ভক্ত ও একজন পিরানিকে (ধর্মগুরু) বিয়ে করাÑ সবই ছিল পরিকল্পিত। ইমরান খান সেই ছকে পা দিয়েছিলেন। আর এখন ‘বিজয়ী’ হলেন! এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন চলতি সপ্তাহেই।
পাকিস্তানের যে রাজনীতির ধারা, তাতে পর্দার অন্তরালে থেকেই সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগ বাহ্যত ক্ষমতা পরিচালনা করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত এদের হাতেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। প্রথমে বিচার বিভাগ তাকে চলতি নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে এবং পরে ন্যাশনাল অ্যাকাউটিবিলিটি ব্যুরোর মামলায় তিনি দ-প্রাপ্ত হন। নওয়াজ শরিফ শেষের দিকে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে মেয়ে মরিয়মকে সামনে নিয়ে এসেছিলেন, অনেকটা জুলফিকার আলী ভুট্টো কর্তৃক মেয়ে বেনজিরকে যেভাবে রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে ‘তৈরি’ করেছিলেন, নওয়াজ শরিফও মরিয়মকে সেভাবেই তৈরি করেছিলেন। মরিয়মেরও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার তিনি তা আর পারলেন না। মুসলিম লীগ এবার তার আসনে নওয়াজের নাতি ও মরিয়মের জ্যেষ্ঠ সন্তানকে মনোনয়ন দিয়েছিল।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিচার বিভাগের ‘সখ্য’ নতুন কিছু নয়। নওয়াজের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দ্বন্দ্বও অনেক পুরানো। তিন-তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু কোনোবারই তিনি টার্ম পূরণ করতে পারেননি। এবারও পারলেন না। তবে এবারের প্রেক্ষাপটটা ছিল কিছুটা ভিন্নতর। নওয়াজের সঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান ও পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট মোশাররফের দ্বন্দ্ব ছিল কাশ্মীর নিয়ে। ১৯৯০ ও ১৯৯৭Ñ দু-দুবারই তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। পাকিস্তানের অন্যতম ‘রাজনৈতিক শক্তি’ সেনাবাহিনীর কাছে তিনি কখনওই গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন না। ১৯৯৩ সালের ১৮ এপ্রিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইসহাক খান তাকে ক্ষমতাচ্যুত করলেও পেছনে ছিল সেনাবাহিনী। ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর সেনাপ্রধানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পরিণতিতে তিনি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০১৩ সালের ১১ মের নির্বাচনে মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বিজয়ী হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু এবারও পর্দার অন্তরালে সেনাবাহিনীই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তবে সেনাবাহিনী এবার ব্যবহার করে বিচার বিভাগকে। সেনাবাহিনী তাকে সরাসরি ক্ষমতাচ্যুত করেনি কিংবা কোনো প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে তিনি ক্ষমতা হারাননি। পর্দার অন্তরালে থেকে এ অসাংবিধানিক শক্তিই মূলত ‘ডিপ স্টেট’ নামে পরিচিত। ‘ডিপ স্টেট’ বলতে বোঝায়, ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিচার বিভাগের কিছু ব্যক্তি সরকারি নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় প্রচলিত যে রীতিনীতি তার বাইরে গিয়ে সরকারি নীতিতে প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করেন। ‘ডিপ স্টেট’ কোনো একক ব্যক্তি নয়, বরং প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি চক্র, যারা নীতি প্রণয়নে ও গ্রহণে প্রভাব খাটায় (২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট শিবিরের বাইরে প্রভাবশালী একটি চক্র সক্রিয় ছিল)। পাকিস্তানে, বিশেষ করে আফগান সংকটের পর থেকেই সেনা আমলা, গোয়েন্দা আমলারা রাজনীতিতে বেশিমাত্রায় প্রভাব খাটাচ্ছেন। আর এদের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছেন বিচার বিভাগের কিছু বিচারপতি। এদের কারণেই শেষ পর্যন্ত নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, এর কোনো সুস্পষ্ট জবাব তিনি কখনও দিতে পারেননি। পানামা কেলেঙ্কারিতে তিনি নিজে ও তার সন্তানরা অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তবে এবার একটি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়Ñ আর তা হচ্ছে বিকল্প শক্তি হিসেবে ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই ইনসাফকে (পিটিআই) সামনে নিয়ে আসা। সেনাবাহিনী যে ইমরান খানকে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে, এটা ছিল দিবালোকের মতো স্পষ্ট। পাঠক স্মরণ করতে চেষ্টা করুন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে হঠাৎ করেই ইমরান খানের আবির্ভাব ঘটেছে। একজন সাবেক ক্রিকেটার, যিনি নিজে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত এবং যৌন কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত, তিনি হঠাৎ করে রাজনীতির মাঠে আবির্ভূত হয়েছিলেন একজন ‘রাজনীতিবিদ’ হিসেবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে তাকে তৎপর দেখা যায়। এমনকি ২০১৩ সালে নওয়াজ শরিফের ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই পিটিআই ও তাহিরুল কাদরির নেতৃত্বে ইসলামাবাদ ঘেরাও করে সরকার পতনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ইমরান খান। সেদিন তিনি অবশ্য সফল হননি। কিন্তু সেনাবাহিনী তখন থেকেই ইমরান খানকে ব্যবহার করে নওয়াজ শরিফের সরকারকে ‘চাপে’ রেখেছিল।
শপথ নেওয়ার বাকি আছে মাত্র পাঁচ দিন। কিন্তু পাকিস্তান থেকে যেসব খবরাখবর আসছে, খুব আশার কথা বলে না। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এক ধরনের ‘চাপের’ মুখে আছেন ইমরান খান। তার জয়লাভ করা দুই আসনের ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। তবে ঘোষিত তিনটির একটি আসনের সদস্য হিসেবে তিনি শপথ নিতে পারবেন। তবে নির্বাচন কমিশনের শর্ত হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিষ্পত্তির ওপর তার শপথ নির্ভর করবে। প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারা, প্রচারাভিযানে অসংগত ভাষা ব্যবহার করা ইত্যাদি নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত তিনি হয়তো নির্বাচন কমিশনের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পাবেন। কেননা ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীই চাচ্ছে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হন।
তবে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন এখন। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হলেও বেশকিছু বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছে না। প্রথমত, তিনি জানুয়ারিতে বলেছিলেন, নারীবাদ একটি পশ্চিমা ধ্যানধারণা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নারীবাদে মায়ের ভূমিকাকে উপেক্ষা করা হয়। ফলে তার এ অতি রক্ষণশীল মনোভাব পাকিস্তানে তাকে বিতর্কিত করতে পারে। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননাবিষয়ক আইনের তিনি সমর্থক। পিটিআই এই আইন সমর্থন করে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী এ কথা বিশ্বাস না করা পর্যন্ত কেউ নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারে না। তার এ বক্তব্য আহমদিয়া সম্প্রদায়কে একটি ঝুঁকির মাঝে ঠেলে দেবে এখন। তৃতীয়ত, তার সঙ্গে আফগান তালেবানদের সখ্য রয়েছে, যে কারণে কোনো কোনো মহল থেকে তাকে ‘তালেবান খান’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি পাকিস্তানে তালেবানদের কার্যালয় খোলারও দাবি জানিয়েছিলেন। তালেবানরা যখন নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফ জাইয়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তখন তিনি এর নিন্দা জানাতে অস্বীকার করেছিলেন। ফলে তার এ তালেবানসংশ্লিষ্টতা তাকে বহির্বিশ্বে আরও বিতর্কিত করবে। চতুর্থত, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে মার্কিন ড্রোন হামলা তিনি বরাবর বিরোধিতা করে আসছেন। তিনি গুলি করে ড্রোন নামানোর কথাও একবার বলেছিলেন। তার এ ধরনের বক্তব্যের কারণে ২০১২ সালে একবার কানাডা থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার সময় ইমরান খানকে বিমান থেকে নামিয়ে আটক করা হয়েছিল এবং ড্রোন হামলার ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ফলে তার শাসনামল নিয়ে এক ধরনের অশান্তিতে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পঞ্চমত, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে জনপ্রিয় হয়েছেন। কিন্তু অন্য দল থেকে যারা তার দলে যোগ দিয়েছেন, তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ফলে তার দুর্নীতিবিরোধী অভিযান এক ধরনের অবিশ্বাসের মুখে থাকবে। তারপরও বাস্তবা হচ্ছে, তিনি অনেক আসনেই বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে নানা ত্রুটির কথা বলেছে বিরোধী দল। কিন্তু তা খুব একটা ধোপে টেকেনি। তবে একটা আশার কথা, আগামী সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ থাকবে। নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ, পিপলস লীগ আর মুত্তাহিদা মজলিস-ই আমল (মোট আসন ১১৯) জোট গঠনে রাজি হয়েছে। নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ এখন সংসদে বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা পালন করবেন। ইমরান খানকে এখন এ বিরোধীদলীয় জোটকে আস্থায় নিতে হবে। সুতরাং সংসদ চালানো, আইন প্রণয়ন করার কাজটি তার জন্য সহজ হবে না। এর ওপরে রয়েছে অর্থনীতি। চীনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আইএমএফ থেকে প্রাপ্ত ঋণ আটকে যেতে পারে। সব মিলিয়ে ইমরান খানের আগামী দিনগুলো যে ‘সুখের’ হবে, তা মনে হয় না।
Daily Alokito Bangladesh
13.08.2018
0 comments:
Post a Comment