রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ইমরান খান পাকিস্তানকে কতটুকু বদলে দিতে পারবেন




গত ১৮ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এক সময়ের ক্রিকেটার ইমরান খান। গত প্রায় দুই সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা একটি বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, তিনি পাকিস্তানকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? মন্ত্রীদের ১৪ ঘণ্টা কাজ করা ও বিদেশে কম যাওয়া ও চিকিৎসা না করা, বাসভবনকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা ও নিজে সামরিক সচিবের ৩ কক্ষের বাসায় থাকা, প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দকৃত দুটি বুলেটপ্রুপ গাড়ি রেখে বাকি গাড়ি বিক্রি করে দেওয়া, নিজে বেতন না নেওয়া, বিস্কুট ছাড়া কেবিনেট মিটিং করা ইত্যাদি সিদ্ধান্ত জনপ্রিয় হবে সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই কৃচ্ছ্রসাধন পাকিস্তানের অর্থনীতিকে সঠিক পথে আসতে আদৌ সাহায্য করবে কী? পাকিস্তানের অর্থনীতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। এখন তিনি যে কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তা জনপ্রিয় হবে। এটা সত্য, অতীতে সরকারগুলো এ দিকে দৃষ্টি দেয়নি। একটি পরিসংখ্যান আমরা পেয়েছি সংবাদপত্র থেকে, যেখানে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের শপথ অনুষ্ঠানে ব্যয় হয়েছিল ৯২ লাখ রুপি, ২০০৮ সালে জারদারির অনুষ্ঠানে ব্যয় হয়েছিল ৭৬ লাখ রুপি। আর ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার রুপি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য কর্মচারী ছিল ৫২৪ জন। তিনি এর মধ্যে রেখেছেন মাত্র ২১ জনকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জন্য ছিল ৮০টি গাড়ি। এর মধ্যে ৩৬টি বুলেটপ্রুফ গাড়ির মধ্যে তিনি রেখেছেন মাত্র দুটি। বাকিগুলো নিলামে তোলা হবে।
এর মধ্যে ইমরান খানের আন্তরিকতা যতটুকু থাকুক না কেন তার রাজনীতি এখন আবর্তিত হচ্ছে কতগুলো বিষয়কে সামনে রেখে। যেমন বলা যেতে পারে, ভারতের ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গী এখন কী হবে? যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার যে আস্থাহীনতার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা কী তিনি ফিরিয়ে এনে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন? কিংবা আর্থিক সংকট মোকাবিলায় চীনের প্রতি তার নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে কিনা? বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের আগ্রহ থাকবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আদৌ উন্নত হয় কিনা, তা দেখা।
ইমরান খানের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম এজেন্ডা ভারত সম্পর্ক নিয়ে এখন নানা কথা হচ্ছে। ২০১৪ সালে ভারতে নরেন্দ্র মোদি যখন শপথ নেন, তখন ওই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তখন ধারণা করা হয়েছিল এর মধ্য দিয়ে পাক-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে বরফ গলবে! কিন্তু দেখা গেল উরির ঘটনা (২০১৬) দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটায়। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীরের উরিতে অবস্থিত ভারতীয় সেনা ছাউনিতে পাকিস্তান সমর্থিত জয়েসই মোহাম্মদ নামক একটি গোষ্ঠী হামলা চালায়। তাতে চারজন আক্রমণকারীসহ ১৯ ভারতীয় সৈন্য মারা যায়। ভারত এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। সেই থেকে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে অবস্থান করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমর্থন ছাড়া ইমরান খান আদৌ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? যদিও নয়া পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরাইশি বলেছেন, তিনি কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সংলাপে যেতে চান। এসব মূলত কথার কথা, কূটনৈতিক ভাষা। ভারতে কট্টরপন্থি হিন্দু জাতীয়তাবাদী একটি সরকার ক্ষমতায়। ২০১৯ সালে ভারতে সাধারণ নির্বাচন। সেখানে বড় ধরনের পাকিস্তান বিরোধিতা রয়েছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে বরফ গলবে, এটা মনে হয় না। আরও একটা কথা। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভারত ‘নাক’ গলাচ্ছেÑ এটা পাকিস্তানের অভিযোগ। বেলুচিস্তানে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, তার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে পাকিস্তান মনে করে। নির্বাচনের আগে ও পরে সেখানে সন্ত্রাসবাদী কর্মকা- হয়েছে। এই সন্ত্রাসবাদী কর্মকা-ে উদ্বিগ্ন এখন চীনও। কেননা চীনের ওবিওআর মহাপরিচালনার আওতায় উইগর থেকে গাওদার পর্যন্ত যে মহাসড়ক, যেখানে চীনা ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকরা কাজ করছেন, তাদের টার্গেট করে ওই সন্ত্রাসবাদী কর্মকা- পরিচালিত হয়েছিল। চীন এখন সরাসরি বেলুচ লিবারেশন আর্মির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলছে, যারা ওই সন্ত্রাসবাদী কর্মকা- চালিয়েছিল। পাকিস্তানের জন্য আরেকটি চিন্তার কারণ ভারত আফগানিস্তানে শাহতুত বাঁধ নির্মাণ করছে (আনন্দবাজার, ১৫ আগস্ট ২০১৫)। হিন্দুকুশ পবর্তের সংযোগ থেকে উৎপন্ন হয়ে একটি নদী, যার নাম কাবুল নদী আফগানিস্তানের জালালাবাদ হয়ে পাকিস্তানের সাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রবেশ করেছে। শাহতুত বাঁধ নিয়ে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের যখন আলোচনা চলছিল, তখন পাকিস্তান সরকার আপত্তি জানিয়েছিল। পাকিস্তানের যুক্তি কাবুল নদীতে বাঁধ দেওয়া হলে তাদের দেশে পানির প্রবাহ কমে যাবে। পাকিস্তান আফগানিস্তানকে ‘চাপ’ দিচ্ছে দু-দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে একটি স্থায়ী চুক্তি করতে। কিন্তু আফগানিস্তানের সম্মতি তাতে পাওয়া যায়নি। আফগানিস্তানের বক্তব্য কাবুল নদীর অববাহিকায় ভবিষ্যতে জলবিদ্যুৎ ও সেচ প্রকল্পে বড় ধরনের সমস্যা হবে। কাবুলের বক্তব্য এই প্রকল্পটি রূপায়িত হলে কাবুলের ২০ লাখ মানুষের পানি সমস্যা মিটবে। পাশাপাশি চাহার আশিয়াব ও খাইরাবাদ এলাকার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ১৯৬০ সালে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, সেখানেও এখন নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে ভারতের উদ্দেশ্য নিয়ে পাকিস্তানে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমাদের আগ্রহ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে।
ইমরান খান একজন সাবেক ক্রিকেটার। এমনও শোনা যায় ১৯৭১ সালের মার্চে যখন বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু হয়, ওই মার্চে ইমরান খান ঢাকায় খেলতে এসেছিলেন। পরে গণহত্যা শুরু হলে তিনি করাচি চলে যান। এরপর দীর্ঘ সময় একজন পাকিস্তানি হিসেবে ওই গণহত্যার জন্য তিনি নিজে ক্ষমা চেয়েছেন, এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ রোধ করে তাকে মাফ করে দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, এমন তথ্য পাওয়া যায় (The Express Tribune, November 24th, 2015)। পাকিস্তান সংসদে এই ঘটনার নিন্দা করে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, যেখানে পিটিআইর সদস্যরা (যারা এখন সরকার গঠন করেছে) উত্থাপিত (পিপিপি কর্তৃক) ওই প্রস্তাব সর্থন করেছিল। তবে এটা ঠিক পাকিস্তানের রাজনীতিকরা ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চাইলেও পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী শ্রেণির একটি অংশ এই ক্ষমা চাওয়ার পক্ষে ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্মবার্ষিকীতে ইসলামাবাদে জিওটিভির প্রধান নির্বাহী হামিদ মীরের নেতৃত্বে একটি সমাবেশ হয়েছিল। তারা একটি ব্যানার বহন করছিল। ব্যানারে লেখা ছিল Dear Bangladeshi sorry for ‘71 genocide, from Pakistan media and Lawyers। পাকিস্তানে হামিদ মীরের বাবা ওয়ারিস মীর একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ছিলেন। তিনি এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছিলেন ওই সময়। কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজও নিন্দা জানিয়েছিলেন। ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ডি-৮ সম্মেলনে যোগদান করা থেকে বিরত থাকেন। ওই সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানী খার ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণপত্র দিতে ঢাকায় এসেছিলেন। ওই সময় বাংলাদেশ হিনা রব্বানীর কাছে দুটি দাবি উত্থাপন করেÑ ১. ১৯৭১ সালে যেসব পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা বাংলাদেশে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিচার করা, ২. পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া। সংগত কারণেই তাই প্রশ্নটি উঠেছে যে, ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন যে সরকার, সেই সরকার তাদের সেনাবাহিনীর কৃতকর্মের জন্য আদৌ ক্ষমা চাইবে কিনা? এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি একবার বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য সেনাবাহিনী যতটা না দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী সেনাবাহিনীকে যারা চালিয়েছে। স্পষ্টতই তিনি ওই সময়কার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু তারপরও তিনি ও তার দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা চাননি। এখন তার জন্য একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমা চাইবার। কিন্তু যে সেনাবাহিনী তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই সেনাবাহিনীর কৃতকর্মের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন, এটা মনে হয় না।
কতগুলো বিষয়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আটকে আছে। এগুলো হচ্ছে : ১. পাকিস্তানের কাছে পাওনা টাকা আদায়, ২. বাংলাদেশে বসবাস করা পাকিস্তানি নাগরিকদের (বিহারি) পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারকে রাজি করানো, ৩. সন্ত্রাসী কর্মকা-ে মদদ দেওয়া, ৪. সার্ককে শক্তিশালী করা। ২০১৬ সালে ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ইসলামাবাদে। কিন্তু উরির সন্ত্রাসবাদী ঘটনার (২০১৬) সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত, এই অভিযোগে ভারত সার্ক সম্মেলন বয়কট করলে, সার্কের প্রায় প্রতিটি দেশ ওই সম্মেলন বয়কট করেছিল। এরপর আর সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্ক সম্মেলনে যোগ না দিলেও (২০১৬), ১৯৯৭ সালে তিনি ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদ গিয়েছিলেন। এর আগে ১৯৯৫ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া পাকিস্তান সফর করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ঢাকা সফরের পর ফিরতি সফরে ১৯৯২ সালেও পাকিস্তানে গিয়েছিলেন বেগম জিয়া। বলা ভালো, ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এর পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৪ ফেব্রুয়ারি (১৯৭৪) পাকিস্তানে গিয়েছিলেন (লাহোর) ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। গত ৪৪ বছরের যে ইতিহাস, তাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত উষ্ণ ছিল না। বেশ কিছু সমস্যা আছে, যা গত ৪৪ বছরেও সমাধান হয়নি। পাকিস্তানের কাছে পাওনা সম্পদের বিষয়টি এরই মধ্যে বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে প্লানিং কমিশন ২ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা পাওনা দাবি করে একটি রিপোর্ট প্রণয়ন করেছিল। ১৯৭১ সালের যুক্ত পাকিস্তানের সম্পত্তি, জনসংখ্যা, সংখ্যাসাম্য নীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও সম্পদের পরিমাণ হিসাব করে এই পাওনা টাকার দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু গত ৪৪ বছরে এ ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। পাকিস্তান বাংলাদেশ বিমানকে একটি পুরানো টাইপের বোয়িং বিমান দিয়েছিল, যা যুক্ত পাকিস্তানের সম্পদের তুলনায় ছিল নগণ্য। ১৯৮০ সালে এ ব্যাপারে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠিত হলেও, কমিটি সম্পদ ভাগবাটোয়ারার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বাংলাদেশে আটকেপড়া নাগরিকদের (বিহারি) নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তারও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা, সেই সমস্যার সমাধানে ইমরান খানের সরকার কী উদ্যোগ নেয়, সেটাই আমাদের দেখার বিষয়।
ইমরান খান দায়িত্ব নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি।  কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্যোগ নিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে কিছু মেসেজ দিতে চান। কিন্তু পাহাড়সম সমস্যা নিয়ে তিনি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার জন্য আগামী দিনগুলো খুব সুখের হবে বলে মনে হয় না।
Daily Alokito Bangladesh
26.08.2018

0 comments:

Post a Comment