রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আসামের নাগরিকত্ব তালিকা ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক


ভারতের আসামে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনসের (এনআরসি) খসড়া তালিকা নিয়ে খোদ ভারতেই এখন বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৪০ লাখ আসামের নাগরিক। এই তালিকা নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। প্রকাশিত খসড়া তালিকায় দেখা যায়, অনেক বৈধ নাগরিক পর্যন্ত তাতে বাদ পড়েছে। এ রকম একটি তালিকা যে করা হবে এবং ‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের (?) যে আসাম থেকে বের করে দেওয়া হবে, এ ধরনের আশঙ্কার কথা দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। যাদের বের করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তারা মূলত মুসলমান। এবং আসামের বিজেপি তথা আসাম সরকারের ভাষায় তারা অবৈধ বাংলাদেশি! এরই মধ্যে বিষয়টি একটি বড় রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি তাদের পশ্চিম বাংলায় আশ্রয় দেবেন!
সূক্ষ্মভাবে দেখলে দেখা যাবে, এনআরসির বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন। ২০১৯ সালে ভারতে জাতীয় নির্বাচন। বিজেপি সরকার এটিকে ইস্যু করতে চায়। ভুলে গেলে চলবে না, আসামসহ ভারতের ‘সাত বোন’ রাজ্যগুলোর প্রায় সব কটিতেই বিজেপি ও বিজেপির মিত্ররা ক্ষমতায়। অতি সম্প্রতি সেখানে যে বিধানসভার নির্বাচন হয়ে গেল, তার মধ্য দিয়ে বিজেপি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তার অবস্থান অনেক শক্তিশালী করেছে। আসামে বিজেপির নেতৃত্বাধীন একটি সরকার রয়েছে।
আসামের নাগরিকত্ব তালিকা নিয়ে যে বিতর্কের জন্ম হয়েছে, তা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে সেখানে বাঙালি মুসলমানরা যে এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে আছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলছেন, এখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়, তার পরও কথা থেকে যায়। আগামী লোকসভা এবং পশ্চিম বাংলার বিধানসভার নির্বাচন সামনে রেখে বিজেপি এই ইস্যু তুলে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করে নিতে চায়। এতে  বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সময় পার করছে। তথাকথিত ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ইস্যুতে বাংলাদেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এবং তাতে লাভবান হবে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো। পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত কী বলেছিলেন। এর পরপরই এনআরসির খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন কিছুদিন আগে। নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, দেশটির (অর্থাৎ ভারতের) উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে লোক ঢোকানো হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে পাকিস্তান। চীনের মদদে একটি ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে ভারতের ওই এলাকাকে ‘অস্থির’ করে তুলতেই এ কাজ করা হচ্ছে। একজন সেনাপ্রধানের এ ধরনের বক্তব্যের গুরুত্ব অনেক বেশি। তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন এমন এক সময়ে যখন আসামে এক ধরনের ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান শুরু হয়েছিল। এই বাঙালিরা মূলত মুসলমান। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়! বিজেপি মনে করে, ওই সব বাঙালি বাংলাদেশ থেকে গেছে এবং সেখানে বসবাস করছে, যার পেছনে আদৌ কোনো সত্যতা নেই। এর আগে বিজেপি সরকার পশ্চিম বাংলা থেকেও ‘বাঙালিদের’ উত্খাতের পরিকল্পনা করেছিল। এটা সম্ভব হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে। ভারতীয় গণমাধ্যম বিপিন রাওয়াতের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে। দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার, টাইমস অব ইন্ডিয়া কিংবা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতো পত্রিকায় বিপিন রাওয়াতের ওই মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছিল। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, বিপিন রাওয়াতের ওই মন্তব্য ছিল ‘রাজনৈতিক’। চলতি ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যাবেন। নিজের ‘রাজনৈতিক পথ’ পরিষ্কার করতেই তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। বিপিন রাওয়াতের উদ্দেশ্য যা-ই থাকুক না কেন, এটি সত্য, দুই বছর আগেই আসাম সরকার নাগরিকত্ব শনাক্তকরণের একটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকা এসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অতি সম্প্রতি। আসাম সরকার তখন এক কোটি ৯০ লাখ নাগরিকের একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল। এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের নাগরিকদের শনাক্ত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। এতে  কয়েক লাখ বাঙালি মুসলমান সেখান থেকে বিতাড়িত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের যদি বাংলাদেশ গ্রহণ না করে, তাহলে তাদের বন্দিশালায় রাখা হবে বলে একটি পরিকল্পনাও তারা গ্রহণ করেছে। এ ধরনের বন্দিশালা নির্মিত হয়েছে বলেও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জেনারেল বিপিন রাওয়াত যখন এ ধরনের একটি কথা বলেন তখন এ ধরনের বক্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবেই। সাম্প্রতিক সময়ে এই সম্পর্ক একটি উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। বিশেষ করে মোদির জমানায় একটি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে উভয় সরকার। এখন তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
সমসাময়িক বিশ্বরাজনীতিতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণা নতুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণার ব্যাপক বিস্তার ঘটে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার জন্ম হয়। বলা হয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা হচ্ছে নয়া বিশ্বব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধের ভয়াবহতা যেখানে কমে এসেছিল, সেখানে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে অঞ্চল ভিত্তিতে দেশগুলো নিজেদের উন্নয়নপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে দেশগুলো এমন এক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল, যা কিনা নয়া বিশ্বব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিল। একুশ শতকে এসে সেই ধারণায় কিছুটা পরিবর্তন আসে। জন্ম হয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণাটি নতুন; কিন্তু এই উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য বিপুল এক সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা মূলত গড়ে ওঠে পাশাপাশি দুটি বা তিনটি রাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলের সঙ্গে। সেখানে পুরো রাষ্ট্রটি জড়িত থাকে না, জড়িত থাকে কিছু অঞ্চল। আর অঞ্চল ভিত্তিতেই গড়ে ওঠে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা।
বাংলাদেশ সার্ক কিংবা বিমসটেকের মতো আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থায় জড়িত থাকলেও বিবিআইএন কিংবা বিসিআইএমের মতো উপ-আঞ্চলিক সংস্থায় নিজেকে জড়িত করেছে। বিবিআইএন (BBIN) উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা প্রথম জানা যায় ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময়। ওই সময় দুই দেশের মধ্যে যে যৌথ ঘোষণাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার ৪১ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে উভয় প্রধানমন্ত্রী বিবিআইএনের আওতায় বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ, বাণিজ্য, ট্রানজিট ও কানেকটিভিটি খাতে সহযোগিতার সুযোগ কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছেন। এই বিবিআইএন হচ্ছে ভুটান, বাংলাদেশ, ভারত (সাত বোন রাজ্য) ও নেপালকে নিয়ে একটি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা। এই উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকে এরই মধ্যে ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি এবং কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। চালু হয়েছে খুলনা-কলকাতা বাস সার্ভিস। যশোর-কলকাতা বাস সার্ভিসও চালু হবে। কলকাতা-খুলনার মধ্যে দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনও এরই মধ্যে চালু হয়েছে। রামগড়-সাবরুম সেতু নির্মাণ করছে ভারত। ফলে আগরতলার পণ্য পরিবহনে এখন এই সেতু ব্যবহার করে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করা যাবে। এর সবই হচ্ছে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকে। গত ১৫ জুন (২০১৫) বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল আর ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে এই চারটি দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক-লরি ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফরের সময় ভুটান এতে রাজি হয়েছিল। তবে ভুটানের সংসদ আপত্তি তুলেছিল। সংসদে তা অনুমোদিত হয়নি।
প্রসঙ্গক্রমেই আমরা প্রস্তাবিত বিসিআইএম জোট নিয়েও আলোচনা করতে পারি। বিসিআইএম (BCIM) হচ্ছে অপর একটি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা। এই জোটে আছে বাংলাদেশ, চীন (ইউনান প্রদেশ), ভারত (সাত বোন রাজ্যগুলো) ও মিয়ানমার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে তাঁর চীন সফরের সময় এই বিসিআইএম করিডরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এটিকে একসময় ‘কুনমিং উদ্যোগ’ বলা হতো। চীন ২০০৩ সালে এ ধরনের একটি সহযোগিতার কথা প্রথম বলেছিল, যা পরবর্তী সময়ে বিসিআইএম নামে আত্মপ্রকাশ করে। এই জোট কার্যকর হলে কুনমিং (চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী) থেকে সড়কপথে বাংলাদেশ ও ভারতে আসা যাবে এবং পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে। এর ফলে চীনা পণ্যের দাম কমে যাবে। দ্বিতীয়ত, ২০২০ সালে আসিয়ানে সৃষ্টি হচ্ছে মুক্তবাজার, যার ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের পণ্য প্রবেশাধিকারের পথ সহজ হবে। বিসিআইএমের আওতায় কুনমিং থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ক হবে। তিনটি রুটে ইউনান প্রদেশের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারত সংযুক্ত হবে। বিসিআইএম জোটের সম্ভাবনা বিশাল। কারণ এই চারটি দেশের রয়েছে বিপুল তেল ও গ্যাস সম্পদ (মিয়ানমার), রয়েছে শক্তিশালী অর্থনীতি (চীন ও ভারত), রয়েছে শিল্প (চীন), শক্তিশালী সার্ভিস সেক্টর, রয়েছে বিশাল অব্যবহৃত জমি (মিয়ানমার) ও সমুদ্রবন্দর (বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার)। ফলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যেতে পারে আগামী দিনে, যদি বিসিআইএম জোটকে কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আঞ্চলিক অর্থনীতি তো বটেই, বিশ্ব-অর্থনীতিকে অনেকাংশে প্রভাবিত করতে পারে এই জোট। বলা বাহুল্য, এই চারটি দেশের সম্মিলিত জিডিপির পরিমাণ ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বিশ্ব জিডিপির ১০ শতাংশ। ১৯৯১ সালে বিসিআইএমের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল যেখানে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০১১ সালে তা এসে দাঁড়ায় ৯০ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। ১ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার এলাকা আর ২৮৮ কোটি মানুষের বাস এই বিসিআইএম জোটভুক্ত দেশে। পূর্বে কুনমিং আর পশ্চিমে কলকাতা। মাঝখানে মান্দালয় ও ঢাকা। ভারত এ জোটের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিল এ কারণে যে এতে আগামী দিনে ভারতের আসিয়ানের সদস্য পদ পাওয়া সহজ হয়। এবং তার পণ্য নিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ করে আসিয়ানের বাজারে প্রবেশ করতে পারে। আমরাও এ সুযোগ নিতে পারি।
কিন্তু ‘বাংলাদেশি খেদাও’ অভিযান যদি বাস্তবে রূপ নেয়, তা দুই দেশের জন্যই কোনো ভালো সংবাদ বয়ে আনবে না। যে ৪০ লাখ বাঙালির কথা বলা হচ্ছে, তারা বংশপরম্পরায় সেখানে বসবাস করছে। তাদের প্রায় সবার ভোটার আইডি কার্ড আছে। তারা ভোট দেয়। রেশন কার্ডও আছে। তাদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা অযৌক্তিক। নিশ্চয়ই আমরা আশা করব, সেখানে শুভ বুদ্ধির মানুষ আছেন; যাঁরা এর প্রতিবাদ করবেন। ভারতের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি থেকে আমরা শিখতে চাই। কিন্তু সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন যে সংস্কৃতি, তা আমাদের কিছু শেখাতে পারবে না। এতে দুই দেশের মধ্যে অনাস্থার সম্পর্ক তৈরি হবে, আর তাতে লাভবান হবে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো।
Daily Kalerkontho
09.08.2018

0 comments:

Post a Comment