আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে
দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন পরস্পরবিরোধী একটি অবস্থান নিয়েছে,
ঠিক তখনই একটি ভালো খবর আমরা পেলাম গত ৬ অক্টোবর। চিকিৎসার জন্য বেগম
জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি
করানো হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর হাইকোর্টের এক নির্দেশে বেগম জিয়াকে এই
হাসপাতালে ভর্তি ও তার পছন্দমতো চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ
দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর আগে অবশ্য তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অস্বীকার
করে আসছিলেন। তার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, বিএসএমএমইউ নিয়ন্ত্রণ
করে সরকারপন্থি চিকিৎসক দল। এখানে তিনি ভালো চিকিৎসা পাবেন না। বেগম জিয়ার
পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার। আদালত শেষ
অব্দি বিএসএমএমইউকে চিকিৎসার নির্দেশ দিলেন বটে, তবে বেগম জিয়ার পছন্দের
চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসার অনুমতিও দিলেন। সরকার পক্ষও এ ব্যাপারে আপত্তি
করল না। এর মধ্যে দিয়ে কি রাজনীতিতে সুবাতাস বইতে শুরু করল? বিএনপির পক্ষ
থেকে যে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল তাতে এক নম্বর ছিল বেগম জিয়ার
মুক্তি। বেগম জিয়ার এখন ‘মুক্তি’ হলো না বটে, কিন্তু তিনি এখন ভালো চিকিৎসা
পাবেন। এর প্রয়োজন ছিল। তিন তিনবারের একজন প্রধানমন্ত্রী। তিনি যদি
‘চিকিৎসা’ না পান, তা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বেগম জিয়ার চিকিৎসা আর
রাজনীতি দুটো ভিন্ন বিষয়। সামনে নির্বাচন। বিএনপি ইতোমধ্যে ড. কামাল
হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে ‘যোগ’ দিয়েছে। যদিও ঐক্য
প্রক্রিয়ার অন্যতম শরিক বিকল্পধারার সঙ্গে বিএনপির একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
ঐক্য প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে একটি লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করেছে। এই লিয়াজোঁ কমিটি
ঐক্য প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মধ্যে ‘কো-অর্ডিনেশন’ করবে।
বিকল্পধারার পক্ষ থেকে যেসব দাবিদাওয়া উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেসব বিএনপি যে
মানবে না, তা ইতোমধ্যে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। এতে করে একটা সম্ভাবনার জন্ম
হয়েছে যে, বিকল্পধারাকে বাদ দিয়েই ঐক্য প্রক্রিয়া একটি নির্বাচনী জোট গঠন
করতে পারে বিএনপির সঙ্গে। অথবা বিএনপি ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে আন্দোলন
করলেও, ২০-দলীয় জোটের ব্যানারেই নির্বাচন করবে; ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে
নয়।
স্পিরিটটি হচ্ছে সরকারবিরোধী সব শক্তিকে
একটি প্ল্যাটফর্মে আনা। এ ক্ষেত্রে বিএনপি বড় দল হলেও, ড. কামালের নেতৃত্ব
তারা মেনে নিয়েছে। যদিও ২০-দলীয় জোটে এই ঐক্য নিয়ে এক ধরনের অস্বস্তি
রয়েছে। এলডিপি, কল্যাণ পার্টি কিংবা ন্যাপের মতো সংগঠন জাতীয় ঐক্যজোটের
ব্যাপারে খুব যে উৎসাহী, তা বলা যাবে না। এই দলগুলো দীর্ঘদিন বিএনপির সঙ্গে
আছে। এখন বিএনপি যদি ‘নতুন মিত্র’ পেয়ে এদের ‘পরিত্যাগ’ করে, তাহলে
বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে থাকবে। বিএনপির উচিত হবে ২০-দলীয় জোটকে
সঙ্গে রেখেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়া। জাতীয় ঐক্যজোট গঠিত
হওয়ায় সরকারের কোনো ক্ষতি নেই। কেননা শেষ পর্যন্ত ঐক্যজোটের ব্যানারে
বিএনপি থাকায় একটি শক্তিশালী বিরোধী জোটের জন্ম হলো। আর বিএনপিরও একটা
প্লাসপয়েন্ট- আওয়ামী লীগ বিরোধী বেশ কয়েকটি দলকে তারা সঙ্গে পেল। কিন্তু
দুটো প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। এক. নির্বাচনকালীন সরকার, দুই. সংসদ ভেঙে
দেওয়া। ড. কামালও এ দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সরকারের মনোভাব এখনো অনমনীয়।
সরকার বার বার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। প্রশ্ন এখানেই- সরকারের দাবি মেনেই
কি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাচ্ছে? এবং বিএনপি বেগম
জিয়া ও তারেক রহমানকে ‘মাইনাস’ করেই কী নির্বাচনে যাচ্ছে! এসব প্রশ্ন বার
বার আলোচিত হতে থাকবে। মানুষ একটি ভালো নির্বাচন চায়। চায় তার ভোট সে নিজে
তার মানোনীত প্রার্থীকে দেবে। ভোট কেন্দ্র দখল, সিলমারা সংস্কৃতি,
প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দান- এই যে ‘সংস্কৃতি’ আমরা প্রত্যক্ষ
করছি, তা থেকে বের হয়ে আসা দরকার। এটা আওয়ামী লীগের জন্য যেমনি ভালো,
তেমনি ভালো বিএনপিসহ অন্যান্য দলের জন্যও। একটা সুযোগ এসেছে। সামনে একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপিকে নির্বাচনী ধারায় নিয়ে আসতে পারলে লাভ
সরকারেরও। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছে।
সেখানেও বিএনপি তাদের সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছে। এক্ষেত্রে প্রধান দাবিটি
হচ্ছে, সব দলের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন। কিন্তু
প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সুযোগ নেই। এর অর্থ হচ্ছে, সংসদে
প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়েই তিনি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবেন। তার
এই বক্তব্যকে ধারণ করেও বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে প্রধান বিরোধী
দল বিএনপিকে এই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। সংবিধানের ৫৫(১) ধারায়
মন্ত্রিসভা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে। আর ৫৬(২) ধারায়
প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সংসদ সদস্যদের বাইরে থেকে ‘টেকনোক্রেট
কোটায়’ মন্ত্রী নিয়োগ করতে। সুতরাং নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠনের
এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য নন এবং বিএনপি সমর্থিত
সদস্যদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। এখানে প্রধানমন্ত্রীর
ইচ্ছেটাই হলো আসল। বিএনপি যে সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছে, তাতে নির্বাচন
কমিশন পুনঃগঠন ও নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহার না করার কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নিজে ব্যক্তিগতভাবে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করার
পক্ষে কথা বলেছেন। তবে যেখানে এখনো ইভিএম মেশিন শতকরা একশ’ ভাগ
নির্ভরযোগ্য নয়, সে ক্ষেত্রে ইভিএম মেশিন ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া
যেতে পারে। এর আগে অতি উৎসাহী সিইসির ইভিএম মেশিন নিয়ে বক্তব্য নানা
প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। ইতোমধ্যে ইসিতে নতুন করে দ্বন্দ্বের যে খবর
সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। একটি বড় অভিযোগ করেছিলেন চারজন
কমিশনার। তাদের অভািযোগ, সিইসি কমিশনারদের না জানিয়ে একাই অনেক সিদ্ধান্ত
নিচ্ছেন। এটা একটা গুরুতর অভিযোগ। এখন এর অবসান হয়েছে। কিছুদিন আগে
নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হবে- এমন বক্তব্য দিয়ে সিইসি
বিতর্কিত হয়েছিলেন। এ ধরনের বক্তব্য তার দেওয়া উচিত হয়নি। একটি বা দুটি
‘সিটে’ ধানের শীষের প্রতীকী প্রার্থী দিয়ে বিএনপি ইচ্ছে করলে তার নিবন্ধন
ধরে রাখতে পারে। এটা একটা সাধারণ মানুষও বোঝে। অথচ সিইসি এ ধরনের বক্তব্য
দিয়ে তার নিজের নিরপেক্ষতা তিনি ক্ষুণ্ন করেছেন।
নির্বাচনের খুব বেশি দিন বাকি নেই। সব
দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবি আজ শুধু দেশের ভেতর থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে,
তেমনটি নয়। বরং দেশের বাইরে থেকেও উচ্চারিত হচ্ছে। কমনওয়েলথের মহাসচিব
পেট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড ইতোমধ্যে বিএনপির মহাসচিবকে একটি চিঠি লিখেছেন।
তাতে তিনি আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব এই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি
এই চিঠির জবাব দেবেন। দাতা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বার বার সব দলের অংশগ্রহণে
একটি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। বিএনপি যে বড় ডায়লামা ‘ফেস’ করছে, এটা বলার
আর অপেক্ষা রাখে না। বেগম জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও কিছু
প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে। তারপরও ধারণা করছি, নির্বাচন পর্যন্ত বেগম জিয়া
বিএসএমএমইউতেই থাকবেন। তাকে আর নজিমুদ্দিন রোডে যেতে হবে না। ৭ অক্টোবর
বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠক হয়েছে। বিকল্পধারার মহাসচিব
ছিলেন ওই বৈঠকে। এটা নিঃসন্দেহে একটি মেসেজ। বোঝাই যাচ্ছে যুক্তফ্রন্টের
নেতৃবৃন্দ বিকল্পধারাকে নিয়েই বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতে যাচ্ছে। আবার
বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের একটি বক্তব্য ফেসবুকে
ভাইরাল হয়েছে। গত শনিবার রাতে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে তিনি
মন্তব্য করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে যেতেও
আপত্তি নেই তাদের। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল
বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন থেকে কোনোভাবেই দূরে থাকবে না
তার দল (সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি সংবাদ)। এখন দেখা যাচ্ছে, বিকল্পধারার
মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, তা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য
করার পরিপন্থী। তবে বিকল্পধারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিতে
চাইলেও, চূড়ান্ত বিচারে তারা তা পারবে কি না তাতে সন্দেহ রয়েছে। কেননা
প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ১৪ দলের জোটের সম্প্রসারণের পক্ষে নন।
শেষ অব্দি বিকল্পধারা ‘একূল-ওকূল’- দুকূলও হারাতে পারে। বিকল্প ধারা ঐক্য
প্রক্রিয়ায় আছে বটে, কিন্তু নির্বাচনী জোটে থাকবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আস্থার
সঙ্কট রয়েছে। এ দেশের রাজনীতি দুটি বড় দলই নিয়ন্ত্রণ করে। আর
দুর্ভাগ্যজনকভাবে হলেও সত্য, এই দুটি বড় দলের মধ্যেই আস্থার সঙ্কট রয়েছে।
কেউ কাউকে আস্থায় নিতে পারছেন না। দুটি বড় দলের নেতৃবৃন্দ নিত্যদিন
পরস্পরকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখছেন। টিভি টক-শোতে গিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে
যাচ্ছেন। মানুষ এতে করে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই রাজনীতি বাংলাদেশের কোনো মঙ্গল
ডেকে আনতে পারছে না। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল
দেশে প্রবেশ করছে। ২০২৪ সালে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ
উন্নত দেশে পরিণত হবে। আন্তর্জাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি সম্প্রতি তাদের
প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলেছে, বাংলাদেশ ২০৩০ সাল পর্যন্ত তার জিডিপি
প্রবৃদ্ধি ৭-এর উপরে রাখবে। যেকোনো বিবেচনায় এটা একটা আশাব্যঞ্জক খবর।
কিন্তু এর পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
যদি বিঘ্নিত হয়, তাহলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি মুখ থুবড়ে পড়বে। আমাদের সব অর্জন
ব্যর্থ হবে। ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল বিশ্বে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে
সৃষ্টি হবে বড় প্রতিবন্ধকতা। তাই আস্থার সম্পর্ক থাকাটা জরুরি। নির্বাচনের
তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই শঙ্কা বাড়ছে জনমানসে। কী হবে এবার? ২০১৮ সালে কি
২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে? সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে
নির্বাচনটি হয়েছিল (২০১৪) সত্য, কিন্তু জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেনি। ১৫৩ জন সংসদ
সদস্যের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা আর যাই হোক
গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যায় না। তাই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সব
দল অংশগ্রহণ করুক, আমরা একটা স্থিতিশীল পরিবেশ পাই- সাধারণ মানুষের
প্রত্যাশা বোধহয় এটাই।
Daily Bangladesher Khobor
09.10.2018
0 comments:
Post a Comment