রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা

এটা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত যে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের যেকোনো এক দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতাও লক্ষণীয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করলেই সিনিয়র সাংবাদিকরা নির্বাচন নিয়ে তাঁর মনোভাব জানতে চান। জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে বরাবরের মতো গত ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী যখন একটি সংবাদ সম্মেলন করলেন তখনো নির্বাচনসংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছিল। এবং প্রধানমন্ত্রী এর জবাবও দিয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কথা তিনি বলেছেন। এক. তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। কোন দল নির্বাচনে আসবে, কে আসবে না—এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এতে আমাদের কিছু করার নেই। দুই. নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালে চেষ্টা করেছিলাম সব দলকে নিয়ে একটা সরকার গঠন করব। আমরা ক্যাবিনেটে আলোচনা করব। দু-একটি দলের সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করব, এরপর সিদ্ধান্ত নেব। (কালের কণ্ঠ, ৪ অক্টোবর)। বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনকালীন সরকার—এই দুটি বিষয়ই এখন আলোচনার অন্যতম বিষয়। বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলেই দলটির নেতারা বারবার বলে আসছেন। তবে দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা মাঝেমধ্যে শর্ত জুড়ে দেন। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন দলীয় সিদ্ধান্তের কথা বলেন তখন বোধ করি তিনি এটাই বোঝাতে চাচ্ছেন যে বিএনপি যদি নির্বাচনে না-ও আসে, এ ব্যাপারে তাঁর করণীয় কিছু নেই। মিথ্যা বলেননি প্রধানমন্ত্রী। এটা তো ঠিক, কোনো দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি বাধ্য করতে পারেন না। এটা ওই দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট, তিনি নিউ ইয়র্কে একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে এমন দলগুলোকে নিয়েই তিনি নির্বাচনকালীন একটি সরকার গঠন করবেন; যদিও সংবিধানে ‘নির্বাচনকালীন সরকারের’ কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপিকে এ ধরনের একটি সরকারে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি ওই সরকারে যোগ দেয়নি। এখন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে তিনি যদি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেন, সে ক্ষেত্রে ওই সরকারে বিএনপির থাকার কোনো সুযোগ নেই। কেননা দশম সংসদে বিএনপির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপি বড় দল। তাদের একটা জনসমর্থন আছে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারে দলটির প্রতিনিধিত্বের সুযোগ কম। তবে সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে যে ক্ষমতা দিয়েছে, তাতে তিনি বিএনপিকে এই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। সংবিধানের ৫৫(১) ধারায় মন্ত্রিসভা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে। আর ৫৬(২) ধারায় প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সংসদ সদস্যের বাইরে থেকে ‘টেকনোক্র্যাট কোটায়’ মন্ত্রী নিয়োগ করতে। সুতরাং নির্বাচনকালীন মন্ত্রিপরিষদ গঠনের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য নন এবং বিএনপি সমর্থিত সদস্যদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। এখানে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাটাই হলো আসল। বিএনপি যে সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছে, তাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার না করার কথা বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নিজে ব্যক্তিগতভাবে ইভিএম ব্যবহার করার পক্ষে কথা বলেছেন। তবে যেখানে এখনো ইভিএম ১০০ শতাংশ নির্ভরযোগ্য নয়, সে ক্ষেত্রে ইভিএম ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। এর আগে অতি উৎসাহী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ইভিএম নিয়ে বক্তব্য নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। এরই মধ্যে ইসিতে নতুন করে দ্বন্দ্বের যে খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল, তার সমাধান হয়েছে। একটি বড় অভিযোগ করেছিলেন চারজন কমিশনার। তাঁদের অভিযোগ সিইসি কমিশনারদের না জানিয়ে একাই অনেক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এটা একটা গুরুতর অভিযোগ। কিছুদিন আগে নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হবে—এমন বক্তব্য দিয়ে সিইসি বিতর্কিত হয়েছিলেন। এ ধরনের বক্তব্য তাঁর দেওয়া উচিত হয়নি। একটি বা দুটি ‘সিটে’ ধানের শীষের প্রতীকী প্রার্থী দিয়ে বিএনপি ইচ্ছা করলে তার নিবন্ধন ধরে রাখতে পারে—এটা একটা সাধারণ মানুষও বোঝে। অথচ সিইসি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে তাঁর নিজের নিরপেক্ষতা তিনি ক্ষুণ্ন করেছেন।
নির্বাচনের খুব বেশিদিন বাকি নেই। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবি আজ শুধু দেশের ভেতর থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে না, বরং বাইরে থেকেও উচ্চারিত হচ্ছে। সরকার সংবিধানের কথা বারবার বলছে। অথচ সংবিধানের ভেতরেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারপ্রধানের আন্তরিকতাই হলো আসল। ২০১৪ সালের পরিস্থিতির সঙ্গে ২০১৮ সালের পরিস্থিতিকে মেলানো যাবে না। ঐক্যপ্রক্রিয়া আলোচিত হলেও শেষ পর্যন্ত তা নির্বাচনী জোটে পরিণত হবে কি না, তা নিয়ে খোদ বিএনপিতেই নানা প্রশ্ন আছে। তবে সরকারকে খালি মাঠে গোল না দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি বিএনপিকে নিতে হবে। বিএনপি নিশ্চয়ই এটা উপলব্ধি করে যে সরকার এককভাবে নির্বাচন করতে পারে এবং সংসদে একটি বিরোধী দলও গঠিত হতে পারে। সুতরাং একদিকে আন্দোলন, অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া—বিএনপির এই স্ট্র্যাটেজি নিয়েই এগিয়ে যাওয়া উচিত। মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত বিএনপির নেতারা। ৩০ সেপ্টেম্বর বিএনপির সমাবেশের পরও বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপিকে এটা মোকাবেলা করেই নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যের ধারা অব্যাহত রেখে নির্বাচনের পথে যেতে হবে বিএনপিকে। এ জন্য জনগণের সম্মুখে একটি বিকল্প পরিকল্পনা উপস্থাপন করা প্রয়োজন। সেটা বিএনপি এখনো করেনি। বিএনপির একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যাশা কী, এটা বিএনপি নিশ্চিত করেনি। জাতির সম্মুখে একটি বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা প্রয়োজন। এই প্রস্তাব এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ উপস্থাপন করেছে। বিএনপির প্রস্তাবে নির্বাচকালীন সরকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া প্রয়োজন। এর আগে যুক্তফ্রন্ট, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, এমনকি বাম জোটের নেতাদের সঙ্গে তাদের প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময় করা উচিত। তাদের প্রস্তাবে সব দল যে ঐকমত্য পোষণ করবে, তেমনটি নয়। সুতরাং সবার সঙ্গে আলোচনা করলে একটি সমাধান হয়তো পাওয়া যাবে এবং সে ক্ষেত্রে সবাই মিলে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে একটি যৌথ প্রস্তাব দেওয়া যেতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে, সরকার সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। সংবিধান সংশোধন করার কারণে সরকারের অবস্থান এখন অনেক শক্তিশালী। সরকার সংবিধান কেন সংশোধন করবে? যদি সরকারকে বাধ্য করা না যায়, তাহলে সরকার সংবিধান সংশোধন করবে না। এ ক্ষেত্রে বিএনপির দাবি সরকার মানবে—এটা আমার মনে হয় না। সরকার ১৪ দলীয় জোটকে আরো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেবে না, প্রধানমন্ত্রী এমনটাই বলেছেন। বামদলীয় জোটের সঙ্গে এক ধরনের ঐক্য করার কথা ভাবছিল সরকার। এ ক্ষেত্রে যদি ন্যূনতম ‘ঐক্যও’ হয়, এটাও ড. কামাল হোসেন তথা বিএনপির জন্য আরো একটি ‘মাইনাস পয়েন্ট’। তবে বাম ধারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ঐক্যে যাচ্ছে না। তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ‘তৃতীয় ধারা’ সূচনা করতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত ৪৭ বছরে এই ‘তৃতীয় ধারার’ কথা আমরা বারবার শুনেছি। কিন্তু মানুষ এটা গ্রহণ করে নেয়নি। এটা সত্য, এই তৃতীয় ধারার সঙ্গে অনেক ত্যাগী, ও যোগ্য নেতা রয়েছেন। কিন্তু মানুষ তাদের ভোট দেয় না। তথাকথিত ইসলামিক দলগুলোর যে ‘সমর্থন’ রয়েছে, বাম দলগুলোরও তা নেই। কেন নেই? কেন বাম দলগুলো ভালো ভালো এবং ‘সত্য’ কথা বলেও মানুষের কাছে যেতে পারছে না, এটা ভেবে দেখা প্রয়োজন। ঘুরেফিরে সাধারণ মানুষের আস্থা ওই ‘নৌকা’ আর ‘ধানের শীষে’। তৃতীয় শক্তি হিসেবে ‘লাঙলকেই’ মানুষ বেছে নিয়েছে শুধু এরশাদের ‘আঞ্চলিকতা প্রীতি’র কারণে। রাজনীতি নয়, বরং আঞ্চলিকতাই জাতীয় পার্টির মূল শক্তি। তবে লাঙল কোনো দিনই ‘নৌকার’ বিকল্প হবে না কিংবা ‘ধানের শীষে’র স্থান দখল করে নিতে পারবে না। বাস্তবতা যেহেতু ভোটের রাজনীতিতে ‘নৌকা’ আর ‘ধানের শীষ’ অন্যতম ফ্যাক্টর, সে ক্ষেত্রে এই দুটি বড় দলের মধ্যে ‘আস্থার সম্পর্ক’ থাকা দরকার। এই ‘আস্থার সম্পর্কই’ এ দেশের রাজনীতিতে একটি স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারে। এখন এই ‘আস্থার সম্পর্ক’ কিভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, তা নির্ভর করে দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ওপর। একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য এই আস্থার সম্পর্কটা খুবই জরুরি। এই আস্থার সম্পর্কটা গড়ে উঠছে না। দোষারোপের রাজনীতির বৃত্ত থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারছি না। এই দুটি বড় দল, এক দল অন্য দলকে দোষী সাব্যস্ত করছে। এর প্রভাব পড়ছে রাজনীতিতে। গায়েবি মামলার সংখ্যা বাড়ছে। পুলিশ সদর দপ্তরের কড়া বার্তার পরও ‘গায়েবি’ মামলা করা থেমে নেই। মামলায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আসামি করার ক্ষেত্রে ভালোভাবে যাচাই করার নির্দেশনা থাকলেও তা প্রতিপালন করা হচ্ছে না বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে। এমনও দেখা গেছে, জনৈক বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা দেশেই ছিলেন না; কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ‘উসকানি দেওয়ার’ অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা পুলিশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে।
রাজনৈতিক এই ডামাডোলের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক সম্ভাবনাময়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকিং করপোরেশন এইচএসবিসি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বিশ্বে ২০১০ সাল নাগাদ যেসব দেশের অর্থনীতির আকার দ্রুত বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে সবার ওপরে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে ‘বিগেস্ট রাইজার্স’ বা সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে অভিহিত করেছে এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চ। এইচএসবিসি বলছে, বিশ্বের উন্নত, উন্নয়নশীল ও উদীয়মান ৭৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি সবচেয়ে বেশি হারে বাড়বে। জিডিপির আকার বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৪২তম। ২০৩০ সালে ১৬ ধারা এগিয়ে বাংলাদেশ উঠে আসবে ২৬তম অবস্থানে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পরবর্তী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৩ শতাংশ হারে। অর্থনীতির এই চিত্র আশার কথা বলে। কিন্তু অর্থনীতির এই চিত্র মুখ থুবড়ে পড়বে যদি দেশে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে। এ ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনীতিতে আস্থার সম্পর্ক বজায় থাকা। সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিটি দলই তাদের কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাবে। কিন্তু যদি আস্থার সম্পর্ক না থাকে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয় কিংবা সহিংসতার পথ বেছে নেয়, তাহলে আমাদের জন্য তা কোনো শুভ সংবাদ বয়ে আনবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আর সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে, আমাদের প্রত্যাশা এটাই।
Daily Kalerkontho
11.10.2018

0 comments:

Post a Comment