বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির
প্রেক্ষাপটে সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আমাদের কতটুকু আশাবাদী করে? ড.
কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এই জোটটি গঠিত হয়েছিল কিছুদিন আগে। কিন্তু তারপর
কিছুটা সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে নানা কাহিনী ও
মন্তব্য প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। এর কোনোটি ইতিবাচক, কোনোটি
নেতিবাচক। নেতিবাচক এই অর্থে যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে
সরকারের একাধিক মন্ত্রী বিরূপ মন্তব্য করেছেন। ‘সিকি-আধুলি’র সঙ্গেও তুলনা
করা হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে। তবে এটা সত্য, বিএনপি বাদে
এই মুহূর্তে যেসব দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে, তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি
অত্যন্ত দুর্বল। অনেক দলেরই ৬৪ জেলায় কোনো সংগঠন নেই। উপরন্তু জাতীয়
ঐক্যের ব্যাপারে বিকল্পধারা প্রথম থেকে উদ্যোগী হলেও, শেষ মুহূর্তে
‘জামায়াতের প্রশ্নে’ বিকল্পধারা নিজেদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রত্যাহার
করে নেয়। দলটি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে। তবে এটা সত্য, এতে করে জাতীয়
ঐক্যফ্রন্টের যে খুব ক্ষতি হয়েছে, তা বলা যাবে না। আর ইতিবাচক এই অর্থে যে,
এখানে যে দলগুলো সংযুক্ত হয়েছে, তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি দুর্বল হলেও
ব্যক্তি হিসেবে এবং সরকারবিরোধী হিসেবে এদের ভূমিকাকে ছোট করার কোনো সুযোগ
নেই। আ স ম আবদুর রব, কিংবা মাহমুদুর রহমান মান্নার দলের ভিত্তি দুর্বল
সন্দেহ নেই তাতে, কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে তাদের পরিচিতি রয়েছে। একই সঙ্গে
২০-দল থেকে এলডিপি ও কল্যাণ পার্টিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিচ্ছে। কর্নেল
(অব.) অলি কিংবা মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমেরও ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
সরকারবিরোধী হিসেবে এরা রাজনীতিতে বড় অবদান রেখে আসছেন। ফলে বিএনপিকে সঙ্গে
নিয়ে এরা যখন একটি ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে তখন এই ফ্রন্ট যে ব্যাপক জনসমর্থন
পাবে, তা বলাই যায়। তবে ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন।
ঐক্যফ্রন্ট ১১ দফা যে লক্ষ্য নির্ধারণ
করেছে, সে ব্যাপারেও অস্পষ্টতা রয়েছে। ১নং লক্ষ্যে সরকার, রাষ্ট্রপতি ও
প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার কথা বলা হয়েছে। তত্ত্বগতভাবে
এটি ভালো প্রস্তাব। কিন্তু বর্তমান সংবিধান তো এই বিষয়টি অনুমোদন করে না।
সংবিধানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা উল্লেখ আছে। এটা সত্য,
বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে
ভারসাম্য রক্ষা কী করে সম্ভব, কিংবা রাষ্ট্রপতি কী কী ভূমিকা পালন করলে
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার সঙ্গে এক ধরনের ‘চেক্স অ্যান্ড ব্যালেন্স’ হয়, তা
স্পষ্ট করে উল্লেখ করা প্রযোজন ছিল। কিন্তু ১১ দফায় তা নেই। ২নং লক্ষ্যে
সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। এটা কতটুকু যুক্তযুক্ত, এ
প্রশ্ন করাই যায়। ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক
দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি
যদি (ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে
ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে সেই কারণে পরবর্তী
কোন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।’ এখন ৭০ অনুচ্ছেদে যদি
সংশোধনী আনা হয়, তা হলে সংসদে ‘হর্স ট্রেডিং’ হবে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যরা
নানা লোভ-লালসার স্বীকার হয়ে অন্য দলে যোগ দেবেন এবং সরকার গঠন করতে ওই
দলকে সাহায্য করবেন। অথবা টাকার বিনিময়ে নতুন দল গঠন করে কোনো দলকে সরকার
গঠনে সহযোগিতা করবেন। সুস্থ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য এটা কোনো ভালো
সংবাদ হতে পারে না। সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব (১০নং লক্ষ্য) কিংবা
প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যুগোপযোগী করা (১১নং লক্ষ্য)- এসবই সংবিধানে আছে।
এখানে নতুনত্ব কিছু নেই। ফলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা ও ১১ দফা এক রকম
একটা দায়সারা গোছের কর্মসূচি হয়ে গেছে। বরং আমি খুশি হতাম যদি জাতীয়
ঐক্যফ্রন্ট আগামী ৫০ বছরের বাংলাদেশকে সামনে রেখে একটা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন
করত। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত
দেশ হিসেবে যে বাণিজ্যিক সুবিধা পায়, তা ২০২৭ সালে শেষ হয়ে যাবে। এতে করে
যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং চীনে বাংলাদেশের বাণিজ্য হ্রাস পাবে প্রায় ১১ ভাগ।
আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে যে
সুবিধা পায়, ২০২৭ সালে তা বাতিল হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কী
কর্মসূচি নেওয়া উচিত, তা ফ্রন্টের কর্মসূচিতে থাকা উচিত ছিল। বাংলাদেশের
তরুণ প্রজন্মের এক-তৃতীয়াংশ বেকার। এদের জন্য কী কর্মসূচি নেওয়া উচিত, সে
ব্যাপারেও বিস্তারিত থাকা উচিত ছিল, যা নেই। ফলে ৭ দফা ও ১১ দফা নিয়ে
আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার
সময় যখন এগিয়ে আসছে, তখন নির্বাচন কমিশনে বড় ধরনের দ্বন্দ্বের খবর
সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। ইসির বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা হরণের অভিযোগ তুলেছেন
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। ‘বাকস্বাধীনতা হরণের’ অভিযোগ তুলে তিনি
গত ১৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের সভা বয়কট করেছেন। তিনি কমিশনের সভা ত্যাগের
আগে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে কমিশনের সভা ত্যাগ করেন। তিনি পাঁচটি বিষয়
উল্লেখ করে তা কমিশনের সভায় উপস্থাপনের দাবি করেছিলেন। কিন্তু তা উপস্থাপিত
না হওয়ায় তিনি ‘প্রতিবাদ স্বরূপ’ কমিশনের সভা বয়কট করেন। তার ওই পাঁচ দফায়
ছিল জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, তা আগে থেকে
নির্ধারণ করা; অংশীজনের সঙ্গে ইসির সংলাপে আসা সুপারিশগুলো নিয়ে তফসিলের
আগে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা; সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা;
নির্বাচনকালীন জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ইসির হাতে
নেওয়া ইত্যাদি। বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ না পেয়ে তিনি ‘নোট অব ডিসেন্ট’
দিয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইসির নিরপেক্ষতাকে একটি
প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে। এমনিতেই নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন নিয়ে যখন দাবি
উঠেছে, তখন নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে বিরোধ নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তিকে
একটি প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে। ইতোমধ্যে জানা গেছে, চলতি মাসেই মাহবুব
তালুকদার ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন। তার এই ‘ছুটিতে যাওয়ার’ বিষয়টিও নানা
প্রশ্নের জন্ম দেবে এখন। নির্বাচনের আগে তিনি আর দেশে ফিরে আসবেন না, কিংবা
তিনি বিদেশ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন- এমন খবরও বাজারে চাউর হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব ‘ঘটনা’ যে রাজনীতিতে বার বার আলোচিত হবে, তা আর বলার
অপেক্ষা রাখে না।
ইতোমধ্যে দুটি দল ন্যাপ ও এনডিপি ২০-দলীয়
জোট থেকে বেরিয়ে গেছে। এই দল দুটি প্যাডসর্বস্ব। এদের আদৌ কোনো সাংগঠনিক
ভিত্তি নেই। এতে করে ২০-দলীয় জোটে আদৌ কোনো প্রভাব ফেলবে না। ২০-দলীয় জোটের
মূলশক্তি হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি সুস্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা ২০-দলের
সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না। বিএনপির এই সিদ্ধান্ত সঠিক ও যৌক্তিক। তবে
বিএনপি বড় দল। দলটিকে বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা যদি ফ্রন্টের তথা
২০-দলের রাজনীতি ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা করে, তাহলে তা হিতে বিপরীত হতে
পারে। বিএনপিকে এখন ‘লো-প্রোফাইল’ রাজনীতি গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের
রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল/জোট থাকা দরকার। জোট রাজনীতি
বাংলাদেশের বাস্তবতা। সুতরাং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি একাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত
হয়, বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির জন্য তা হবে মঙ্গল। এর মধ্য দিয়ে দেশে একটি
সুস্থ রাজনীতি চর্চাও শুরু হতে পারে। তবে সরকার যদি দমননিপীড়ন অব্যাহত
রাখে, তাহলে নির্বাচন নিয়ে যে প্রত্যাশার জন্ম হয়েছে, তা ‘মিইয়ে’ যেতে
পারে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একটি বড় প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে। ফ্রন্ট তাদের
প্রথম কর্মসূচি হিসেবে স্থানীয় একটি হোটেলে বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিদের
সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। তাদের এই ‘মতবিনিময়’ও সমালোচিত হয়েছে। অভিযোগ করা
হচ্ছে যে, যেখানে ঐক্যফ্রন্টের জনগণের কাছে যাওয়া উচিত, সেখানে তারা তা না
করে বিদেশিদের কাছে ‘ধরনা’ দিয়েছেন! আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এটা একটা
খারাপ দিক। এই ‘ঘটনা’ অতীতেও হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
বিদেশি দূতাবাস, বিশেষ করে ইইউ ও
যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই ‘সকল দলের অংশগ্রহণমূলক’ একটি নির্বাচনের কথা বলে
আসছে। ‘সকল দল’ বলতে তারা আসলে বোঝাতে চাচ্ছে বিএনপিকে। বিএনপি ২০১৪ সালে
নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, বেগম
জিয়ার মুক্তি ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। বেগম জিয়া আইনি প্রক্রিয়ায় এখনো
জেল থেকে মুক্তি পাননি। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছেন। দলের দ্বিতীয় ব্যক্তি ও ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দন্ডপ্রাপ্ত ও বিদেশে অবস্থান করছেন। এমনি এক
পরিস্থিতিতে বিএনপি ড. কামাল হোসেন ও অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ‘ঐক্য’ করেছে। এটা
বিএনপির একটা কৌশল। এই ‘কৌশলটি’ অবলম্বন করেই বিএনপি এখন নির্বাচনে যাবে!
এক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে সবার জন্য তা মঙ্গল।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি ‘বার্তা’ আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিদায়ী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বর্নিকাট ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে এই
‘বার্তাটি’ পৌঁছে দেন (যায় যায় দিন, ১৯ অক্টোবর)। বার্নিকাট সেতুমন্ত্রীকে
জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য
এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে (ওই)।’ এটাই হচ্ছে মোদ্দাকথা।
একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ ও ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন। সরকারের লাভটা এখানেই যে,
বিএনপি এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনের পথে হাঁটছে। তাই জাতীয়
ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সব ধরনের সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করা
প্রযোজন। সিলেটে ২৩ অক্টোবর ফ্রন্ট জনসভা করার অনুমতি চেয়েও পায়নি। ২৪
অক্টোবর তাদের জনসভা করার কথা। ফ্রন্টকে জনসভা করতে দিলে বরং সরকারের
ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল হবে। সরকার হার্ডলাইনে গেলে ভিন্ন মেসেজ পৌছে যাবে
মানুষের মাঝে। যা কিনা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে অন্তরায় হয়ে দেখা
দিতে পারে। এদিকে আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির
চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত
এক সভায় তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন হবে কি হবে না- আমরা জানি না। একটি দল পাঁচ
দফা দিয়েছে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তা মানা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় আগামী
দিনগুলো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের শঙ্কা রয়েছে (বাংলা
ট্রিবিউন)। এরশাদ যখন নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, তখন একটি সংলাপের
সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সব মিলিয়ে এরশাদ
নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কার কথা বলেছেন, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
বিএনপির অনেক সীমাবদ্ধতা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকাকে সামনে নিয়ে এসেছে।
এখন দেখার পালা ঐক্যফ্রন্ট সাধারণ মানুষের এই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে
পারে।
Daily Bangladeher Khobor
23.10.2018
0 comments:
Post a Comment