শিক্ষামন্ত্রী
নুরুল ইসলাম নাহিদকে আমি একটু বিশেষ দৃষ্টিতে দেখি। একজন ‘বাই বর্ন আওয়ামী
লীগার’-এর মতো তাকে আমি কখনও ঔদ্ধত্য, প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে বক্তব্য
রাখতে দেখিনি। আপাদমস্তক একজন ভদ্রমানুষ। সম্ভবত তার অতীত কমিউনিস্ট
রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত থাকায় তিনি রাজনীতিতে ভদ্রতা, নম্রতা ও ভালমানুষি
ভাবটা এখনও রক্ষা করে চলেছেন। কিন্তু এক সময়ের সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আর
আজকের আওয়ামী লীগনেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ ইদানীং যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে
আমার আস্থার জায়গাটা ধীরে ধীরে ধূসর হয়ে যাচ্ছে! পাবলিক পরীক্ষায় নকল হয়নি
বলে তার ঘোষণার রেশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই এখন তিনি বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব অনিয়মের পক্ষে নামলেন। টিআইবি বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুর্নীতি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেছিল।
নাহিদ সাহেবের আপত্তিটা সেখানেই। সংবাদ সম্মেলন ডেকে বললেন, টিআইবির
প্রতিবেদনের তথ্য অসত্য! আমাদের দুঃখের জায়গাটা এক জায়গায়- আমরা স্পষ্টবাদী
কোনও মন্ত্রী পেলাম না! কেন জানি সবাই সুবিধাবাদিতার জায়গায়ই আশ্রয় নেয়।
নাহিদ সাহেবও নিলেন। টিআইবি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে যে গবেষণা
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছে, তাতে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, কিন্তু ওই
সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকা- কী শুধু টিআইবি একাই বলল? আমার ধারণা
শিক্ষামন্ত্রী পত্রিকা পড়েন এবং সংবাদপত্রে তো বহুবার বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকা- নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয়
কী এর একটিও পড়েননি?
গত ১৫ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে
বললেন, ‘শিক্ষার মান ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এই ভুল
তথ্যের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।’ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য এভাবেই ছাপা
হয়েছে পত্রপত্রিকায়। এ কী কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী? শিক্ষার মান?
শিক্ষাব্যবস্থাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে? সার্টিফিকেট বিক্রি যদি শিক্ষার মান
হিসেবে গণ্য করা হয়, আমি দুঃখিত মাননীয় মন্ত্রী, আপনার মতের সঙ্গে এক হতে
পারলাম না। পত্রিকায় দেখলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয় টিআইবির প্রতিবেদনটি
‘পরীক্ষা’র জন্য দুজন বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠিয়েছে। আমরা জানি না এই দুই
বিশেষজ্ঞ কারা? কিন্তু কিছু মুখচেনা ও দলবাজ ‘বিশেষজ্ঞ’ আপনার আছে- তাদের
কাছে পাঠালে তো ‘সত্য’ কোনও দিনই আবিষ্কৃত হবে না। তারাও আপনার সুরে কথা
বলবেন। আমি নিশ্চিত তারাও বলবেন শিক্ষার মান নষ্ট করার জন্যই এই প্রতিবেদন!
এ জাতির দুর্ভাগ্য। একজন মুহম্মদ জাফর ইকবাল পাবলিক পরীক্ষায় নকলের
প্রতিবাদ করলেন। অন্যরা কেউ এগিয়ে এলেন না! আবার এই জাফর ইকবালই মন্ত্রীর
পাশে বসে পদক নিলেন। অন্যায়ের প্রতিবাদে এগিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা কম।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের মতো শুভবুদ্ধির মানুষ যখন সমস্যার গভীরে যান না, তখন
কষ্ট লাগে বৈকি! তিনি তো দুর্নীতির প্রতিবাদ করতেই ছাত্র রাজনীতি
করেছিলেন। আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আর আজ? টিআইবি তার প্রতিবেদনে যেসব
অভিযোগ উত্থাপন করেছিল, তার মধ্যে রয়েছে উচ্চশিক্ষা লাভজনক পণ্যে পরিণত
করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। স্বতন্ত্র ও স্বাধীন অ্যাক্রিডিটেশন
কাউন্সিল ৪ বছরেও গঠন না করা। শিক্ষার নামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি।
মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক আইন ভঙ্গকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ না করা ও সনদ
বাতিল না করা। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনে রাজনৈতিক প্রভাব, অনুমোদনে
স্বজনপ্রীতি ও অর্থ লেনদেন, মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসাজশে ইউজিসি
কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগ অদৃশ্য উপায়ে মীমাংসা হওয়া, শাস্তি প্রদান না করে
বারবার আলটিমেটাম দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করা। ইউজিসিকে না জানিয়ে সাধারণ
তহবিলের টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, শিক্ষকদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নে
প্রভাব বিস্তার, কম যোগ্য এবং বিষয় সম্পর্কে উচ্চতর কোনও ডিগ্রি না থাকা
সত্ত্বেও কোনও কোনও শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধান করা, ট্রাস্টি বোর্ডের কোনও
কোনও সদস্যের ব্যক্তিগত ও আর্থিক সুবিধা লাভ। ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি দেখিয়ে
উপাচার্য পদ গ্রহণ এবং অবৈধভাবে অধ্যাপক পদবি ব্যবহার (দূতাবাসে চাকরি করা
লোক এখন উপাচার্য এবং কোনও দিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেননি
তারাও এখন উপাচার্য!), ১২ বছরে স্থায়ী সনদ গ্রহণ না করা। ইউজিসির অনুমোদন
ছাড়া কোর্স কারিকুলাম পড়ানো, শিক্ষার্থীদের কাছে বাধ্যতামূলক ‘নোট’ বিক্রি
করে অবৈধ অর্থসম্পদ অর্জন, অযোগ্য ও অদক্ষ লোকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ,
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের নাম ব্যবহার করে ছাত্রদের আকর্ষণ
করা, কাস না করিয়ে, পরীক্ষা না নিয়ে, ব্যবহারিক পরীক্ষা ছাড়াই ‘টাকার
বিনিময়ে’ সনদ বিক্রি। গবেষণায় কোনও অর্থ ব্যয় করা হয় না, প্রশ্ন বলে দেওয়া,
অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের বাধ্য করা, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে
উপঢৌকন নেওয়া, যৌনহয়রানি, ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব, আর্থিক
লেনদেন ইত্যাদি। মোটা দাগে এ সবই অভিযোগ। এসব অভিযোগের পেছনে সত্যতা যে
নেই, তা বলা যাবে না। >এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন। আর তা হচ্ছে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা। এই প্রয়োজনীয়তা আছে। আমি
ব্যক্তিগতভাবে মনে করি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘রাজনৈতিক আখড়ায়’ পরিণত
হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে ঝুঁকছে। মানহীন এসব
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী নিত্য জব মার্কেটে প্রবেশ করছে।
এবং এরা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাকে ব্যবহার করে সরকারি পদগুলো পেয়ে যাচ্ছে।
এরা সমাজকে কী দেবে, সঙ্গত কারণেই সে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা ধীরে ধীরে একটি
সার্টিফিকেটসর্বস্ব জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ‘খুলে’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কেও ‘সনদ বিতরণ’ কেন্দ্রে পরিণত করেছি। অথচ দেখার কেউ
নেই। টিআইবির এই রিপোর্ট তাই যুগোপযোগী। মাত্র ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে
করা এই গবেষণা হয়তো পূর্ণাঙ্গ নয়। আমি অনুরোধ করব টিআইবি বাকি ৫৭
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও দ্বিতীয় আরেকটি গবেষণা পরিচালনা করবে। আমি মনে করি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে এই রিপোর্টটিকে বিবেচনায় নিয়ে কীভাবে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন করা যায় সে ব্যাপারে অতি শিগগিরই একটি
নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া। ইউজিসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তিনজন পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে। এই কমিটি কী রিপোর্ট দেবে জানি না।
কিন্তু তাদের কেউ কেউ নিজেরাই তো অভিযুক্ত। রাজনৈতিক বিবেচনায় তাদের
বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগও আছে। ফলে এই কমিটি লোক দেখানো কমিটি হয়ে
যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ইউজিসি যে কাজগুলো এখন করতে পারে, তা হচ্ছে
বিতর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে একটি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে পরিবর্তনের সুপারিশ করা ও সরকারের ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শক্ত অবস্থানে
যাওয়া। সমস্যাটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিয়েই। শর্ষের ভূত সেখানেই। আমার
বিশ্বাস ছাত্রতুল্য শিক্ষাসচিব (যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায়
পিএইচডি করেছেন) মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের অবস্থানের বাইরে যেতে পারবেন
না। শিক্ষকের দাবি নিয়ে তিনি এই কাজটি আদায় করে নিতে পারেন। জনমত সৃষ্টি
করাও জরুরি। জাতিকে বারবার জানানো প্রয়োজন শিক্ষা নিয়ে কারা অনিয়ম করছে।
তাদের বয়কট করাও প্রয়োজন। টিআইবি তাদের গবেষণায় যেসব তথ্য উপস্থাপন
করেছে, সে ব্যাপারে তারাই ব্যাখ্যা দেবেন। তাদের সমর্থন করাও আমার কাজ নয়।
মন্ত্রী মহোদয় সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখেছেন পত্রিকার তথ্য গবেষণার
ক্ষেত্রে কতটা গ্রহণযোগ্য? মন্ত্রী মহোদয় গবেষক নন। তার জানার কথাও নয়।
কিন্তু গবেষকরা সূত্র হিসেবে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, প্রবন্ধ ইত্যাদি
ব্যবহার করেন। এই রেওয়াজ অনেক পুরনো এবং এটি গবেষণার অন্যতম একটি সূত্র।
আরেকটি তুঘলকি কা- করেছে মন্ত্রণালয়। টিআইবিকে একটি চিঠি দিয়েছে কারা কারা
ঘুষ খেয়েছে, কে কত ঘুষ দিয়েছে, তার একটি তালিকা দিতে! মন্ত্রী মহোদয়ের
অনুমোদন নিয়েই এটি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয়ের দূরদর্শিতা দেখে আমার
কষ্ট হয়। যে ঘুষ নেয়, আর যে ঘুষ দেয়, তারা কী বলে-কয়ে এই কর্মটি করে?
ঘুষখোর কী কখনও স্বীকার করে তিনি ঘুষ খেয়েছেন! এটা তো তদন্ত করে খুঁজে বের
করতে হয়। এই কাজটি মন্ত্রণালয় কিংবা দলবাজ তিন ভিসিকে দিয়ে করানো যাবে না।
বিষয়টি দুদকের কাছে পাঠানো যেতে পারে, যদিও দুদকের কর্মতালিকায় এ ধরনের
কাজের সঙ্গে তারা পরিচিত নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছা না থাকলে এ ধরনের
তদন্তে কোনও ফল পাওয়া যাবে না। আমি আগেও বলেছি, বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আমি। এ জন্য যা দরকার তা হচ্ছে সেখানে যোগ্য ও সৎ
নেতৃত্ব, যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। ১৭ জুলাই এক সাবেক ভিসির (?)
রিমান্ডে নেওয়ার খবর পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তিনি একটি গুরুতর অপরাধে
অভিযুক্ত। এই ভদ্রলোক মানবসম্পদ রপ্তানি করে প্রচুর টাকা-পয়সা কামিয়েছেন।
তিনি ‘অধ্যাপক’ বা ‘ভিসি’ হলেন কীভাবে? তার ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন আছে। কে বা
কারা তাকে উপাচার্য হিসেবে মনোনীত করে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠিয়েছে?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের ‘অনুগ্রহ’ না পেলে মানবসম্পদ
রপ্তানিকারকরা কিংবা মার্কিন দূতাবাসে কেরানির চাকরি করা ব্যক্তিরা হঠাৎ
করে ‘অধ্যাপক’ ও ভিসি হতে পারেন না। মাননীয় মন্ত্রী আপনার আমলে বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভিসি হয়েছেন, তাদের কজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষকতা করেছেন? এসব কী আপনার জানার কথা নয়! এগুলো এক একটি পারিবারিক
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এগুলো কি আপনার অজানা? বছরের পর বছর তিনি
ভিসি। তারপর ছেলে, মেয়ে, বউ তারাও ভিসি! আপনার মন্ত্রণালয় থেকেই কিন্তু এসব
ফাইল ‘প্রসেস’ হয়। দায়িত্ব আপনিও এড়াতে পারেন না। তাই টিআইবির রিপোর্ট
নিয়ে কোনও বিষোদগার নয়, বরং আসুন সবাই মিলে কীভাবে বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাঁচানো যায়, সে চেষ্টা করি। শুধু দয়া করে বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সার্টিফিকেট বিক্রির প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবেন না। আমার
আশংকা হচ্ছে, মন্ত্রীর এই বক্তব্যে অসৎ ‘শিক্ষা ব্যবসায়ীরা’ তাদের অসৎ
কর্মকা- আরও বাড়িয়ে দিতে পারেন। দয়া করে এই কর্মটি করবেন না। টিআইবির
রিপোর্টে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। এই রিপোর্টের পুনর্মূল্যায়নের আদৌ কোনও
প্রয়োজন নেই। মাননীয় মন্ত্রী, আপনি যাদের ডেকেছেন, তারা তোষামোদকারী,
সুবিধাভোগী ও দলবাজ। তাদের ‘মূল্যায়ন’ আপনাকে এতটুকুও সাহায্য করবে না। অসৎ
কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আপনাকে বিভ্রান্তই করবে। সুতরাং টিআইবির রিপোর্টটি
আমলে নিন। উদ্যোগ নিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নিয়ম-শৃঙ্খলার
মধ্যে নিয়ে আসতে। উদ্যোগ নিন কঠোর হস্তে সব অনিয়ম বন্ধের। আমাদের সমর্থন
আপনার প্রতি থাকবেই।
Daily Amader Somoy
3.07.14
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment