রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

'নতুন গোলপোস্ট' তত্ত্ব!

বাংলাদেশে খুব নগণ্য ব্যক্তিই সমুদ্র নিয়ে কাজ ও গবেষণা করেন। এঁদের মধ্যে নিঃসন্দেহে রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম অন্যতম। দীর্ঘদিন নেভিতে কাজ করার সুবাদে সমুদ্র সম্পর্কে জানা ও এর আইন সম্পর্কে জানার এবং বোঝার সুযোগ হয়েছে তাঁর। তিনি এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব পদমর্যাদার অধিকারী। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার ও ভারতের সমুদ্রসীমা নিয়ে যে বিরোধ, তার অবসানে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা স্বাধীনতার এত বছর পার করার পরও সমুদ্র সম্পর্কে তথা সমুদ্র আইন সম্পর্কে তেমন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য নয়। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হলেও সত্য, রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ এ বিষয়ে একমাত্র ব্যক্তি হয়ে দাঁড়ান। অতিসম্প্রতি হেগের আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত বাংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্র সীমানা বিরোধের নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। আদালতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ডেপুটি এজেন্ট ছিলেন খুরশেদ আলম। আর প্রধান এজেন্ট ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। যেখানে ভারতের প্রতিনিধিদলের প্রধান এজেন্ট ছিলেন তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব, সেখানে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব (এবং নিঃসন্দেহে সমুদ্র আইনে অনভিজ্ঞ!) কেন প্রতিনিধিত্ব করলেন কিংবা আদৌ তাঁর মতো অনভিজ্ঞ লোকের আদালতে উপস্থিতির প্রয়োজন ছিল কি না সে প্রশ্ন রয়েই গেল। যদিও এর বাইরে বাংলাদেশ আরো অনেক বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করেছিল। খুরশেদ আলম আবারও আলোচনায় এসেছেন। একটি জাতীয় দৈনিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে আদালতের রায় বর্তমান সরকারের বিজয় হিসেবে অভিহিত করে মন্তব্য করেছেন যে 'বাংলাদেশ নতুন গোলপোস্ট' পেয়েছে! শুধু তার 'গোলপোস্ট' তত্ত্বই নয়, বরং সাক্ষাৎকারে দেওয়া তাঁর বক্তব্য নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন আর তা হচ্ছে বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় এই বিরোধ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতের কাছে যায়নি। সাধারণত তিন ভাগে সমুদ্রসীমার বিরোধী নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল, আন্তর্জাতিক আদালত ও আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল বা সালিসি আদালত। ভারত প্রথম দুটি কোর্টের ব্যাপারে তার আপত্তি আগেই দেওয়ায় তৃতীয় বিকল্প অর্থাৎ আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে যায়নি। হামবুর্গে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে এই বিবাদ মীমাংসিত হয়েছিল। সালিসি আদালতের একটি সমস্যা ছিল, এই আদালতের সব খরচ, আইনজীবীদের খরচ, সবই দুই পক্ষকে বহন করতে হয় (অনুসন্ধানী যেকোনো সাংবাদিক খোঁজ নিয়ে দেখাতে পারেন বাংলাদেশের কত খরচ হলো!) এখন খুরশেদ আলমের 'নতুন গোলপোস্ট' তত্ত্বের মূল বিষয় একটিই- নতুন একটি 'সম্ভাবনার' ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হলো। আমাদের আগামী প্রজন্মের স্বার্থে এই 'সম্ভাবনাকে' ব্যবহার করা অর্থাৎ 'গোলপোস্টে' 'গোল' করা! মিথ্যা বলেননি তিনি। কিন্তু কতগুলো প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেল। ১. বাংলাদেশের কোনো সরকারি ম্যাপে তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব দেখানো হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে এর আগে কেন এটি দেখানো হলো না? এটা কী গাফিলতি নাকি আমাদের অদক্ষতা? ২. বাংলাদেশ আদালতে যে ম্যাপটি উপস্থাপন করে, তা ১৮৮০-১৯০৪ সালের জরিপের ভিত্তিতে তৈরি ব্রিটিশ অ্যাডমিরালিটি ম্যাপ। অথচ আদালত মন্তব্য করেছে এটি ১৯৩৩ সালের তৈরি। বাংলাদেশ তড়িঘড়ি করে এ কাজটি কেন করতে গেল? বাংলাদেশ ১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি টপোমানচিত্রটি ব্যবহার করতে পারত। ৩. দক্ষিণ তালপট্টির কোনো 'চিহ্ন' নেই এখন। এটা সত্য। কিন্তু অস্তিত্ব আছে। গুগল আর্থে সার্চ দিলে এর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। আগামীতে কোনো একদিন আরো পলি পড়ে পড়ে দ্বীপটি দৃশ্যমান হবে কি না সে প্রশ্ন রইল। তবে এখন আর বাংলাদেশ তা দাবি করতে পারবে না। ৪. খুরশেদ সাহেব নিজে গানবোট নিয়ে নেভির একজন অফিসার হিসেবে ১৯৮১ সালে ভারতীয় নেভিকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ভারত সেখানে পতাকা উড়িয়েছিল। ঘর তৈরি করেছিল এবং গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল (সাক্ষাৎকার দ্রষ্টব্য)। এর অর্থ দ্বীপটির অস্তিত্ব ছিল। খুরশেদ সাহেব নিজে লিখেছেন, 'এটি একটি ভাটার দ্বীপ। হাইড্রোলজিক্যাল কারণে এর পরিমাণ কমতে বা বাড়তে পারে। তবে এর সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে গেলে বাংলাদেশ বিরাট সমুদ্র এলাকা এবং সেই সঙ্গে মৎস্য সম্পদ হারাবে। মেরি টাইম বাউন্ডারি নির্ধারণে এর সার্বভৌমত্ব একটি বিরাট ভূমিকা পালন করবে। দক্ষিণ তালপট্টির দক্ষিণ-পশ্চিমে পূর্বাশা বলে আরেকটি ভাটার দ্বীপ আছে, যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা যেতে পারে (আমার সম্পাদিত গ্রন্থ বাংলাদেশ রাজনীতির চার দশক, পৃ. ২৬৭, ২০০৮)। প্রশ্ন হচ্ছে খুরশেদ সাহেব কী তাঁর এই 'মূল্যায়ন' হেগের আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন? ৫. ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা নির্ধারণে নবম বৈঠকেও বাংলাদেশ দক্ষিণ তালপট্টির ওপর থেকে তার মালিকানার দাবি থেকে সরে আসেনি (আমাদের সময়, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮) গত ২০১২ কিংবা ২০১৩ সালের কোনো একসময় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বলতে শুনেছি, দক্ষিণ তালপট্টি ডুবে গেছে। এর কোনো অস্তিত্বই নেই! এর পর থেকেই কী বাংলাদেশ তার 'অবস্থান' পরিবর্তন করে? ৬. প্রিয়ভাজন সিদ্দিকুর রহমান তাঁর এক প্রবন্ধে ১৯৯৭ সালের ৩ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, 'তালপট্টি বাংলাদেশের অংশ' (দ্য রিপোর্টার, ১০ জুলাই, ২০১৪)। ৭. একটি জাতীয় দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০০৮ সালের দাবীকৃত ১১টি গভীর ও অগভীর পানির গ্যাস ব্লক ২০১২ সালের দাবি থেকে বাদ দেয় (এসএস-০১, এসএস-০৫, ডিএস-০৯, ডিএস-১০, ডিএস-১১, ডিএস-১৪, ডিএস-১৫, ডিএস-১৯, ডিএস-২০, ডিএস-২৪, ডিএস-২৫)। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন? ৮. সমুদ্রে বাংলাদেশের দাবি ছিল ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার। এখন আমরা পুরোটা পাইনি। পেয়েছি ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। আমাদের দাবির প্রায় পুরোটা স্বীকৃত হলেও, কিছু তো আমাদের ছাড় দিতেই হলো! ৯. সমুদ্র আইনে অভিজ্ঞ প্রবীণ অধ্যাপক হাবিবুর রহমান একবার উল্লেখ করেছিলেন, ১৯৬৫ সালে জাতিসংঘের একটি সংস্থা দক্ষিণ তালপট্টি এলাকায় বিপুল রিসোর্সের কথা উল্লেখ করেছিলেন (সিদ্দিকুর রহমান, ওই)। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য যে ২৮ ব্লকে এলাকাটিকে ভাগ করেছিল, তার মধ্যে ২১ নম্বর ব্লকে অন্তর্ভুক্ত ছিল দক্ষিণ তালপট্টি। হেগের সালিসি আদালতের রায় অনুযায়ী হাড়িয়াভাঙ্গা নদী বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ এর আশপাশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালাতে উদ্যোগ নেবে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ও টিভি টক শোতে (আরটিভি) অধ্যাপক হোসেন মনসুর (চেয়ারম্যান পেট্রোবাংলা) আমাকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ তালপট্টি এলাকায় জ্বালানি সম্পদ আছে (তেল ও গ্যাস), এ তথ্য তাঁর জানা নেই। আমি জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নই। ফলে কার বক্তব্য সত্য, এটা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। ভারত বঙ্গোপসাগরে ১০০ টিসিএফ গ্যাস ও দুই বিলিয়ন ব্যারেল তেল আবিষ্কার করেছে। মিয়ানমার করেছে ৭.৭ টিসিএফ গ্যাস। ২০০৬ সালে ভারত সরকার তাদের ২৪টি গভীর সমুদ্র ব্লক টেন্ডার প্রদানের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। এর মধ্যে ব্লক ডি ২৩ (৮৭০৬ বর্গকিলোমিটার) ও ব্লক ডি ২২ (৭৭৯০ বর্গকিলোমিটার) বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ১৯৯১ সালের ২১টি ব্লকের অনেক অংশজুড়ে রয়েছে। এখন নয়া রায়ের ফলে দেখতে হবে, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দাবি কোর্ট কতটুকু গ্রহণ করলেন। ১০. মহীসোপান নিয়েও একটা বিভ্রান্তি আছে। এমনকি 'ধূসর এলাকা' নিয়েও আছে প্রশ্ন। তবে এটা বলতেই হবে এই রায় বাংলাদেশের জন্য বিশাল এক সম্ভাবনা সৃষ্টি করল। বাংলাদেশের সালিসি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তটিও ছিল সঠিক ও যুক্তিসংগত। চূড়ান্ত মুহূর্তে ভারত আলাপ-আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই ১৯৭৪ সাল থেকেই আলোচনা চলে আসছিল। ফলাফল ছিল শূন্য। উল্লেখ্য, সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য বর্তমানে বলবৎ রয়েছে 3rd United Nations Convention on the Law বা Sea (UNCLOS III)। এটি ১৯৮২ সালে গৃহীত এবং ১৯৯৪ সালের নভেম্বর থেকে কার্যকর। ভারত ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন ও মিয়ানমার ১৯৯৬ সালের ২১ মে UNCLOS III অনুমোদন করে। বাংলাদেশ অনুমোদন করে অনেক পরে ২০০১ সালের ২৭ জুলাই। নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে সমুদ্রসীমার দাবির পক্ষে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ ২০১১ সালের জুলাইয়ের পর তথ্য-উপাত্ত জমা দেওয়ার পরই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিলেন। এখন আদালতের এই রায় আমাদের জন্য যেমনি সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করল, ঠিক তেমনি দায়িত্বও বেড়ে গেল। ১. সমুদ্রে প্রচুর সম্পদ রয়েছে। প্রচুর তেল-গ্যাস সম্পদের পাশাপাশি খনিজ ও মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে সমুদ্রে। যেহেতু মিঠাপানির মাছের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আমাদের আমিষের একটা সম্ভাবনা হলো সমুদ্রের মৎস্য সম্পদ। এই সম্পদ আহরণে আমাদের পর্যাপ্ত আধুনিক ট্রলার নেই। ছোট ছোট নৌকা বা ছোট ট্রলারে করে মৎস্য আহরণ করা হয়। কিন্তু এগুলো গভীর সমুদ্রে যেতে পারে না। ফলে আমাদের এলাকা থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ড ও ভারতীয় জেলেরা। বাংলাদেশ সরকারকে এখন উদ্যোগী হয়ে বড় বড় ট্রলার তৈরি ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে সমবায়ের ভিত্তিতে বিতরণ করতে হবে, যাতে এরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেন। ২. দক্ষ জনশক্তি আমাদের নেই। সমুদ্র নিয়ে গবেষণা হয় কম। বাংলাদেশ নেভি তাদের স্বার্থে কিছু গবেষণা করে। কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতা আছে। ঢাকায় ও চট্টগ্রামে দুটি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ আছে। চট্টগ্রামে একটি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব সিদ্ধান্ত ভালো। বরিশাল ও পটুয়াখালী (যা সমুদ্র এলাকায় অবস্থিত) বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে নেভির তথা সমুদ্র অধিদপ্তর থেকে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের এসব বিভাগে নিয়োগ দিতে হবে। ৩. প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে আইন অনুষদ আছে, সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে সমুদ্র আইনসংক্রান্ত একটি বিষয় চালু করতে হবে। দীর্ঘদিন পর মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হলো। কিন্তু কাজ অনেক বাকি। সরকারের একটি বড় উদ্যোগের প্রতি তাকিয়ে থাকবে এখন সবাই। Daily KALER KONTHO 16.07.14

0 comments:

Post a Comment