চলতি সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন ও ইউক্রেনে একটি মালয়েশিয়ান যাত্রীবাহী বিমানকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভূপাতিত করার ঘটনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বড় ধরনের ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এ দুটি ঘটনার মধ্য দিয়ে বৃহৎ শক্তিগুলোর ভূমিকা আবারো উন্মোচিত হলো। নিঃসন্দেহে ইউক্রেনে বিমান ধ্বংস ও ২৯৬ জন যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা একটি বড় ধরনের অপরাধের শামিল। তবে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী যে হত্যাকা- চালিয়েছে, তার অপরাধ কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, ইউক্রেনের ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু গাজায় ছোট ছোট শিশুদের যখন হত্যা করা হয় এবং শিশু ও নারীদের হত্যাকা-ের খবর যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে, তখন জাতিসংঘ থাকে নির্বিকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করে ইউক্রেনের ঘটনার প্রতিবাদ করেছন। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো শক্ত অবস্থান নিতে তিনি তার ইউরোপীয় মিত্রদের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু শিশুদের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে কোনো নির্দেশ দেননি গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে। এখানেই এসে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের দ্বৈত নীতি। গণতন্ত্র তথা মানবাধিকার সংরক্ষণের তথাকথিত উদ্যোক্তা পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থ যেখানে বেশি, সেখানেই তারা সোচ্চার। যেখানে স্বার্থ নেই, সেখানে তারা সোচ্চার নয়। গাজায় যখন মানুষ মরছে এবং গাজা একটি বিধ্বস্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে, সেখানে তাদের বিবেক এতটুকু জাগেনি। বরং রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্যই ইউক্রেন ইস্যুটিকে তারা মুখ্য করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে, যাতে উত্তেজনা বাড়ছে। প্রথমে ক্রিমিয়ার গণভোট ও রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির সিদ্ধান্ত, পরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন জোরদার ও ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পর ঘটল মালয়েশিয়ান বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা। এ ঘটনায় কোন পক্ষ জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটা প্রচারণা চলছে এবং রাশিয়াকে ইতোমধ্যে জি-৮ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ইউক্রেন সঙ্কটকে কেন্দ্র করে জন্ম হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ-২-এর। বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপকভাবে আলোচিত। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ইউরোপে দুই পরাশক্তির মাঝে প্রভাববলয় বিস্তারের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে জন্ম হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের। দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ইউপোপে নিজেদের কর্তৃত্ব ও প্রভাব বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে প্রতিযোগিতার জন্ম দিয়েছিল, একসময় তা ছড়িয়ে গিয়েছিল সারা বিশ্বে। ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ও দেশটি ভেঙে যাওয়ার পরই আবসান ঘটে এ স্নায়ুযুদ্ধের। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোয় রাশিয়ার উত্থান ও বিশ্বরাজনীতিকে প্রভাবিত করার প্রবণতা এবং সর্বশেষ রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ ইউক্রেনের সীমান্তে সেনাবাহিনী পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার যে বৈরিতার জন্ম হয়েছে, তাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা আখ্যায়িত করেছেন স্নায়ুযুদ্ধ-২ হিসেবে। এর আগে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ান সেনা পাঠানোর ঘটনা এ অঞ্চলে বড় ধরনের উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। শুধু ইউক্রেনই নয়, বরং পাশের পোল্যান্ডের নিরাপত্তাও এখন হুমকির সম্মুখীন। এ নিরাপত্তাহীনতা এখন এ দেশগুলোকে এবং সেই সঙ্গে জর্জিয়াকে আরো বেশি মাত্রায় ন্যাটোর ওপর নির্ভরশীল করে তুলবে। এ দেশগুলো, সেই সঙ্গে তার পাশে রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, অন্যপাশে জর্জিয়া, কৃষ্ণ সাগরভুক্ত অঞ্চল। তুরস্ক রয়েছে অন্য পাশে। ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যাবে এ অঞ্চলে ন্যাটোর যে সম্প্রসারণ ঘটেছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ক্রিমিয়ায় সৈন্য পাঠিয়েছিল রাশিয়া। এ অঞ্চলজুড়ে ন্যাটোর যে সম্প্রসারণ ঘটেছে, তা রাশিয়ার নেতারা শুধু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণই করছেন না, বরং এ সম্প্রসারণ যে তাদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ তা তারা একাধিকবার বলেছেন। একসময় পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ওয়ারশ সামরিক জোটের (বিলুপ্ত ১৯৮৮) সদস্য ছিল। এখন এ দেশগুলো (রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, বাল্টিক দেশগুলো, চেক, বুলগেরিয়া) ন্যাটোর সদস্য। ঐতিহাসিকভাবেই ক্রিমিয়ার বন্দর সেভাস্টোপোলে রয়েছে রাশিয়ার নৌবাহিনীর বিশাল উপস্থিতি। কৃষ্ণ সাগর বা বস্নাক সির পশ্চিম পাশে রোমানিয়ার মিহাইল কোগালনাইসেআনুতে রয়েছে ন্যাটোর বিমানঘাঁটি। এ ঘাঁটির গুরুত্ব অনেক। আফগানিস্তানে সেনা ও রসদ সরবরাহের জন্য ট্রানজিট রুট হিসেবে এ বিমানঘাঁটিটি ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়, কৃষ্ণ সাগরের গুরুত্ব আরো একটি কারণে। এখানে অবস্থান রয়েছে ন্যাটোর জয়েন্ট টাস্কফোর্স ইস্টের। কৃষ্ণ সাগরভুক্ত তিনটি দেশ রোমানিয়া, বুলগেরিয়া আর তুরস্ক নিয়ে ন্যাটো গেল বছর তাদের তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছিল। এটা রাশিয়ার ওপর এক ধরনের স্নায়বিক চাপ। ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনেক দিক থেকেই কৃষ্ণ সাগরভুক্ত এলাকা, সেই সঙ্গে কাস্পিয়ান সাগরভুক্ত অঞ্চলকে 'হট এরিয়া', অর্থাৎ উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছেন। সুতরাং ক্রিমিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ রাশিয়ানদের (জনসংখ্যার ৫৯ ভাগ, প্রায় ২০ লাখ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই যে শুধু রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল, তা বিবেচনায় নিলে ঠিক হবে না। রাশিয়ায় 'নয়া জার' নেতৃত্ব রাশিয়ার নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ক্রিমিয়ায় বসবাসকারী রাশিয়ানদের নিরাপত্তার পাশাপাশি তাদের নিজেদের ভূখ-গত নিরাপত্তার বিষয়টি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। পুরো কৃষ্ণ সাগরভুক্ত অঞ্চলে নিজেদের কর্তৃত্ব করার জন্যই ন্যাটোর দরকার জর্জিয়া ও ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া। তাহলে রাশিয়ার সীমান্তে উপস্থিত থাকবে ন্যাটোর সেনাবাহিনী। এটা রাশিয়ার ওপর এক ধরনের মনস্তাত্তি্বক চাপ। রাশিয়ার সমরনায়করা এটা যে মেনে নেবেন না, তা-ই স্বাভাবিক। উল্লেখ্য, গেল বছর কৃষ্ণ সাগরে ন্যাটো ও জর্জিয়ার নৌবাহিনী যৌথভাবে একটি সামরিক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিল, যা রাশিয়া খুব সহজভাবে নেয়নি। ক্রিমিয়ার ঘটনার রেশ ধরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে। কার্যত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তখন আর ইউক্রেন সরকারের কোনো কর্তৃত্ব নেই। এ অঞ্চলে কর্তৃত্ব করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, যারা ক্রিমিয়ার মতোই রাশিয়ার অংশ হতে চায়। আর এ অঞ্চলেই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলো। তবে এ হামলা কারা চালিয়েছে তা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। অভিযুক্তদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারা অবশ্য হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। ইউক্রেন সরকারকেও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। মার্কিনি ভূমিকাও সন্দেহের বাইরে নয়। কেননা ন্যাটোর পূর্বমুখী যে সম্প্রসারণ, তার প্রধান উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরেই চাচ্ছে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দুটো দেশ_ জর্জিয়া ও ইউক্রেন ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য হোক। তাহলে ন্যাটোর তথা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এ দুই দেশে মোতায়েন করা যাবে। ফলে চাপের মুখে রাখা যাবে রাশিয়াকে। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার জ্বালানিসম্পদ, বিশেষ করে গ্যাসের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হবে। তাই পুতিন যে এই মার্কিনি স্ট্রাটেজি বোঝেন না তা ভাবা ছিল ভুল। ২০০৮ সালে রাশিয়া জর্জিয়ার সঙ্গে সীমিত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, রাশিয়ার সীমান্তে ন্যাটোর উপস্থিতি রাশিয়া মেনে নেবে না। এর পরই ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ইউক্রেন সঙ্কটকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পরস্পর 'বাগ্যুদ্ধে' অবতীর্ণ হয়। ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ইউক্রেনকে রাশিয়া তার ইউক্রেন পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়েছে। আর এতে করে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া আর সার্বিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এ তিন দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ সংস্থা গ্যাসপ্রোমের ইউক্রেনের কাছে পাওনা রয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। এ টাকা এখন ইউক্রেন কীভাবে শোধ করবে? এ সঙ্কট এখনো যুদ্ধের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে বাইপাস করে কৃষ্ণ সাগরের নিচ দিয়ে একটি পাইপলাইন তৈরি করছে। সমগ্র ইইউর গ্যাস চাহিদার ৩০ ভাগ একা জোগান দেয় রাশিয়া। আর জার্মানির ৪০ ভাগ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ওই গ্যাস আগামী দিনে অন্যতম একটি ফ্যাক্টর হবে ইউরোপের রাজনীতিতে।
ইউক্রেনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের আগ্রহ এ কারণেই তৈরি হয়েছে। সেখানে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রাশিয়া সমর্থিত নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইয়াকোনোভিচকে উৎখাত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং একজন পশ্চিমা রাজনীতি সমর্থক ধনকুবের সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এ অঞ্চলে মূলত এক ধরনের 'প্রস্ক্রি ওয়ার' চলছে। এ প্রস্ক্রি ওয়ারটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার। অন্যদিকে গাজায় পশ্চিমা স্বার্থ তুলনামূলকভাবে কম। গাজায় তেমন সম্পদ নেই। এখানে যে গণহত্যা চলছে, তাতে পশ্চিমা বিশ্ব নিশ্চুপ। যা প্রতিবাদ হয়েছে, তা শুধু উন্নয়নশীল বিশ্বে। এমনকি আরব বিশ্বেও তেমন বিক্ষোভ হয়নি। বাংলাদেশ সরকার গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলার নিন্দা জানালেও, ভারতে মোদি সরকার ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেনি। নিন্দা প্রস্তাবও নেয়নি মোদি সরকার। তুরস্ক সোচ্চার হয়েছে বটে, কিন্তু ইসলামিক ঐক্য সংস্থা কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। অনেকেই মনে করেন অনেক আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে ইসরাইল সম্পর্ক রক্ষা করে। তুরস্কসহ কিছু কিছু আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে (মিসরসহ) ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি পাকিস্তানও গোপনে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে, যা প্রকাশ্যে স্বীকার করা হয় না।
শিশু ও নারীদের হত্যা করে ইসরাইল আরো একবার তাদের আগ্রাসী চেহারা উন্মোচন করল। এখন ইসরাইলের নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যার জন্য মামলা দায়ের করা যেতে পারে। বসনিয়ার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যদি দ্য হেগের আদালতে বিচার হতে পারে, যদি বুরুন্ডি ও লাইবেরিয়ার যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত হতে পারে, তাহলে আজ গাজায় গণহত্যার জন্য নেতানিয়াহু ও তার সহকর্মীদের বিচার হওয়া উচিত। উদ্যোগ নিতে হবে তথাকথিত গণতন্ত্রী পশ্চিমা বিশ্বকেই। গাজার হত্যাকা- আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ধরনের অন্যায় আর অবিচারের প্রতিবাদ করার। বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা আজ জরুরি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ন্যায়সঙ্গত। আর এ প্রতিবাদটিই করতে হবে উন্নয়নশীল বিশ্বকে। - See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=24-07-2014&type=single&pub_no=904&cat_id=1&menu_id=19&news_type_id=1&index=0#sthash.whVzlPbI.dpuf
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment