রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ভারতে গেরুয়া ঝড়ে দমকা হাওয়া!




 ১০ জুন ২০১৮, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতে গেরুয়া ঝড়ের দমকা হাওয়ায় সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি ও বিজেপি মিত্রদের বিজয়ে ভারতজুড়ে ‘গেরুয়া বিপ্লব’ (অর্থাৎ বিজেপির বিজয়) সম্পন্ন হওয়ার যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল, কর্নাটকের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ে তাতে প্রথম ধাক্কা লাগে। মে মাসের শেষদিকে চারটি লোকসভার উপনির্বাচন ও ১১টি বিধানসভার উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়। তাতে বিজেপি সুবিধা করতে পারেনি। এসব উপনির্বাচনে বিজেপিবিরোধী স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলোর প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিজেপির পরাজয় চিন্তায় ফেলে দিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারকদের। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির জন্য এটা একটা মেসেজ। কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেস দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়েও কোনো সরকার গঠন করেনি। বরং অত্যন্ত কম আসন পাওয়া স্থানীয় দলকে (জনতা-সেক্যুলার) সরকার গঠন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওই নির্বাচনের পর কুমারাস্বামী যখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন সেই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসসহ বিজেপিবিরোধী সব দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে যে সম্ভাবনাটি তৈরি হয়েছে তা হল, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিবিরোধী সব দল কংগ্রেসের নেতৃত্বে একটি জোট গঠন করতে পারে! এবং সত্যিই যদি এমন একটি জোট গঠিত হয়, তাহলে তা বিজেপি জোটের উদ্দেশে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।
গেল মাসে যেসব উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে দেখা যায় চারটি লোকসভার উপনির্বাচনে শুধু মহারাষ্ট্রে বিজেপি তার আসনটি ধরে রাখতে পেরেছে। বাকি তিনটির মধ্যে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছে আরএলডি, মহারাষ্ট্রের অপর একটি বিজেপি আসন পেয়েছে এনসিপি, আর নাগাল্যান্ডে আঞ্চলিক দল এনডিপিপি তাদের নিজের আসন ধরে রাখতে পেরেছে। অন্যদিকে বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি মাত্র একটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। উত্তর প্রদেশে এসপি, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, বিহারে আরজেডি, কেরালায় সিপিএম, ঝাড়খণ্ডের ২টি আসনে জেএমএম, মেঘালয়ে কংগ্রেস, পশ্চিবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও কর্নাটকে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছে। লক্ষ করার বিষয়, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজয়ী হওয়ার পর গত মে পর্যন্ত (২০১৮) ২৭টি লোকসভার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে ২৭১ আসনের বাইরে (২০১৪ সালের রেজাল্ট) একটি আসনও বাড়াতে পারেনি বিজেপি। এতেই বোঝা যায় ২০১৪ সালে যে ‘মোদি ম্যাজিক’ সারা ভারতে কাজ করেছিল, তা এখন আর কাজ করছে না। ২০১৭ সালে উপনির্বাচন হয়েছিল চারটি আসনে। সেখানে পাঞ্জাবে বিজেপির আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৬ সালের পাঁচটি উপনির্বাচনে দলীয় আসনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২০১৫ সালে মধ্যপ্রদেশের একটি আসন ছিল বিজেপির, তা এখন কংগ্রেসের দখলে। আর ২০১৪ সালের উপনির্বাচনে দলীয় আসনের কোনো পরিবর্তন হয়নি (The Wire, 01 June 2018).
এটা সত্য, ‘গেরুয়া বিপ্লবের’ প্রভাব ভারতের সর্বত্র রয়ে গেছে। একসময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ‘সাতবোন’ রাজ্যগুলোতে বিজেপির কোনো অবস্থান ছিল না। এখন সেখানে প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বিজেপি তথা বিজেপি সমর্থকরা সরকার গঠন করেছে। ভারতে ২৯টি রাজ্য ও ৭টি ‘ইউনিয়ন টেরিটরি’। ১৬টি রাজ্যে বিজেপি এখন ক্ষমতায়। এ রাজ্যগুলো হচ্ছে অরুনাচল, আসাম, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মনিপুর, রাজস্থান, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরখণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেস আছে পশ্চিমবঙ্গে, তেলেংগানা রাষ্ট্র সমিতি আছে তেলেংগানায়, এআইএডিএমকে আছে তামিলনাড়ুতে, পাঞ্জাবে আছে কংগ্রেস, পণ্ডিচেরিতে কংগ্রেস, উড়িষ্যায় বিজু জনতা দল, নাগাল্যান্ডে এনডিপি, মিজোয়ামে কংগ্রেস, মেঘালয়ে এনপিপি, কেরালায় সিপিআই (এম), কর্নাটকে জনতা দল (এস), দিল্লিতে আম আদমি পার্টি, বিহারে জনতা দল (ইউনাইটেড), অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগুদেশাম পার্টি। সুতরাং বোঝাই যায় আঞ্চলিক পর্যায়ে বিজেপির অবস্থান ভালো। কংগ্রেস আর আগের অবস্থানে নেই। আঞ্চলিক দলগুলো স্থানীয় পর্যায়ে কোথাও কোথাও যথেষ্ট শক্তিশালী। সুতরাং বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে কংগ্রেসের এসব আঞ্চলিক দলের সঙ্গে ‘ঐক্য’ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এখন কংগ্রেস ‘কর্নাটক মডেল’ নিয়ে এগিয়ে যাবে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করা অত সহজ হবে না।
১৬তম লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। ওই নির্বাচনে ৫৪৫ আসনবিশিষ্ট লোকসভার আসন সংখ্যা এরকম : বিজেপি ২৭১ আসন, কংগ্রেস ৪৮, এ আইএডিএমকে ৩৭, তৃণমূল কংগ্রেস ৩৪, বিজু জনতা দল ২০, শিবসেনা ১৮, তেলেগুদেশাম ১৬, তেলেংগানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ১১, সিপিআই(এম) ৯, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ৯, সমাজবাদী দল ৭, লোক জনশক্তি দল ৬, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস ৬, আম আমদি ৪, আকালি দল ৪, ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ৩, নির্দলীয় ৩, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ৩, লোক সমতা পার্টি ৩, আপনা দল ২, ন্যাশনাল লোক দল ২, মুসলিম লীগ ২, জনতা দল (ইউনাইটেড) ২, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ২, মসজিলস-ই-মুসলেমিন ১, এনআর কংগ্রেস ১, সিপিআই ১, ন্যাশনাল কনফারেন্স ১, কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি ১, জনতা দল (এস) ১, কেরালা কংগ্রেস ১, এনপিপি ১, পিএমকে ১, আরএসপি ১, এসডিএফ ১, এসডব্লিউপি ১, লোকতান্ত্রিক দল ১। লোকসভায় বিজেপির নেতৃত্বে রয়েছে ন্যাশনাল ডোমেক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে রয়েছে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ)। একসময় এনডিএ জোটে ২৭ দল ছিল, আর ইউপিএ জোটে ছিল ১১ দল। অনেকেই জোট বদল করেছে। যেমন তৃণমূল কংগ্রেস ও এআইএডিএমকে, যারা এনডিএ জোটে ছিল। এখন এরা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। সুতরাং এটা বলা এ মুহূর্তে সম্ভব নয় ২০১৯ সালে কোন দলের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। তৃতীয় কোনো জোটও গড়ে ওঠেনি।
বলতে দ্বিধা নেই, নরেন্দ্র মোদির একটা ব্যক্তি ইমেজ আছে। জনপ্রিয়তাও কম নয়। তার ব্যক্তি ইমেজ ২০১৯ সালের নির্বাচনে কাজে দেবে। বিজেপিকে হারানো সত্যিকার অর্থেই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। অনেক কিছুই নির্ভর করবে তিনি কী স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন তার ওপর। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি জরিপ চালিয়েছে। গত ২৩ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত প্রভাবশালী মিডিয়া গোষ্ঠী টাইমস গ্রুপের নয়টি গণমাধ্যমে একযোগে অনলাইন জরিপ চালানো হয়। নয় ভাষায় চালনো এ জরিপে অংশ নেয় ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৬ জন। জরিপে মোদির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়। তাতে ৪৭ দশমিক ৪৭ ভাগ মানুষ বলেছেন, তার কর্মকাণ্ড খুবই ভালো। ২০ দশমিক ৫৫ ভাগ বলেছেন, খারাপ। ৭৩.৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার আবারও ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগও আছে অনেক। বামপন্থী একটি পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে, সাধারণ মানুষের করের টাকায় ৪ বছরে মোদি সরকারের বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ হয়েছে ৪৩৪৩.২৬ কোটি রুপি। এই বিপুল অর্থে ১০ লাখ শিশুর ৩ বছরের খাদ্যের জোগান হতো (Left Front Daily)। গত মাসে মোদি সরকার তার ৪ বছরের মেয়াদ শেষ করেছে। বাকি আছে এক বছর। বলা হচ্ছে, এই ৪ বছরে সরকার বড় বড় কর্পোরেট হাউসগুলোকে ২.৭২ লাখ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য, কৃষকদের জন্য কোনো ভালো কর্মসূচি নিতে পারেনি। পেট্রলের দাম কমানো হয়নি (Truth of India)| বড় নোট বাতিল করা হয় এবং তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। কৃষকের আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে (ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে), যা মোদি সরকার কমাতে পারেনি। উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতি মুসলমানদের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, যা সরকার কমাতে পারেনি। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা বারবার ঘটেছে। সরকার বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।
মোদির জনপ্রিয়তা নিয়ে এক বছর আগে পরিচালিত ওই জরিপ সম্পর্কে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। তবে এটা সত্য, গেল বছর কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রাহুল গান্ধীও কোনো ‘ম্যাজিক’ দেখাতে পারেননি। দায়িত্ব নেয়ার পর অনেক বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে; কিন্তু তাতে কংগ্রেস তেমন সুবিধা করতে পারেনি। কর্নাটকে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠন করতে পারেনি। আঞ্চলিক দলগুলো ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ফলে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ দলগুলো একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।
তবে ব্যক্তিগতভাবে মোদি বহির্বিশ্বে তার ইমেজ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। গত ৪ বছরে তিনি বহুবার বিদেশ সফর করেছেন, অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী এভাবে বিদেশ সফর করেননি। কৈশোরের সাধারণ একজন চা বিক্রেতা নরেন্দ্র মোদি (যা তিনি নিজে স্বীকার করেছেন) ওবামাকে দিল্লিতে সংবর্ধনা দেয়ার সময় ১০ লাখ টাকা দামের স্যুট গায়ে চড়িয়েছিলেন। তার সরকার যখন দিল্লিতে সরকারের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান করছিল, তখন মোদি ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর সফরে ছিলেন। ইন্দোনেশিয়ায় তার বিখ্যাত ‘মোদি কুর্তার’ পরিবর্তে গায়ে চাপিয়েছিলেন বহু রঙে সজ্জিত ইন্দোনেশিয়ান হাওয়াই শার্ট। এটা নিয়ে জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার মন্তব্য করতেও দ্বিধা করেনি। মোদি ক্রমেই স্টাইলিশ হয়ে উঠছেন, যা ভারতের সাধারণ মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
বিজেপি নেতারা এখন উপনির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে ব্যস্ত। বিজেপির শীর্ষ নেতা শাহনওয়াজ হুসেনের ভাষায়, ‘গত ৪ বছরে নেতাকর্মীদের একটা অংশের মধ্যে আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে উপনির্বাচনের এ ফলাফল তাই শাপে বর হল।’ মিথ্যা বলেননি শাহনওয়াজ হুসেন। একধরনের আত্মতুষ্টি তো এসে গিয়েছিলই, দুর্নীতিও একটা ফ্যাক্টর। দলীয় সভাপতি অমিত শাহের ছেলের দুর্নীতি এখন মুখে মুখে। এরও কোনো বিচার হয়নি। মোদির একটা বড় ব্যর্থতা তিনি ভারতের বহুত্ববাদী ভাবাদর্শকে সমুন্নত রাখতে পারেননি। অর্থাৎ হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান-শিখ- ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের সহাবস্থানে যে ভারতের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, তা তিনি ধরে রাখতে পারেননি। হিন্দুত্ববাদ আজ শুধু মুসলমানদেরই নয়, খ্রিস্টানদেরও ‘হুমকির’ মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাই দিল্লির আর্চবিশপ অনিল জোসেফ টমাস কুয়োটা যখন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে পরিবর্তনের জন্য প্রার্থনা করতে বলেন, তখন আমি অবাক হই না। এমনকি সরকারের পরিবর্তন কামনায় প্রার্থনা ও উপোস করতে অনুরোধ করে তিনি একটি ভক্তিমূলক চিঠি পাঠিয়েছেন তার সহকর্মী পুরহিতদের কাছে। তিনি মনে করেন, ভারত এমন একটি বিপজ্জনক রাজনৈতিক ভবিষ্যতের মুখে পড়েছে, যা দেশটির গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য হুমকিস্বরূপ (সূত্র : কূলদীপ নায়ারের নিবন্ধ)।
সুতরাং ভারতের আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকলই। কর্নাটক নির্বাচনের পর জোট গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ভোটের ফলাফল একটা সংকেত। এটা বিজেপির জন্য অশনিসংকতে।’ তার ব্যাখ্যা ‘উত্তর প্রদেশই দেশকে পথ দেখাচ্ছে। মায়াবতী, অখিলেশ, কংগ্রেস এক জোট হয়ে যা করছেন, তাকে আগামী ভোটে ৭০টি আসনের (উত্তর প্রদেশ) ফলাফল উল্টো হয়ে যাবে’ (আনন্দবাজার)। এখন দেখার পালা মমতা ব্যানার্জির এই ভবিষ্যদ্বাণী আদৌ ফলবে কিনা।
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র
Daily Jugantor
10.06.2018

0 comments:

Post a Comment