ইরানের এলিট ফোর্স ‘কুদ্স’-এর শীর্ষ কমান্ডার মেজর জেনারেল সুলেইমানিকে হত্যার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি তৃতীয় উপসাগরীয় যুদ্ধ সূচনা করতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নটি এখন বহুল আলোচিত। একদিকে ট্রাম্প সিনেটে তার ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রক্রিয়া থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে সুলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে থাকতে পারেন বলে অনেকে অনুমান করেন। অন্যদিকে মার্চে ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচনে লিকুদ পার্টির নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সুলেইমানি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিকে ইস্যু করে নির্বাচনে বিজয়ী হতে চাইবেন এ রকম একটি সম্ভাবনার কথাও বলছেন অনেকে। সুলেইমানি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই দুটি বিষয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
কেননা, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বিশেষ করে ২০১৪ সালে সিরিয়ায় আইএসের উত্থানের পর থেকেই ইরানের ভূমিকা বারবার আলোচিত হয়ে আসছিল। ‘আরব বসন্ত’ (২০১১) আরব বিশে^র দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসকদের উৎখাত করলেও একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন বাশার আল আসাদ। ‘আরব বসন্ত’-এর নামে সারা আরব বিশ্বে যে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তাতে একে একে উৎখাত হয়েছিলেন বেন আলি (তিউনেসিয়া), হোসনি মোবারক (মিসর) কিংবা আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)। এই গণ-অভ্যুত্থান সিরিয়ায় সম্প্রসারিত হলেও, সেখানে বাশার আল আসাদকে উৎখাত করা সম্ভব হচ্ছিল না। এমনই এক পরিস্থিতিতে জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক টেস্ট অ্যান্ড লেভেন্ট’ (পরে শুধু ইসলামিক টেস্ট)-এর উত্থান ঘটে ২০১৪ সালে।
তিনি ইরাক ও লেবাননে শিয়া গ্রুপগুলোকে সংঘবদ্ধ করেন। বলা হয়, আইএসবিরোধী অভিযোগে অংশ নেওয়ার জন্য ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনী সিরিয়ার অভ্যন্তরে একাধিক সেনা ক্যাম্প পর্যন্ত স্থাপন করেছিল। সেই থেকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীর টার্গেট ছিল সুলেইমানি। রেভ্যুলুশনারি গার্ডকে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্বার্থের জন্য হুমকি বলে মনে করত। তাই সুলেইমানিকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
আইএসের উত্থান ও সিরিয়া ও ইরানের একটি এলাকা নিয়ে তথাকথিত ‘জিহাদি রাষ্ট্র’ (রাকাকেন্দ্রিক) প্রতিষ্ঠা করা বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও, বাস্তবতা হচ্ছে আইএসের উত্থানই পরোক্ষভাবে বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে সাহায্য করেছিল। কেননা, আইএস যখন বাশার আল আসাদকে উৎখাতের জন্য একটি জঙ্গি বাহিনী গড়ে তোলে এবং বাশার বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তখন বাশারের পাশে এসে দাঁড়ায় রাশিয়া ও ইরান। আইএসের উত্থানকে কেন্দ্র করেই রাশিয়া, ইরান, সিরিয়া ঐক্য গড়ে ওঠে। ওই সময় আইএসবিরোধী স্ট্র্যাটেজি রচনায় সুলেইমানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মজার ব্যাপার ২০১৪ সালে আইএসের উত্থান ও ২০১৫ সালে আইএস স্থাপনায় মার্কিন বোমারু বিমানগুলো বোমাবষর্ণ শুরু করলে, একপর্যায়ে আইএস সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। এ সময় আলাদা আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আইএসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। একপর্যায়ে সিরিয়া ও ইরাক থেকে আইএস উৎখাত হয়। আইএসের জঙ্গিরা সিরিয়া ও ইরাক থেকে উৎখাত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত। ২০১৯ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডো বাহিনীর হাতে আইএসের তথাকথিত নেতা তথা ‘খলিফা’ আবু বকর বাগদাদির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইসরায়েল আইএসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি। ইসরায়েলি বোমারু বিমানগুলো সিরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইরানি স্থাপনার ওপর হামলা চালিয়েছিল। ওই বিমান হামলায় ইসরায়েলের একটি এফ-১৬ বিমান ধ্বংস করেছিল ইরানি গার্ড বাহিনীর সদস্যরা। এর আগেই ইরানি ড্রোন বিমান ইসরায়েলি এলাকায় প্রবেশ করেছিল। এর প্রতিক্রিয়াতেই ইসরায়েলি বিমান আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইরানি স্থাপনায়। সিরিয়ায় বাশারকে রক্ষা করার জন্য ইরান যে পরিকল্পনা করেছিল, তার অংশ হিসেবেই সিরিয়ার অভ্যন্তরে একাধিক সেনা ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেছিল ইরান। ইসরায়েল ইরানি স্থাপনায় বিমান হামলা চালালেও, ২০১৪ সালে আইএসের কোনো স্থাপনায় কোনো বোমা হামলা চালায়নি। এ কারণেই এই অভিযোগটি ওঠে, আইএস মূলত ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাগদাদি নিজে মোসাদের এজেন্ট ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ইসরায়েলের একটি বড় স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। সুলেইমানিকে হত্যার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এখন সেই স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এ জন্য পারস্য অঞ্চলে আরেকটি যুদ্ধ দরকার। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী সর্বাত্মক একটি যুদ্ধের অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরের দিয়াগো গার্সিয়ায় তাদের যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেখানে ছয়টি বি-৫২ দীর্ঘ পাল্লার বোমারু বিমান পাঠিয়েছে। যুদ্ধের প্রাথমিক অংশ হিসেবে এই বিমানগুলো সেখানে মোতায়েন করা হবে। এর আগে সেখানে চার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়। পাঠকদের জানিয়ে রাখি, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। যেমন আবু গারাইব, কাদিমিয়া, সাইকেস, ক্যাপ তাজি, বালাদ এয়ার বেস, ভিক্টরি বেস কসপ্লেকস (সবগুলো ইরাকে)। বাহরাইনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ৫ম ফ্লিটের সদর দপ্তর। এ ছাড়া সৌদি আরবে রয়েছে একাধিক ঘাঁটি। এসব ঘাঁটি সম্ভাব্য ইরান আক্রমণে ব্যবহৃত হবে।
সুলেইমানি হত্যার পর এখন কী হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে? আরেকটি সর্বাত্মক যুদ্ধ কি আমরা প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছি? বাস্তবতা হচ্ছে, সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা সেখানে ক্ষীণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন ৫২টি ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা কিংবা ইরান, তেল আবিবসহ ৩৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুমকি দিলেও বাস্তবে যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ভালো করেই জানে যুদ্ধের পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। তবে কয়েকটি সম্ভাবনার কথা বলা যায়। একটা সর্বাত্মক যুদ্ধ সেখানে হবে না। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ভেতরে ‘যুদ্ধ’ সম্প্রসারিত করার হুমকি দিলেও, পঞ্চমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে জড়াবে, তা মনে হয় না। ১৯৯০ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে ‘প্রথম যুদ্ধ’-এর সূচনা করে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই যুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল ১৯৯০-এর আগস্ট থেকে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কুয়েতকে ‘ইরাকমুক্ত’ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি বহুজাতিক বাহিনী। ‘দ্বিতীয় যুদ্ধে’ও যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে গিয়েছিল ওই ইরাকেই। ইরাকের কাছে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র রয়েছে (ডগউ) এই অভিযোগ তুলে ২০০৩ সালে ‘দ্বিতীয় যুদ্ধ’ শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ যুদ্ধ শুরু করে ২৩ দিনের মধ্যে দেশটি দখল করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সরকারিভাবে সেই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল ২০০৩ সালের ১ মে আর মার্কিন সেনাবাহিনী সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ২০১১ সালে। তৃতীয় যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে লিবিয়া আক্রমণের মধ্য দিয়ে। ওই ‘যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী লিবিয়ায় প্রবেশ করেনি বটে, কিন্তু‘ অব্যাহত বিমান আক্রমণের মুখে গাদ্দাফির পতন হয়েছিল। ২০১১ সালর মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, দীর্ঘ সাত মাসের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটোর বিমানবাহিনী লিবিয়ায় বোমা হামলা চালিয়ে গাদ্দাফিকে উৎখাত করে। ওই ঘটনার দীর্ঘ আট বছর পার হয়েছে। কিন্তু লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। লিবিয়া একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ যুদ্ধ শুরু করেছিল ২০১৪ সালে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বোমা হামলার মধ্য দিয়ে। পরে ২০১৫ সালে রাশিয়াও সিরিয়ায় বাশার সরকারের সাহায্যে আইএসের বিরুদ্ধে বোমা হামলা শুরু করে। আলাদা আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আইএস ঘাঁটিতে বোমা হামলা চালালে একপর্যায়ে সিরিয়া ও ইরাকে গড়ে ওঠা আইএসের তথাকথিত ‘জিহাদি রাষ্ট্র’-এর পতন ঘটে। কিন্তু সরকারিভাবে সিরিয়ায় ‘যুদ্ধ’ বন্ধের ঘোষণা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া যুদ্ধ অব্যাহত রেখেই ট্রাম্প প্রশাসন আরেকটি যুদ্ধের সূচনা করবে বলে মনে হয় না।
এই ‘যুদ্ধ’ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে একটি বড় ঝুঁকির মাঝে ঠেলে দেবে। একটা তথ্য দিই। ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঈষবধৎরহম ঐড়ঁংব নামে একটি গণমাধ্যম গত ৬ জানুয়ারি (২০২০) আমাদের জানাচ্ছে, ২০০১ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র যে ‘যুদ্ধ’ শুরু করেছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে, তাতে প্রতি ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হচ্ছে এক মিলিয়ন ডলার। আর এখন অবধি যুদ্ধের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছে ৪ দশমিক ৯৮ ট্রিলিয়ন ডলার (এক হাজার বিলিয়নে এক ট্রিলিয়ন)। আর মৃত্যুর সংখ্যা? সংবাদমাধ্যমটি আমাদের জানাচ্ছে, এখন অবধি ১৪৫৫৫৯০ ইরাকিকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু ৪৮০১ জন মার্কিনিও (ও ৩৪৮৭ জন অন্যান্য দেশের সেনা) এই ‘যুদ্ধে’ প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে ইরানে যদি আরেকটি ফ্রন্ট ‘ওপেন’ হয়, তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সহজেই অনুমেয়। ইরান কিন্তু ইরাক কিংবা লিবিয়া নয়। এই ‘যুদ্ধ’ আর ইরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। খোদ সৌদি আরবসহ পারস্যের গালফভুক্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড এক ধরনের গেরিলাযুদ্ধ শুরু করতে পারে। সৌদি তেল স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে ইরান। পারস্য অঞ্চল থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ (বিশ্বে যে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়, তার ২৫ ভাগ) বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। আমাদের মতো দেশও এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে যুদ্ধের মতো ঝুঁকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নেবেন না।
তবে এটা বলাই যায়, পেন্টাগনের কট্টরপন্থিরা ইসরায়েলি লবি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী লবি মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ চায়। যুদ্ধ হলেই অস্ত্রের চাহিদা বাড়বে। আর তাতে লাভবান হবে অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। উপমহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে। গত ৭ জানুয়ারি রাতে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ১২টি রকেট হামলা চালিয়েছিল ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিই তখন বলেছিলেন, সুলেইমানি হত্যাকাণ্ডের এটা প্রতিশোধ। ধারণা করা হয়েছিল, এরপর যুক্তরাষ্ট্রও ইরানে হামলা চালাবে। কিন্তু তা হয়নি। ট্রাম্প এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, তিনি যুদ্ধ নয়, শান্তি চান। কিন্তু এটা তার মনের কথা কি না সে ব্যাপারে অনেকেই সন্দিহান। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, তার কথা ও কাজের মধ্যে কোনো মিল নেই। তিনি ইরান আক্রমণের নির্দেশ দেননি বটে। কিন্তু এটাই তার শেষ কথা নয়। উপমহাসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতির দিকে দৃষ্টি থাকবে তাই অনেকের।
Desh Rupantor
12.1.2020
0 comments:
Post a Comment