মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি শেষ পর্যন্ত অভিশংসিত হতে যাচ্ছেন? সিনেটে এই অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে ২১ জানুয়ারি। ইতিমধ্যে তিনি প্রতিনিধি সভায় অভিশংসিত হয়েছেন। ১৫ জানুয়ারি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সাত সদস্যের একটি দল ঘোষণা করেছে, যারা অভিশংসনের প্রক্রিয়া দেখভাল করবেন। দুটি অভিযোগে প্রতিনিধি পরিষদে তিনি অভিশংসিত হয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র ন্যান্সি পেলোসি ইতিমধ্যে সিনেটে পৌঁছে দিয়েছেন। এ দুটো বিষয়ের ওপর আলাদা আলাদাভাবে সিনেটে ভোটাভুটি হবে। এখানে, অর্থাৎ সিনেটে যখন ট্রাম্পের বিচার হবে তখন সিনেটররা সবাই বিচারক হিসেবে গণ্য হবেন। এজন্য তাদের আলাদাভাবে বিচারক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। জন রবার্টসই সিনেটে অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়ায় সভাপতিত্ব করবেন। সিনেটে এ অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে এমন একটি সময়, যখন তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা না দিয়ে বিশ্বে উত্তেজনা কিছুটা হলেও হ্রাস করেছেন। একইসঙ্গে চীনের সঙ্গে একটি ‘চুক্তি’ করে দেশটির সঙ্গে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু করার সম্ভাবনাও তিনি কিছুটা কমিয়ে আনতে পেরেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিশংসিত হয়েছেন, নিম্নকক্ষের এ সিদ্ধান্ত কি এখন উচ্চকক্ষ সিনেটেও অনুমোদিত হবে? উভয় কক্ষ যদি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে, একমাত্র তখনই তাকে তার পদ থেকে অপসারণ করা যাবে। কিন্তু সেটি আদৌ সম্ভব হবে কিনা, তা একটি বড় প্রশ্ন এখন। প্রতিনিধি পরিষদে তাকে দুই অভিযোগে অভিযুক্ত করে অভিশংসিত করা হয়েছে। প্রথম অভিযোগটি ছিল ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দ্বিতীয়টি বিচার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি। ভোটাভুটিতে দেখা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রশ্নে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ২৩০ জন সদস্য, আর পক্ষে ছিলেন ১৯৭ জন। অন্যদিকে কংগ্রেসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ২২৯ জন সদস্য, আর পক্ষে ১৯৮ জন। ৪৩৫ জন সদস্য নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদ গঠিত। এর মধ্যে ডেমোক্রেট দলীয় সদস্য সংখ্যা ২৩৩, আর রিপাবলিকান দলীয় সদস্য রয়েছেন ১৯৭ জন। একজন রয়েছেন নিরপেক্ষ, আর চারটি আসন খালি রয়েছে। অন্যদিকে সিনেট সদস্য হচ্ছেন ১০০ জন। এর মধ্যে রিপাবলিকানদের সংখ্যা ৫৩, আর ডেমোক্রেটদের ৪৭। এর অর্থ হচ্ছে প্রতিনিধি পরিষদে যে ভোটাভুটি হয়েছে, তা হয়েছে অনেকটা পার্টি লাইনে। অর্থাৎ রিপাবলিকানরা চাইছেন ট্রাম্প অপসারিত না হন। আর সে কারণে তাদের অবস্থান ছিল ট্রাম্পের পক্ষে। আর ডেমোক্রেটরা যেহেতু ট্রাম্পের অভিশংসন চাচ্ছেন, সেহেতু তারা অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে মার্কিন রাজনীতি, বিশেষ করে ট্রাম্পের অভিশংসনকে কেন্দ্র করে যে রাজনীতি, তাতে বিভক্ত হয়ে গেছে মার্কিন কংগ্রেস। সিনেটের ভোটাভুটিতেও এর প্রতিফলন ঘটবে। অর্থাৎ রিপাবলিকানরা চাইবেন না ট্রাম্প অপসারিত হন। ফলে তারা অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন না। সুতরাং প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্প অভিশংসিত হলেও সিনেটে অভিশংসিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ২১ জানুয়ারি সিনেটে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। ততদিন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
সংবিধানে উভয় কক্ষকে অধিকার দেয়া হয়েছে একজন প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার। যেমন আর্টিকেল ১, সেকশন ২, ক্লজ ৫-এ বলা আছে, 'The House of Representatives ... shell have the sole power of Impeachment'. আবার আর্টিকেল ১, সেকশন ৩, ক্লজ ৬ ও ৭-এ বলা আছে, 'The Senate shall have the sole power to try all Impeachments'. এখানে পার্থক্য হল, যখন সিনেটে অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হবে, তখন প্রধান বিচারপতি সিনেটে সভাপতিত্ব করবেন। সংবিধানের আর্টিকেল ২, সেকশন ৪-এ উল্লেখ আছে, একজন প্রেসিডেন্ট যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা বিশ্বাসঘাতকতার মতো কাজ করেন, যদি ঘুষ গ্রহণ করেন, যদি ঘোরতর কোনো অপরাধ, সংবিধান লঙ্ঘন কিংবা বিধিবহির্ভূত কাজ করে থাকেন, তাহলে তাকে ‘ইমপিচ’ বা অভিশংসন করা যাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্পের অনেক কর্মকাণ্ড তাকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। তার বিরুদ্ধে যখন নানা অভিযোগ আসতে থাকে এবং কংগ্রেস যখন এর অনুসন্ধান করতে শুরু করে, তখন ট্রাম্প তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান। সাক্ষ্য দিতে তার স্টাফদের বাধা দেন। তথ্য-প্রমাণ ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন বা দেন। এটা তার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ, যে অভিযোগে প্রতিনিধি পরিষদ তাকে অভিশংসিত করেছে। দ্বিতীয় অভিযোগটি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের একটি গ্যাস কোম্পানির দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে চাপ দেয়ার। মার্কিন মিডিয়ায় গত কয়েক মাস ধরে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এ দুটি অভিযোগের পেছনে সত্যতা পাওয়া গেছে। ইউক্রেনে যিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তিনিও স্বীকার করেছেন ট্রাম্প ‘বাইডেন ইস্যুতে’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ওপর প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করেছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যমতে জো বাইডেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন (২০০৯-২০১৭), তখন তার ছেলে হান্টার বাইডেন ইউক্রেনের গ্যাস কোম্পানি বুরিসমা হোল্ডিংসে মাসিক ৫০ হাজার ডলারে কর্মরত ছিলেন। এ কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন মিকোলা জ্লোচেভ্স্কি ২০০২ সালে। জ্লোচেভ্স্কি ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু ইয়ানুকোভিচের পতনের পর তার সঙ্গে জ্লোচেভ্স্কিও দেশত্যাগ করেন। অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগে জ্লোচেভ্স্কির বিরুদ্ধে ইউক্রেনে তদন্ত চলছে। হান্টার বাইডেন ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন যখন রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয় (২০১৪)। অভিযোগ উঠেছে, হান্টার বাইডেনকে বুরিসমা রিক্রুট করেছিল, যাতে করে ওই সময়ের মার্কিন প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটানো যায়। ট্রাম্প নিজে স্বীকার করেছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করে হান্টার বাইডেন এবং তার বাবা জো বাইডেনের ব্যাপারে তদন্ত করার অনুরোধ করেছিলেন। ফলে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। একজন প্রতিযোগী, যিনি ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তার বিরুদ্ধে অন্য একটি রাষ্ট্রের প্রধানকে তদন্ত করতে অনুরোধ করা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, অনৈতিকও বটে।
একজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের অভিযোগ ওঠা কিংবা এক কক্ষে তাকে অভিশংসিত করা কোনো ভালো খবর নয়। সিনেটে তাকে যদি অভিশংসন নাও করা হয়, তারপরও এটি তার নৈতিক পরাজয়। এ ‘পরাজয়’ নিয়ে ট্রাম্প কতদূর যেতে পারবেন, এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন। কেননা ট্রাম্পকে যারা চেনেন ও জানেন, তারা দেখেছেন তিনি কখনও এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে নেন না। তিনি যা ভালো বোঝেন, তাই করেন। তার বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হলে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। এটাকে তিনি বলেছিলেন ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’। তাকে প্রতিনিধি পরিষদে ‘ইমপিচ’ করার প্রক্রিয়াকে তিনি ‘অভ্যুত্থানের একটি উদ্যোগ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তিনি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন। তিনি পুরো প্রক্রিয়াটিকে ভুয়া বলে দাবি করেছেন। তিনি পেলোসির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন এই বলে যে, পেলোসি প্রতিনিধি পরিষদকে সম্মানজনক আইনসভা থেকে ‘দলীয় নিযার্তনের পক্ষপাতদুষ্ট চেম্বারে’ পরিণত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষায় ‘এই অভিশংসন প্রক্রিয়া অবৈধ, দলীয় আনুগত্য থেকে করা অভ্যুত্থানের উদ্যোগ, যেটি ভোটে চরমভাবে ব্যর্থ হবে।’ তিনি অভিশংসনের এ প্রক্রিয়াকে অষ্টাদশ শতকে ম্যাসাচুসেটসের সালেম শহরে গণহিস্টিরিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ওই সময় বহু মানুষকে ডাইনি অপবাদে শাস্তি দেয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প এই অভিশংসন প্রক্রিয়াকে ‘ভুয়া’ বললেও মার্কিন গণমাধ্যমে এর প্রশংসা করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষে ইন্টেলিজেন্স কমিটি যে ‘ইমপিচমেন্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে, তাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মারাত্মক কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি জাতীয় নিরাপত্তার তোয়াক্কা করেননি এবং সংসদের কার্যকলাপে বাধা দিতে অভূতপূর্ব অভিযান চালিয়েছেন। বলা ভালো, দেশটির ইতিহাসে ট্রাম্প হচ্ছেন তৃতীয় প্রেসিডেন্ট, যার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনল কংগ্রেস, অর্থাৎ পার্লামেন্ট। একমাত্র কংগ্রেসই কোনো প্রেসিডেন্টকে ‘ইমপিচ’ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন এন্ড্রু জনসন (ডেমোক্রেট, ১৮৬৫-১৮৬৯)। তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৮৬৮ সালে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনি প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছিলেন; কিন্তু সিনেটে এক ভোটের অভাবে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়নি। রিচার্ড নিক্সন ছিলেন রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট (১৯৬৯-১৯৭৪)। নিক্সনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৯৭২ সালে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির কারণে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদর দফতরে গুপ্তচর যন্ত্র দিয়ে নজরদারি করেছিল নিক্সন শিবির। তদন্তে বেরিয়ে আসে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে বিরোধী দলের কর্মকাণ্ড নজরদারি করতে আড়িপাতা যন্ত্র বসিয়েছিল রিপাবলিকান শিবির তথা নিক্সনের সহকারীরা। নিক্সন প্রায় দু’বছর ওই ঘটনা চাপা দিয়ে রাখতে পারলেও শেষ পর্যন্ত আর পারেননি। ১৯৭৪ সালে তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করে কংগ্রেসের হাউস জুডিশিয়ারি কমিটি। চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। ধারণা করা হয়, তিনি পদত্যাগ না করলে অভিশংসিত হতেন। অভিশংসনের ইতিহাসে এর পরের নাম বিল ক্লিনটন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম প্রেসিডেন্ট (ডেমোক্রেট, ১৯৯৩-২০০১)। ১৯৯৮ সালে হোয়াইট হাউস ইন্টার্ন মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তিনি তদন্ত কাজে বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রতিনিধি পরিষদের ভোটাভুটিতে অভিশংসিত হন ক্লিনটন। কিন্তু সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পার পেয়ে যান তিনি। এ কারণে তিনি পদত্যাগও করেননি। আজকে ট্রাম্পের অবস্থা অনেকটা সেরকম। প্রতিনিধি পরিষদে তিনি অভিশংসিত হয়েছেন; কিন্তু সিনেটে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সেখানে তিনি পার পেয়ে যেতে পারেন।
পরিস্থিতি যেদিকেই যাক না কেন, অনেকেই মনে করেন, ট্রাম্পের ‘নৈতিক পরাজয়’ হয়েছে। তিনি নিজের মতো করে ক্ষমতা পরিচালনা করেন। অনেক ক্ষেত্রেই তিনি আইনের তোয়াক্কা করেন না। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ও বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এখন যুক্ত হল অভিশংসন প্রক্রিয়া। এ অভিশংসন প্রক্রিয়া তার জন্য কোনো সম্মান বয়ে আনবে না।
Jugantor
18.1.2020
0 comments:
Post a Comment