রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

গ্রিসের পরিস্থিতি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যত্

গ্রিসের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। গ্রিসের অর্থনৈতিক সঙ্কটের যে চিত্র ইউরোপীয় সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে, তাতে করে দেশটির জন্য শুধু দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিই সৃষ্টি করছে না, বরং একক মুদ্রা ইউরোর ভবিষ্যেক একটি বড় প্রশ্নের মাঝে ঠেলে দিয়েছে। এখন অভিন্ন ইউরোপের ধারণাটি কল্পনাতেই থেকে যেতে পারে।

২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিন্ন ইউরোপের ধারণাটি কোনো অমূলক ধারণা ছিল না, বরং ১৯৫৭ সালে ইউরোপিয়ান কমিউনিটি সৃষ্টির পর ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত ম্যাসট্রিচট চুক্তি ছিল অভিন্ন ইউরোপ গঠনের লক্ষ্যে একটি বড় ধরনের পদক্ষেপ। ম্যাসট্রিচট চুক্তিতে একটি একক মুদ্রা ও একটি ইউরোপীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

এরপর ১৯৯৭ সালের মার্চ মাসে সেভেন চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারি ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালুর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে অভিন্ন এক ইউরোপের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ইউরোপ। বলা ভালো, ১৯৯৩ সালের ১ নভেম্বর ইউরোপীয় কমিউনিটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নাম ধারণ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতোমধ্যে সম্প্রসারণ ঘটেছে। পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর ২০০৪ ও ২০০৭ সালে বেশ কটি পূর্ব ইউরোপের দেশ ইইউতে যোগ দিয়েছে। ইইউর সদস্যসংখ্যা এখন ২৭।

১৯৯৯ সালে তত্কালীন ইইউর ১৫টি দেশের মাঝে ১১টি দেশ ইউরো চালু করেছিল। এখন চালু রয়েছে ১৭টি দেশে। ইউরো চালু হওয়ার সময়ই এটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তখন বলা হয়েছিল ইউরোপের উত্তরের ধনী দেশগুলো ইউরো চালু হলে এ থেকে সুবিধা নিতে পারে। আজ এত বছর পর এই আশঙ্কাই সত্যে পরিণত হল। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইউরো চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তিন বছর পর্যন্ত নিজ নিজ দেশের মুদ্রা চালু থাকে এবং ২০০২ সালের জুলাই মাসে ইউরোর কাগজি ও ধাতব মুদ্রা চালু হওয়ার পর পুরনো মুদ্রা বাতিল হয়ে যায়।

গত ৯ বছর ইউরো নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন দেখা না দিলেও গেল বছরের প্রথমদিকে ইইউর কয়েকটি দেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে। দেশগুলো ঋণ শোধ করতে না পেরে অনেকটা দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে পাপেনদ্রুর নেতৃত্বাধীন গ্রিস সরকারের পতন হয়েছে ও পাপাদেমস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। একই সঙ্গে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনিও পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

পাপেনদ্রু ও বারলুসকোনির পরিণতি প্রমাণ করে ইউরোপ কী বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকারগুলো প্রচুর ঋণ গ্রহণ করেও সেই ঋণ শোধ করতে পারছে না। ধীরে ধীরে রাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে পড়ছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করলেও সেই দেউলিয়াত্ব রোধ করতে পারছে না। গ্রিস কিংবা ইতালি কঠোর কৃচ্ছ্র সাধনের কথা ঘোষণা করলেও সাধারণ জনগণ তার বিরোধিতা করছে। তারা দিনের পর দিন বিক্ষোভ মিছিল করছে। গ্রিসের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিখ্যাত দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন ভার্সনে যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, তা দেখে দেশটির ভবিষ্যত্ সম্পর্কে হতাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে গ্রিসের একটি শহর থেসসালোনিকির গির্জার পাশে বসে এক মধ্যবয়সী রমণী ভিক্ষা করছেন। রাষ্ট্র এই রমণীর দায়িত্ব নিতে পারছে না। ফলে তাকে ভিক্ষা করে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের Meclatchy news-এর অনলাইন ভার্সন যারা দেখেছেন, সেখানেও রয়েছে গ্রিসের ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি শুরু হয়েছে পেরামা জাহাজ নির্মাণ বন্দরের একটি বিবরণ দিয়ে।

পেরামা বন্দর এখন জনমানবশূন্য, কোনো কর্মচাঞ্চল্য নেই, এক রকম পরিত্যক্ত। গ্রিসে বেকারত্বের হার এখন শতকরা ৬০ ভাগ। সেখানে এখন কৃচ্ছ্র সাধন চলছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত হিসেবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমানো হয়েছে। পেনশন হ্রাস করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা এখন বন্ধ। সরকারি গড় বেতন কমিয়ে আনা হয়েছে মাসিক ৮৬০ ডলারে, আর বেসরকারি সেক্টরে গড় বেতন মাসে ৭৫০ থেকে ১০০০ ডলার। এখন বিশ্বব্যাংক বলছে বেতন কমিয়ে আনতে হবে ৬০০ ডলারে। এক সময়ে হাসপাতালগুলোতে বিনাপয়সায় ওষুধ পাওয়া যেত। এখন তা পুরোপুরি বন্ধ। প্রবাসী গ্রিকদের আর্থিক সহযোগিতায় উড়পঃড়ত্ং ড়ভ ঃযব ড়িত্ষফ নামে একটি এনজিও এখন বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছে।

আগে এরা মাত্র তিন দিন (সপ্তাহে) ওষুধ সরবরাহ করত। এখন তাদের সাত দিনই ওষুধ দিতে হয়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যারা ওষুধ নেন, তাদের অনেকেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত সচ্ছলভাবে দিনযাপন করতেন। এখন আয় কমে যাওয়ায় তারা স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। Meclatchy-এর প্রতিবেদনে একজন প্রত্নতাত্ত্বিক মিসেস ডেলপিনা কউটিসউম্বার ছবি ও বক্তব্য ছাপা হয়েছে। ডেলপিনা আগে মাসে বেতন পেতেন ১১৯০ ডলারের সমতুল্য। এখন তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ ডলারে। অথচ তাকে বাসাভাড়া দিতে হয় ৭৩০ ডলার। অধ্যাপক স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে তার দিন আর চলছে না। ঋণের শর্ত হিসেবে দেশটির সরকারি লোকবল ১ লাখ ৫০ হাজার কমিয়ে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজারে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। অর্থনীতি ঠিকমতো চলছে না।

এখন দেশটিকে ঋণ নিয়েই ঋণের সুদের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। গ্রিসকে তার বাজেটের শতকরা ২০ ভাগ ব্যয় করতে হয় ঋণ পরিশোধে। গ্রিসের এই অর্থনৈতিক সঙ্কট আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। বাংলাদেশে কৃচ্ছ্র সাধনের কথা উচ্চ মহল থেকে বলা হলেও কৃচ্ছ্র সাধন হচ্ছে না। সরকারকে ব্যাংক থেকে প্রচুর ঋণ গ্রহণ করে সরকার চালাতে হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে ৮ জন সচিবকে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা দিয়েছে। আইজিকে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাড়ে ছয়শ’ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এতে করে সঙ্গতকারণেই সরকারের খরচ বাড়বে।

গ্রিসের অর্থনৈতিক সঙ্কট খোদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্তিত্বকে ঝুঁকির মাঝে ঠেলে দিয়েছে। এটাও আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। কেননা সার্কভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে অদূর ভবিষ্যতে একটি ‘এশীয় ইউনিয়ন’ গঠিত হতে পারে, এমন ধারণাও করেছিলেন কেউ কেউ। এখন ‘ইউরো জোন’-এর সঙ্কটের ফলে নতুন করে এসব বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। এখানে বলা ভালো, ১৯৫৭ সালে মাত্র ৬টি দেশ নিয়ে (বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি, ইতালি, হল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ) ইউরোপীয় ঐক্যের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পরিণত হয়েছে। ইউরোপের ২৭টি দেশ এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। বেশ কটি পূর্ব ইউরোপের দেশ ইতোমধ্যে শুধু ইইউতেই যোগ দেয়নি, বরং ন্যাটোতেও যোগ দিয়েছে। ন্যাটোর এই সম্প্রসারণ নিয়েও নানা কথা রয়েছে। ইইউভুক্ত দেশগুলোর মাঝে ২৪টি দেশ এখন ন্যাটোর সদস্য।

ইউরোপে এরই মাঝে বেশ কয়েকটি সংস্থার জন্ম হয়েছে, যে সংস্থাগুলো ইউরোপীয় ঐক্যকে ধরে রেখেছে। যেমন বলা যেতে পারে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, ইউরোপীয় কাউন্সিল, ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় আদালত, নিরীক্ষক দফতর, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, ইউরোপীয় ব্যাংক ও ইউরোপীয় মুদ্রা ইনস্টিটিউট ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কথা। এই সংস্থাগুলো অভিন্ন ইউরোপের ধারণাকে শক্তিশালী করেছে। কিন্তু ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দা পুরো দৃশ্যপটকে এখন বদলে দিল। এখন শুধু ইউরোই নয়, বরং খোদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে।

যে যুক্তি তুলে এক সময় ব্রিটেন ও ডেনমার্ক ইউরো জোনে (এক মুদ্রা নিজ দেশে চালু) যোগ দিতে চায়নি, সেই যুক্তিটি এখন সত্য বলে প্রমাণিত হল। অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে উদ্ধারের কাজটি অত সহজ নয়। একটি দেশের সমস্যায় অন্য দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ইউরোর ভবিষ্যত্ নিয়ে। এক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি সবচেয়ে বড়, তা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান কাঠামো আদৌ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে কি না।

২০০৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন তার পঞ্চাশতম পূর্তি উত্সব পালন করে তখনই বার্লিন ঘোষণার মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ইইউর মাঝে বিভক্তি আছে। লুক্সেমবার্গ ইউরোপের অন্যতম প্রধান অর্জন হিসেবে ইউরোর মুদ্রার কথা উল্লেখ করেছিল। অথচ মাত্র চার বছরের মধ্যেই প্রমাণিত হল ইউরো সব দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না। ব্রিটেন ও ডেনমার্ক প্রথম থেকেই ইউরোকে প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। পোল্যান্ড ও ইতালি চেয়েছিল ইউরোপের ক্রিশ্চিয়ান মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিতে। কিন্তু ফ্রান্স এর বিরোধিতা করেছিল। দেশটি ধর্মকে আলাদা রাখতে চেয়েছিল। চেক রিপাবলিক ও পোল্যান্ড নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিলেও ফ্রান্স ও জার্মানি এটা নিয়ে চিন্তিত ছিল এ কারণে যে নিরাপত্তার বিষয়টিতে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ রাশিয়াকে খেপিয়ে তুলতে পারে।

জার্মানি স্পেন ইইউর জন্য নতুন একটি সাংবিধানিক চুক্তি করতে চাইলেও ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডস ছিল এর বিরোধী। পূর্ব ইউরোপের সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোও তাদের ভবিষ্যত্ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। ১৯৮৯ সালের ‘ভেলভেট রেভল্যুশন’ এই দেশগুলোকে সোভিয়েত নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করে। সেখানে সমাজতন্ত্রের পতন হয় ও দেশগুলো গণতন্ত্রের পথে ধাবিত হয়। কিন্তু ২০০৪ সালের আগে পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে পারেনি। এই দেশগুলোর ওপর কোপেনহেগেন ফর্মুলা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোপেনহেগেন ফর্মুলায় কতগুলো শর্ত দেওয়া হয়েছিল, যা পূরণ করলেই ইইউর সদস্যপদ পাওয়া যাবে। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চালু, মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রবর্তন, মানবাধিকার রক্ষা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাদান ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

এসব শর্ত পূরণ হওয়ার পরই কয়েকটি পূর্ব ইউরোপীয় দেশ ২০০৪ ও ২০০৭ সালে ইইউতে যোগ দেয়। বসনিয়া-হারজেগোভিনা কিংবা ক্রোয়েশিয়া এখনও ইইউতে যোগ দিতে পারেনি। এখন অর্থনৈতিক সঙ্কট সব সঙ্কটকে ছাপিয়ে গেছে। ঋণ সঙ্কটে জর্জরিত ইউরোপে আবারও মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। গেল বছর ইউরো ব্যবহারকারীরা ইউরো জোনের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। এখন ইইউর ঐক্য নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়বে। ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে দু’স্তরে বিভক্ত করার প্রস্তাব উঠেছে। জার্মানি ও ফ্রান্স একটি দু’স্তরবিশিষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সারকোজি খোলামেলাভাবেই এই বিভক্তির কথা বলছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর মার্কেলও চাচ্ছেন একটা পরিবর্তন।

তিনি বলছেন, এক নয়া ইউরোপ গড়ার কথা। যদিও এই বিভক্তির বিরোধিতা করছেন ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান জোসে ম্যানুয়েল বারোসো। এখন সত্যি সত্যিই ইউরোপ ভাগ হয়ে যাবে কী না, কিংবা ‘নতুন ইউরোপ’-এর স্বরূপ কী হবে, তা এই মুহূর্তে বলা খুব কঠিন। তবে একটি পরিবর্তন যে আসবে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। গ্রিসের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাওয়ায় এই ধারণা এখন আরও বদ্ধমূল হল যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউরোপের ছোট অর্থনীতির জন্য কোনো সুসংবাদ বয়ে আনতে পারেনি।
লেখক : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয়
tsrahmanbd(a)yahoo.com
[সূত্র : সকালের খবর-২৩/০২/২০১২]

0 comments:

Post a Comment