ভারতীয় পানি আগ্রাসন যে বাংলাদেশকে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অনেক নদী শুকিয়ে গেছে। বাংলাদেশ যদি আগামী ২০ বছর পরের পরিস্থিতি চিন্তা করে এখনই একটি সুদূরপ্রবাসী পরিকল্পনা গ্রহণ না করে তাহলে এ দেশ ২০৩০ সালের দিকে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি সঙ্কট পারমাণবিক সঙ্কটের ভয়াবহতাকেও মস্নান করে দিতে পারে। হিমালয় অঞ্চলের পানি সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে আঞ্চলিক বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে। দ্বিপক্ষীয়ভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না।ড. তারেক শামসুর রেহমান ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে ভারতের উচ্চ আদালতের একটি সিদ্ধান্তের খবর বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এটি একটি বিতর্কিত মহাপরিকল্পনা, যাতে একাধিক সংযোগ খালের মাধ্যমে গঙ্গা থেকে পানি নিয়ে যাওয়া হবে গুজরাট, হরিয়ানা, রাজস্থান ও তামিলনাড়ুতে। এতে করে গঙ্গায় যে পানি সঙ্কট হবে, তা পূরণ করা হবে ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রত্যাহার করে। অথচ ব্রহ্মপুত্র হচ্ছে বাংলাদেশের তিন প্রধান নদীর একটি। ব্রহ্মপুত্রের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পানি বাংলাদেশে আসে। আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই নদীটি ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। ভারত মূলত একটি মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের সেই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ পানিশূন্য হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের একটা অংশ মরুভূমিতে পরিণত হবে। শুধু আন্তঃনদী সংযোগের কথা বললে ভুল বলা হবে। পরিসংখ্যান মতে ভারত সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের ২২৬টি বড় বাঁধ নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করেছে, যার লক্ষ্য হবে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে প্রায় ৯৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। ২০১২ সালের মধ্যে 'সবার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার' অংশ হিসেবে ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ভারত উত্তর-পূর্ব ভারতের নদীগুলোর ওপর ১৬টি বৃহৎ বাঁধ চালু করেছে এবং ৮টি বৃহৎ বাঁধ নির্মাণাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি ভারত আরো ৬৪টি বড় বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা প্রকল্প প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এসব বাঁধ চালু হলে উজানে ও ভাটিতে সার্বিক প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যগুলো ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। তবে নিঃসন্দেহে ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প আমাদের জন্য একটি বড় শঙ্কার কারণ। এই প্রকল্প খোদ ভারতেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। এই বিশাল নদী সংযোগ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে ভারতের অভ্যন্তরে ৩৭টি নদীকে ৯ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি খালের মাধ্যমে সংযোগ প্রদান করে ১৫০ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করার জন্য। প্রকল্পটির মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের পানি নিয়ে যাওয়া হবে গঙ্গায়। সেখান থেকে তা নিয়ে যাওয়া হবে মহানন্দা ও গোদাগাড়ীতে। গোদাগাড়ীর পানি নিয়ে যাওয়া হলে কৃষ্ণায় এবং সেখান থেকে পেনার ও কাবেরীতে। নর্মদার পানি নিয়ে যাওয়া হবে সবরমতিতে। এই বিশাল আন্তঃঅববাহিকা পানি প্রত্যাহার প্রকল্প সম্পূর্ণ করা হবে ২০১৬ সালের মধ্যে। ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট একটি অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারকে এ প্রকল্প একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছিল। আগে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ বছর। এখন তা কমিয়ে এনে ১০ বছর করা হয়েছে। ভারতের উচ্চ আদালত একটি রায় দিয়েছে সত্য, কিন্তু আদালত এই সত্য অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে যে গঙ্গা_ কাবেরী সংযোগ প্রকল্প কোনো নতুন ধারণা নয়। এ প্রকল্প কৌশলগতভাবে অগ্রহণযোগ্য ও অবাস্তব হওয়ার আগেই বেশ কয়েকবার পরিত্যক্ত হয়েছিল। এ কাজের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক দিক হচ্ছে, ভারত সরকারের এই প্রকল্প তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশীর জন্য কি ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে, তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। একই সাথে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনুসরণযোগ্য আন্তর্জাতিক আইনের স্বীকৃত সব রীতিনীতির প্রতি নিদারুণ উদাসীনতা প্রদর্শন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় যেসব নদীর সংযোগ ঘটবে, তা অনেকটা এ রকম : ১. ব্রহ্মপুত্রের উপনদী মানোশ-সংকোশ-তিস্তা-গঙ্গা সংযোগ, ২. কোশী-ঘাগেরা সংযোগে, ৩. গ-ক-গঙ্গা সংযোগ, ৪. ঘাদরা-যমুনা সংযোগ, ৫. শারদা-যমুনা সংযোগ, ৬. যমুনা-রাজস্থান সংযোগ, ৭. রাজস্থান-সাবরমতী সংযোগ, ৮. চুনার-শোন ব্যারেজ, ৯. শোন ব্যারেজ ও গঙ্গার দক্ষিণে শাখাগুলোর মধ্যে সংযোগ, ১০. গঙ্গা-দামোদর-সুবর্ণ রেখা সংযোগ, ১১. সুবর্ণরেখা-মহান্দী সংযোগ, ১২. কোশিদ-কাচী সংযোগ, ১৩. ফারাক্কা-সুন্দরবন সংযোগ, ১৪. ব্রহ্মপুত্র-গঙ্গা সংযোগ, ১৫. মাহান্দী (মনিভদ্র)- গোদাগাড়ী (ধলেশ্বর) সংযোগ, ১৬. গোদাগাড়ী (ইকম পল্লী)-নার্গাদুন সাগর সংযোগ, ১৭. গোদাগাড়ী (পোলাভারাম)- বিজয়া-ওয়ালা সংযোগ, ১৮. কৃষ্ণা (আলামাডি) পেন্সার সংযোগ, ১৯. কৃষ্ণ (স্বীমইলাম) পেন্সার সংযোগ, ২০. কৃষ্ণ (নার্গানুন সাগর)-সোমশিলা সংযোগ, ২১. পেন্না (সোমশিলা)- কাবেরী (গ্রান্ড অ্যানিকুট) সংযোগ, ২২. কাবেরী (কন্ডরাইয়া)-ভাইগা-গু-ুর সংযোগ, ২৩. কেম-বেতওয়া সংযোগ, ২৪. পার্বতী-কালী-সিন্ধু-চম্বল সংযোগ, ২৫. পার-তাপ্তী-নর্মদা সংযোগ, ২৬. দামন গঙ্গা-পিঞ্জল সংযোগ, ২৭. বেদাতি-ভার্গা সংযোগ, ২৮. বেত্রাবতী-হেমবতী সংযোগ এবং ২৯. পদ্মা-আক্ষান শোভেলী-ভাইশ্চার সংযোগ। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের ওপর মারাত্মক আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থায় ভয়াবহ প্রকৃতিগত পরিবর্তন সাধিত হতে পারে। এ প্রকল্পে বাংলাদেশের যেসব ক্ষতি হতে পারে, তা নিম্নবর্ণিতভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে : ১. ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বর্তমানে পাওয়া প্রাকৃতিক পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হবে। ২. বাংলাদেশ শুষ্ক মৌসুমে তার মিঠা পানির মোট ৮৫ শতাংশই ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা নদী থেকে পায়। একইভাবে ব্রহ্মপুত্র থেকেই পাওয়া যায় প্রয়োজনের ৬৫ শতাংশ পানি। সুতরাং ভারতের পরিকল্পনামতো পানি প্রত্যাহার করা হলে তা আমাদের দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। ৩. ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে ভূ-উপরিস্থ পানি কমে গেলে ভূগর্ভস্থ পানি বেশি পরিমাণে উত্তোলন করা হবে এবং এতে আর্সেনিক সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। ৪. মিঠা পানির মাছের পরিমাণ হ্রাস পাবে এবং জলপথে পরিবহন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ৫. পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কোনো কৃষি প্রকল্প হাতে নিতে পারবে না। পানির অভাবে কৃষি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ৬ দূষিত নদীগুলোর পানি অপেক্ষাকৃত দূষণমুক্ত অন্য নদীগুলোর পানিকেও দূষিত করে তুলবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গঙ্গার দূষিত পানি অন্য নদীর পানিকে দূষিত করে তুলবে। বর্তমানে পরিবেশ দূষণের শিকার নদীগুলোর পানি অন্য নদীগুলোতে মেশালে এ অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা আরো কঠিন হয়ে পড়বে, যা এ অঞ্চলের মানুষ ও বন্যপ্রাণীর জীবন বিপন্ন করে তুলবে, ৭. এসবের চেয়েও মারাত্মক বিষয় হচ্ছে প্রকল্পে নির্মিতব্য বড় বড় বাঁধ গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এছাড়া এ প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়ায় আমাদের পরিবেশগত ও জলপ্রবাহ বিষয়ক প্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। পানি এবং মাটির অধিক লবণাক্ততা আমাদের দেশকে ধীরে ধীরে একটি মরুভূমিতে পরিণত করবে। নদী মানে শুধু পানি নয়, নদীর মধ্যে এবং একেই কেন্দ্র করে বেঁচে থাকা জীবনগুলোর জন্য এখানে আছে এক অসাধারণ জীববৈচিত্র্য। অথচ এই জীববৈচিত্র্যই নয়, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ভারত তার আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত এখন কেন্দ্রীয় সরকারের হাতকে আরো শক্তিশালী করবে। ভারত অনেক আগেই এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল। আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে এ ধরনের প্রকল্প অবৈধ। কেননা আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের সবকটি নদীই আন্তর্জাতিক নদী। তাই এসব নদীর একতরফা পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পানি প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বেআইনি ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক নদীর পানির ব্যবহার সংক্রান্ত ১৯৬৬ সালের আন্তর্জাতিক আইন সমিতি হেলসিংকি নীতিমালার ৪ ও ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রতিটি অববাহিকাভুক্ত রাষ্ট্র, অভিন্ন নদীগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই অন্য রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক প্রয়োজনকে বিবেচনায় নেবে। তা অবশ্যই অন্য রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি না করেই হতে হবে। কিন্তু ভারতের এই উদ্যোগে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে, ভারত বাংলাদেশের ওপর এ প্রকল্পের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে। ১৯৯২ সালের ডাকলিন নীতিমালার ২নং নীতিতে বলা হয়েছে, পানি উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা অবশ্যই সবার অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। কিন্তু আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভারত একটি অস্বচ্ছ ও স্বেচ্ছাচারমূলক পদ্ধতিতে অগ্রসর হচ্ছে। ভারত আন্তর্জাতিক জলপ্রবাহ কনভেনশনের বেশকিছু বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। ১. প্রতিটি রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক জলপ্রবাহের পানি ব্যবহার করার সময় পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর যাতে কোনো বড় ধরনের ক্ষতি না হয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে [অনুচ্ছেদ ৭ (১)], ২. জলপ্রবাহের সঙ্গে সংযুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌম ক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় অখ-তা, পারস্পরিক সুবিধা লাভ এবং সৎ বিশ্বাসের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক জলপ্রবাহের সংরক্ষণ ও সর্বোচ্চ ব্যবহারের ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেবে (অনুচ্ছেদ ৮), ৩. রাষ্ট্রসমূহ নিয়মিতভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত বিনিময় করবে [অনুচ্ছেদ ৯(১)], ৪. অপর রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই তাকে সময়মতো অবহিত করতে হবে। বলা ভালো, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের উচ্চ আদালত যাতে সমালোচিত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়ার আগে ২০০২ সালে তৎকালীন ভারতের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স সরকার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তীব্র খরা মোকাবিলায় আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল। তখন খোদ ভারতেই এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশেও প্রতিবাদ ওঠে। যৌথ নদী কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৭ থেকে ২০ মার্চ নয়াদিলি্লতে যৌথ নদী কমিশনের ৩৭তম বৈঠকে ভারত জানিয়েছিল যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা না করে তারা আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না। ভারতীয় পানি আগ্রাসন যে বাংলাদেশকে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অনেক নদী শুকিয়ে গেছে। বাংলাদেশ যদি আগামী ২০ বছর পরের পরিস্থিতি চিন্তা করে এখনই একটি সুদূরপ্রবাসী পরিকল্পনা গ্রহণ না করে তাহলে এ দেশ ২০৩০ সালের দিকে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি সঙ্কট পারমাণবিক সঙ্কটের ভয়াবহতাকেও মস্নান করে দিতে পারে। হিমালয় অঞ্চলের পানি সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে আঞ্চলিক বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে। দ্বিপক্ষীয়ভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না। ড. তারেক শামসুর রেহমান: আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষক ও অধ্যাপক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
JAI JAI DIN, 20.3.2012
JAI JAI DIN, 20.3.2012
0 comments:
Post a Comment