রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আরো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কার স্বার্থে


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে যুগের চাহিদা। কিন্তু তার অর্থ এই নয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদেরকে 'সার্টিফিকেটসর্বস্ব' জাতিতে পরিণত করবে। ঘরে ঘরে মাস্টার্স ডিগ্রি তৈরি করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা যাবে না। কলেজ শিক্ষক দিয়ে কলেজ চালানো যায়, বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যায় না। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে নজরদারি বাড়ানোটা জরুরি। শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার অনুমতি দেয়া প্রয়োজন।ড. তারেক শামসুর রেহমান সংবাদটি ছাপা হয়েছে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি। সংবাদে বলা হয়েছে নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ৯৩টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। চলতি মাসেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। তবে কটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেয়া হবে, সে ব্যাপারে প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে কোনো কথা বলা না হলেও, যেহেতু আবেদনকারীদের মাঝে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন, সেহেতু এটা ধরে নেয়া স্বাভাবিক যে নূ্যনতম ২০টা থেকে ৩০টা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পাচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে উদ্যোক্তা হিসেবে যাদের নাম পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তারা শুধু যে সরকারি দলের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট তা নয়, বরং প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়ও বটে। এরপর কেউ কেউ ঢাকা শহরে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার কথা বলছেন। অথচ সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে ঢাকা শহরে নতুন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক বিবেচনায় এই আইনে পরিবর্তন আনা হয় কী না, সেটাই দেখার বিষয়। আমি রীতিমত আতঙ্কিত এই সংবাদে। দেশ তাহলে কোন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কি উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়ন আদৌ নির্দেশ করে? ৯৩টি আবেদনের মধ্যে যদি 'রাজনৈতিক বিবেচনায়' ২০টিও চূড়ান্ত অনুমতি পায়, তাহলে কটি বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে দাঁড়াবে এই দেশটিতে? আমরা কি উচ্চ শিক্ষার নাম করে ঘরে ঘরে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী তৈরি করব? দেশে ইতোমধ্যে ৫৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে 'শিক্ষা বাণিজ্য'-এর অভিযোগ রয়েছে। এরা সার্টিফিকেট 'বিক্রি' করে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের নয়। এই অভিযোগটি আমার একার নয়, বরং মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের স্বয়ং। এবং গেল মাসে একজন ক্ষমতাবান উপদেষ্টাও একই অভিযোগ করেছেন। আমার ভাবতে অবাক লাগে ইউজিসির চেয়ারম্যান যখন স্বয়ং 'বাণিজ্য'-এর অভিযোগ করেন, তিনি সেখানে ৮৫টি অনুমোদন করেন কীভাবে? রাজনৈতিক প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইউজিসি কেন এই 'রাজনৈতিক চাপ' এ মাথা নোয়াবে? প্রধানমন্ত্রীর ওপর সবকিছু চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী সজ্জন ব্যক্তি। 'বাম ঘরানার' এই মানুষটি এখন এক ধরনের 'ফড়িয়া শিক্ষা ব্যবসায়ীদের' পাল্লায় পড়েছেন। উচ্চ শিক্ষা কোনো গার্মেন্ট ব্যবসা নয় যে এখান থেকে মুনাফা অর্জন করতে হবে। মুনাফা অর্জন করার আরেক জায়গা রয়েছে। ঢাকা তো এখন 'দোকানদার'দের শহরে পরিণত হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করলেও কারো কিছু বলার নেই। ব্যবসা করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তাহলে 'বাণিজ্য' কেন? আর যদি 'বাণিজ্য' করতেই হয়, তাহলে সরকারকে এটা ঘোষণা দিতে হবে- এখানে যে কেউ পুঁজি বিনিয়োগ করে এখান থেকে 'মুনাফা' তুলে নিতে পারবেন! উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও তাহলে গার্মেন্ট শিল্পের মর্যাদা দিতে হবে! কথাটা শুনতে খারাপ শোনায়- কিন্তু বাস্তবতা কী তাই বলে না? যেখানে খোদ ৫৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট বাণিজ্য আমরা বন্ধ করতে পারছি না, সেখানে ইউজিসির চেয়ারম্যান আরো ৮৫টি আবেদন চূড়ান্ত করেন কীভাবে? তাহলে কী ধরে নেবো 'শর্ষের মধ্যে ভূত' আছে! শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও ইউজিসির সদস্য থাকার সুবাদে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আমি বিরোধিতা করছি। কেননা এতে করে একদিকে সার্টিফিকেট বাণিজ্য হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে 'মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের' বিস্ফোরণ ঘটবে, যারা এক সময় 'মামা-খালুর' জোরে কিংবা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রশাসনের উচ্চ পদগুলো দখল করবে এবং আমরা পরিণত হব একটি মেধাশূন্য জাতিতে। কারা সেখানে শিক্ষক হবেন, এটা কী বিবেচনায় নিয়েছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী? কারা বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য হয়েছেন এবং আগামীতে হবেন, তা কি আপনার অজানা মাননীয় মন্ত্রী? বিদেশি দূতাবাসে কাজ করা ব্যক্তি এখন উপাচার্য, নামের আগে অবৈধভাবে 'অধ্যাপক' লেখেন, আপনার মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কী করণীয় কিছু নেই? না, আমি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নই (প্রয়োজনে আমি বিনা সম্মানীতে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে সাহায্য করতে রাজি আছি)। কিন্তু শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে আমি 'কমপ্রোমাইজ' করতে রাজি নই। হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েটকে বিশ্বের 'জব মার্কেটে' নিয়ে যেতে হলে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। এর বিকল্প নেই। আজ প্রায় ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সরকারি ও বেসরকারি) সঙ্গে কলেজের কোনো পার্থক্য আমি খুঁজে পাই না। সবগুলোতে বিবিএ চালু হয়েছে (এটা ভালো 'ব্যবসা'। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ 'ব্যবসা' ধরেছে)। বাংলায় পড়ানো হয় বিবিএ। নোট তৈরি করে দেন 'স্যাররা'। ক্লাসে উপস্থিত থাকার বালাই নেই। উপস্থিত থাকলেও, নোট বই খুলে লেখায় কোনো কারণ নেই। আর গ্রেডিং পান সর্বোচ্চ (আমাদের রাষ্ট্রপতি, যিনি চ্যান্সেলর, তিনি 'গোল্ড মেডেল'ও দেন তাদের)। আর ওইসব 'গোল্ড মেডেল'ধারীদের একজনও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাননি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে শিক্ষার মান আজ কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, করপোরেট হাউসগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তা জানেন। আগে বাংলায় পাস করেও ব্যাংকে চাকরি পাওয়া যেত। এখন বাংলার জায়গা দখল করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা। বেতন পনের হাজারেরও নিচে (আমাদের জামানায় আইপিএর এমবিএ'র সূচনা বেতন ছিল প্রায় ত্রিশ হাজারের মতো, সেই আশির দশকে)। করপোরেট হাউসগুলো শোষণ করছে। আর এর ক্ষেত্র তৈরি করছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যেহেতু আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে কাউকে কাউকে অনুমোদন দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে কতগুলো নীতি অনুসরণ করা যায়। এক. সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিতে হবে তাদের শিক্ষার কারিকুলাম সীমাবদ্ধ থাকবে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ের ওপর। এর বাইরে কোনো বিষয়ের জন্য তারা ভবিষ্যতে আবেদন করতে পারবে না। দুই. একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় একেকটি বিষয় নিয়ে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পাবে। এক গাদা বিষয়ে তারা ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে না। তিন. ফার্মেসি, আইটি, গার্মেন্ট, মেরিন সাইন্স, বিদেশি ভাষা, জাহাজ নির্মাণ প্রকৌশল, জিন প্রযুক্তি, অটো মেকানিকস্ কৃষি প্রযুক্তি তথা কৃষি বিজ্ঞান, নার্সিং, পরিবেশ, মহাশূন্য ইত্যাদি বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে তিন চারটি বিষয় নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারে। ফার্মেসি, গার্মেন্ট, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে আমাদের মান আন্তর্জাতিকসম্পন্ন এবং আমরা একটি নেতৃত্বের আসনে রয়েছি। অন্যদিকে নার্সিং খাত, মেরিন সায়েন্স ও সাগর বিজ্ঞান, পরিবেশ ও কৃষি একটি অগ্রাধিকার খাত। বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং এসব ফিল্ডে আমরা প্রচুর জনশক্তি রপ্তানি করতে পারবো। এ জন্য বিদেশি ভাষা নির্ভর একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত শিল্পে অন্যত্র রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগে উৎসাহিত করা যেতে পারে। আমি অবশ্যই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। সেই সঙ্গে চাই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখাও এ দেশে আসুক। তাতে ক্ষতি কি? মালয়েশিয়াতে দেখেছি অনেক অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সেখানে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে শিক্ষকরা এসেই পড়ান। ভারতে বেশক'টি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের গ্র্যাজুয়েটদের নাম বিশ্বব্যাপী। আমি চাই ওই সব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শাখা বাংলাদেশে স্থাপন করুক। এর ফলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কেননা এখন যারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের একাডেমিক মানের চাইতে রাজনৈতিক আনুগত্যটাই অনেক বেশি। ফলে গবেষণা ও শিক্ষকতার চাইতে 'দলবাজি' করা তাদের প্রধান ও একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়বেই। অধ্যাপক আজাদ চৌধুরী একজন প-িত ব্যক্তি। তিনি 'রাজনীতি' করেন বটে, কিন্তু একাডেমিক পিউরিটি'র ব্যাপারে কোনোদিন 'কমপ্রোমাইজ' করেননি। অধ্যাপক মহব্বত খান এ দেশের শীর্ষস্থানীয় প-িত ব্যক্তি। আমার শিক্ষক তিনি। আমি মঞ্জুরি কমিশনে যে চেয়ারটি ছেড়ে এসেছি, সেই চেয়ারেই বসছেন আমার শিক্ষক অধ্যাপক মহব্বত খান, যাকে নিয়ে আমি গর্ব করি। অধ্যাপক খান শিক্ষক জীবনে শিক্ষার মানোন্নয়নের ব্যাপারে কোনো 'কমপ্রোমাইজ' করেননি। এই দুই প-িত ব্যক্তির কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার অনুমতি দেবে কী দেবে না, এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই মুহূর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটা নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। ইউজিসি যে কাজগুলো করতে পারে, তা অনেকটা এরকম : ১. অবিলম্বে অ্যাক্সিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা, যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নির্ধারণ করে রেটিং করবে; ২. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের 'ডাটাবেজ' তৈরি করা; ৩. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের পিএইচডির সম্মানি নির্ণয় করা (এ কাজটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হয়ে ইউজিসি করে যে কোনো বিদেশি ডিগ্রির ক্ষেত্রে); ৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ তথা পদোন্নতির জন্য একটা নীতিমালা তৈরি করা; ৫. উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদানকে অগ্রাধিকার দেয়া; ৬. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা; ৭. নিয়মিত মনিটর করা; ৮. ইউজিসির টিম দিয়ে আর্থিক আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখা; ৯. শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা; ১০. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করা ইত্যাদি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে যুগের চাহিদা। কিন্তু তার অর্থ এই নয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদেরকে 'সার্টিফিকেটসর্বস্ব' জাতিতে পরিণত করবে। ঘরে ঘরে মাস্টার্স ডিগ্রি তৈরি করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা যাবে না। কলেজ শিক্ষক দিয়ে কলেজ চালানো যায়, বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যায় না। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে নজরদারি বাড়ানোটা জরুরি। শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার অনুমতি দেয়া প্রয়োজন। ড। তারেক শামসুর রেহমান: প্রফেসর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য ঃংৎধযসধহনফ@ুধযড়ড়।পড়স
http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=20-2-2012&type=main&cat_id=1&menu_id=19

0 comments:

Post a Comment