রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

এ কী কথা বললেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগকারী মন্ত্রী আবুল হোসেনকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে। গত ২৬ জুলাই লন্ডনে বাংলা মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় আবুল হোসেনকে তিনি এই সার্টিফিকেট দেন। এর আগেও দুদক আবুল হোসেনকে এরকম আরেকখানা সার্টিফিকেট দিয়েছিল। ভাগ্যবান আবুল হোসেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন দেশপ্রেমিকের সার্টিফিকেট দেন, তখন আহ্লাদে তার আটখানা হয়ে যাওয়ার কথা। মন্ত্রিত্ব গেছে তো কী হয়েছে? স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই তো তাকে ‘সৎ সার্টিফিকেট’ দিয়ে দিলেন। যেখানে খোদ বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে আবুল হোসেনের অসৎ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ সরকারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল, সেখানে সরকারপ্রধান সরাসরি বিশ্বব্যাংককেই চ্যালেঞ্জ করলেন! তিনি যদি সৎ হয়েই থাকবেন, তাহলে পদত্যাগ করলেন কেন? সৎ ব্যক্তির তো পদত্যাগ করার কথা নয়। পদত্যাগ করে কি প্রকারান্তরে তিনি পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগটি স্বীকার করে নিলেন না? প্রধানমন্ত্রী তাকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন সত্য, কিন্তু সাধারণ মানুষ কি প্রধানমন্ত্রীর কথায় আস্থা রাখতে পারবে? না, পারবে না। কেননা ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের অতীত রেকর্ড স্বচ্ছ নয়। যতদূর মনে পড়ে, বঙ্গবন্ধুর সময় টিসিবি’র ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তখন তিনি আওয়ামী লীগ করতেন না। তার উত্থান এরশাদের জমানায়। শেখ হাসিনা যখন প্রথম সরকার গঠন করেন (১৯৯৬-২০০১), তখন আবুল হোসেন ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী। তিনি সরকারি লাল পাসপোর্টের বাইরে সবুজ পাসপোর্টও ব্যবহার করতেন। লাল পাসপোর্টে বিদেশে গেলে অনেক প্রটোকল ‘মেইনটেইন’ করতে হয়। ব্যবসায়ী পার্টনারদের সঙ্গে প্রকাশ্যে যোগাযোগ রাখা যায় না। তাই তিনি সবুজ পাসপোর্টে ব্যাংকক গিয়েছিলেন। সংবাদকর্মীরা এ সংবাদটি প্রকাশ করলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। একজন দেশপ্রেমিক ব্যক্তি হলে কি একই ব্যক্তি দুটো পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন? এটা তো এক ধরনের অপরাধ। এই অপরাধের কারণে কি আবুল হোসেনের শাস্তি হয়েছিল? না, এখনও হয়নি। এখন তো প্রধানমন্ত্রী তাকে সৎ সার্টিফিকেট দিলেন। কিন্তু আমরা জানি না, বিশ্বব্যাংক তার বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ এনেছিল? প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের সমর্থনে এখন বিশ্বব্যাংকের সেই চিঠি সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে পারেন। তাতে সারা জাতি জানতে পারবে তিনি আদৌ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা? আর সত্যি সত্যিই যদি প্রমাণিত হয় যে, আবুল হোসেন আদৌ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাহলে খুব সঙ্গত কারণেই আমরা বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নিতে পারি। বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দল সংসদে একটি প্রস্তাবও উত্থাপন করতে পারে। কেননা এর সঙ্গে ব্যক্তি আবুল হোসেনের চেয়েও বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি জড়িত হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ায় অন্য দাতারাও অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। এর চেয়েও বড় কথা বাংলাদেশ একটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমরা কখনও চাইব না বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে দুর্নীতিগ্রস্ত একটি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পাক। এটা আমাদের কারও জন্য মঙ্গল নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তার উপদেষ্টারা সঠিক তথ্যগুলো সরবরাহ করবে কিনা, আমার সন্দেহ রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরপরই সাহায্য প্রবাহে ভাটা পড়েছে। দাতারা বাংলাদেশের ওপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গেল জুন পর্যন্ত (২০১২) আমাদের বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্র“তি ছিল ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু মে পর্যন্ত গেল ১১ মাসে আদায় করা সম্ভব হয়েছে মাত্র ৪২৮ কোটি ৪২ লাখ ৪ হাজার ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলার কম। আর এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, আগামী দিনগুলোতে এই সাহায্যের প্রবাহ আরও কমবে। আবুল হোসেনের পদত্যাগ ও ওই সময়ে সেতু বিভাগের সচিবকে দীর্ঘ ছুটিতে পাঠানোর পরও দাতাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা, সে প্রশ্ন রয়েই গেছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপান পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ রেখেছে। বিশ্বব্যাংক একবার কোন প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করলে আবার ওই প্রকল্পে আর অর্থায়ন করে না। এটা তাদের নীতির পরিপন্থী। শুধু পদ্মা সেতুই নয়, এখন বিশ্বব্যাংক যে ৩০টি প্রকল্পে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে, তাও একটি বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে থাকল। এসব প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়েও এখন বিশ্বব্যাংক প্রশ্ন তুলতে পারে। আর বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত না হলে, এডিবি কিংবা জাপানের মতো দাতা দেশও পিছিয়ে যাবে।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখানে জেদ বা গোয়ার্তুমির কোন প্রশ্ন ছিল না। প্রধানমন্ত্রীকে সমস্যার গভীরতা বোঝানো হয়নি। অথচ চাটুকাররা প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর পাওয়ার জন্য এখনও দিব্যি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এমন একজনের নাম ড. আবুল বারকাত। তার একটি বক্তব্য ছাপা হয়েছে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ২০ জুলাইয়ের সংখ্যায়। এক সময়ে মস্কোপন্থী, বর্তমানে ‘নও আওয়ামী লীগার’ বারকাত সাহেব একটি তত্ত্ব দিয়েছেনÑ একটি নয়, নিজস্ব অর্থায়নে ৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব (!)। বিভ্রান্তিরও একটি সীমা থাকে। তিনি বলেছেন, মোট ১২টি উৎস থেকে ৪ বছরে ৯৮ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব, আর ওই টাকা দিয়ে ৪টি সেতু নির্মাণ করা যায়। হায়রে অর্থনীতিবিদ! এসব তথাকথিত বামমনা ও মস্কোপন্থীদের কারণেই সরকারের এই দুরবস্থা। সরকার প্রধান এদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন বলেই মনে হয়। লন্ডনেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশের টাকায় পদ্মা সেতু হবেÑ সেটা হবেই’। একজন সরকার প্রধান যখন অবিবেচকের মতো কথা বলেন, তখন আমার দুঃখ হয়। নিজস্ব অর্থায়নে অনেক কিছু করাই সম্ভব। কিন্তু পদ্মা সেতু? যার দৈর্ঘ্য ৬ কিলোমিটার সেটা করা সম্ভব? না, সম্ভব নয়। এর হিসাব ধরা হয়েছিল ২৯০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা ১২০ কোটি, এডিবি ৬১ কোটি ও জাপান ১৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশী টাকায় খরচ ২৩ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। স্বউদ্যোগে, ঘরে ঘরে চাঁদা তুলে, একদিনের বেতন বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিয়ে আমরা কি পদ্মা সেতু করতে পারব? এটা করতে গিয়ে সমস্যা হবে একাধিক। প্রথমত, খরচের পরিমাণ ২৪ হাজার থেকে বেড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে। এটা সম্পন্ন করতে গিয়ে অন্য প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হবে। তাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্য অঞ্চলের জনগণ। দ্বিতীয়ত, সরকার উদ্যোগ নিলে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী গোষ্ঠী (এমনকি আবুল হোসেনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান) এ থেকে সুযোগ নেবে। ফলে বাড়বে দুর্নীতি। বাড়বে খরচ। আমরা রেন্টাল বিদ্যুতের অভিজ্ঞতা থেকে কি কিছুই শিখিনি? তৃতীয়ত, এটা করতে হলে আমাদের যে প্রযুক্তিগত মেধা ও জ্ঞান, তা আমাদের নেই। স্বউদ্যোগে করা মানে একটা বড় ধরনের ঝুঁকির মাঝে থাকা। চতুর্থত, সেতুটির স্থায়িত্ব নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যাবে। একটি সেতুর ন্যূনতম বয়স একশ’ বছর হয়ে থাকে। বিদেশী দাতারা যখন কোন প্রজেক্টে অর্থায়ন করে, তখন কঠিন মনিটরিংয়ের মধ্যে তা শেষ হয়। ফলে দুর্নীতির সুযোগ তেমন একটা থাকে না। স্বউদ্যোগে সেতুটি তৈরি হলে, সেতুটির দীর্ঘ স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবেই। পঞ্চমত, স্বউদ্যোগে সেতুটি তৈরি হলেও বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে নানা কারণে। প্রযুক্তি হস্তান্তর, বিশেষজ্ঞ নিয়োগÑ ইত্যাদিতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে। সরকার যদি বিশ্বব্যাংকের পরিবর্তে মালয়েশিয়াকে বেছে নিয়ে থাকে, বড় ভুল করবে। কেননা মালয়েশিয়ার সুদের হার অনেক বেশি। উপরন্তু মালয়েশিয়া মূলত ঠিকাদারি করতে চায়। ষষ্ঠত, স্বউদ্যোগে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় বাড়বে। ফলে তা চূড়ান্ত বিচারে ব্যবহারকারীদের ঘাড়ে গিয়ে বর্তাবে। গাড়ি প্রতি অতিরিক্ত টোল আদায় করা হবে। ফলে একদিকে যাত্রী ভাড়া বাড়বে, সেই সঙ্গে বাড়বে পণ্য পরিবহনের ভাড়া। এতে করে পণ্যমূল্য বাড়বে। তাতে ক্ষতি তো জনসাধারণের। মানুষ এ সেতু থেকে উপকৃত হবে না। সুতরাং পদ্মা সেতু নিয়ে সরকার প্রকারান্তরে দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে। সরকার চায় না দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের জীবনমানের উন্নতি হোকÑ এ অভিযোগ এখন জোরেশোরে উচ্চারিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী যখন কোথাও বক্তব্য দেন, তখন তিনি সুস্পষ্ট করে বিরোধী দলের সমালোচনা করেন। লন্ডনে দেয়া তার দুটো বক্তব্য পাঠ করে আবারও আমার সে কথাটা মনে হয়ে গেল। রাজনীতিবিদরা অসংলগ্ন কথা বলেন, তাদের বলতে হয় কর্মীদের খুশি করার জন্য এবং তাদের ধরে রাখার জন্য। কিন্তু তিনি যখন বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক কমিশন খায়’ কিংবা ‘তার আমলে দুর্নীতির মাত্রা শূন্য’Ñ তখন একটা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। তার আমলে দুর্নীতির প্রচুর অভিযোগ উঠেছে। ‘কালো বিড়াল’-এর কাহিনী দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। কুইক রেন্টাল বা শেয়ারবাজার কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত ‘দরবেশরা’ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। এরপরও তিনি যখন বলেন, ‘তার আমলে দুর্নীতির মাত্রা শূন্য’, তখন সত্যিই আমি ‘কনফিউজড’। প্রধানমন্ত্রী তার নেতাকর্মীদের রক্ষা করবেন, এটা ঠিক আছে। কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রী বিদেশে কি এভাবে কথা বলতে পারেন? তার তো একটা ‘ইমেজে’র ব্যাপার আছে। আমি আবারও ‘কনফিউজড’, যখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক কমিশন খায়’ ও তার সরকার ঋণ পুনঃবিবেচনার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে আবেদন করেনি। কথাটা কতটুকু সত্য আমরা জানি না। কেননা অর্থমন্ত্রী তো পুনঃআবেদনের কথা স্বীকার করেছেন। সরকার যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, চিঠি পাঠিয়েছে, তা তো সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে সত্য কোনটিÑ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, না সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদটি? ‘বিশ্বব্যাংক কমিশন খায়’Ñ এভাবে কথা বলাটা কি একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শোভা পায়? তিনি অনেক ধরনের কথাবার্তা বলেনÑ আমরা সবাই তা জানি। কিন্তু বিদেশে সরাসরি বিশ্বব্যাংককে আক্রমণ করে কোন বক্তব্য রাখা সঠিক হয়নি। বিশ্বব্যাংকের পলিসি নিয়ে অনেক কথা আছে। বিতর্ক আছে। তারা অনেক কিছুই আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। আমরা এর সঙ্গে দ্বিমত করি না। কিন্তু যে প্রশ্নটি বড় তা হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের কাছে আমরা অনেকটাই দায়বদ্ধ। আমরা চীন বা ভারতের অর্থনীতির পর্যায়ে যেতে পারিনি, যেখান থেকে চ্যালেঞ্জ করা যায়। আমাদের ৩০টি প্রজেক্টে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করেছে। আমরা সুদ দিই। আমরা যদি অর্থনীতিতে শক্তিশালী হতাম, তাহলে আমাদের বিশ্বব্যাংকের সাহায্যের প্রয়োজন হতো না। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বসে এভাবে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে না বললেও পারতেন। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি আমাদের কোন মঙ্গল ডেকে আনবে না।
প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বলা বা উপদেশ দেয়ার আমার সাধ্য নেই। ঠিকও নয়। প্রধানমন্ত্রী অনেক অভিজ্ঞ। অনেক বেশি জানেন তিনি। বোঝেনও। আমরা আমজনতা। আমরা ট্যাক্স দিই। ভোট দিই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আমাদের পরিচালনা করেন। কিন্তু সরকারের শীর্ষ পদে যারা থাকেন, তাদের কর্মকাণ্ডে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আবুল হোসেন সে রকমই একজন ব্যক্তি, যিনি অনেক ক্ষতি করে গেলেন আমাদের।
Daily JUGANTOR
03.08.12

0 comments:

Post a Comment