রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ড্যান মজিনার বক্তব্যে আমরা শংকিত




ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এখন মিডিয়ায় অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি। তার একাধিক মন্তব্যের কেউ কেউ ভিন্ন ব্যাখ্যা করেছেন। সর্বশেষ মন্তব্যটি তিনি করেছেন ১৩ আগস্ট। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি সাংবাদিকদের বললেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায় ঋণগ্রহীতারাই গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ করবেন।’ সংবাদটা এভাবেই ছাপা হয়েছে যুগান্তরে। মজিনা অর্থমন্ত্রীকে এ কথাটা জানাতেও ভোলেননি যে, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যখন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মনোভাবের কথা জানান, তখন সঙ্গত কারণেই দু’দেশের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে একটা প্রশ্ন ওঠে। এর আগে, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ড্যান মজিনা জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এ দেশের পণ্য কিনতে মার্কিন ক্রেতারা ঝুঁকি না-ও নিতে পারে।’ এটা ছিল স্পষ্টতই একটি সিগনাল, বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করে দেয়া। জুলাইয়ের শেষে আরেকটি অনুষ্ঠানে তিনি একটু খোলাসা করেই বললেন, ‘টিকফা’ চুক্তি না করলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত ও কোটা সুবিধা পাবে না। ‘টিকফা’ হচ্ছে ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট’। যদিও আমাদের পররাষ্ট্র সচিব ২৯ জুলাই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কারণে ‘টিকফা’ চুক্তি হচ্ছে নাÑ এ কথা সত্য নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে কোন রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে কি-না? না, পারে না। জাতিসংঘের ২.৪ এবং ২.৭ নং ধারা অনুযায়ী একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু ড্যান মজিনার বক্তব্য জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী। এটা দৃষ্টিকটুও। এ দেশের মানুষ জানে না ‘টিকফা’ চুক্তি কী। এই চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে, সে ব্যাপারেও আমরা স্পষ্ট নই। দুঃখজনক হচ্ছে, বিদেশে এ ধরনের চুক্তি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে মহাজোট সরকারের আমলে এ ধরনের কোন চুক্তি নিয়ে সংসদে আমরা আলোচনা হতে দেখিনি। মজিনার কথাবার্তা থেকে মনে হয়েছে, বাংলাদেশী পণ্যের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর বাংলাদেশী পণ্য মানেই তো তৈরি পোশাক। সেই তৈরি পোশাক রফতানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তার একটা মারাÍক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে বাংলাদেশে। যুক্তরাষ্ট্র মূলত প্রেসার খাটিয়ে সুবিধা আদায় করে নিতে চায়। হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের সময় একটি ‘অংশীদারিত্ব সংলাপ’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল বাংলাদেশ। এ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কিছুই নেই। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ‘আকসা’ নামে এটি চুক্তির প্রস্তাব করেছিল। ‘আকসা’ চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন বাহিনীর বাংলাদেশে উপস্থিতির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ উপস্থিতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে আগামীতে।
‘আকসা’ চুক্তি প্রস্তাবের রেশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই এখন মজিনা বললেন ‘টিকফা’ চুক্তির কথা। এই চুক্তিটি আসলে কী, কিংবা এতে করে আমরা কতটুকু উপকৃত হব, এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমরা অনেকেই জানি না। সংবাদপত্রেও এটা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। তবে মজিনা বলেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষিত হবে। কীভাবে হবে, তা অবশ্য তিনি বিস্তারিত বলেননি। এমনকি এই চুক্তির সঙ্গে ‘টিফা’ বা টিআইসিএফ চুক্তির কোন যোগ আছে কি-না, তাও আমরা নিশ্চিত নই। যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই ‘টিফা’ চুক্তি করতে চেয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ তাতে রাজি হয়নি। তখন বাংলাদেশের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র টিআইসিএফ চুক্তি করার প্রস্তাব দেয়। চুক্তিটির পূর্ণনাম হচ্ছে ‘ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরাম’। বাংলাদেশ যদি এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করে তাহলে পাইরেটেড কোন পণ্য বাজারজাত করতে পারবে না। শ্রমিকের মানও হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। তাছাড়া ওষুধ প্রস্তুত ও রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০১৬ সাল পর্যন্ত ডব্লিউটিও’র কাছ থেকে ট্রিপসের আওতায় যে সুবিধা ভোগ করছে, তাও বাতিল হতে পারে। আসলে টিআইসিএফেরই বিকল্প নাম হচ্ছে ‘টিফা’। এর বিস্তারিত কোন পক্ষ থেকেই উপস্থাপন না করায় নানা সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো একটি চুক্তির প্রস্তাব করে। তখন এর নাম ছিল ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’ বা ‘টিফা’। ২০০২ সালে প্রণীত টিফার প্রথম খসড়াটিতে ১৩টি ধারা ও ৯টি প্রস্তাবনা ছিল। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আপত্তি থাকায় ২০০৫ সালে সংশোধিত টিফায় ৭টি ধারা ও ১৯টি প্রস্তাবনা বহাল থাকে। ওই সময় সংশোধিত টিফায় ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বিনিয়োগ বাতিল করাসহ মামলার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিও শর্ত হিসেবে জুড়ে দেয়া হয়। টিফা চুক্তির খসড়ার ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর প্রস্তাবনায় মেধাস্বত্ব অধিকার, আন্তর্জাতিক শ্রমমান ও পরিবেশগত সুরক্ষাÑ এই তিনটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। শুধু এই তিনটি ধারাই নয়, বরং টিফা চুক্তির একাধিক ধারা ছিল বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী। যেমন বলা যেতে পারে মেধাস্বত্ব আইন প্রসঙ্গে। এটা মানলে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে ধস নামবে। বাংলাদেশ এখন প্রায় ৫৫টি দেশে ওষুধ রফতানি করে। বাংলাদেশের ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানের। মেধাস্বত্বের শর্তের কারণে বাংলাদেশ অন্য কোন দেশের ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য সংশ্লিষ্ট দেশ বা কোম্পানির অনুমতি ছাড়া তৈরি করতে পারবে না। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের একটি বিশেষ অধিকার রয়েছে। ওষুধের পেটেন্ট ব্যবহার করেই বাংলাদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক ওষুধ তৈরি করছে, যা দিয়ে দেশের লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই সুযোগ ভোগ করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শর্তের কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে কি-না, এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র যে শ্রমমানের কথা বলছে, সেটা নিয়েও কথা আছে। এটা স্বীকার করতেই হবে যে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইএলও’র মান বজায় রাখা কঠিন। ইউরোপের একজন শ্রমিক যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এবং শ্রমিকদের যে মান, তার সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মানের বিচার করা যাবে না। ইউরোপে একজন শ্রমিকের যে অধিকার, সেই অধিকার বাংলাদেশের শ্রমিকদের নেই। এটাই বাস্তব। এই বাস্তবতা মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব শ্রমিক মানকে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের শ্রমমানকে বিচার করা যাবে না। সুতরাং আজ ‘টিকফা’ বলি আর ‘টিআইসিএফ’ বলি, কোন চুক্তিই বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না। বরং এ ধরনের চুক্তি মার্কিনিদের স্বার্থই রক্ষা করবে মাত্র। এ ধরনের কোন চুক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারকে কোনমতেই মেলানো যাবে না। শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার আমাদের অধিকার। আমরা তো একের পর এক যুক্তরাষ্ট্রকে সুযোগ দিয়েই যাচ্ছি। কিন্তু বিনিময়ে আমাদের প্রাপ্তি শূন্য। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশন (এমসিসি) থেকেও কোন সাহায্য পাচ্ছে না। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিভিন্ন দেশকে বড় অংকের মঞ্জুরি সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে এমসিসি গঠন করেছিল মার্কিন কংগ্রেস। এর যুক্তি হিসেবে সুস্পষ্টভাবে কোন ব্যাখ্যা দেয়া না হলেও ধারণা করা হচ্ছে গণতন্ত্র, সুশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, বিনিয়োগের পরিবেশ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এমসিসি থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ড. ইউনূসের বিষয়টিও যে অন্যতম একটি কারণ, তা জোসেফ ক্রাউলির একটি মন্তব্য থেকে জানা যায়। জোসেফ ক্রাউলি মার্কিন কংগ্রেসের বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ারম্যান।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিদেশে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যথেষ্ট নষ্ট হয়েছে। দুর্নীতির বিষয়টি এখানে প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি। আর এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বললেন, ‘টিকফা’ চুক্তি না হলে বাংলাদেশেরই ক্ষতি। নিঃসন্দেহে এগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র এখানে নাক গলাতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো আমরা যেমন শ্রমমান নির্ধারণ করতে পারি না, ঠিক তেমনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেই সুযোগ আমরা প্রত্যাখ্যান করতে পারি না। মজিনার বক্তব্যের পর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আÍসমর্পণ করবে, এটা জাতি প্রত্যাশা করে না। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত বললেন গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে।
এখন যে বিষয়টি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে মার্কিনি এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করা। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব মজিনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়নি। এটা আমাদের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কথাই স্মরণ করিয়ে দিল। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের প্রতিবাদ শুধু নয়, তাকে আস্থায় নিতে হবে। এভাবে যদি মজিনা একের পর এক বক্তব্য দিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অবনতি হতে বাধ্য। যা আমাদের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনবে না। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামের একটি বিরূপ মন্তব্যও ছাপা হয়েছে পত্রপত্রিকায়। একই সঙ্গে ২১ আগস্ট ওয়াশিংটনে সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। আমাদের দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা এ ধরনের সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা তাদের এই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। ভারত, পাকিস্তান, এমনকি শ্রীলংকার মতো দেশের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের বক্তব্য দিতে সাহস পায় না। কারণ তাদের দেশপ্রেম অনেক বেশি। জাতীয় স্বার্থে সেখানে সরকার ও বিরোধী দল সবাই এক। পার্থক্য শুধু আমাদের ক্ষেত্রে। আমরা মজিনার বক্তব্যে শংকিত। বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য হয় ৬ কোটি ডলারের। বাংলাদেশী পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শতকরা ১৫ দশমিক ৩ ভাগ শুল্ক দিয়ে প্রতিযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাকের রয়েছে বড় বাজার। বাংলাদেশে এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ১৫ লাখ মানুষ, যাদের অধিকাংশই নারী। এদের অনেকের টাকায় সংসার চলে। যুক্তরাষ্ট্র যদি বিধিনিষেধ আরোপ করে, তাহলে এই সেক্টরে হাজার হাজার লোক বেকার হয়ে যাবে। এটা সৃষ্টি করবে একটি সামাজিক সমস্যা।
কূটনীতিতে আমাদের দক্ষতা দেখাতে হবে। মার্কিন প্রশাসনকে আস্থায় আনাটা খুবই জরুরি। শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড, ড. ইউনূস ইস্যু কিংবা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিÑ সবকিছুই এই দুটি দেশের মাঝে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। এই তিনটি ইস্যুতেই বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা খুশি নন। ড্যান মজিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়েই তা এখন প্রতিফলিত হল।
Daily JUGANTOR
23.08.12

0 comments:

Post a Comment