রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফর ও মোদির পররাষ্ট্রনীতি

ভারতের নয়াপররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আজ ঢাকা আসছেন। এটা তার দ্বিতীয় বিদেশ সফর। এর ংআগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সফরসঙ্গী হয়ে ভুটানে গিয়েছিলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদির ভুটান সফর নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মোদির প্রথম বিদেশ সফর ছিল ভুটান। চীন কিংবা ইইউ’র অন্তর্ভুক্ত কোনও দেশকে বাদ দিয়ে মোদি যখন ভুটানে যান, তখন এই সফরকে হালকাভাবে দেখার কোনও সুযোগ নেই। এই সফরকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে চীন ও বাংলাদেশ এই সফর থেকে একটা মেসেজ পেতে পারে। অতীতে ভারতে কোনও সরকারপ্রধানই ভুটানকে তেমন একটা গুরুত্ব দেননি। ভুটান-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। তবে ভুটানের একটা স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব রয়েছে। আর এটা বিবেচনায় নিয়েই মোদি ভুটানে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ভুটান সফরের পর যেসব সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে, তার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। যেমন- ভুটানে মোদির সফরের পর-পরই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভুটানে দূতাবাস খুলতে চীনকে অনুমতি দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সম্প্রতি খুব তোড়জোড় শুরু করেছে চীন। চীনের এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত। শুধু তাই নয়, সফর শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় স্বার্থে দুদেশ (ভারত ও ভুটান) একে অপরকে সাহায্য করবে।’ মোদির ভুটান সফর ও যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পর এটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, ভুটান ও ভারতের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ একই। ভারতের সীমান্তে চীনের আগ্রাসন আর ভুটানের উত্তরেও চীনের ‘আগ্রাসন’ একই রকমের উদ্বেগের কারণ। চীনের সম্ভাব্য আগ্রাসন রোধে ভারত ও ভুটান একে অপরকে সাহায্য করবে বলেও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের জি নিউজ আমাদের জানাচ্ছে, চীন সীমান্তে ভারত দ্বিগুণ সেনা মোতায়েন করছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীন শক্তি বৃদ্ধি করছে এবং চীনা হামলা বাড়ছে। বলা ভালো, ভারত-চীন সীমান্তে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের ৪০টি ঘাঁটি রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে ১৫ হাজার সেনা। এখন দ্বিগুণ সেনা মোতায়েনের বিষয়টি এবং ভুটানে চীনা দূতাবাস না খোলার সিদ্ধান্ত ভারত-চীন সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। অথচ বলা হয়েছিল, মোদির জমানায় চীন-ভারত সম্পর্কে উন্নতি হবে। এমনকী মোদির শপথ নেওয়ার পর-পরই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফর এই আভাসই দিয়েছিল যে, এই দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।ভারতের নয়া সরকারের একটা বড় জায়গা হচ্ছে তার বৈদেশিক সম্পর্ক। পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতির কারণে, বিশেষ করে ইউক্রেনের পরিস্থিতির পর নতুন করে যে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হতে যাচ্ছে, তাতে ভারতের অবস্থান মোদি নিশ্চিত করবেন। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক থাকলেও ক্রিমিয়া প্রশ্নে ভারতের অবস্থান ছিল রাশিয়ার পক্ষে। সাবেক ইউপিএ জোট আমলে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত থেকে ভারত সরে আসতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির একটা বড় জায়গা হচ্ছে ভারত-চীন সম্পর্ক। ইউপিএ জোট সরকারের সময় এই সম্পর্ক যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। দুদেশের প্রধানমন্ত্রীরা দুদেশের রাজধানী সফর করেছেন। বাণিজ্য হচ্ছে এই সম্পর্কের মূল ভিত্তি। ২০১১ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১২ সালে ছিল ৭৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন। কিন্তু ২০১৩ সালে এটা কমে এসে দাঁড়ায় ৬৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে। ভারতের পক্ষে ঘাটতি ৩১ বিলিয়ন ডলার। ভারতের রপ্তানির পরিমাণ কমেছে (১৭ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। শতকরা হারে কমেছে ০.৪ ভাগ হারে আগের বছরের তুলনায়)। এই ঘাটতি কমানো হবে মোদির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দুটি দেশই অর্থনৈতিক জোট ‘ব্রিকস’-এর সদস্য। ব্রিকস-এ রাশিয়াও আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক বিশ্বব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেই ব্রিকস-এর জন্ম। ব্রিকস আগামীতে অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে এবং মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। ফলে মোদির জমানায় চীন-ভারত সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে- এটাই প্রত্যাশিত ছিল। এটা অনেকেই এখন স্বীকার করেন যে, চীনের উন্নয়নের ব্যাপারে মোদির একটা দুর্বলতা আছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি তিন-তিনবার (২০০৫, ২০১০, ২০১১) চীন সফর করেন এবং গুজরাটে চীনের বিনিয়োগ বাড়ান। কিন্তু সর্বভারতীয় যে ‘মাইন্ড সেটআপ’ তার বাইরে তিনি এখন যেতে পারলেন না। চীনকে ভারত স্ট্র্যাটেজিস্টরা বন্ধু নয়, বরং প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। ফলে চীন-ভারত সম্পর্ক কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়, সেদিকে দৃষ্টি থাকবে এখন পর্যবেক্ষকদের।
তেলেগু দেশম পার্টির সভাপতি (বিজেপি মিত্র) চন্দ্রবাবু নাইডু সম্প্রতি বলেছেন, মোদির নেতৃত্বে ভারত হয়ে উঠবে ‘সুপার পাওয়ার’। মিথ্যা বলেননি নাইডু। মোদির এই ‘ভিশন’ আছে। তিনি ভারতকে বিশ্বশক্তি হিসেবে পরিণত করার উদ্যোগ নেবেন। এ জন্য তিনি চীনকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখবেন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব কমানোর উদ্যোগ নেবেন। অর্থনীতির ক্ষেত্রে তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক। তিনি জানেন অর্থনীতিই বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তার কাছে চীনের পর জাপান ও সিঙ্গাপুর মডেল বেশি আকৃষ্ট হয়েছিল। চীনের ইপিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) মডেলে তিনি বেশি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এখন ভারতে এই মডেলের প্রয়োগ তিনি করবেন। নতুন নতুন ইপিজেড এখন তৈরি হবে, যাতে করে কর্মসংস্থান হবে। মোদি জানেন, ভারত ও চীনের যৌথ জাতীয় আয় ২০১৫ সালে জি-৭ এর একত্রিত জাতীয় আয়কে ছাড়িয়ে যাবে (২০১০ সালে ছিল অর্ধেক)। আর ২০৩০ সালে এই যৌথ আয় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের যৌথ আয়কে (একত্রিত) ছাড়িয়ে যাবে। ৪২ জাতিভুক্ত ওসিইডির এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতে চীন ও ভারতের অবদান গিয়ে দাঁড়াবে যথাক্রমে ২৮ ও ১১ ভাগ (তখন যুক্তরাষ্ট্রের অবদান থাকবে ১৮ ভাগ, জাপানের ৮ ভাগ)। সুতরাং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে যে তিনি গুরুত্ব দেবেন, এটা এক কথায়ই বলে দেওয়া যায়। চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেলেও দক্ষিণ এশিয়া তথা বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় চীনের সামরিক উপস্থিতিকে ভারত খুব হালকাভাবে নেবে না। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত তার অলিখিত কর্তৃত্ব বজায় রাখবে। নেপালের পর ভুটানে এখন তার কর্তৃত্ব বাড়ল। একটি ‘নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের’ আওতায় এই দেশগুলোকে একত্রিত করতে চায় ভারত। সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের সময়ও এই বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে। ২৫ জুন সুষমা ঢাকায় আসছেন। আগামীকাল ২৬ জুন দুদেশের মধ্যে আলোচনা হবে। আলোচনায় কোন কোন বিষয় স্থান পাবে, সে ব্যাপারে একটা ধারণা পেলেও, মূল বিষয়গুলো এবং নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়টি ‘গোপন’ই থাকবে। অতি সম্প্রতি ভুটানে সুষমা স্বরাজ বলেছেন, তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে নয়া সরকার উদ্যোগ নেবে। ঢাকায় এ প্রসঙ্গে আলোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সমাধান কিংবা কোনও চুক্তি হবে বলে মনে হয় না।তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি বহুল আলোচিত। ফারাক্কা নিয়েও পুনঃআলোচনার সময় এসেছে। মোদি ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। টিপাইমুখ ও ফুলেরতল ব্যারাজ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। কোনও একটি ক্ষেত্রেও আমরা পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারিনি। ভারতীয় নেতৃবৃন্দ আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। সেই আশ্বাস আশ্বাসই থেকে গেছে। বাস্তবতায় আমরা দেখেছি ভিন্ন জিনিস। সুতরাং দিল্লিতে বিজেপি সরকার এই নীতিতে পরিবর্তন আনবে এটা মনে হয় না।নিঃসন্দেহে নির্বাচন-পরবর্তী ভারতীয় সরকারের দিকে দৃষ্টি থাকবে আমাদের। মোদি সরকার গঠন করেছেন। কিন্তু আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক কী হবে? মোদি কি তাদের আস্থায় নিতে পারবেন? ভোল পাল্টে মমতা ব্যানার্জি (পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ প্যাকেজের প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং) কিংবা জয়ললিতা যে মোদিকে সমর্থন করবেন না- এটাও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তাই দুদেশের বিশ্লেষকরা যখন বলেন, ‘পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে সম্পর্ক জোরদার করা যেতে পারে, তিস্তা সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত’, ‘রাজনৈতিক অবিশ্বাস রয়েছে’, ‘নিজের স্বার্থেই বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে ভারতকে’, তখন এটা দিব্যি দিয়েই বলা যায় এসব বক্তব্য কাগজ-কলমেই থেকে যাবে। ভারতীয় নীতিনির্ধাকরা আমাদের সব সময় আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি কিছুই। মনমোহন সিংয়ের মতো একজন প্রধানমন্ত্রী যখন কথা দিয়ে যান- ‘কোনও সীমান্ত হত্যা হবে না’, সে কথার প্রতিও সম্মান দেখায়নি ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। ভারতীয় রাজনীতিবিদরা চাইলেও (?), ভারতীয় আমলারা বাংলাদেশকে সমমর্যাদার দৃষ্টিতে দেখেন না। তারা বাংলাদেশ থেকে কীভাবে সুবিধা আদায় করে নেওয়া যায়, সেদিকেই দৃষ্টি দেন বেশি। অথচ ভারতীয় উন্নয়ন থেকে আমরাও উপকৃত হতে পারি। আমরাও হতে পারি ভারতের উন্নয়নের অংশীদার। কিন্তু ভারতের নীতি-মানসিকতায় যদি পরিবর্তন না আসে, তাহলে দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের যে তিক্ততা তা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। এটা সত্য, ভারতীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দের অনেকের ব্যক্তিগত সখ্য রয়েছে। এই সখ্য সার্বিক উন্নয়নে অতীতে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। অন্যদিকে মোদির সঙ্গে বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দের পরিচয় তেমন একটা নেই। আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির নেতৃবৃন্দ অতীতে বিজেপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটা ‘চ্যানেল ওপেন’ করেছেন- এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে নিঃসন্দেহে বীণা সিক্রি, যিনি কিছুদিন আগে পর্যন্ত ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার ছিলেন, তিনি এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। তার এই ভূমিকা কতটুকু ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’, সে প্রশ্ন থাকবেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোদিকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় জানিয়েছিলেন- ‘বাংলাদেশ হচ্ছ তার (মোদির) দ্বিতীয় বাড়ি।’ এখন মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কতটুকু সম্মান দেন, সেটা দেখার বিষয়। ইতোমধ্যে তথাকথিত অনুপ্রবেকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানের উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। তাই দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। এটা সত্য, মোদি তার বৈদেশিক নীতিতে দক্ষিণ এশিয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এখানে নিরাপত্তা ইস্যুটি যে প্রধান, তা তিনি প্রমাণ করেছেন। এখন দেখার পালা বাংলাদেশিদের তিনি কতটুকু আশ্বস্ত করতে পারেন। সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশ আসছেন। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। Daily Amader Somoy 25.06.14

0 comments:

Post a Comment