রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

পরাশক্তির মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি


তিনটি পরাশক্তিÑ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আলোচনার অন্যতম একটি বিষয়। গেল মার্চ মাসের প্রথম দিকে লন্ডনের স্যালিসবারিতে সাবেক রুশ কর্মকর্তা (যিনি ছিলেন একজন ডাবল এজেন্ট) সার্গেই স্ক্রিপালকে হত্যা করার প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্ব যখন রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমাবিশ্বের মধ্যে একধরনের ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ লক্ষ্য করছিল, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের একধরনের ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ বিশ্ব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এতে স্পষ্টই বিশ্ব আবারও দু-ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমাবিশ্ব, অন্যদিকে রাশিয়া-চীন অক্ষ। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে দ্বন্দ্বটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের। ওই সময় চীনের অবস্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে। আজ সোভিয়েত ইউনিয়নের জায়গা দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। আর চীন রাশিয়ার অবস্থানকে সমর্থন করছে। উল্লেখ্য, সার্গেই স্ক্রিপাল হত্যাকা-ের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাবিশ্ব ১৩৯ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়া ১৫০ জন পশ্চিমা কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। চীন কোনো বিদেশি কূটনীতিক বহিষ্কার না করলেও রাশিয়াকেই সমর্থন করেছে।
তবে কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনা নতুন নয়। আমরা যদি সাম্প্রতিককালে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব এর আগেও কূটনীতিকদের বহিষ্কারের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ১৯৮৬, ১৯৯৪, ২০০১, ২০১০ এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালেও যুক্তরাষ্ট্র রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছিল। এর পাল্টা ‘প্রতিরোধ’ হিসেবে রাশিয়াও মার্কিন কূটনীতিকদের তার দেশ থেকে বহিষ্কার করেছিল। তবে এবার পার্থক্যটা হলো ২৫টি পশ্চিমা দেশ একসঙ্গে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করল। এটা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক কূটনীতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এটা স্পষ্ট, যা মার্কিন প্রশাসন বলছে, তারা তাদের বন্ধু, বিশেষ করে ব্রিটেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ব্রিটেনের রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র শুধু সমর্থনই করেনি, বরং তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে লক্ষ করার বিষয়, চীন কিংবা ভারতের মতো বড় দেশ, এমনকি আফ্রিকার দেশগুলোও ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্রের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ৪ মার্চ স্যালিসবারি শহরে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দু-সপ্তাহ আমি ইউরোপে ছিলাম। জার্মানি, পোল্যান্ডে কিংবা চেক রিপাবলিকে আমি এ ঘটনার তেমন একটা প্রতিক্রিয়া দেখিনি। জার্মান টিভিতে আমি সে দেশের পার্লামেন্টের বিতর্ক দেখেছি। সেখানে নব্যগঠিত অ্যাঞ্জেলা মরকেলের কোয়ালিশন সরকারের অন্যতম শরিক সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (্এসপিডি) একজন এমপি রলফ ম্যুটজেনিচ জার্মান সরকারের কিছুটা সমালোচনা করে বলেছিলেন, তদন্তে এখনও প্রমাণিত হয়নি কে বা কারা রুশ গোয়েন্দাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করল। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার আগেই খুব দ্রুত কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। এরপর একজন সংসদ সদস্য, ইয়র্গেন ট্রিটিন বললেন, এ কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা করবে। এখানে বলা ভালো, জার্মানি চার রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। জার্মান সংসদে এই বিতর্ক প্রমাণ করল জার্মানিতে এটা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস, যিনি এসপিডি দলের সদস্য, তিনি রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে আছেন। স্পষ্টই সেখানকার বামমনা রাজনৈতিক দলগুলো এ প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত। পোল্যান্ড চার ও চেক রিপাবলিক তিন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলেও ওয়ারশতে আমার স্বল্প অবস্থানকালে আমি দেখেছি, এটা নিয়ে সেখানে তেমন উত্তেজনা নেই। তেমন আলোচনাও নেই। পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকে দক্ষিণপন্থিরা এখন ক্ষমতায়। তারা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি অনুসরণ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনায় রাশিয়া মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। রাশিয়া বলছে, নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে হত্যার কাজটি মূলত ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা।
এ-ই যখন পরিস্থিতি, তখন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে একধরনের বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ১২৮ পণ্যে চীনের অতিরিক্ত শুল্কারোপের কঠোর জবাব দিতে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ১ হাজার ৩০০ চীনা পণ্যের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এ তালিকা চূড়ান্ত না হলেও এগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কারোপ করে ২০১৮ সালে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ আদায়ের চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে এরই মধ্যে পাল্টা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান, গাড়িসহ ১০৬টি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর আরোপের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র এসব পণ্য রপ্তানি বাবদ চীন থেকে বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে। বলা ভালো, যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে চীনা স্টিলের ওপর করারোপ করার পরিপ্রেক্ষিতেই চীন ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের একতরফা ও সংরক্ষণবাদী পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মৌলিক নীতি ও মূল্যবোধের গুরুতর লঙ্ঘন। ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপ চীন-যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের স্বার্থই রক্ষা করবে না। এটি বিশ্ববাজারেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্ব অর্থনীতির দুই পরাশক্তি। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির পরিমাণ (প্রথম) ১ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ১৪৪ মিলিয়ন ডলার, সেখানে চীনের অর্থনীতি ১ কোটি ১৭ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৭ মিলিয়ন ডলার (দ্বিতীয়)। কিন্তু ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে (পিপিপি) চীন প্রথম, যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়। এর পরিমাণ যথাক্রমে ২ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৪১১ মিলিয়ন ডলার (চীন) ও ১ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ১৪৪ মিলিয়ন ডলার (যুক্তরাষ্ট্র)। ফলে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তি দুটি দেশের এমন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিশ্বের বাজারব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে চীনা পদক্ষেপের পর যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের শেয়ারবাজার কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্যযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের দুর্ভোগে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। এতে চড়া দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হবেন ভোক্তারা।
পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যাবে বলা মুশকিল। তিন পরাশক্তির মাঝে একধরনের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের আরও একটি সিদ্ধান্ত বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে উসকে দিতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা তৈরি করবে। এ সিদ্ধান্ত বিশ্বের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। আগামী মে মাসে যখন ট্রাম্প-কিম জং উন (উত্তর কোরিয়ার নেতা) বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখন ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়াকে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, শেষ পর্যন্ত কিম জং উন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক না-ও করতে পারেন।
এর মধ্য দিয়ে এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এই ছোট ছোট পারমাণবিক বোমা বানানোর সিদ্ধান্ত কি শেষ পর্যন্ত একুশ শতকের তৃতীয় দশকে নতুন করে একধরনের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্ম দেবে? এই মুহূর্তে হয়তো এটা আঁচ করা যাবে না। কিন্তু নিশ্চিত করেই বলা যায় চীন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া একটা পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করবে। উত্তর কোরিয়া অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত পাল্লার পারমাণবিক হামলার কথা বলে আসছে। এখন এই সম্ভাবনা আরও বাড়ল। গত ২৪ জানুয়ারি ‘দ্য ন্যাশন’ পত্রিকায় Alice Slater-এর একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেনÑ পৃথিবীর ৮০টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আর সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে ১ লাখ ৩৮ হাজার। অন্যদিকে ৯টি দেশে রাশিয়ার ২৬ থেকে ৪০টি ঘাঁটি রয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রাশিয়া কম্বোডিয়ার তিনটি সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার জন্য কম্বোডিয়া সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে। পাঠক সিরিয়ার পরিস্থিতি স্মরণ করতে পারেন। সিরিয়ায় কুর্দি অঞ্চলে একসময় রাশিয়ার ঘাঁটি ছিল। পরে তুরস্কের সামরিক অভিযানের আগেই সে ঘাঁটি প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি এখনও আছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি আছে। সিরিয়ার তারতাস ও লাতকিয়া সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে রাশিয়ার নৌবাহিনী। এ কারণে পরিবর্তিত বিশ্বরাজনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একধরনের ‘প্রতিযোগিতায়’ লিপ্ত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার, দেশ দুটি তাদের প্রভাব বাড়াতে চায়। এর বাইরে রয়েছে চীন ও ভারত। চীনকে টক্কর দিতে আফ্রিকায় সেনাঘাঁটি গড়ছে ভারত (সিসিলি)। জিবুতিতে রয়েছে চীনা ঘাঁটি। আন্তর্জাতিক পরিসরে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের স্বার্থ এক ও অভিন্ন। অন্যদিকে চীন ও রাশিয়া একধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলছে। ঘুরে ফিরে সেই স্নায়ুযুদ্ধকালের মানসিকতায় ফিরে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপ্তি বাড়াচ্ছে। এই মানসিকতা আরও স্পষ্ট হবে আগামীতে। ছোট পারমাণবিক বোমা বানানোর সিদ্ধান্ত এ রকমই একটি সিদ্ধান্ত, যার মধ্য দিয়ে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতার সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, আকারে ছোট ও কম ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বোমার শক্তি থাকে ২০ কিলোটনের মতো। যদিও এই বোমার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা ভয়াবহ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জাপানের নাগাসাকি শহরে একই ধরনের বিস্ফোরণে ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আর তাতেই ৭০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি হচ্ছে, যতই সীমিত হোক না কেন, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার যে গ্রহণযোগ্য নয়, তা রাশিয়াকে অনুধাবন করাতে এই কৌশল কাজে দেবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল আদৌ কোনো কাজে দেবে বলে মনে হয় না। বরং এই কৌশল নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম দেবে, যার আলামত আমরা পেতে শুরু করেছি।
স্পষ্টই পরাশক্তিগুলো তাদের নিজ নিজ স্বার্থের কারণে পরস্পরবিরোধী একটি অবস্থান নিয়েছে। এই পরস্পরবিরোধী অবস্থান নতুন করে আবারও স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা করতে পারে।

0 comments:

Post a Comment