রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সড়ক নিরাপত্তা আইন ও বাস্তবতা

গত বৃহস্পতিবার সড়ক নিরাপত্তা আইনটি সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সংসদে এই বিলটি উত্থাপন হলো এমন একটি সময়ে যখন এই সেপ্টেম্বর মাসেই ডিএমপির উদ্যোগে ঢাকায় ‘সড়ক সচেতনতা মাস’ পালিত হচ্ছে। এমনি একসময় সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সংসদে উত্থাপিত হলো। গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিলেন। এর প্রতিবাদে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে এসেছিলেন। বেশ কয়েক দিন তারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলেন। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আর সে কারণেই খুব দ্রুততার সঙ্গে আইনটি তৈরি হয়, কেবিনেটে অনুমোদিত হয় এবং শেষ অব্দি তা সংসদে উত্থাপিত হয়। এখন আইনটি পাস হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু যে প্রশ্নটি অনেকেই করেন তা হচ্ছে- এই আইন সড়কে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটুকু নিশ্চিত করবে? ডিএমপির কমিশনার সেপ্টেম্বর মাসকে ট্রাফিক সচেতনতা মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তার নির্দেশনা কি শতকরা একশ ভাগ পলিত হচ্ছে? তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, সড়কে লেগুনা চলবে না। এটা ভালো সিদ্ধান্ত। ভেতরে, লেনে এগুলো চলুক। কিন্তু আমি দেখলাম ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ উপেক্ষা করে লেগুনা কোনো কোনো সড়কে চলছে! এরা এই সাহসটি পায় কোথায়? সড়কে এখন দেখি প্রকাশ্যেই রিকশা চলছে। রিকশা চালকরা সড়কে এসে স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলছে! কমিশনার সাহেব কি রিকশা চালানোর এই নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি যদি নির্দেশ দিয়ে না থাকেন, তাহলে কার নির্দেশে সড়কে রিকশা চলছে? অবৈধ রিকশা উচ্ছেদের প্রয়োজনীয়তা কি তিনি উপলব্ধি করেন? যানজটের জন্য পথচারীরাও দায়ী। তারা আইন মানেন না। ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। এ ক্ষেত্রে ট্রাফিক প্রশাসন যদি শক্ত না হয়, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা আনা যাবে না। ডিএমপির উদ্যোগকে আমি প্রশংসা করি, কিন্তু কোথায় যেন শৈথিল্য আছে। ঢাকার ফার্মগেট ব্যস্ততম এলাকার একটি। এখানে রাস্তার পাশে বাজার বসে কীভাবে? এটা কি আইনে অনুমোদিত? রাত ৮টার মধ্যে শেরেবাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশের এলাকা শ্যামলী কল্যাণপুরে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকে শত শত দূরপাল্লার বাস। কার অনুমতিতে এ বাসগুলো রাস্তায় থাকে? ডিএমপি কমিশনার কি এসবের অনুমতি দিয়েছেন? এটা তো ‘নিরাপত্তা এলাকা’। এখানে বাস থাকে কীভাবে? এই সেপ্টেম্বর মাসে এ প্রশ্নগুলোর জবাব জানা জরুরি।
বড় প্রশ্ন এখন, প্রস্তাবিত সড়ক আইন আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে কি? ‘গরু-ছাগল চিহ্নিত করতে পারা’ চালকদের অষ্টম শ্রেণি পাস ও সহকারীর পঞ্চম শ্রেণি পাস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে সমস্যা হবে অনেকগুলো। ভুয়া অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেটে সয়লাব হয়ে যাবে দেশ। নীলক্ষেতের বাকুশা মার্কেট এখন পরিণত হবে ‘সার্টিফিকেট উৎপাদন’ কেন্দ্রে! এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করব কীভাবে? এখানে একটা ‘ক্লজ’ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং ভুল তথ্যের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। সহকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই, এই সহকারীরাই পরে বাসচালক হয়। তাহলে? ওই পঞ্চম শ্রেণি ‘পাস’ নিয়েই তো সে বাস চালক হচ্ছে! এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ জরুরি। প্রতিটি চালককে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এর ব্যবস্থা করবেন মালিকরা। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে হবে প্রতিটি উপজেলায়। প্রতিটি উপজেলায় যে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, তা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না। এজন্য মালিক ও ড্রাইভারের শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। বেসরকারি সংস্থাকে প্রয়োজনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঢাকার বিআরটিএ নিয়ে অভিযোগ স্বয়ং যোগাযোগ মন্ত্রীর। এলাকা ভিত্তিতে ঢাকায় আরো ন্যূনতম ১০টি বিআরটিএর শাখা গঠন করা প্রয়োজন। এটা যুগের চাহিদা। ফিটনেস মেশিনের পরিবর্তে ব্যক্তিনির্ভর। যেখানে ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকে, সেখানে দুর্নীতি হবেই! সুতরাং গাড়ির ফিটনেস মেশিন দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবিত সড়ক আইনের একটা বড় ত্রুটি হচ্ছে এর শাস্তির বিধান। বলা হয়েছে, ‘দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত বা প্রাণহানি ঘটলে, এ সংক্রান্ত অপরাধ পেনাল কোডের ৩০২, ৩০৪ ধারা অনুযায়ী অপরাধ বলে গণ্য হবে।’ এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড! এখানে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। যেকোনো দুর্ঘটনায় ‘অপরাধ’ সংঘটিত হয়েছে কি না, তা কে নির্ধারণ করবে? কোন প্রক্রিয়ায় তা নির্ধারিত হবে? একজন পুলিশ পরিদর্শক যখন এর ‘তদন্ত’ করবেন, তার ওপর কি আস্থা রাখা যাবে? তাই দুর্ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে আদৌ কোনো চালককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া যাবে কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই গেল। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর (আগে ছিল তিন বছর) করা হয়েছে। এটা যথেষ্ট নয়। তার লাইসেন্স বাতিলের কথা বলা হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মিম ও রাজীবের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে এই অর্থ সাহায্য করবে সন্দেহ নেই, কিন্তু যা প্রয়োজন ছিল তা হচ্ছে মালিকদের বাধ্য করা এ টাকা দিতে। চালকদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, চালকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। কিন্তু আমরা দেখলাম গাড়িগুলো চলছে আগের মতোই। রুটে গাড়িপ্রতি মালিকরা অর্থ নির্ধারণ করে দেন। এটা বন্ধ না হলে প্রতিযোগিতা থাকবেই। একটি শক্তিশালী চক্র এই পরিবহন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকার অসহায়। এরাই মালিক। এরাই আবার শ্রমিক। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা এরা চাঁদা তোলে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরা এর সঙ্গে জড়িত। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাপারে (যা আন্দোলনকে উেক দিয়েছিল) তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। হয়ত আগামী দিনে প্রমাণিত হবে ওই মন্ত্রী সরকারের জন্য ‘বোঝা’ না আশীর্বাদ। মানুষ এটা বোঝে- একসঙ্গে মালিক ও শ্রমিক নেতা হওয়া যায় না। শ্রমিক নেতা, আবার  মন্ত্রীও- এটা বোধকরি বাংলাদেশেই সম্ভব!
ছোট্ট শিশু আকিফার ‘ঘটনা’ নিশ্চয়ই মনে আছে আমাদের সবার। মায়ের কোলেও নিরাপদ ছিল না আকিফা। জীবনটা শুরু করার আগেই তার পরিসমাপ্তি ঘটল। আমি অবাক হয়ে দেখলাম, গ্রেফতারকৃত মালিক ও চালককে আদালত জামিন দিলেন! যদিও পরবর্তী সময়ে গাড়িচালককে আবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু মালিক সম্ভবত এখনো দ্বিতীয়বার গ্রেফতার হননি! ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, চালক বাস অতিক্রম করা মায়ের কোলে আকিফাকে দেখেও বাসটি তাদের ওপর উঠিয়ে দিয়েছে। এটা তো পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড। এখন পেনাল কোডের ৩০২ ও ৩০৪ ধারা কতটুকু প্রয়োগ হবে? যে পুলিশ পরিদর্শক এই মামলা এখন অনুসন্ধান করবেন, তিনি কি ‘অপরাধ’ সংঘটিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হতে পারবেন? এখানে ‘তদবিরে’র বিষয়টি আমরা যেন ভুলে না যাই। মিম ও রাজীবের হত্যাকাণ্ড ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। মিডিয়া সচেতন ছিল। ওই ‘হত্যাকাণ্ড’ একটি গণজোয়ার সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু শিশু আকিফার ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘটে কুষ্টিয়ায়। একটি শিশুর ‘হত্যাকাণ্ড’ যেভাবে আলোচিত হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি। কুষ্টিয়ার একজন মন্ত্রী আছেন। তিনি আদৌ কোনো সমবেদনা জানিয়েছিলেন বলে আমার মনে পড়ে না।
এই সমাজ, এই জাতি ‘জিম্মি’ হয়ে পড়েছে একশ্রেণির পরিবহন মাস্তানদের কাছে। সড়কে মৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা। ছোট্ট শিশু আকিফার বেঁচে থাকারও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না এই সমাজ। আমরা কত অসহায়! স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চেয়েছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক নির্মল সেন। সেটা ছিল ১৯৭৪ সালের কথা। আজ নির্মল সেন বেঁচে থাকলে কী লিখতেন তিনি? ‘পরিবহন মাস্তানমুক্ত’ বাংলাদেশ? পরিবহন মাস্তানদের বিরুদ্ধে লিখেছিলেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। এরপর পরিবহন শ্রমিকরা শহীদ মিনারে মিছিল করে মামুন ভাইয়ের ছবিতে জুতো মেরে মেরে মিছিল করেছিল। সেই সংবাদ পত্রিকায় ছাপাও হয়েছিল। এরপর মুনতাসীর মামুন আর পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে লেখেননি।
আমাকে ক্ষমা করবেন ডিএমপি কমিশনার। আপনি অনেক ভালো ভালো কথা বলেন। শুদ্ধভাষায় কথা বলেন, যা অনেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাও পারেন না। আপনি অবসরে যাবেন আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে। আপনি পদোন্নতি পেয়েছেন। এই জাতি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে যদি ‘বিদায়ে’র আগে আপনি যে সাত দফা দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। কিন্তু আমি জানি, আপনিও ব্যর্থ হবেন! মিম ও রাজীবের ‘হত্যাকাণ্ডের’ পর সমাজ জেগে উঠেছিল, কিন্তু সড়কে বিশৃঙ্খলা যা ছিল, তা-ই আছে। এখন সড়ক নিরাপত্তা আইন সংসদেও পাস হবে। কিন্তু এতে করে মিম, রাজীব কিংবা আকিফাদের জীবনের নিরাপত্তা কি নিশ্চিত হবে? বাসচালকরা এখনো ‘ট্রিপ’ অনুযায়ী বাস চালান। এখনো বাসচালকরা যত্রতত্র যাত্রী ওঠান। আইন হবে, কিন্তু আইনের প্রয়োগ হবে কি? চালকদের কাছ থেকে যারা চাঁদা ওঠান, তা বন্ধ হবে কি? বলা হয়েছে মহাসড়কে ছোট ছোট যান চলাচল করবে না। কিন্তু চলছে এখনো। একজন প্রতিমন্ত্রী বাসে যাত্রী হয়ে অফিসে গেছেন। তার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এটা কি নিছক মিডিয়াকে দেখানোর জন্য? আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেখতে চাই, ওই প্রতিমন্ত্রী নিয়মিত বাসে টিকেট কেটে অফিস করেন। যদি তিনি এটি করেন, আমার সশ্রদ্ধ সালাম তাকে। মাঝেমধ্যে সেতুমন্ত্রী যদি এভাবে বাসযাত্রী হন, তাহলে বাসচালকরা ভয় পাবে। সচেতনতা বাড়বে।
২২ সেপ্টেম্বর একটি সংবাদপত্র প্রথম পাতায় একটি ছবি ছেপেছে। দুটি বাসের প্রতিযোগিতার ছবি! ট্রফিক পুলিশ দিয়ে এসব নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। পুলিশ সব জায়গায় যেতে পারে না, যায়ও না। এসব মানসিকতার ব্যাপার। এত কিছুর পরও চালকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আসেনি এতটুকুও। চালকরা কাউকেই ভয় পায় না। তাই ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালন করে আমরা কিছুই অর্জন করতে পারব না। শুধু বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের, যারা স্কাউট কিংবা গার্লস গাইডের সদস্য তাদের রাস্তায় নামিয়ে ট্রাফিক সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা, তাদের কষ্ট দেওয়ার কোনো মানে হয় না। চালকরা, সাধারণ পথচারীরাও তাদের গ্রাহ্যের মধ্যে নিচ্ছে না। আইনের কঠোর প্রয়োগ, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা, ৩০২ ধারায় মানুষ হত্যাকারী চালকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, যেকোনো দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা, পথচারী পারাপারে সড়কের ডিভাইডারে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সড়ক নিরাপত্তা আইনে কিছু কিছু ত্রুটি রয়েছে। এটা নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হোক- আমরা এমনটিই চাই
Bangladesher Khobor
18.09.2018

0 comments:

Post a Comment