রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আইসিসিতে গণহত্যার বিচার স্রেব্রেনিচা থেকে রাখাইন


আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সম্প্রতি। আইসিসির (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-১ গত ৬ সেপ্টেম্বর এক যুগান্তকারী রায়ে বলেছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বহিষ্কার করে বাংলাদেশে পাঠানোসহ অন্যান্য অভিযোগ তদন্ত করতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর অর্থাৎ রাখাইনে বসবাসরত মিয়ানমারের নাগরিকদের ওপর সংঘটিত ভয়াবহ সব অপরাধের বিচারের পথ উন্মুক্ত হলো। অনেকের মনে থাকার কথা—আইসিসির অন্যতম প্রসিকিউটর ফাতুউ বেনসউদা কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সরকার ও মিয়ানমার সরকারকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ওই চিঠির জবাব দিলেও মিয়ানমার জানিয়ে দিয়েছিল তারা এই চিঠির জবাব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে না। কেননা মিয়ানমার রোম স্ট্যাটিটিউটে স্বাক্ষর করেনি। রোম স্ট্যাটিটিউটের ওপর ভিত্তি করেই আইসিসি বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ রোম স্ট্যাটিটিউটে স্বাক্ষরদাতা দেশ। এখন রাখাইনে গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথ প্রশস্ত হলো। আমরা যদি অতি সাম্প্রতিককালের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে স্রেব্রেনিচার গণহত্যার কথা অনেকের মনে থাকার কথা। স্রেব্রেনিচা বসনিয়া-হার্জেগোভিনার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি ছোট্ট শহর, যার বেশির ভাগ নাগরিক ছিল মুসলমান। বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে রাটকো ম্লাদিকের নেতৃত্বাধীন ‘আর্মি অব রিপাবলিকা স্রাপসকা’ দুই মাস শহরটি ঘেরাও করে রেখেছিল। এরা ছিল সার্ব সম্প্রদায়ভুক্ত এবং মুসলমানবিরোধী। এরপর ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে সেখানে গণহত্যা চালানো হয় এবং প্রায় আট হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল আর প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে সেখান থেকে উত্খাত করা হয়েছিল। আইসিসির বিচারে ‘বসনিয়ার কসাই’ হিসেবে পরিচিত রাটকো ম্লাদিকের বিচার হয়েছিল। ৩০ বছরের জেল হয়েছিল তাঁর। একই অপরাধে আজ মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় জেনারেলরাও দায়ী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অপরাধের যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রতিটি ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যেখানে রোম স্ট্যাটিটিউটের ৫ নম্বর ধারায় ‘অপরাধের’ কথা বলা হয়েছে। এই অপরাধগুলো পরে আবার ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ধারায় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন—৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে Genocide বা জাতিগত গণহত্যার কথা। ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে Crime against humanity  বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে War crime ও Crimes of aggression-এর কথা। অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসন সংক্রান্ত অপরাধ। আইসিসির প্রসিকিউটররা যদি মনে করেন ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ধারাবলে কোনো একটি দেশে, কোনো একটি বিশেষ শ্রেণি ‘অপরাধ’ সংঘটন করেছে, তাহলে তাদের শাস্তির আওতায় এনে বিচার করতে হবে। সার্বিয়ার যুদ্ধবাজ নেতা রাদোভান কারাদিচ, লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলর, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বসির, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা (অভিযোগ পরে প্রত্যাহার) সবার বিচার হয়েছিল ওপরে উল্লিখিত ধারাবলে। ৬ নম্বর ধারায় Genocide বা গণহত্যার ক্ষেত্রে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে একটি বিশেষ শ্রেণির জনগোষ্ঠীকে হত্যা, তাদের মানসিক কষ্ট দেওয়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই জনগোষ্ঠীর লোকদের উচ্ছেদ, পরিকল্পিতভাবে এই জনগোষ্ঠীর জন্মহার নিয়ন্ত্রণ, শিশুদের অন্যত্র স্থানান্তর ইদ্যাদি। ৭ নম্বর ধারায় ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’-এ যেসব ‘অপরাধ’ ও অপরাধের ধরন উল্লেখ করা হয়েছে, তা হচ্ছে খুন (Murder), পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস করা বা বিনাশ সাধন (Extermination), দাসত্ব (Enslavement), জোরপূর্বক বিতাড়ন (Deportation), অত্যাচার (Torture), ধর্ষণ (Rape), যৌন দাসত্ব (Sexual Slavery), বর্ণবাদী নীতি (Apartheid) ইত্যাদি। ‘যুদ্ধাপরাধ’ (৮ নম্বর ধারা) ধারায় যেসব অপরাধের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সুপরিকল্পিত হত্যা (Willful Killing), অত্যাচার (Torture), অমানবিক আচরণ (Inhumane treatment), বিচার অস্বীকার করা (Denying a fair trail), আইন বহির্ভূতভাবে বিতাড়ন (Unlawful deportation), সম্পত্তি ধ্বংস করা (Destruction of Property) ইত্যাদি। এখন জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনের দিকে যদি তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে তারা মিয়ানমারে তাতমাদোররা (মিয়ানমার সেনাবাহিনীর স্থানীয় নাম) যেসব ‘অপরাধ’ সংঘটিত করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে, সেসব ‘অপরাধ’ আইসিসি আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেমন—প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নির্বিচারে হত্যা, নারীদের গণধর্ষণ, শিশুদের হত্যা এবং পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়ে কখনোই সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করা যায় না। হত্যা, ধর্ষণ, শিশু হত্যা, রোহিঙ্গাদের নিজ গ্রাম থেকে উচ্ছেদ ইত্যাদি ‘অপরাধ’ আইসিসির ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষস্থানীয় জেনারেলদের অভিযুক্ত করে তাঁদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর সুপারিশ করেছে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। প্রশ্নটা এখানেই। নিরাপত্তা পরিষদ এ ধরনের বিচারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আইসিসি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করতে পারবে কি? এরই মধ্যে মিয়ানমার সরকার আইসিসির এই উদ্যোগকে নাকচ করে দিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বিচারের এখতিয়ার আইসিসির নেই বলে অভিমত দিয়েছেন। অতীতে আমরা দেখেছি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এ ধরনের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবেক যুগোস্লাভিয়া, রুয়ান্ডা, কেনিয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছিল। গত ২৯ আগস্ট সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসসহ আরো কয়েকটি দেশ রোহিঙ্গাদের গণহত্যার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় জেনারেলদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু চীন ও রাশিয়ার ভেটোর কারণে নিরাপত্তা পরিষদ এ ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। এখন আদালতের এই রায়ের ফলে বিচারের পথ প্রশস্ত হলো। এর আগেও মিয়ানমার জানিয়েছিল আইসিসির কোনো অধিকার নেই মিয়ানমারের নাগরিকদের বিচার করার। এখন আইসিসির প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-১ যে রায় দিয়েছে, তাতে বিচারকরা বলেছেন, তাঁরা রাখাইনে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার ক্ষমতা রাখেন। এখানে বলা ভালো, বিশ্বের ১৩৯টি দেশ রোম স্ট্যাটিটিউটে স্বাক্ষর করেছিল। এবং ১১৮টি দেশ এরই মধ্যে তা অনুমোদনও করেছে। বাংলাদেশ রোম স্ট্যাটিটিউটে স্বাক্ষরকারী দেশ ও এরই মধ্যে আমরা এটি অনুমোদনও করেছি। কিন্তু বড় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, এমনকি ভারতও রোম স্ট্যাটিটিউটে স্বাক্ষর করেনি। এটি ১৯৯৮ সালের ১২ জুলাই গ্রহণ করা হয়েছিল এবং ২০০২ সালের ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। সুদান রোম স্ট্যাটিটিউটে স্বাক্ষর করেনি। কিন্তু দারফুরের গণহত্যার অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত করে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বসিরের বিচার করেছিল আইসিসি। কিন্তু আইসিসি কখনোই ওমর আল বসিরকে বিচারের জন্য হেগের ডিটেনশন সেন্টারে রাখতে পারেনি। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্র অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইসিসির আদালতের হাতে তুলে দেবে। কিন্তু সুদান সেটা করেনি। ফলে ওমর আল বসিরের বিচার হলেও তিনি দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাও সম্ভব হয়নি। তবে স্রেব্রেনিচা গণহত্যার জন্য আদালত যখন বসে তখন সার্বিয়া (যুগোস্লাভিয়া রাষ্ট্রের অবলুপ্তি ঘটিয়ে সার্বিয়া হিসেবে দেশটি আত্মপ্রকাশ করে) বসনিয়ার কসাই রাটকো ম্লাদিককে আদালতের হাতে তুলে দিয়েছিল।
আইসিসি বর্তমানে বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আইভরি কোস্ট, দারফুর, কঙ্গো, জর্জিয়া, কেনিয়া, লিবিয়া, মালি ও উগান্ডায় যে ধরনের যুদ্ধাপরাধ হয়েছে তার বিচার করছে। এর বাইরে আফগানিস্তান, কলম্বো, গ্যাবন, গিয়েনা, ইরাক, নাইজেরিয়া, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন, কমোবোস, গ্রিস, কম্বোডিয়া, ইউক্রেন ও ভেনিজুয়েলায় যেসব ‘অপরাধ’ সংঘটিত হয়েছে তার তদন্ত করছে। কোর্ট এরই মধ্যে ৪২ ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে, যাদের সবাই একেকজন যুদ্ধবাজ নেতা। বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে আফ্রিকায় জাতিগত দ্বন্দ্বের রেশ ধরে এসব যুদ্ধবাজ নেতা যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছেন। কোর্টের (হেগে) ডিটেনশন সেন্টারে আটজন যুদ্ধবাজ নেতা বিচারের অপেক্ষায় আছেন। ১২ জন যুদ্ধবাজ নেতা, যাঁদের শাস্তি হয়েছে তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিছু রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছিল। যেমন—কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট কেনিয়াত্তা। তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ছিল। তাঁকে বিচারের জন্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে ডাকাও হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। পরে তদন্তের পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
আইসিসি কোনো যুদ্ধবাজের বিরুদ্ধে বিচারের সিদ্ধান্ত নিলে ১০টি স্টেজে এই বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। ১৮ বছরের নিচে বয়সের কোনো অপরাধীর আইসিসি বিচার করে না। প্রথমে অনুসন্ধান চালানো হয়, প্রসিকিউটররা প্রচুর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। যিনি অভিযুক্ত, তাঁকে নির্দোষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং একমাত্র সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলেই তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। একমাত্র প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযুক্ত হলেই বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। প্রাথমিক বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলেও দোষী ব্যক্তি আপিল করার সুযোগ পান। ফলে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে বিচার করা একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এখন আইসিসি মিয়ানমারের যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কাজটি খুব সহজ হবে না। পাঁচ-ছয়জন শীর্ষস্থানীয় জেনারেল এরই মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রধান ও মিয়ানমারের অত্যন্ত ক্ষমতাধর ব্যক্তি সিনিয়র জেনারেল মিন আউং সাইয়ংও রয়েছেন। ২০১৭ সালের মার্চে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন রাখাইনে গণহত্যার বিষয়টি তলিয়ে দেখার জন্য ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমানের নেতৃত্বে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিল। কমিটি গত ২৬ আগস্ট জেনেভায় তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটি জেনারেল সাইয়ংকে পদত্যাগেরও আহ্বান জানায়। কমিটি অলিখিত সরকার প্রধান অং সান সু চিকেও তিরস্কার করে। এখন অভিযুক্ত জেনারেলদের আইসিসির বিচারের মুখোমুখি কতটুকু করা যাবে, সে প্রশ্ন থাকলই। উপরন্তু মিয়ানমার আইসিসির তদন্তদলকে মিয়ানমারের রাখাইনে যেতে দেবে কি না কিংবা রাখাইনে ২৫ আগস্টের (২০১৭) সহিংসতার প্রমাণ সেখানে কতটুকু দেখতে পাবে, সে প্রশ্ন আছে। ফলে যুদ্ধবাজদের বিচার শেষ পর্যন্ত হবে—তাতে আমি পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছি না। ভুলে গেলে চলবে না, মিয়ানমার হচ্ছে সেই দেশ, যে দেশটি একসময় জাতিসংঘ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল; যদিও আইসিসি জাতিসংঘের কোনো অঙ্গসংগঠন নয়। মিয়ানমার রোহিঙ্গা গণহত্যা প্রশ্নে আইসিসিকে সহযোগিতা না-ও করতে পারে। এর পরও আইসিসির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট।
Daily Kaler Kontho
20.09.2018

0 comments:

Post a Comment