রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কিশোরদের আন্দোলনের পর পরিবর্তন এসেছে কতটুকু?


২৯ জুলাই ঢাকার শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব আর মিমের মৃত্যুর পর পাঁচ সপ্তাহ পার হয়েছে। তরুণ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু সারা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পর কিশোররা স্কুল-কলেজে ফিরে গিয়েছিল। ওরা আস্থা রেখেছিল সড়কে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু গেল পাঁচ সপ্তাহের পরিস্থিতি আমাদের কী বলে? গেল পাঁচ সপ্তাহে এমন একটা দিনও পার হয়নি, যেদিন সড়কে মানুষ মারা না গেছে। আর ঢাকা শহর? ঢাকা শহর ফিরে গেছে আগের বিত্তে? ঢাকঢোল পিটিয়ে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা শহরের পরিস্থিতির কি এতটুকু উন্নতি হয়েছে? সেই রংচটা, ভাঙা, বেকলাইট না থাকা, সড়কে টেম্পোচালকদের দৌরাত্ম্যÑ সবই ফিরে এসেছে। প্রায়ই পুলিশি অভিযান চলছে। ‘মোবাইল কোর্ট’ হচ্ছে। মোবাইল কোর্টে পাওয়া যাচ্ছে অনেক ড্রাইভারকে যাদের বৈধ লাইসেন্স নেই। গাড়ির রুট পারমিট নেই। যে গাড়িগুলো অ্যাক্সিডেন্ট করছে, সেগুলো রং পরিবর্তন করে অন্য নামে চলছে। সংবাদপত্রগুলো, টিভি-ক্যামেরা আমাদের সে ছবি দেখাচ্ছে। আমরা শুধু তা দেখছি। আর ভাবছিÑ কিশোররা আন্দোলন করল। ওদের শরীর থেকে রক্ত ঝরল। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিলেন। কিন্তু কোনো পরিবর্তনই দৃশ্যমান নয়। পরিস্থিতি যা ছিল, তা-ই আছে। ২৯ জুলাইয়ের পর সড়কে যেসব ‘হত্যাকা-’ সংঘটিত হয়েছে, তার মাঝে অন্তত চারটি ঘটনার কথা আমি উল্লেখ করতে পারব, যা সাধারণ মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। একটি ঘটনা কুষ্টিয়ায়। ছোট শিশু আকিফাকে নিয়ে মা রিনা খাতুন একটি বাসের পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। বাসে থাকা ড্রাইভার তা দেখলেন। তারপরও অপেক্ষা না করে চালিয়ে দিলেন বাসটি। মুহূর্তের মাঝে মা ছিটকে পড়লেন। ছোট আকিফা পড়ে গেল। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেল আকিফা। ১ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার আমাদের জানালেন, ঘাকতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অর্থাৎ ঘাতক পালিয়ে গেছে। দ্বিতীয় ঘটনা নাটোরে, সেখানে বাস-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান ১৫ জন। তৃতীয় ঘটনা চট্টগ্রামে। ঘটনাটি ২ সেপ্টেম্বরের। বাসচালকের সহকারী একজন যাত্রীকে বাস থেকে ফেলে দিল, তারপর তার ওপর দিয়ে বাসটি চালিয়ে দিল। ওই যাত্রীর মৃত্যুর পরই জানা গেল লুসাই পরিবহনের প্রায় ১০০ বাসের কোনো রুট পারমিট নেই। রুট পারমিট ছাড়াই তারা বছরের পর বছর চট্টগ্রামে চলাফেরা করছে। চতুর্থ ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। ঘটনাটি ২ সেপ্টেম্বরের। খোদ একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পিষে হত্যা করল একজন বাসচালক। ওই পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ঈগল পরিবহনের একটি বাস জব্দ করে থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। ‘প্রতিশোধপরায়ণ বাসচালক তার সামনে থাকা মোটরসাইকেলের আরোহী এসআই উত্তমকে চাপা দেয়। আর তাতে পিষ্ট হয়ে তৎক্ষণাৎ মারা যান উত্তম। গেল পাঁচ সপ্তাহে এ রকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। এর অর্থ কী? আমরা ২৯ জুলাইয়ের ঘটনার পর এতটুকুও সচেতন হইনি। একজন পুলিশ কর্মকর্তা যদি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ‘মাস্তান’ বাসচালকের দ্বারা নিহত হন এবং তার যদি ‘হত্যাকা-ের’ অভিযোগে বিচার না হয়, তাহলে প্রস্তাবিত সড়ক আইনও আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না।
প্রস্তাবিত সড়ক আইন আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। ‘গরু-ছাগল চিহ্নিত করতে পারা’ চালকদের আষ্টম শ্রেণি পাস ও সহকারীর পঞ্চম শ্রেণি পাস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে সমস্যা হবে অনেক। ভুয়া অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেটে সয়লাব হয়ে যাবে দেশ। নীলক্ষেতের বাকুশা মার্কেট এখন পরিণত হবে ‘সার্টিফিকেট উৎপাদন’ কেন্দ্রে! এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করব কীভাবে? এখানে একটা ‘ক্লজ’ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং ভুল তথ্যের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। সহকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করা হয়েছে; কিন্তু আমরা ভুলে যাই, এ সহকারীরাই পরে বাস চালক হয়। তাহলে? ওই পঞ্চম শ্রেণি পাস নিয়েই তো সে বাসচালক হচ্ছে! এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ জরুরি। প্রতিটি চালককে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এর ব্যবস্থা করবেন মালিকরা। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করতে হবে প্রতিটি উপজেলায়। প্রতিটি উপজেলায় যে কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে, তা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না। এজন্য মালিক ও ড্রাইভারের শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। বেসরকারি সংস্থাকে প্রয়োজনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঢাকার বিআরটিএ নিয়ে অভিযোগ স্বয়ং যোগাযোগমন্ত্রীর। এলাকা ভিত্তিতে ঢাকায় আরও ন্যূনতম ১০টি বিঅরটিএ’র শাখা গঠন করা প্রয়োজন। এটা যুগের চাহিদা। ফিটনেস মেশিনের পরিবর্তে ব্যক্তিনির্ভর। যেখানে ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকে, সেখানে দুর্নীতি হবেই! সুতরাং গাড়ি ফিটনেস মেশিন দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাবিত সড়ক আইনের একটা বড় ত্রুটি হচ্ছে এর শাস্তির বিধান। বলা হয়েছে, ‘দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তির আহত বা প্রাণহানি ঘটলে এ সংক্রান্ত অপরাধ পেনাল কোডের ৩০২, ৩০৪ ধারা অনুযায়ী অপরাধ বলে গণ্য হবে।’ এর শাস্তি মৃত্যুদ-! এখানে একটা শুভঙ্করে ফাঁকি রয়েছে। যে কোনো দুর্ঘটনায় ‘অপরাধ’ সংঘটিত হয়েছে কিনা, তা কে নির্ধারণ করবে? কোন প্রক্রিয়ায় তা নির্ধারিত হবে? একজন পুলিশ পরিদর্শক যখন এর ‘তদন্ত’ করবেন, তার ওপর কি আস্থা রাখা যাবে? তাই দুর্ঘটনায় হত্যাকা-ে আদৌ কোনো চালককে মৃত্যুদ-াদেশ দেওয়া যাবে কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই গেল। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর (আগে ছিল ৩ বছর) করা হয়েছে। এটা যথেষ্ট নয়। তার লাইসেন্স বাতিলের কথাও বলা হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মিম ও রাজীবের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছেন। নিহত পরিবারের জন্য এ অর্থ তাদের সাহায্য করবে সন্দেহ নেই; কিন্তু যা প্রয়োজন ছিল তা হচ্ছে মালিকদের বাধ্য করা এ টাকা দিতে। চালকদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, চালকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। কিন্তু আমরা দেখলাম, গাড়িগুলো চলছে আগের মতোই! রুটে গাড়িপ্রতি মালিকরা অর্থ নির্ধারণ করে দেন। এটা বন্ধ না হলে প্রতিযোগিতা থাকবেই। একটি শক্তিশালী চক্র এ পরিবহন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকার অসহায়। এরাই মালিক। এরাই আবার শ্রমিক। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা এরা চাঁদা তোলে। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরা এর সঙ্গে জড়িত। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাপারে (যা আন্দোলনকে উসকে দিয়েছিল) তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। হয়তো আগামী দিনে প্রমাণিত হবে ওই মন্ত্রী সরকারের জন্য ‘বোঝা’ না আশীর্বাদ। মানুষ এটা বোঝে একসঙ্গে মালিক ও শ্রমিক নেতা হওয়া যায় না। শ্রমিক নেতা, আবার মন্ত্রীও এটা বোধকরি বাংলাদেশেই সম্ভব!
শিশু-কিশোররা সমাজকে একটা বড় ‘ধাক্কা’ দিয়ে স্কুল-কলেজে ফিরে গিয়েছিল। কিন্তু এর রেশ তো থাকবেই। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শেষের দিকে ‘ছিনতাই’ হয়ে গিয়েছিল। এটাও একটা ‘শিক্ষা’। আন্দোলন ‘রক্তাক্ত’ হয়েছিলÑ সুস্থ আন্দোলনের জন্য এটা কোনো ভালো খবর ছিল না। তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ‘হত্যাকা-ের’ পরও সমাজ জেগেছিল। মানুষ প্রতিবাদী হয়েছিল। তারপর? এ সমাজ কি ওই বাসচালককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পেরেছিল? না পারেনি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, ওই ঘাতক চালক এখন হয়তো আবারও গাড়ি চালাচ্ছে। একটা মৃত্যু ঘটে, সাময়িকভাবে আমরা জেগে ওঠি, তারপর ভুলে যাই। মিম ও রাজীবের ‘হত্যাকা-’Ñ ছোট ছোট বাচ্চারা জেগে উঠেছিল, সমাজের ভিতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু পাঁচ সপ্তাহ পর এর মূল্যায়ন আমরা কীভাবে করব? প্রভাবশালী ও স্বার্থান্বেষী মহলের ‘নিয়ন্ত্রণ’ থেকে যদি সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ‘মুক্ত’ করা না যায়, তাহলে এ ধরনের মৃত্যু আমরা বারবার প্রত্যক্ষ করতে থাকব! এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পুলিশ এ সেপ্টেম্বরে মাসব্যাপী সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে ৪ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। তাতে তিনি কতগুলো নির্দেশনা দেন। এর মাঝে রয়েছেÑ ১. হেলমেট না থাকলে তেল নয় মোটরসাইকেলে, ২. প্রধান সড়কগুলোতে লেগুনা চলবে না, ৩. বাসস্টপ নির্ধারণের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ, ৪. গাড়িতে অবৈধ পতাকা ব্যবহার করা যাবে না, ৫. মোটরসাইকেলে তিনজন বসা যাবে না, ৬. ফুটওভার ব্যবহার করা, ৭. নিবন্ধন নেই, এমন রিকশা চলবে না ইত্যাদি। ডিএমপি কমিশনারের এ কথাগুলো শুনতে ভালোই শোনায়। তার সংবাদ সম্মেলনের পর দিন, একটি সংবাদপত্র (যায়যায়দিন ৫ সেপ্টেম্বর) একটি ছবি ছাপল, তাতে দেখা যাচ্ছে, খোদ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা (হেলমেট ছাড়া এবং একসঙ্গে তিনজন) হোন্ডা চালাচ্ছেন। তাহলে এ সদস্যদের বিরুদ্ধে কি ডিএমপি কমিশনার ব্যবস্থা নেবেন? তিনি যদি এদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করেন, আমার বিশ্বাস তার ওপর আস্থা বেড়ে যাবে। তিনি লেগুনা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাসের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। লাইসেন্স ছাড়া রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতিটি সিদ্ধান্ত ভালো। আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত কি তিনি পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারবেন? লেগুনার মালিকরা সরকারি দলের নেতাকর্মী। অনেক লেগুনার ফিটনেস নেই। নিবন্ধন নেই। ড্রাইভারদের কারও কারও লাইসেন্স নেই। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কি সম্ভব হবে? অবৈধ রিকশায় ঢাকা সয়লাব। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় নেতারা। এগুলো কি বন্ধ করা যাবে? ইদানীংকালে তো দেখছি, রিকশা অবাধে চলছে প্রধান সড়কে। ডিএমপি কমিশনার নিশ্চয়ই জানেন, তাদের অনুমতি দেয় কে?
আর একটা কথা। সন্ধ্যা হলেই প্রধান সড়কে দূরপাল্লার সব বাস এসে লাইন করে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রী নেওয়ার জন্য। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উল্টো দিকে রাস্তায় পার্ক করা থাকে গাড়ি। আগে এ গাড়িগুলো থাকত গাবতলীতে। ছোট গাড়িতে করে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হতো গাবতলীতে। এখন রাত ৮টার পরই শ্যামলী ও তার আশপাশের এলাকায় শত শত গাড়ি এসে পার্ক করে। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। অথচ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হওয়ায় এটা ‘নিরাপত্তা এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত। এখানে গাড়ি পার্ক করা থাকে কীভাবে?
মিম ও রাজীবের মৃত্যুর পরও মানুষ এতটুকু সচেতন হয়নি। এখন ‘সচেতনতামূলক মাস’ পালন করে কি আমরা সড়কে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারব? সড়কের ডিবাইডারগুলোতে উঁচু করে স্থাপনা নির্মাণ করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষ রাস্তা পারাপার হতে না পারে। প্রতিটি স্পষ্টে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। পুলিশ শক্ত অবস্থান নিক। নিয়মের মধ্যে আসুক সবকিছু। তাতেই আসবে ‘সচেতনতামূলক মাসের’ স্বার্থকতা।
Daily Alokito Bangladesh
09.09.2018

0 comments:

Post a Comment