ভারতের আসাম রাজ্যের এনআরসি বা
ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস আমাদের জন্য কতটা উদ্বেগের কারণ? এনআরসি
হচ্ছে নাগরিক তালিকা। অর্থাৎ আসামে বসবাসকারী নাগরিকদের মাঝে কারা ভারতীয়
নাগরিক তার একটি তালিকা করেছে আসাম রাজ্য সরকার। প্রথম একটি তালিকা তৈরি
করা হয় গেল বছর। তখন ৪০ লাখ মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল এরা
ভারতীয় নাগরিক নয়। পরবর্তীতে ৩১ আগস্ট এই তালিকা সংশোধন করে ১৯ লাখ ৬
হাজার ৬৫৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে চ‚ড়ান্তভাবে। যারা ভারতীয় নাগরিক নয়।
এনআরসি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এ কারণে যে, নাগরিক তালিকায় বাদ পড়া অনেকেই
মুসলমান। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ ওই তালিকায় থাকলেও শেষ অবধি
হয়তো তারা নাগরিকত্ব তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আমাদের উদ্বেগের কারণ
হচ্ছেÑ বাদ পড়া মানুষদের বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বলা
হচ্ছে, এসব নাগরিক ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর ভারতে গিয়ে সেখানে বসবাস করে
আসছে। এদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, এমন একটা শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
শঙ্কাটা তৈরি হয়েছে অনেকগুলো কারণের জন্য। প্রথমত, অত্যন্ত ক্ষমতাধর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপির সিনিয়র নেতারা এবং আসামের অর্থমন্ত্রীর কথায় একটা ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, এই ১৯ লাখ নাগরিকের মাঝে একটা বড় অংশকে ভারত বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ করতে পারে। এদেরকে ইতোমধ্যে অবৈধ বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে ভারতের নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এবং এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ করে গেছেন। এখন বাংলাদেশ বিষয়টিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরপর ভারতে এই ইস্যু নিয়ে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশবিরোধী প্রপাগান্ডা অব্যাহত থাকলেও, বাংলাদেশ এর কোনো প্রতিবাদ করেনি। এমনকি আসামের অর্থমন্ত্রী ও বিজেপির শীর্ষ নেতা হেমন্ত শর্মা যখন বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলা হবে, তখন এর কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি। ফলে স্পষ্টতই সংকটের মাত্রা বেড়েছে। বাংলাদেশ যখন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে, ঠিক তখনই আসামের মুসলমানদের নিয়ে দ্বিতীয় আরেকটি রোহিঙ্গার মতো সমস্যার জন্ম হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এনআরসি প্রকারন্তরে ভারতীয় সংবিধানের (গৃহীত ৪ নভেম্বর ১৯৪৯) প্রস্তাবনার পরিপন্থি। এই প্রস্তাবনা ভারতীয় সংবিধানের অংশ। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে, যা কি না ভারতীয় সংবিধানের মূল ভিত্তি। এগুলো হচ্ছেÑ ন্যায়পরায়ণতা, স্বাধীনতা, সমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ। জাত, পাত, ধর্ম কাউকে আলাদা করতে পারবে না সমতার এটাই কথা। কিন্তু এখন এনআরসি করে ১৯ লাখ মানুষকে আলাদা করা হলো। সংবিধানে যে ‘ভ্রাতৃত্ববোধের’ কথা কিংবা ন্যায়পরায়ণতার যে কথা বলা হয়েছে, এটাও তার পরিপন্থি। এই এনআরসি এখন মুসলমানবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। যদিও এটা সত্য, এই বাদ পড়া নাগরিকত্বের তালিকায় অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকও রয়েছে। কিন্তু চ‚ড়ান্ত বিচারে (প্রায় এক হাজার আপিল ট্রাইব্যুনাল করা হয়েছে) এর মাধ্যমে হিন্দুরা তাদের নাগরিকত্ব ফেরত পেতে পারে। কেননা লোকসভায় ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (যা ১৯৫৫ সালের নাগরিক আইনের সংশোধনী, প্রতিস্থাপিত হবে) উত্থাপিত হয়েছে, তাতে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব পাবার সুযোগ করে দিলেও তাতে সুনির্দিষ্টভাবে মুসলমানদের বাদ রাখা হয়েছে। এই প্রস্তাবিত সংশোধনী বলে আসামের হিন্দুরা সেখানে নাগরিকত্ব পাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভা নির্বাচনের (২০১৯) আগে ও পরে একাধিকবার বলেছেন হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। চ‚ড়ান্ত বিচারে তাই মুসলমানরা বড় বিপদে পড়বে। ভারতে বিজেপি সরকার ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন হয়ে নরেন্দ্র মোদি যে ‘হিন্দুত্ববাদী’ নীতির সূচনা করেছেন, তারই ফলে হচ্ছে তথাকথিত এই নাগরিকপঞ্জি। এই নাগরিকপঞ্জি ১৯৮৫ সালে ত্রিপক্ষীয় যে সমঝোতা হয়েছিল (কেন্দ্র, আসাম সরকার ও আসাম ছাত্র ফেডারেশন) তারও পরিপন্থি। ওই সমঝোতায় একটি স্টাটাস কো’র কথা বলা হয়েছিল। সেখানকার কোনো সংবাদপত্রে নাগরিকপঞ্জির এই তালিকা প্রকাশকে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর কর্মকার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সময়ে জার্মানিতে বসবাসরত ৬০ লাখ ইহুদি নাগরিককে বিভিন্ন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে পোল্যান্ড সফরের সময় আমার সুযোগ হয়েছিল এসব ক্যাম্প দেখার। মোদি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন হয়ে পুরো ভারতবর্ষের চেহারা এখন বদলে দিতে চাচ্ছেন। কাশ্মিরের সনাতন চিত্র বদলে দিয়েছেন মোদি-অমিত শাহ জুটি। সংবিধানে কাশ্মিরে যে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল, তা এখন বাতিল হয়েছে। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নির্যাতনের খবর সারা বিশে^র মিডিয়ায় ছাপা হয়েছে। মোদি সরকার কাশ্মিরিদের নৃ-তাত্তি¡ক বৈশিষ্ট্য বদলে দিতে চাচ্ছেন। তথাকথিত উন্নয়নের নামে কাশ্মির এখন পরিণত হতে যাচ্ছে ভারতের পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এখানকার জমি কেনার হিড়িক পড়েছে গুজরাটি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কাশ্মিরের পরিস্থিতি উন্নত হবার আগেই এলো আসামের এনআরসি। এ সিদ্ধান্ত ২০১৯ সালেই নেওয়া হয়েছে, এটা ভাবলে ভুল হবে। অত্যন্ত সুকৌশলে ধীরে ধীরে মোদি সরকার এদিকে এগিয়েছে। এ নিয়ে খোদ ভারতবর্ষে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করলেও এই নাগরিকপঞ্জির হিসাব পুরোটাই রাজনৈতিক। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা। মুসলমানদের জন্য ভারতবর্ষ নয়। যে ভারতকে সারা বিশে^র মানুষ দেখে আসছে একটি গণতান্ত্রিক, উদার রাজনৈতিক মানবতাবাদী একটি দেশ হিসেবে, সেই ভারত কি না এখন পরিণত হতে যাচ্ছে কট্টরপন্থি একটি হিন্দু রাষ্ট্রে! এটা তো এক ধরনের ‘এথনিক ক্লিনসিং,’ জাতিগত উচ্ছেদ। কাশ্মির থেকে আসামÑ মিল এক জায়গায়। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করা। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো জানিয়ে দিয়েছেন ‘বাংলাদেশি হিন্দুরা স্বাগত, অনুপ্রবেশকারী মুসলমাদের ঠাঁই নেই। মুসলমানরা কোনো রেয়াত পাবে না।’ আর অত্যন্ত ক্ষমতাধর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো প্রকাশ্যেই ঘোষণা করলেন ‘ভারতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান শরণার্থীদের সবাই নাগরিকত্ব পাবে, শুধু মুসলমান বাদে।’ এগুলো ক্লিয়ার মেসেজ আসামে এআরসিতে যেসব হিন্দু বাদ পড়েছে, তারা বিশেষ বিবেচনায় সেখনকার নাগিরকত্ব পাবে। পাবে না শুধু মুসলমানরা! কী ভয়ঙ্কর কথা? ভারতের মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ‘এথনিক ক্লিনসিং’! এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ১৯৯২ সালে সাবেক যুগোসøাভিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়া ও পরবর্তীতে স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্র বসনিয়া-হারজেগোভিনার কথা। ওই সময় সেব্রেনিচকা নামক একটি শহরের গণহত্যার খবর সারা বিশে^ আলোড়ন তুলেছিল। পরবর্তীতে অবশ্য এই গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার হয়েছিল। বলা ভালো, দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জাতিগত উচ্ছেদ অভিযানের দুটি খবর সারা বিশে^ আলোড়ন তুলেছিল বিংশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে। এর একটি ছিল সাবেক যুগোসøাভিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়া ও স্বাধীন হওয়া বসনিয়া-হারজেগোভিনায়, আর অপরটি আফ্রিকার রুয়ান্ডায়। বসনিয়ায় ‘বসনিকাস; (মুসলমানদের) নিজ বাসভ‚ম থেকে উচ্ছেদ আর গণহত্যার জন্য সার্বিয়ার সার্বদের (খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী) দায়ী করা হয়েছিল। পরে এদের কারও কারও বিচারও হয়েছিল। ১৯৯২-৯৫ সাল পর্যন্ত সার্বরা বসনিয়ায় গণহত্যা চালায়, যাতে প্রাণ হারিয়েছিল ১ লাখ মানুষ। সেব্রেনিচকার গণহত্যার কথা আজও মানুষ স্মরণ করে। সেব্রেনিচকায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সার্বীয় মিলিশিয়ারা হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। ‘কসাই’ হিসেবে পরিচিত মিলোসেভিচ কিংবা বারদোভান কারাদজিকের নাম ওই সময় বিশে^র গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছিল। প্রায় সমসাময়িক সময়ে আফ্রিকার রুয়ান্ডায় হুতু ও তুতসির মধ্যকার দ্ব›দ্ব (দুই উপজাতি) এবং এক উপজাতি কর্তৃক অন্য উপজাতির মানুষদের নির্মম হত্যাকার খবর সারা বিশে^র মানুষদের আহত করেছিল। ১৯৯৪ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসব হত্যাকা সংঘটিত হয়। এতে জড়িয়ে গিয়েছিল পাশাপাশি দুটি রাষ্ট্র রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডি। বলা হয়, ওই গণহত্যায় ৫-১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। মারা যাওয়া মানুষদের বেশিরভাগই ছিল তুতসি সম্প্রদায়ের। রুয়ান্ডায় হুতু সম্প্রদায়ের লোকজনের সংখ্যা ছিল বেশি, ৮৫ শতাংশ। অথচ তুতসি সম্প্রদায়ের মানুষ সংখ্যালঘু হয়েও রাজনীতিতে প্রভাব খাটাত। এরই প্রতিক্রিয়ায় ওই গণহত্যা সংঘটিত হয়। ওই গণহত্যার খবর তখন সারা বিশে^ আলোচিত হয়। বসনিয়ার মতো রুয়ান্ডার গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের অনেকেরই আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হয়েছে। এরপর বিশ^ এ ধরনের জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান প্রত্যক্ষ করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিগত উচ্ছেদ অভিযানে যোগ হলো দুটি নামÑ আরাকানের রোহিঙ্গা আর আসামের এনআরসিতে বাদ পড়া নাগরিকরা। উভয় ক্ষেত্রেই একটা মিল আছে। আরাকানের রোহিঙ্গারা মুসলমান আর আসামের বাদপড়া নাগরিকরাও মুসলমান। মিলটা আছে আরও এক জায়গায়। মিয়ানমারের এক ধরনের বৌদ্ধ উগ্রপন্থি রাজনীতির উত্থান ঘটেছে। পাঠক ভিথারু নামে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর নাম স্মরণ করতে পারেন। যাকে নিয়ে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ করেছিল, তার কথা। ভারতেও উত্থান ঘটেছে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির। আসামে যা হয়েছে যেকোনো আন্তর্জাতিক আইন তা সমর্থন করে না। যারা দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে সেখানে শাসন করে আসছে, আসামের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে, তারা তো ভারতের ‘ন্যাচারালাইজড সিটিজেন।’ সংবাদপত্রে খবর বের হয়েছে, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আহমেদ (১৯৭৪-৭৭), মুখ্যমন্ত্রী আনোয়ারা তৈমুর (১৯৮০-৮১), দুবারের বিধানসভার সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামও ওঠেনি নাগরিকপঞ্জিতে। মজার কাহিনি হচ্ছে, এই নাগরিকপঞ্জি তৈরির মূল টিমের যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন (আসাম-মেঘালয় থেকে আইএএস সদস্য), সেই প্রতিক হাজেলা, যিনি আসামের নাগরিক, তারও নাম ছিল না নাগরিকপঞ্জিতে। পরে আবেদন করে তিনি নাগরিকত্ব ফিরে পান। ফলে স্পষ্টতই এই নাগরিকপঞ্জি ত্রæটিযুক্ত। ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, অনেকের নাম বাদ গেছে। অনেকে পারিবারিক রেকর্ড সংরক্ষণ করে রাখতে পারেনি। অথচ তাদের সবারই ভোটার লিস্টে নাম আছে। রেশন কার্ড আছে। পরিস্থিতি এখন কোনদিকে যাবে বলা মুসকিল। কিন্তু কাশ্মিরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর আসামে ১৯ লাখ নাগরিকের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া একটি বড় সংকটের জন্ম দেবে এখন। ভারতের ঐক্যের জন্য এটা কোনো ভালো খবর নয়। এমনিতেই মোদি সরকার নানা সংকটে আছে। অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। জিডেপি প্রবৃদ্ধি নেমে গেছে ৬-এর নিচে। এখন কাশ্মির আর আসামের পরিস্থিতি ভারতের রাজনীতিকে একটি অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে গেল। |
15.09.2019
0 comments:
Post a Comment