ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত একটি সেমিনারে বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন গত ৩১ মার্চ। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া, ভারতের অশুল্ক বাধা, ভারতে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল দেখতে না পাওয়া ইত্যাদিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা রয়েছে। 'মহাজোট সরকারের তিন বছর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মন্দা মোকাবিলা ও আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক ওই সেমিনারে অর্থমন্ত্রী ও অর্থ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ড. সেন এ মন্তব্যটি করলেন (সমকাল, ১ এপ্রিল)। ড. সেনের মন্তব্যটি ছাপা হয়েছে এমন এক সময় যখন ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন করার ভারতের সুপ্রিমকোর্টের একটি রায়ের খবরও বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে যখন আমরা এক বড় ধরনের বিভ্রান্তিতে রয়েছি, যখন তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে গেছে; ঠিক তখনই ভারতের এই আন্তঃনদী সংযোগের বিষয়টি আমাদের একটি বড় ধরনের উৎকণ্ঠার মাঝে ঠেলে দিল। তাই বিনায়েক সেনের মতো একজন সিনিয়র গবেষক যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কথা বলেন, তখন তা ফেলে দেওয়া যায় না। এটাকে গুরুত্ব দিতে হয়। দীর্ঘদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দক্ষতা নিয়ে কথা হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দুজন উপদেষ্টা যখন মুখ্য ভূমিকা পালন করেন, তখন পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বিগত বছরে এ প্রশ্নটি বারবার উঠেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এর ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি, যিনি গত তিন বছরে সবচেয়ে বেশি দিন বিদেশে কাটিয়েছেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি খুব একটা সফল না হলেও, বিদেশ সফরে তিনি সফল হয়েছেন। সংখ্যার দিক থেকে যা একশ দিন অতিক্রম করেছে (২০১১) অনেক আগেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার শিশুসুলভ বালখিল্যতায় প্রটোকল উপেক্ষা করে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ছবি তুলে ও অটোগ্রাফ সংগ্রহ করে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা সমৃদ্ধি করতে পারলেও (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৪ নভেম্বর) গত তিন বছরে তিনি বাংলাদেশের জন্য খুব একটা সাফল্য বয়ে আনতে পারেননি। গেল বছরের প্রায় শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক (গত সেপ্টেম্বরে) প্রস্তাবিত জনগণের ক্ষমতায়ন মডেল সংক্রান্ত 'জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন' শীর্ষক রেজুল্যুশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ায় বাংলাদেশের গুরুত্বকে আরো স্পষ্ট করেছিলেন। কিন্তু ভারতমুখী পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সব অর্জনকে মস্নান করে দিয়েছে। মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় যে উন্নয়ন ও সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। ওই চুক্তিতে যে 'ভাষা' ব্যবহার করা হয়েছ, তাতে করে ভারতীয় স্বার্থই রক্ষিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি। গত তিন বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে পাল্লাটা ভারতের দিকে ঝুঁকে গেছে, বাংলাদেশের প্রাপ্তিটা তুলনামূলকভাবে কম। বাংলাদেশ তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা হলেও (৪৮ঃ৫২ ভাগ), মমতার আপত্তির কারণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করা হবে না এবং সেখানে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশকে তা জানানো হবে_ এ ধরনের প্রতিশ্রুতি ভারত দিলেও, ভারত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। ভারতে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি গত ২২ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ এ ব্যাপারে তার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। টিপাইমুখ বাঁধ ও ফুলেরতল ব্যারাজ কার্যকর হলে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল পানিশূন্য হয়ে পড়বে ও এ অঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ভারতের অনুকূলে। ঘাটতি বাড়ছে। ভারত অতি সম্প্রতি ৪৬টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের কথা বললেও, তা দিয়ে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যাবে না। স্পর্শকাতর তালিকা বাদ কিংবা সাফটা চুক্তি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা, তাও আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। ছিটমহল বিনিময় নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে, তাতেও অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। স্বাধীনতার পরপরই বেরুবাড়ি আমরা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিন বিঘা আমরা পাইনি। সমুদ্র সীমানা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিবাদ (ভারত বাংলাদেশের সীমানার ৮নং বস্নকে ৩১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা দাবি করেছে। ৪নং বস্নকেরও দাবি ভারতের) দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সমাধান হয়নি। এখন আমরা গেছি আরবিট্রেশনে। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হলেও, দেখা গেছে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অর্জন কম; কিন্তু ভারতের প্রাপ্তি অনেক বেশি। পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি এক ধরনের ঝুঁকে পড়ার প্রবণতাও আমরা লক্ষ্য করি। তবে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে চীন সফর করে এই দুই নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে পররাষ্ট্রনীতিতে এক ধরনের ব্যালেন্স বা ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। চীন সফরের সময় তিনি কুনমিং-কক্সবাজার সড়ক ও বাংলাদেশে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। চীন এ ব্যাপারে আগ্রহও দেখিয়েছে। কুনমিং-কক্সবাজার মহাসড়ক নির্মিত হলে, তা এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এর ফলে আগামীতে আমরা সড়ক পথেই যে শুধু চীনে যেতে পারব তা নয়, বরং চীন তার ইউনান প্রদেশের পণ্য রফতানিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরও ব্যবহার করতে পারবে। চীন বড় অর্থনীতির দেশ। আমাদের জন্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা জরুরি। এখন দেখতে হবে ভারত-বাংলাদেশ পরিবর্তিত সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে চীনকে সার্কের সদস্যপদ দেয়ার আহ্বান জানান হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রস্তাবটি সমর্থন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সার্কের নাম পরিবর্তন করতে হবে। চীন বর্তমানে সার্কের পর্যবেক্ষক। গেল বছর মালদ্বীপের আদ্দু সিটিতে ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ভুটান, ভারত, নেপাল ও চীনকে নিয়ে 'গঙ্গা নদী অববাহিকা সংস্থা' ও 'ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকা সংস্থা' গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। অভিন্ন সমস্যা ভারতের আচরণ নিয়ে। কেননা এ অঞ্চলে বিপুল জ্বালানি সম্পদের (জলবিদ্যুৎ) সম্ভাবনা থাকলেও, ভারত দ্বিপাক্ষিক আলোকে এর সমাধান করছে। আর বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করে। ফলে বাংলাদেশ যে বহুপাক্ষিকতার প্রস্তাব করেছে, তা কাগজ-কলমে থেকে যেতে পারে। ২৬ বছরে পা দিয়েও সার্কের কর্মকা- তেমন আশাব্যাঞ্চক নয়। একসময় চীন এ অঞ্চলের দেশগুলোর সমন্বয়ে ২০০১ সালে 'কুনমিং উদ্যোগ'-এর কথা বলেছিল। কিন্তু ভারত তাতে সায় দেয়নি। ভারত চাচ্ছে 'মেকং-গঙ্গা সহযোগিতা', যা 'কুনমিং উদ্যোগ' এর বিকল্প। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে বড় ধরনের উত্থান-পতন হচ্ছে। এর ঢেউ এসে বাংলাদেশেও লাগছে। ইউরোপ আমাদের তৈরি পোশাকের একটি বড় বাজার। কিন্তু ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের পোশাক শিল্পে আঘাত হেনেছে। রফতানিতে ধস নেমেছে। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের নতুন নতুন বাজার সন্ধান করতে হবে এবং সেই আলোকে পররাষ্ট্রনীতি নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। আসিয়ান একটি বড় বাজার। ভারত চেষ্টা করছে আসিয়ানের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে। বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ এগিয়ে তারা এখন আসিয়ানের 'ডায়ালগ পার্টনার' (বাংলাদেশ আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের সদস্য)। বাংলাদেশকে এখন আসিয়ানের সমদস্য পদ পেতে উদ্যোগী হতে হবে। সেই সঙ্গে সার্ক ও আসিয়ানের মাঝে সম্পর্ক কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে প্রচেষ্টাও চালাতে হবে। জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই। সনাতন দেশগুলোতেই রফতানির বাজার আমরা খুঁজছি। গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য কোনো নতুন বাজার আমরা খুঁজে পাইনি। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে এই বিষয়টির ওপর এখন গুরুত্ব দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। ঝুঁকির মুখে যে কটি দেশ রয়েছে, তার মাঝে বাংলাদেশ অন্যতম। নভেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল 'ক্লাইমেট ভলনারেবল ফোরাম' (সিভিএফ) এর তৃতীয় সম্মেলন। সম্মেলন শেষে ১৪ নভেম্বর ১৪ দফা ঢাকা ঘোষণা গৃহীত হয়েছিল। ওই ১৪ দফায় বিদেশ থেকে অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে অর্থপ্রাপ্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা, বিশেষ করে 'আইলা' ও 'সিডর'-পরবর্তী মানুষগুলোর দুরবস্থা বিশ্ব আসরে তুলে ধরা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কতটুকু সফল, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। পররাষ্ট্রনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। ডারবান কপ-১৭ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য কোনো আশার সংবাদ বয়ে আনেনি। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থটাই হল প্রধান। এই জাতীয় স্বার্থ সব সময় রক্ষিত হয়েছে, তা বলা যাবে না। মহাজোট সরকারের সময় গত তিন বছরে জাতীয় রক্ষা কতটুকু রক্ষিত হয়েছে, তা নিয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ, জ্বালানি, বিদেশে কর্মসংস্থান ইত্যাদি 'অপ্রচলিত ধারণা' এখন বৈদেশিক নীতিতে প্রভাব ফেলছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তাই ২০২১ সালকে সামনে রেখে (যখন বাংলাদেশের বয়স দাঁড়াবে ৫০ বছর) বাংলাদেশকে তার সনাতন পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আর শুরুটা করতে হবে এখন থেকেই। কিন্তু গত তিন বছর পররাষ্ট্রনীতি যেভাবে পরিচালিত হয়েছে, তাতে করে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হয়েছে, তা এক বড় প্রশ্ন এখন। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই জাতীয় স্বার্থ পুরোপুরি রক্ষিত হয়েছে, তা বলা যাবে না। দুদেশের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের অগ্রাধিকারগুলোকে চিহ্নিত করতে পারিনি। গত ৩১ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কে যাবে না বাংলাদেশ (সমকাল, ১ এপ্রিল)। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ কথা বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বোঝাতে চেয়েছেন আমি জানি না। কিন্তু আমি বুঝি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ কিংবা আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রতিবাদ করা উচিত। প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক আসরেও প্রশ্নটি তোলা উচিত। বাংলাদেশ তার নিজের স্বার্থ দেখবে_ এতে করে সম্পর্ক 'বৈরী' হবে, এটা ভাবা অবান্তর। তাই ড. বিনায়ক সেন আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানেই যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কথা বলেন, সরকারের নীতি-নির্ধারকদের উচিত এ ব্যাপারটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। Daily DESTINY 11.4.2012
0 comments:
Post a Comment