রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ধূম্রজাল


তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে অংশ নিতে নয়াদিলি্ল গিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। গত ৮ মে জেসিসি বৈঠক শেষে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে তিস্তার পানি বণ্টনের চুক্তির প্রসঙ্গটি রাখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব তিস্তা চুক্তি সম্পাদনে দায়বদ্ধ দুই দেশই। দৈনিক যায়যায়দিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে (৯ মে) তিস্তা নিয়ে নয়াদিলি্লর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং নয়াদিলি্ল সফরে দীপু মনি বিষয়টি নিয়ে যে আলোচনা করবেন, সেটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে নানা বিভ্রান্তি কাজ করছে। যৌথ বিবৃতিতে যখন বলা হচ্ছে 'চুক্তি সম্পাদনে দুই দেশ দায়বদ্ধ', ঠিক তখনই বিবিসির বাংলা বিভাগ আমাদের জানাচ্ছে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না।
 দীপু মনিকে এ কথাটা ভারত জানিয়ে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা ২৪ ডটকমের এক প্রতিবেদনে (১০ মে) বিবিসির উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকরা এটি মানতে রাজি নন। তিস্তার চুক্তি নিয়ে এখন আমরা নানা কথা শুনছি। গেল সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যখন বাংলাদেশে আসেন, তখন বলা হয়েছিল তিস্তার পানি বণ্টনের একটি চুক্তি হবে। কিন্তু হয়নি শুধু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে। পরবর্তীতে শোনা গেল একটি খসড়া চুক্তি তৈরি হচ্ছে নতুন ফর্মুলার আলোকে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছুটে গেলেন কলকাতায়। কিন্তু তাতে জট খুলল না। চুক্তি হবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। এখন শোনা গেল আদৌ চুক্তি হবে না। চুক্তি না হওয়ার পেছনে অনেক যুক্তি ভারতীয় গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন খুব শিগগিরই। এখানে কংগ্রেসের সমর্থন দরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উপরন্তু পশ্চিমবঙ্গে আগামীতে পঞ্চায়েত নির্বাচন। মমতা এ জন্য কোনো ঝুঁকি নিতে চান না। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে তিস্তা চুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ক্ষমতার 'গ্রিন সিগন্যাল' না পেলে কোনো চুক্তি হবে না। তবে নতুন যে ফর্মুলার কথা শোনা যাচ্ছে তাতে নাকি ক্ষমতার নিরব সমর্থন রয়েছে। বাংলাদেশ সেই নয়া ফর্মুলা সমর্থন করবে কি না সেটিও নিশ্চিত নই আমরা। নতুন ফর্মুলা অনুযায়ী যেটি স্পষ্ট, তা হচ্ছে মমতাকে সঙ্গে করেই মনমোহন সিং তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। মমতা এর আগে হুমকি দিয়ে ছিলেন বাংলাদেশকে ২৫ ভাগের বেশি পানি দেয়া যাবে না। তখন কেন্দ্র অনেকটা নরম এবং যতদূর জানা যাচ্ছে কেন্দ্র একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। ভারতের প্রস্তাবে দুটি অংশ থাকছে। শিলিগুড়ির পাশে গজলডোবায় যে বাঁধ রয়েছে, সেখান থেকে ২৫ ভাগ পানি দেয়া হবে বাংলাদেশকে। পরে দোমোহনিতে এসে যে পানি পাওয়া যাবে, সেখান থেকে মোট ৫০ ভাগ পানি দেয়া হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের চুক্তি দোমোহনি এলাকা 'রিচার্জ সাইট'।এখানে তিস্তার উপনদী থেকে এবং বৃষ্টির পানিতে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়, পরিভাষায় যাকে বলা হয় 'রিচার্জ সাইট'। পানির পরিমাণ বেড়ে গেলে বাকি ২৫ ভাগ পানি দেয়া সম্ভব। এই চুক্তি মমতা ও তার উপদেষ্টাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তবে মমতার সম্মতি তাতে থাকবে কি না তা অবশ্য আমরা নিশ্চিত নই। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিস্তার পানি ভাগাভাগি, একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ নিশ্চিত করার ব্যাপারে কল্যাণ রুদ্রকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। এই কমিটি গেল ফেব্রুয়ারিতেই তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এটা বিবেচনায় রেখেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ কলকাতা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই সময় নতুন ফর্মুলার আলোকে চুক্তিটি চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি পাওয়ার পরই আগামীতে ভারতের পানি সম্পদমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে নয়া চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে? যতটুকু জানা গেছে এটি হবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি। গঙ্গা চুক্তির মতো স্থায়ী কোনো চুক্তি হবে না এটি। দ্বিতীয়ত, তিস্তার পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে শুধু পশ্চিমবঙ্গ একাই ফ্যাক্টর নয় এবং সিকিমও একটি ফ্যাক্টর। তাই সিকিমকে এই চুক্তির আওতায় আনা হবে। সিকিমের পবন চামলিং সরকার তিস্তাকে ব্যবহার করে ২৭টি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। সিকিম থেকে প্রবাহিত ১৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাহাড়ি তিস্তার মূল নদীতে এবং শাখা নদীতে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সিকিম। একেকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজন হয় ৫ শতাংশ পানি। একসঙ্গে ২৭টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র উৎপাদনে গেলে তিস্তায় কি পরিমাণ পানি থাকবে, এটা নিয়ে সন্দেহ করেছেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গই বা কতটুকু পানি পাবে গজলডোবায়, কিংবা বাংলাদেশকেই বা কী পরিমাণ পানি দেবে ভারত, এটা একটা বড় প্রশ্ন এখন। তৃতীয়ত. একই নদীর ওপর এনএইচপিসির রয়েছে দুটি প্রকল্প ৩৩২ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পে রয়েছে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এ কারণে তিস্তায় যথেষ্ট পানি থাকার কথা নয়। তৃতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর অংশ হিসেবে ২৫ বছর আগে তৈরি ৩০ কিমি দীর্ঘ বাঁ-হাতি খালে তিস্তা থেকে পানি নিয়ে এসে ছাড়া হয়েছে। এতে করে উপকৃত হয়েছে সেখানকার ১১ হাজার হেক্টর জমির সেচ কাজ। বাংলাদেশকে না জানিয়ে উজানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পানি প্রত্যাহার করে নিতে পারে কি না সেটা একটা বড় প্রশ্ন হয়েই রইল। বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতে পারে। চতুর্থত, ২০০৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার 'জাতীয় প্রকল্প' হিসেবে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি জেলার ৯ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৫ সালে। এই ব্যারাজ পুরোপুরিভাবে চালু হলে বাংলাদেশের পানি প্রাপ্তি যে কমে যাবে তাই নয়, বরং ড্যাম সংলগ্ন এলাকায় ভূমিধস বৃদ্ধি পাবে, নদীতে নূরি পাথরের প্রবাহ বাড়বে, বিপুল পলি বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাংলাদেশের নদী ভরে ফেলবে। ভূমিকম্পের সম্ভাবনাও বাড়বে। ইতোমধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত গজলডোবা ব্যারাজের বিরূপ প্রভাবে লালমনিরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তাসহ ছোটবড় ১২টি নদী নাব্য হারিয়ে আবাদি জমি ও খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে (আমার দেশ, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সিকিম হয়ে ভারতের দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ারের সমভূমি দিয়ে চিলাহাটি থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার উত্তর খড়িবাড়ির কাছে ডিমলা উপজেলার ছাতনাই দিয়ে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। ছাতনাই থেকে এ নদী ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের সদর, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, রংপুরের কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর হয়ে চিলমারীতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। ডিমলা থেকে চিলমারী এ নদীর বাংলাদেশ অংশের মোট ক্যাচমেট এরিয়া প্রায় ১ হাজার ৭১৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনে শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশ ও ৩৯ ভাগ ভারত এবং ২৫ ভাগ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তে তিস্তার পানি প্রবাহের পরিমাণ বা কোন জায়গায় পানি ভাগাভাগি হবে এ রকম কোনো বিষয় উল্লেখ না থাকায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। অন্যদিকে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ তিস্তার পানির ৮০ ভাগ দুদেশের মধ্যে বণ্টন করে বাকি ২০ ভাগ নদীর জন্য রেখে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ভারত সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। শুধু তাই নয়, ভারত তিস্তা ব্যারাজের সেচ এলাকা কমিয়ে দ্বিতীয় প্রকল্প বাতিল করার জন্য চাপ দেয় এবং সর্বশেষ এক চিঠিতে তিস্তার মাত্র ২০ ভাগ পানি ভাগাভাগি করার বিষয়টি জানিয়ে দিয়ে চরম হঠকারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ১৯৮৫ সালে ভারত তিস্তার উৎসমুখে গজলডোবা নামক স্থানে গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণ করায় শুষ্ক মৌসুমে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পটি সেচ প্রদানে অকার্যকর হয়ে পড়ে।এই সেচ প্রকল্পের উপকৃত এলাকা ৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর। এরিগেবল এরিয়া (কৃষিযোগ্য ভূমি) ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর। বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি নামক স্থানে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় তিস্তা প্রকল্পের যে কাজ শুরু করেছে তা বাস্তবায়িত হলে রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার ৪ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে। এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত প্রায় ১৬.২১ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪৩ হাজার টন গম উৎপাদিত হবে। এর বাজারদর ২০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। কিন্তু প্রধান নদীগুলো নাব্য হারিয়ে এখন পানিশূন্যতায় অসংখ্য চরের মরুদ্বীপ রূপান্তরিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদপত্রে (যুগান্তর) প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কমেছে ২ হাজার কিউসেক। ১৩ ফেব্রুয়ারি পানির পরিমাণ যেখানে ছিল ৪ হাজার কিউসেক, পরের দিন তা কমে এসে দাঁড়ায় ২ হাজার কিউসিক।সেচ নির্ভর বোরো আবাদে তিস্তার সেচ কমান্ড এলাকায় পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এভাবে পানি কমে গেলে বোরো আবাদ চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এই যখন পরিস্থিতি তখন তিস্তার পানি ভাগাভাগিতে নতুন এক ফর্মুলার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে না। তিস্তার উজানে পানির প্রবাহ আরো হ্রাস পাবে। ফলে আগামী দিনগুলোতে বোরো আবাদে নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার ১৩ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৪৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে না। এতে করে বাংলাদেশ বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হতে পারে। তিস্তার পানিতে আমাদের ন্যায্য অধিকার রয়েছে যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বীকৃত। বাংলাদেশকে কোনোভাবেই মমতার চাপের কাছে নতি স্বীকার করা ঠিক হবে না। বাংলাদেশকে চুক্তি করতে হবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নয়। মমতার সাম্প্রতিক কর্মকা- প্রমাণ করল সত্যিকার অর্থেই তিনি বাংলাদেশের 'বন্ধু' নন। পানি নিয়ে তিনি রাজনীতি শুরু করেছেন। তার উদ্দেশ্য মনমোহন সিংকে চাপে রেখে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বেশি অর্থ আদায় করে নেয়া। তাই তিস্তার পানি বণ্টনের 'নয়া ফর্মুলা' আদৌ জট খুলবে কি না সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। দৈনিক যায় যায় দিন ২৮ মে ২০১২

0 comments:

Post a Comment