রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

পুঁজিবাদের সঙ্কট

নিউইয়র্কের ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলন গত ২৬ নভেম্বর ৬৯ দিন পার করেছে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনের ফ্রিডম প্লাজায় সমবেত হওয়া জনতা পার করেছে ৫২ দিন। এই আন্দোলনের সঙ্গে ইউরোপে যে আন্দোলন হচ্ছে কিংবা তাহরির স্কয়ারের (কায়রো) আন্দোলনের সঙ্গে হয়তো পুরো মিল নেই। কিন্তু মিল আছে এক জায়গায়-তরুণ সমাজ সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহার করে এই আন্দোলন গড়ে তুলেছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন যত বেশি না, অসমতা, দরিদ্রতা, কিছু ব্যক্তির হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভটা তাদের বেশি।
নিউইর্য়কের জুকোট্টি পার্কের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কায়রোর তাহরির স্কয়ারের বিক্ষোভকারীদের মিলটা এখানেই। জুকোট্টি পার্কের অবস্থান পুলিশ ভেঙে দিলেও বিক্ষোভ সেখানে অব্যাহত রয়েছে। জুকোট্টি পার্কে সমবেত হওয়া অনেককে বলতে শুনেছি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না টিউশন ফি বেড়ে যাওয়ার কারণে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৩০ বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে যেখানে রাজ্য সরকারের বরাদ্দ ছিল ১০ ভাগ, আজ তার পরিমাণ মাত্র ৭ দশমিক ৫ ভাগ। অথচ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ছাত্র বেতন বৃদ্ধি করেছে ৯ ভাগ, আর স্টেট ইউনিভার্সিটি বৃদ্ধি করেছে ১২ ভাগ। পরিসংখ্যান আরও বলছে, উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ কমলেও, শুধু জেলখানাগুলোতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পরিমাণ ১১ ভাগ। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে উচ্চশিক্ষা যেখানে সীমিত হয়ে আসছে, সেখানে মানুষের মাঝে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে, যাদের আশ্রয়স্থল জেলখানাগুলোতে। আমি এর আগে অপর একটি লেখায় (১৪ নভেম্বর) বলেছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বড় ধরনের একটি সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। পৃথিবীর মাঝে সর্বোচ্চ ঋণগ্রস্ত দেশ হচ্ছে এখন যুক্তরাষ্ট্র, যার ঋণের পরিমাণ ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এর মাঝে ১ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে চীনের কাছে। অথচ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্র খরচ করছে ‘তৃতীয় যুদ্ধ’-এর পেছনে (আফগানিস্তান, ইরাক ও লিবিয়া)। এই চিত্র যে আজ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তা নয়। এই সঙ্কট পুঁজিবাদী বিশ্বের সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। ইউরোপের অর্থনৈতিক সঙ্কট এক মুদ্রা ‘ইউরো’ ও একই সঙ্গে ইউরোপের ঐক্যকে একটি প্রশ্নের মাঝে ঠেলে দিয়েছে। গ্রিসে সরকারের পতন ঘটেছে। পতন ঘটেছে ইতালিতে বার্লুসকোনি সরকারেরও। এর আগে পর্তুগালেও সরকারের পতন ঘটেছে। আরব বিশ্ব জুড়ে যে গণজাগরণের (আরব বসন্ত) সৃষ্টি হয়েছে, তার পেছনে ক্ষমতাসীন সরকারের একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব অনেক অংশে কাজ করেছে এটা সত্য। সেই সঙ্গে তরুণ সমাজের মাঝে বেকারত্ব, অর্থনৈতিক মন্দা, বিশ্বায়ন প্রভৃতিও অনেক অংশে দায়ী।
এ সঙ্কট মূলত পুঁজিবাদের। পুঁজিবাদ, সমাজের মাঝে যে অসমতা, তা দূর করতে পারেনি। পুঁজিবাদী সমাজে অর্থনীতির যে বিকাশ ঘটেছে, তাকে বলা হচ্ছে চষঁঃড়হড়সু; অর্থাত্ সম্পদশালী ধনীশ্রেণীনির্ভর একটি সমাজ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো সমাজে ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির হাতে, যারা করপোরেট হাউস গঠন করে সব ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন। ধনীরাই কংগ্রেস সদস্য হচ্ছেন। সিনেটর হচ্ছেন। আর ধনীদের স্বার্থেই তারা আইন করছেন। যে কারণে দেখা যায় ধনীদের ট্যাক্স কমানো হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষের ‘নিরাপত্তা বলয়’ (শিক্ষা ও স্বাস্থ্য) সঙ্কুচিত করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যে ‘অকুপাই ম্যুভমেন্ট’ হচ্ছে, তার পেছনে কাজ করছে এই চিন্তাধারা। এটা এক ধরনের প্রতিবাদ। ‘বিপ্লবের’ মূল স্পিরিটের সঙ্গে এর মিল আছে। দিনের পর দিন অবস্থান ধর্মঘট করে যে প্রতিবাদ, এই প্রতিবাদ তো এক ধরনের বিপ্লবই। এই বিপ্লব সারা ইউরোপে ছড়িয়ে গেছে। এই বিপ্লব পুঁজিবাদের সঙ্কটকেই উসকে দিল। যদি পরিসংখ্যান নেওয়া যায়, তা হলে দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের সঙ্গে (যেখানে ধনী ১ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রের মোট সম্পদের ৪০ ভাগ) জার্মানি, ইতালি কিংবা ব্রিটেনের সমাজের কোনো পার্থক্য নেই। পুঁজিবাদ মুষ্টিমেয় কিছু লোককে আরও ধনী হতে সাহায্য করছে। ধনীদের ক্লাব হিসেবে পরিচিত জি-২০-এর দেশগুলো এখন বিশ্ব অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। মাঝেমধ্যে জি-২০-এর দেশগুলো একত্রিত হয়ে গল্প-গুজব করে, ‘ফটোসেশন’ করে সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির উত্থান-পতনে তাদের কোনো সুস্পষ্ট নীতি নেই। তারা কোনো সমাধানও দিতে পারেনি। গ্রিস যখন গেল নভেম্বর মাসে বড় ধরনের সঙ্কটের মাঝে পড়েছিল এবং রাষ্ট্রটি এক রকম দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন জি-২০-এর নেতারা ফ্রান্সের কান শহরে (৪ নভেম্বর) ফটোসেশনের জন্য মিলিত হয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফল শূন্য। যারা নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক নওরিল রউবিনির (ঘড়ঁত্রবষ জড়ঁনরহর) লেখনির সঙ্গে পরিচিত, তারা জানেন বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণকারী এই জি-২০-এর তিনি প্রচণ্ড বিরোধী। তার মতে, জি-২০ পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ। জি-২০ কোনো সমাধান দিতে পারছে না, হাল ধরতে পারছে না বিশ্ব অর্থনীতির। ইউরোপের কোনো কোনো রাষ্ট্র এখন দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম। আরও ঋণ দিয়েও সঙ্কট মোকাবেলা করা যাচ্ছে না। গ্রিস ও ইতালি কঠোর কৃচ্ছ্র সাধনের কথা ঘোষণা করলেও, সাধারণ জনগণ এটা মেনে নেয়নি। তারা এখনও দিনের পর দিন বিক্ষোভ মিছিল করছে। গ্রিসের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গ্রিসকে ‘উদ্ধারের’ জন্য যে ঋণ দিয়েছে, তা ছিল শর্তযুক্ত। ওই শর্ত মেনেই আবাসন করের ওপর একটি বিল পাস করেছে গ্রিসের সংসদ। পাশাপাশি কমানো হয়েছে পেনশন, কমানো হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা। গ্রিসের রাস্তায় বিক্ষোভ তাই নিত্যদিনের চিত্র। এ চিত্র আজ ইতালিতেও লক্ষ করা যায়। অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ইতালি ও গ্রিসের বাইরে আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ নাজুক। গ্রিসে ২০১০ সালে ঘাটতি ছিল জিডিপির ১৩ ভাগ। আর দেশটির ঋণ পরিস্থিতি জিডিপির একশ’ ভাগকেও ছাড়িয়ে গেছে। ফলে গ্রিসের পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে গিয়ে উন্নীত হয়েছিল যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছিল না সরকার। এমনি এক পরিস্থিতিতে আইএমএফ ও ইউরো জোনের দেশগুলো ৩ বছরের জন্য ১১০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু শর্ত হিসেবে ঘাটতি কমানোর কথা বলা হলে তা মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। আয়ারল্যান্ডে ২০০৯ সালে যেখানে ঘাটতি ছিল জিডিপির ১১ ভাগ, ২০১০ সালে তা উন্নীত হয় ৩১ ভাগে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ৮৫ বিলিয়ন ইউরোর একটি ‘উদ্ধার কর্মসূচি’ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্তুগালের পরিস্থিতি আরও খারাপ। ২০০৯ সালে ঋণের পরিমাণ ছিল জিডিপির ৭৬ ভাগ। আর ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৫ ভাগে। ফলে ২০১১ সালের মার্চে সেখানে সমাজতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটে এবং পর্তুগালকে ঋণ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্য ৭৮ মিলিয়ন ইউরো ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। খুব সূক্ষ্মভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত জার্মানি কিংবা ফ্রান্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কম। এ কারণেই একক মুদ্রা হিসেবে চালু হওয়া ইউরোর ভবিষ্যত্ এখন প্রশ্নের মুখে। ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় মুদ্রায় পুনরায় ফিরে যেতে। বলা হচ্ছে জাতীয় মুদ্রায় ফিরলে সমস্যার সমাধান হবে। ইউরোপের স্বল্পোন্নত বা গরিব দেশগুলোর ধারণা, ইউরো চালু হওয়ার পর ইউরোপের শক্তিশালী (অর্থনৈতিক দিক থেকে) ও দুর্বল দেশগুলোর মধ্যে একটা ব্যবধান তৈরি হয়ে গেছে। তাদের ধারণা, ইউরো তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে শক্তিশালী দেশগুলো তাদের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। প্যাকেজ ভর্তুকি ও ঋণ দিয়েও সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। ফলে নিজ মুদ্রায় ফিরে যাওয়ার দাবি কোনো কোনো মহলে উচ্চারিত হচ্ছে।

‘ইউরো জোন’-এর এই অর্থনৈতিক সঙ্কট, ইউরোপের ঐক্যকে বড় প্রশ্নের মাঝে ঠেলে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন টিকবে কি না সেটা একটা বড় প্রশ্ন এখন। অথচ এক সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটা মডেল হিসেবে ধরা হতো। ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা ‘দক্ষিণ এশীয় ইউনিয়ন’ গঠনের কথা শুনেছি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে অদূর ভবিষ্যতে একটি ‘এশীয় ইউনিয়ন’ গঠিত হতে পারে, এমন ধারণাও করেছিলেন কেউ কেউ। এখন ‘ইউরো জোন’-এর সঙ্কটের ফলে নতুন করে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
অসমতা আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বব্যাপীই চলছে আন্দোলন। চিলিতে (সান্তিয়াগো শহরে) আন্দোলনকারীরা স্কুলগুলো দখল করে বিনা বেতনে শিক্ষার দাবিতে আন্দোলন করছে। ইসরায়েলে আন্দোলন হচ্ছে জীবনযাত্রার মানের ঊর্ধ্বগতি আর অতিরিক্ত বাড়ি ভাড়ার কারণে। স্পেনে যেখানে শতকরা ৫০ যুবক বেকার, সেখানে আন্দোলন হচ্ছে বেকারত্বের বিরুদ্ধে। যুক্তরাজ্যে, বিশেষ করে লন্ডন শহরে আন্দোলন হচ্ছে শিক্ষায় বাজেট কমানোর প্রতিবাদে। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে আন্দোলন হচ্ছে অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রতিবাদে। অকল্যান্ড, তাইপে আর সিউলের বিক্ষোভের ধরনও অনেকটা তেমনি। মূল সুরটা এক জায়গায় বাঁধা-তা হচ্ছে বৈষম্য আর অসমতা। বর্তমান অর্থনেতিক ব্যবস্থা মানুষের মাঝে অসমতা দূর করতে পারেনি। বরং কোথাও কোথাও মানুষ আরও গরিব হয়েছে। তাই একুশ শতকে এসে একটি নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যত তাড়াতাড়ি এ দিকটার দিকে নজর দেবেন, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। আমাদের মতো দেশ বিশ্ব মন্দায় এসব অবধি আক্রান্ত হয়নি। তবে অচিরেই আমরা উপলব্ধি করতে শুরু করব। মন্দার কারণে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাকের বাজার সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে আসছে। দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। সরকার যদি কৃচ্ছ্র সাধন না করে তা হলে এক বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে পড়বে দেশ। নিউইয়র্কের ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলন আমাদের দেখিয়ে দিল পুঁজিবাদ ব্যর্থ। আর সে কারণেই একটি নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

সকালের খবর, ০৫ ডিসেম্বর ২০১১। 
ড. তারেক শামসুর রেহমান।
অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
tsrahmanbd@yahoo.com  

0 comments:

Post a Comment